Introduction to Prose All Summary For 1st Year

Mofizur Rahman
0

Introduction to Prose All Summary For 1st Year

Introduction to Prose All Summary

NON-FICTION


Francis Bacon /ফ্রান্সিস বেকন
  • Of Studies
বাংলা সারমর্ম
চসার যেমন ইংরেজি পদ্যের জনক, তেমনি বেকন হচ্ছেন ইংরেজি গদ্যের জনক। তাঁর বাক্য গঠন জটিল। বিষয়বস্তু আলোচনায় তিনি কখনো একদেশদর্শী নন। প্রায় প্রতিটি বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে এবং প্রায়োগিক দিক নিয়ে তিনি তাঁর প্রবন্ধগুলোতে আলোচনা করেন। যৌক্তিকভাবে প্রায় প্রতিটি বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে মত দেন যদিও উপসংহারে কোনো মতকেই এককভাবে প্রাধান্য দেন না।

অব স্টাডি' তাঁর তেমনি একটি প্রবন্ধ। কেন পাঠাভ্যাস করা উচিত, পাঠাভ্যাসের সুফল কী, সঠিক পাঠাভ্যাস কোনটি এসব তিনি আলোচনা করেন। শুধু অন্যের মতকে ভ্রান্ত প্রমাণিত করার জন্য, নিজেকে বিদ্বান প্রতীয়মান করার জন্য, মেকি পাণ্ডিত্য জাহির করার জন্য পাঠাভ্যাস বর্জনীয়। পরিশেষে তিনি মত দেন, শরীর চর্চা যেমন শরীর রক্ষার জন্য অপরিহার্য; পাঠাভ্যাসও তেমনি আত্যিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য অপরিহার্য।

English Summary
As Chaucer is the father of English verse, so Bacon is the father of English prose. His sentence structure is complex. He is never single-minded in discussing the subject matter. He discusses the pros and cons and practical aspects of almost every subject in his articles. Logically argues for and against almost every point, though not overwhelmingly favoring any one view in conclusion.

Of Study' is one such article of his. He discusses why one should study, what are the benefits of studying, what is the right study. Just to prove others wrong, to make oneself appear learned, to pretend to be erudition is forbidden. Finally he opines that physical exercise is essential to protect the body; Studying is also essential for achieving ultimate excellence.

Abraham Lincoln /আব্রাহাম লিংকন
  • Gettyysburg Address
বাংলা সারমর্ম
সকল নাগরিকের সমান অধিকার, সমান মর্যাদার দাবিতেই ১৭৭৬ সালে আমেরিকা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়, গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লব্ধ সে স্বাধীনতা স্থায়ী হবে কিনা তাতে সংশয় দেখা দিয়েছিল। গেটিসবার্গের যুদ্ধে অনেক বীর যোদ্ধা নিহত হন। গেটিসবার্গের জনসমাবেশের উদ্দেশ্য ছিল সে সব বীরদের সমাধিস্থলের জন্য কিছু পরিমাণ তুমি উৎসর্গ করা।

আব্রাহাম লিঙ্কনের ভাষণের মূল বিষয়ই হচ্ছে আত্মত্যাগী বীরদের অনুপ্রেরণার জীবিত আমেরিকানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতন করা, বীরদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা – আমেরিকার স্বাধীনতাকে স্থায়ী করা, সকল নাগরিকের সাম্য নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণভাবে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য এমন এক সরকার গড়া যা ঈশ্বরের পৃথিবী থেকে কোনো দিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না।

English Summary
In 1776, America snatched its independence from the British colonial power to demand equal rights and equal status for all citizens. In the context of the Civil War, there was doubt as to whether that independence would last. Many brave warriors were killed in the Battle of Gettysburg. The purpose of the Gettysburg rally was to donate some money to the graves of those heroes.

The essence of Abraham Lincoln's speech was to remind living Americans of the responsibility and duty to inspire the heroes who sacrificed themselves, to finish the unfinished work of the heroes – to perpetuate American liberty, to ensure the equality of all citizens, and to build a government entirely by the people, for the people, that will someday come from God's earth. will not be erased.

