জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিলিজ স্লিপ নিয়ে অজানা সব তথ্য বিস্তারিত।
০১: রিলিজ স্লিপ কী?
উত্তর: যে সকল শিক্ষার্থী-
- ১ম ও ২য় মেরিট লিস্টে চান্স পায়নি
- চান্স পেয়েও ভর্তি হয়নি
- ভর্তি হয়েও পরে, ভর্তি বাতিল করবে
সে সকল শিক্ষার্থী রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে ৫টি কলেজে নতুন করে সাবজেক্ট চয়েস দিয়ে আবেদন করার সুযোগ পাবে।
(যারা প্রাথমিক আবেদন করেন নি, বা প্রথমে আবেদন করতে পারি নি তারা পারবে না)
০২: রিলিজ স্লিপের আবেদনে কি আমি আমার পূর্বের কলেজে আবেদন করতে পারবো?
উত্তর: হ্যাঁ পারবে। তুমি ঐ কলেজসহ সর্বমোট ৫টি কলেজে নতুন নতুন সাবজেক্ট সহ আবেদন করতে পারবে...
০৩: রিলিজ স্লিপের আবেদন ফরম কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ শুধুমাত্র অনলাইনে/কম্পিউটার দোকানে রিলিজ স্লিপের আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে। নিজের ফোন দিয়ে করতে পারবে। তবে রিলিজ স্লিপ কলেজ থেকে দেওয়া হয় না, তাই কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
০৪: আবেদন করার পর, রিলিজ স্লিপের ফরম কি কলেজগুলোতে জমা দিতে হবে?
উত্তরঃ না, কলেজে জমা দেয়ার দরকার নেই। এটি তোমার কাছে রেখে দিবে যত্ন করে, ভর্তির সময় লাগতে পারে...
০৫: আমি কোন ৫টি কলেজ নির্বাচন করব?
উত্তরঃ তোমার ইচ্ছানুযায়ী যেকোনো ৫টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। ১ বা ২ অথবা ৩টি কলেজ দিয়ে আবেদন করা যাবে না।
০৬: রিলিজ স্লিপের ফলাফল কিভাবে জানবো?
উত্তরঃ আবেদন শেষ হওয়ার ২-৫ দিন পর ফলাফল প্রকাশিত হবে এবং আগের মতো মোবাইল থেকে এসএমএস দিয়ে অথবা অনলাইনে তুমি তোমার ফলাফল জানতে পারবে।
০৭: রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে আবেদন করলে চান্স পাওয়ার নিশ্চয়তা কতটুকু?
উত্তরঃ জেলা শহরের কলেজগুলোতে শূন্য আসন সংখ্যা খুবই কম থাকে। অপর দিকে উপজেলা পর্যায়ের কলেজগুলো অনেক বেশি আসন/সিট খালি থাকে। তাই আবেদন করার সময় এই বিষয়টি গুরুত্ব দিলে ১০০% পর্যন্ত ভর্তির নিশ্চয়তা থাকে।
০৮: রিলিজ স্লিপ কোথায় কিভাবে পূরণ করতে হবে? অথবা, রিলিজ স্লিপের আবেদন কোথায় করতে হবে?
উত্তরঃ রিলিজ স্লিপের আবেদন করতে হবে অনলাইনে। নিজেও রোল আর পিন দিয়ে লগইন করে আবেদন করতে পারবে। কম্পিউটার দোকানে গিয়েও করা যাবে। আমি নিজেও রিলিজ স্লিপে আবেদন করে দিবো। তোমার টা করতে চাইলে কমেন্ট বক্সে জানাও।
০৯: রিলিজ স্লিপ পূরণ করতে কী কী লাগবে এবং কত টাকা লাগবে?