Rabindranath Tagore / রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • Letter to Lord Chelmsford Rejecting Knighthood
বাংলা সারমর্ম
১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে স্থানীয় একটি সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সমবেত জনতার উপর ঔপনিবেশিক বৃটিশ সরকারের পুলিশ বাহিনী নির্বিচার গুলি চালায়। তাতে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বৃটিশ পুলিশের এই আচরণ, যে কোনো নৈতিক বা রাজনৈতিক মানদণ্ডে ছিল অগ্রহণযোগ্য। বৃটিশ শাসকরা যে ভারতীয়দের সামান্যতম মানবিক মর্যাদা দিতে নারাজ, এ মর্মান্তিক ঘটনা তারই প্রমাণ বহন করে।

আজীবন রাজনীতি নিরপেক্ষ রবীন্দ্রনাথের হৃদয়ের মর্মমূলে এ নিষ্ঠুরতা কঠিন আঘাত করে। তিনি আরো ব্যথিত হন বৃটিশদের চরম ঔদাসীন্য দেখে, ইং ভারতীয় পত্রিকাগুলোতে এ অমানবিক আচরণের প্রশংসা দেখে। দেশের মানুষের প্রতি অবজ্ঞা, অবমাননা, পরিহাস দেখে তিনি এতই বিক্ষুব্ধ হন যে, তদানীন্তন ভাইস রয়, লর্ড চেমস ফোর্ডের কাছে লেখা বর্তমান পত্রটিতে তিনি তার 'নাইট' পদবী প্রত্যাহার করে ভারতবাসীর ব্যথায় সমব্যথী হতে দেবার জন্য নিবেদন করেন।

Summary
In Jallianwala Bagh, Punjab, in 1919, police forces of the colonial British government fired indiscriminately on a crowd gathered to protest against a local issue. Many people lost their lives. This behavior of the British police was unacceptable by any moral or political standards. This tragic incident bears proof that the British rulers were unwilling to give even the slightest human dignity to the Indians.

Rabindranath, who was politically neutral throughout his life, was deeply affected by this cruelty. He was further distressed to see the utter indifference of the British, praising the inhuman treatment in Indian newspapers. He was so offended by the contempt, humiliation and mockery of the people of the country that in the present letter written to the then Vice Roy, Lord Chelmsford, he offered to withdraw his title of 'knight' and sympathize with the pain of the people of India.

George O'rwell / জর্জ ওরয়েল।
  • Shooting an Elephant
বাংলা সারমর্ম
বার্মায় পুলিশ কর্মকর্তা থাকাকালে অরওয়েল এক অসহনীয় অবস্থায় পড়েছিলেন। প্রজনন ঋতুতে হাতিরা উন্মাদ হয়ে যায়, তেমনি একটা হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে একটা দ্রাবিড় কুলিকে পা মাড়িয়ে মেরেছিল এবং কিছু ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ করে দিয়েছিল। মহকুমা পুলিশ অফিসার হিসেবে হাতিটিকে রুখবার দায়িত্ব অরওয়েলের উপর আসে। অরওয়েল যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান তখন হাতিটির প্রজনন 'তাপ' শেষ। হাজার হাজার বার্মিজ জনতা যখন হাতিটিকে দেখার জন্য উৎসুক। তাদের ইচ্ছা হাতিটিকে গুলি করা হোক।

এমনিতেই বার্মিজদের শ্বেতাঙ্গদের প্রতি ব্যঙ্গ বিদ্রূপ ছিল অসহ্য অবমাননাকর। বার্মিজরা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, শ্বেতাঙ্গ শাসন বিরোধী কোনো আন্দোলন বা বিদ্রোহ সংগঠনে যোগ্য ছিল না মোটেও কিন্তু শ্বেতাঙ্গদের ইতর ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করায় ছিল পটু। কোনো শ্বেতাঙ্গ মহিলা একাকী পথ চলার সময় তার স্কার্টে পানের পিক ফেলার মতো নোংরা কাজ করে প্রবল হাসিতে ফেটে পড়ার মতো নীচতায় দক্ষ। অরওয়েল অত্যন্ত বিরক্ত বোধ করতেন, একেক সময় সাম্রাজ্যবাদের অধীনে চাকরি ছেড়ে দেবার কথাও ভাবতেন অন্যান্য শ্বেতাঙ্গ শাসকদের মতো ।

ঘটনাস্থলে শান্ত নিরীহ অবস্থায় ঘাস খেতে দেখে অরওয়েল ভাবলেন বিরাট মূল্যবান প্রাণীটিকে হত্যা করা নিরর্থক। কিন্তু জনতার ইচ্ছার চাপের সামনে, শ্বেতাঙ্গদের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে অরওয়েল শেষ পর্যন্ত হাতিটিকে গুলি করতে বাধ্য হন। নিজ ইচ্ছার বিরুদ্ধে, হলদেমুখো বার্মিজেদের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করে অরওয়েল অস্থির বোধ করছিলেন। মাংসের লোভে ভিড় জমান বার্মিজরা। হাতিটিকে গুলি করার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছিল। এমন একটা অবস্থা থেকে অরওয়েল বেরিয়ে আসতেও পারছিলেন না পাছে বার্মিজরা তাকে বিদ্রুপ করে, ভীরু ভেবে প্রবল হাসিতে ফেটে পড়ে।