উত্তর: তোমার রোল নম্বর ও পিন নম্বর দিয়েই আবেদন করা যাবে। কম্পিউটার দোকানে ৫০ টাকা লাগবে। এর বাইরে কোন টাকা লাগবে না। এককথায়, রিলিজ স্লিপে আবেদন করা ফ্রি, শুধু কম্পিউটার খরচ বাদে।
১০: রিলিজ স্লিপ-এ সরকারি কলেজ কয়টা এবং বেসরকারি কলেজ কয়টা চয়েস দেওয়া যায়?
উত্তরঃ সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৫টা কলেজ চয়েস দেওয়া যাবে। আবার চাইলে সব গুলো সরকারি অথবা সব বেসরকারি কলেজ দিতে পারবে।
১১: কোন কলেজে কোন গ্রুপে কত সিট খালি আছে, তা কিভাবে জানবো?
উত্তরঃ অনলাইনে রিলিজ স্লিপ ফরম পূরণ করার সময় কলেজের পাশে কয়টা করে সিট খালি আছে, তা দেখা যাবে। তাছাড়া আমারও কয়টা সিট খালি আছে তার তালিকা তৈরি করবো এবং সময় মত পোস্ট করে জানাবো।
১২: ১ম, ২য় মেরিট লিস্টে যে সাবজেক্ট আসছে, সেটাতে ভর্তি হয়নি না, রিলিজ স্লিপ আবেদন করতে পারবো?
উত্তরঃ পারবে। সঙ্গত কোন কারণে যদি আপনি ১ম বা ২য় মেরিট লিস্টে সাবজেক্ট পেয়েছেন কিন্তু আপনি সুযোগ পেয়ে ও কাজে লাগাতে পারেননি, তাহলে আপনি ও রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে পারবেন।
১৩: রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে যে সাবজেক্ট পাবো, তা কি চেঞ্জ করা করা যাবে?
উত্তরঃ না, চেঞ্জ করা যাবে না এবং মাইগ্রেশনও করা যাবে না। রিলিজ স্লিপে যে গ্রুপ/কোর্স পাবে, সেটায় পড়তে হবে।
১৪: যদি রিলিজ স্লিপে আবেদন করার পর কোন কলেজে সুযোগ না পাই তাহলে কি আর ভর্তি হতে পারবো না?
উত্তর : ১ম রিলিজ স্লিপে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ২য় রিলিজ স্লিপ ছাড়া হয়। তাই ১ম রিলিজ স্লিপে সুযোগ না পেলেএ আবার ২য় রিলিজ স্লিপে ৫টা কলেজে নতুন করে আবেদন করার সুযোগ আছে..
.
১৫: ২য় রিলিজ স্লিপের আবেদন প্রক্রিয়া কেমন?
উত্তরঃ ২য় রিলিজ স্লিপের আবেদন প্রক্রিয়া ১ম রিলিজ স্লিপের মতই। যারা ১ম রিলিজ স্লিপে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হবে না তারা ২য় রিলিজ স্লিপে আবেদনের সুযোগ পাবে..
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
১৬: রিলিজ স্লিপে আবেদন কখন শুরু হবে?
উত্তর: ২য় মেরিট লিস্ট দেওয়ার পর। তাদের ভর্তি চলবে, তারপর দিবে।
কোটা ও মাইগ্রেশনের রেজাল্ট, এবং তাদের ভর্তি চলবে। এখানে ১৫+১৫= ত্রিশ দিন মত সময় চলে যাবে। তাই আশা করা যায় ২য় মেরিট লিস্ট দেওয়ার পর ২৫/৩০ দিনের মধ্যে আপনারা পেয়ে যাবেন রিলিজ স্লিপে আবেদন করার নোটিশ।
বি.দ্র: রিলিজ স্লিপের নোটিশ দিয়েছে আপনারা চাইলে আবেদন আজকে থেকে শুরু করে দিতে পারেন। কারো যদি আবেদন করতে হয় তাহলে কমেন্ট লিখে জানান। তাই গ্রুপে সাথেই থাকবেন।
(ধন্যবাদ :- সকলকে)