অবশেষে অরওয়েল নিরীহ, শান্ত হাতিটিকে বাধ্য হয়েই গুলি করেন হাতিটির কান লক্ষ্য করে কিন্তু হাতিটির মৃত্যু দৃশ্য ছিল অসহনীয়, করুণ। ধীরে, অতি ধীরে হাতিটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, প্রচণ্ড জোরে নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে। অরওয়েল দৃশ্যটি কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলেন না। করুণ সে দৃশ্যটি তার ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। তিনি দ্রুত সে স্থান ত্যাগ করেন। তিনি সে স্থান ত্যাগ করতে না করতেই, বার্মিজরা দা, ঝুড়ি নিয়ে হাতির মাংসের লোভে মৃত প্রায় হাতিটির উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ল।

সার্বিক ঘটনাটি অরওয়েলের খুব মর্মপীড়ার কারণ ঘটায়। বর্বর বার্মিজদের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণের বেদনা অরওয়েলকে ভীষণভাবে বিচলিত করে।

Engliish Summary
As a police officer in Burma, Orwell found himself in an unbearable situation. Elephants go berserk during the breeding season, and one elephant entered the locality and trampled a Dravidian coolie to death and destroyed some houses and crops. As a sub-divisional police officer, it falls upon Orwell to stop the elephant. The elephant's breeding 'heat' was over when Orwell arrived on the scene. Thousands of Burmese people are eager to see the elephant. They want the elephant to be shot.

Already the Burmese sneers at the whites were unbearably insulting. The Burmese were not qualified to organize any anti-imperialist, anti-white-rule movements or revolts but were skilled at satirizing the whites. A white woman is as good at being mean as to break out into loud laughter doing something as dirty as spilling a drink up her skirt while walking alone. Orwell felt very frustrated, at times thinking of quitting his job under imperialism like other white rulers.

Orwell saw the calm and innocent nature of the scene eating grass and thought it was futile to kill such a precious animal. But in the face of public pressure, Orwell was finally forced to shoot the elephant in order to preserve the dignity of the white man. Against his will, Orwell felt unsettled by surrendering to the will of Holdemukho Burmese. The Burmese flocked for meat. Eagerly waiting to shoot the elephant. Orwell could not get out of such a situation lest the Burmese mock him, think him cowardly and burst out laughing.

Finally Orwell shoots the innocent, calm elephant under compulsion aiming at the elephant's ear but the elephant's death scene is unbearable, pathetic. Slowly, ever so slowly, the elephant sank into the lap of death, exhaling violently. Orwell could not stand the scene at all. The pitiful scene was beyond his endurance. He quickly left the place. No sooner had he left the place than the Burmese, with baskets, pounced upon the elephant, which was nearly dead in its lust for elephant meat.

The whole incident caused Orwell great distress. The pain of surrendering to the will of the barbaric Burmese deeply distressed Orwell.


Martin Luther King (jr.) / মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।
  • I Have a Dream
বাংলা সারমর্ম
দাস হিসেবে আমেরিকায় আগত কৃষ্ণাঙ্গরা বহুকাল ধরে আমেরিকায় নিগৃহীত, অপমানিত হয়ে আসছিল। দাসপ্রথা বিলোপ নিয়ে আমেরিকার উত্তর ও দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে প্রবল বিরোধ ছিল। গৃহযুদ্ধের কারণও ছিল কৃষ্ণাঙ্গরা। দাসপ্রথা, আব্রাহাম লিঙ্কন বিলুপ্ত ঘোষণা করলেও, কৃষ্ণাঙ্গদের সামাজিক, অর্থনৈতিক নিগ্রহ তখনো বন্ধ হয়নি। এমনি ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতে কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার দাবিতে মার্টিন লুথার আবির্ভূত হন। অহিংস পথে আন্দোলন করে কৃষ্ণাঙ্গদের মানুষের অধিকারে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখেন।

তাঁর স্বপ্ন; শ্বেতাঙ্গ কৃষ্ণাঙ্গ নির্বিশেষে সকলেই ঈশ্বর সৃষ্ট মানুষের সমানাধিকার পাবে। তাঁর স্বপ্ন, একই দেশে একই ধর্মাবলম্বী হয়ে কৃষ্ণাঙ্গরা বঞ্চনা মুক্ত হোক, তারা শ্বেতাঙ্গদের সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হোক। কৃষ্ণাঙ্গ শিশুরা শ্বেতাঙ্গ শিশুদের সাথে একই বিদ্যালয়ে, একই বেঞ্চে বসে বিদ্যার্জনের সুযোগ পাক, হাত ধরাধরি করে ভাইবোনের মতো বড়ো হয়ে উঠুক। তার স্বপ্ন যেদিন সফল হবে সেদিনই তিনি শান্তি পাবেন।

আততায়ীর গুলিতে নিহত মার্টিন লুথার কিংয়ের স্বপ্ন সেদিন সফল হয়নি, আত্মা শান্তি পায়নি। কিন্তু আজো বেঁচে থাকলে মার্টিন লুথার কিং শান্তি পেতেন নিশ্চয়ই। একজন কৃষ্ণাঙ্গই এখন আমেরিকার প্রবল ক্ষমতাধর শাসক, পরাক্রমশালী মার্কিন শক্তির চালক।

English Summary
Blacks who came to America as slaves were oppressed and humiliated in America for a long time. There was a strong conflict between the American North and South states over the abolition of slavery. Blacks were also the cause of the Civil War. Although Abraham Lincoln declared the abolition of slavery, the social and economic oppression of blacks did not stop. It is in this historical context that Martin Luther emerged to demand black rights. He dreams of establishing blacks as human rights by non-violent movement.

His dream; All people, whether white or black, will have equal rights as created by God. His dream is that the blacks should be free from deprivation by belonging to the same religion in the same country, they should be established on an equal footing with the whites. Let black children have the opportunity to study with white children in the same school, sit on the same bench, hold hands and grow up as siblings. He will find peace the day his dream succeeds.

The dream of Martin Luther King, who was shot by an assassin, did not succeed that day, his soul did not find peace. But if he were alive today, Martin Luther King would surely have peace. A black man is now the mighty ruler of America, the driver of mighty American power.


Nelson Mandela /নেলসন ম্যান্ডেলা।
  • Long Walk to Freedom ( Part Eleven: Freedom Chapter 115)
বাংলা সারমর্ম
১০ই মে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ার ইউনিয়ন বিল্ডিংসের মুক্তাঙ্গনে এযাবৎকালের আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের বৃহত্তম সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। যুগ যুগ ধরে এটি ছিল শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের কেন্দ্রভূমি, আর এখন এটি হলো দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম গণতান্ত্রিক সরকারের বিভিন্ন বর্ণের ও বিভিন্ন জাতির অভিষেক অনুষ্ঠানের রংধনু সমাবেশ। মঞ্চে উপ রাষ্ট্রপতিদ্বয়ের শপথ গ্রহণের পর নেলসন মেন্ডেলা রাষ্ট্রপতিরূপে সংবিধান সমুন্নত রাখার এবং প্রজাতন্ত্রের এবং জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার গ্রহণপূর্বক শপথ গ্রহণ করলেন।


তিনি বললেন দীর্ঘস্থায়ী মানবিক বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতা হতে এমন এক সমাজ জুনুগ্রহণ করবে যার জন্য সমগ্র মানবজাতি গর্ববোধ করবে। তিনি বললেন কিছুদিন আগেও তাঁরা ছিলেন আইনের আশ্রয় থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি আর এখন তাঁরা বিশ্বের জাতিসমূহের নিমন্ত্রাতা হওয়ার দুর্লভ সৌভাগ্যে সৌভাগ্যবান। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য, শান্তির জন্য, মানবীয় মর্যাদার জন্য, সকল কিছুর অধিকার লাভের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন অবশেষে তাঁরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করেছেন। তাঁরা সকল জনগণকে দারিদ্র্য, বঞ্চনা, নির্যাতন এবং অন্যান্য বৈষম্য হতে মুক্তি দান করার অঙ্গীকার করেন।

ঐ সময়ে জেট বিমান, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য বিমানগুলো নিখুঁত বিন্যাসে উড়ে গেল। এটি ছিল গণতন্ত্রের প্রতি সামরিক শক্তির আনুগত্যের প্রদর্শন। প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেনারেল এবং পুলিশ বাহিনীর প্রধানগণ অভিবাদন করে মেন্ডেলাকে আনুগত্য প্রদর্শন করল। সর্বশেষে ইম্পালা জেট বিমান নতুন দক্ষিণ আফ্রিকার পতাকার ধূম্র চিহ্ন রেখে উড়ে গেল । দুইটি জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য দিনটি মেন্ডেলার কাছে প্রতীকী হয়ে রইল। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ অধিবাসীরা কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে এক ধরনের সাম্প্রদায়িক আধিপত্য গড়ে তুলেছিল।

কালক্রমে তা বিশ্বের অন্যতম কঠোর ও নির্মম সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তিভূমি রচনা করল। বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে ঐ সমাজ ব্যবস্থা চিরতরে উলটে গেল এবং গাত্রবর্ণ অগ্রাহ্য করে সকল জাতির সমঅধিকার এবং স্বাধীনতা স্বীকৃতি লাভ করল। সহস্র সহস্র ব্যক্তির অকল্পনীয় ত্যাগ স্বীকার এবং দুঃখ কষ্ট সহ্য করার মধ্য দিয়ে তা সম্ভব হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে যাঁরা গত হয়ে গেছেন তাঁদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে না পারায় মেন্ডেলা দুঃখবোধ করেন।

মেন্ডেলা বলেন বর্ণ বৈষম্য নীতি সৃষ্ট ক্ষত হতে আরোগ্য লাভ করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। বহু দশকের অত্যাচার এবং বর্বরতার একটি যাম ছিল এই যে তা কিছু অসাধারণ সাহস, প্রজ্ঞা এবং উদারতাসম্পন্ন মানুষের জন্ম দিয়েছিল, যাঁরা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটির নীচের দুর্লভ রত্নরাজি অপেক্ষা অধিক মূল্যবান, সুন্দর ও খাঁটি। একটি চিন্তা বা ভাবধারার জন্য অনেক নারী পুরুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়েছে, প্রাণ দান করেছে।

আক্রমণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে তারা ভেঙে না পড়ে সংগ্রাম করেছে, সাহসের পরিচয় দিয়েছে। মেন্ডেলা নিজেও বহুবার ভয়টাকে জয় করে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। মেন্ডেলা সব সময় আশা করতেন যে একটি বড়ো পরিবর্তন ঘটবে। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র বড়ো বড়ো বীরদের কারণেই নয়, সাধারণ পুরুষ ও নারীদের সাহসিকতার কারণে; তাদের অন্তরের করুণা এবং উদারতার কারণে। ধর্মের জন্য অথবা বর্ণের জন্য কারো প্রতি ঘৃণা নিয়ে মানুষ জন্মায় না। মানুষকে ঘৃণা করা শিখতে হবে, ঘৃণা করতে শিখলে ভালোবাসতে শিখানো যাবে। মানুষের সততায় আস্থা রাখতে হবে।

মেন্ডেলা জানতেন যে তাঁদের পথ সহজ হবে না। তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীদের এই বিশ্বাসের জন্য উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছিল। তাঁর পরিবারকেও এজন্য অনেক বেশি মূল্য দিতে হয়েছিল। জীবনে প্রতিটি মানুষের দুটি বাধ্যবাধকতা আছে—পরিবারের প্রতি এবং দেশের প্রতি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার একজন মানুষের জন্য ঐ দুটি বাধ্যবাধকতা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব ছিল। দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য করতে হলে একান্তে জীবনযাপন করতে বাধ্য হতো। মেন্ডেলাও দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে নিজেকে পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হন যা ছিল বেদনাদায়ক।

মেন্ডেলা বলেন তিনি স্বাধীন হওয়ার ক্ষুধা নিয়ে জন্মাননি, স্বাধীন হয়েই জন্মেছেন। যুবক হয়ে তিনি বুঝলেন যে তাঁর বাল্য স্বাধীনতা ছিল একটা ভ্রান্তি। তিনি সকল মৌলিক এবং সম্মানজনক স্বাধীনতা লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলেন। তিনি দেখলেন যে শুধু তাঁর নয় তাঁর ভাই বোন, দেশবাসী সকলেরই স্বাধীনতা কাটছাট করা হয়েছে। তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। তাঁর নিজের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা তাঁর দেশবাসীগণের স্বাধীনতার জন্য বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হলো। তিনি আরো অনুভব করলেন, স্বাধীনতা হরণকারীগণও স্বাধীন নন, তারা ঘৃণার কারাগারে বন্দি।

কারামুক্ত হওয়ার পর মেন্ডেলার ব্রত হলো অত্যাচারিত এবং অত্যাচারী উভয়কে মুক্ত করা। কেউ কেউ বলেন এখন সেটি অর্জিত হয়েছে, কিন্তু মেন্ডেলা মনে করেন তার হয়নি। তিনি মনে করেন তাঁরা শুধুমাত্র স্বাধীন হওয়ার স্বাধীনতা, অত্যাচারিত না হওয়ার অধিকার অর্জন করেছেন, তাঁরা প্রকৃত স্বাধীনতার যাত্রাপথে প্রথম পদক্ষেপ ফেলেছেন। স্বাধীনতার প্রতি তাঁদের নিষ্ঠার প্রকৃত পরীক্ষা সবেমাত্র আরম্ভ হলো। নির্দ্বিধায় স্বাধীনতায় পৌঁছানোর এই দীর্ঘ পথ ম্যান্ডেলা অতিক্রম করেছেন। তিনি মনে করেন তাঁর কর্তব্য শেষ হয়ে যায়নি। কারণ স্বাধীনতা লাভের সাথে সাথে দায়িত্বলাভ আসে। তিনি নিষ্ঠার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করতে চান।

English Summary
On May 10, the largest ever gathering of international leaders will take place at the Union Buildings in Pretoria, South Africa. For centuries it was the heartland of white supremacy, and now it is the rainbow gathering of the multi-racial and multi-ethnic inauguration of South Africa's first democratic government. After the swearing-in of the Vice-Presidents on stage, Nelson Mandela was sworn in as President, pledging to uphold the Constitution and devote himself to the welfare of the Republic and the people.

He said that the experience of chronic humanitarian disasters would lead to a society of which all mankind would be proud. He said that a few days ago they were people deprived of the protection of law and now they are fortunate to be invited by the nations of the world. He is for justice, for peace, for human dignity, for everyone to have the right to everything Thank you. He said finally they have achieved political freedom. They pledge to free all people from poverty, deprivation, torture and other discrimination.

At that time jet planes, helicopters and other aircraft flew in perfect formation. It was a demonstration of the military's commitment to democracy. Generals of defense forces and chiefs of police forces saluted Showed loyalty to Mandela. Finally, the Impala jet flew away leaving a trail of smoke behind the new South African flag.

The day remained symbolic to Mandela for the singing of two national anthems. In the early decades of the 20th century, white South Africans developed a form of communal supremacy against blacks. Over time, it laid the foundation for one of the harshest and most ruthless social systems in the world. In the last decade of the 20th century, that social system was forever turned upside down and equality and freedom of all races was recognized regardless of caste. It was made possible by the unimaginable sacrifices and sufferings of thousands of people. Mandela regretted not being able to thank those who had passed on.

Mandela said it would take a long time to heal from the wounds caused by apartheid. Decades of tyranny and brutality were one of the things that produced some people of extraordinary courage, wisdom and generosity, who were more precious, beautiful and pure than the rare gems beneath the South African soil. Many men and women have risked their lives for an idea or an ideology.

Against attacks and tyranny, they struggled without breaking down and showed courage. Mandela himself has shown courage by overcoming fear many times. Mandela always hoped that a big change would happen. This change is not only due to great heroes, but also to the bravery of ordinary men and women

due to; Because of the kindness and generosity of their hearts. For religion or caste People are not born with hatred towards anyone. People must learn to hate, to hate Learning can teach you to love. Trust in the integrity of people. Mandela knew their path would not be easy. He and his companions had to pay a high price for this belief. His family also had to pay a heavy price for it.

Every man has two obligations in life—to family and to country. But it was almost impossible for a South African man to fulfill those two obligations. He was forced to live a solitary life in order to do his duty to his countrymen. Mandela also had to cut himself off from his family to fulfill his duty to his countrymen, which was painful.

Mandela said he was not born hungry for freedom, he was born free. As a young man he realized that his childhood freedom was a delusion. He longed for all basic and respectable liberties. He saw that not only his but also his brothers and sisters, the countrymen's freedom was curtailed. He joined the African National Congress. His own desire for freedom turned into a greater desire for the freedom of his countrymen. He also felt that freedom fighters are not free, they are imprisoned in the prison of hatred.

After his release, Mandela vowed to liberate both the oppressed and the oppressors. Some say it's achieved now, but Mandela thinks he hasn't. He feels that they have not only gained the freedom to be free, the right not to be oppressed, but that they have taken the first step on the journey to true freedom. The real test of their devotion to freedom had just begun. Mandela traversed this long road to freedom without hesitation. He feels his duty is not over. Because with freedom comes responsibility. He wants to fulfill that responsibility with devotion.

FICTION

উইলিয়াম সমারসেট মম
  • The Luncheon 
বাংলা সারমর্ম।
সমারসেট মম সরস গল্প রচনার জন্য সমধিক প্রসিদ্ধ। বর্তমান গল্পটি তাঁর সরস গল্পের মধ্যে অন্যতম। ব্যঙ্গ ও বক্রোক্তিতে গল্পটি হাস্যরসাত্মক হয়ে উঠে। ম'ম বক্রোক্তিকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করে গল্পটিকে সুপাঠ্য ও উপভোগ্য করে তোলেন। নিরেট, নীরস মানুষও ম'মের রসিকতা বোধে উদ্দীপ্ত না হয়ে পারে না। অতীত ঘটনাকে ম'ম বর্তমানে জীবন্ত করে তোলেন তাঁর বিরল বর্ণনা কৌশলে।

যৌবনে যখন ম'ম উঠতি লেখক, তখন তিনি প্যারিসের ল্যাটিন কোয়ার্টার্স এলাকায় একটা ক্ষুদ্র চিলেকোঠা ধরনের বাসায় থাকতেন। রোজগারও ছিল সামান্য । সে সময় তিনি তাঁর ভক্ত এক মহিলার কাছ থেকে একটা প্রশংসাসূচক চিঠি পান। তৎক্ষণাৎ মহিলাকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি তার উত্তরও দেন। তিনি ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গেছিলেন, কিন্তু বহু বছর পর নাটক দেখতে গিয়ে তিনি লক্ষ করলেন একজন মহিলা তাঁকে ইঙ্গিতে কাছে ডাকছেন। নাটকের বিরতির সময় তিনি মহিলার পাশে গিয়ে বসেন। মহিলার সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন হন। মহিলাটিই ম'মকে অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। গল্পের বর্ণনা অতীতে ফিরে যায়।

ম'মের ভক্ত, সেই মহিলা ম'মকে অনুরোধ করে ম'ম যেন তাকে তার অতি ব্যস্ততার মাঝেও খুব দামি রেস্তোরাঁ 'ফয়োটসে' আপ্যায়িত করে। তরুণ ম'ম মহিলার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পারলেন না, ভাবলেন খুব দামি রেস্তোরাঁ হলেও ভদ্রগোছের একটা মধ্যাহ্নভোজে খুব বেশি হলে ১৫ ফ্রাঁ খরচ হবে যদিও তার মাসিক রোজগার ছিল মাত্র আশি ফ্রাঁ। নির্দিষ্ট দিন ও সময়ে তারা ফয়োটস রেস্তোরায় মিলিত হলেন।

মহিলার চেহারা, বয়স কোনোটাই ম'মকে আপ্লুত করার মতো ছিল না। অনুপরি মহিলার মুখের অপ্রয়োজনীয় লম্বা দাঁতগুলো মমিকে হতোদ্যম করে দেয় তবুও তিনি বিনয়ে, ভদ্রতায় মহিলাকে খুশি করার চেষ্টা করতে থাকলেন। কিন্তু মূল সমস্যা দেখা দিল যখন খাবার পালা এল। মুখে বার বার যদিও তিনি বলছিলেন, মধ্যাহ্নভোজে তিনি তেমন কিছু খান না, কার্যত দামি দামি খাবার একের পর এক খেতে থাকলেন, আর বার বারই বলতে থাকলেন, তিনি একটার বেশি খান না। প্রথমে তিনি শ্যামন মাছ। দিয়ে শুরু করে একে একে ক্যাভিয়ারে, শ্যাম্পেন, এ্যাসপারাগাস, কফি, আইসক্রিম ও পিচ ফল খেলেন কিন্তু বার বারই বললেন তিনি তেমন খান না। অথচ বেচারা মাম খেলেন সামান্য চপ আর কফি

এমন গোগ্রাসী, নির্লজ্জ মহিলার পাল্লায় পড়ে ম'মের সারা মাসের আয় আশি ফ্রা প্রায় সবই ফুরিয়ে গেল, বেয়ারাকে বখশিশ দেবার মতো তার হাতে তিন ফ্রাঁ মাত্র বাকি ছিল। তাও দিয়ে দিলেন। মহিলাটি বার বারই বলছিলেন, ম'ম যেন তাঁর উদাহরণ অনুসরণ করে পেট একটু খালি রেখেই খাবার শেষ করেন এবং তার মতো কখনো মধ্যাহ্নভোজে একটার বেশি খাবার না খান (আসলে তিনি খেয়েছিলেন সাতটি খাবার)। ম'ম রসিকতা করে বললেন তিনি তারো চেয়ে কম খাবেন। আসলে সারা মাসের আয়ই মহিলাকে আপ্যায়নের জন্য ম'ম শেষ করে ফেলেছিলেন, খাবার মতো মুদ্রা আর তাঁর কাছে ছিলও না।

ম'মের সকরুণ বক্রোক্তিকে মহিলা রসিকতা বলে ঠাওরালেন যদিও মামের জন্য তা ছিল ঠিক তার উল্টো।

পরিহাসচ্ছলে ম'ম গল্পের শেষাংশে বলেন, মহিলার নির্লজ্জ, নির্মম আচরণের প্রতিশোধ অমর দেবতারা নিয়েছিলেন, বর্তমানে মহিলা বেজায় বপুধারী অবিশ্বাস্য রকমের মোটা। তার বর্তমান ওজন ১৪৭ কেজি।

English Summary
Somerset Mum is best known for writing juicy stories. The present story is one of his juicy stories. The story becomes humorous with sarcasm and sarcasm. Mm uses alliteration very skillfully to make the story readable and enjoyable. Even the dullest, dullest people cannot fail to be excited by Mm's sense of humour. Mum brings past events to life in the present with her rare narrative technique.

As a young aspiring writer, Mme lived in a tiny shack-style apartment in the Latin Quarter of Paris. The income was also small. At that time he received a letter of appreciation from one of his female admirers. He immediately thanked the woman and answered her. He had almost forgotten the incident, but years later, while watching a play, he noticed a woman beckoning him. During the intermission of the play he went and sat next to the woman. Engage in conversation with the woman. It is the woman who reminds Mm of the past. The narrative goes back in time.

A fan of Mm, the lady requests Mm to entertain her at the very expensive restaurant 'Fyots' despite her busy schedule. The young Mme could not agree to the woman's offer, thinking that a lunch at a very expensive restaurant would cost too much at 15 francs even though her monthly income was only eighty francs. On the appointed day and time they met at Foyt's Restaurant.

Neither the woman's appearance nor her age impressed Mm. Although the unnecessary long teeth in the woman's mouth annoyed Mummy, he continued to try to please the woman with modesty and gentleness. But the real problem came when it was time to eat. Although he repeatedly said that he did not eat much at lunch, in fact he continued to eat expensive meals one after another, and repeatedly said that he did not eat more than one. First he is a shaman fish. He started eating caviar, champagne, asparagus, coffee, ice cream and peaches one by one, but repeatedly said he didn't eat much. But the poor mum eats a little chop and coffee

At the hands of such a greedy, shameless woman, Mme's monthly income of eighty francs was almost gone, and she had only three francs left to pay Beira. He also gave it. The woman kept asking Ma'am to follow her example and finish the meal on a slightly empty stomach and never eat more than one meal at lunch like she did (in fact she ate seven meals). Mum joked that she would eat less than him. In fact, the whole month's income was used up to entertain the woman, and she had no more money like food.

The woman took Ma'am's pitiful outburst as a joke, though for Ma'am it was just the opposite.
At the end of the story, Mum jokingly says that the immortal gods avenged the woman's shameless, cruel behavior, and now the woman, Bejai Bapudhari, is unbelievably fat. His current weight is 147 kg.


ও হেনরি।
  • The Gift of the Magi 
বাংলা সারমর্ম।
ক্রিসমাস উপলক্ষে জিমকে ভালো একটা কিছু উপহার দেয়ার জন্য তার স্ত্রী ডেলা অনেক দিন ধরে কষ্ট করে একটু একটু করে যথাসাধ্য সঞ্চয় করছিল। ক্রিসমাসের আগের দিন সন্ধ্যায় সে শুনে দেখল যে তার সঞ্চয়ের পরিমাণ মাত্র এক ডলার সাতাশি সেন্ট । সে নিরাশায় কান্না করতে থাকল ।


বাড়ির প্রবেশপথে একটা চিঠির বাক্স ছিল। আয় কমে যাওয়ায় চিঠির বাক্সে মি. জেমস ডিলিংহাম ইয়াং-এর নামটা এখন অযথা বড়ো মনে হতো। মনে হতো এটা মি. জেমস ডি. ইয়াং হলেই ঠিক হতো। অবশ্য সে যখন ঘরে প্রবেশ করত তখন ডেলা তাকে শুধু 'জিম' বলেই ডাকত। কান্না শেষে ডেলা খানিকক্ষণ উদাস চোখে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইল। তার দীর্ঘকালের সঞ্চয়ের পরিমাণ আশাতীত কম হওয়ায় সে খুবই মুষড়ে পড়েছিল। জিমকে একটা দামি সুন্দর কিছু উপহার দেয়ার পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় সে খুবই দুঃখ বোধ করছিল। হঠাৎ একটা কিছু মনে পড়ায় সে জানালা ছেড়ে দেয়ালে ঝুলানো সরু আয়নাটার সামনে এসে দাঁড়াল।

জেমস ডিলিংহাম ইয়াংদের দুটো গর্বের বস্তু ছিল। তার একটা হলো উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জিমের সোনার ঘড়ি, আর অন্যটা হলো ডেলার সুন্দর দীর্ঘ চুল। ডেলা তার চুল সম্বন্ধে অনেক গর্ববোধ করত। কোনো রানির রত্নরাজির চাইতেও সে তার চুল বেশি সুন্দর ও দামি মনে করত। জিমও তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া সোনার ঘড়িটা রাজার সম্পদের চাইতে বেশি মূল্যবান মনে করত। এখন ডেলা সজল চোখে চুলগুলো খুলে একবার দেখল। তারপর সে তার কোট গায়ে ও টুপি মাথায় দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। সে মিসিজ সফনির চুলের দোকানে পৌঁছল।

মিসিজ সফনি ছিলেন একজন বড়োসড়ো খুব ফর্সা মহিলা; তিনি তার দিকে ডাকালেন। ডেলা চুল বিক্রি করতে চাইলে মিসিজ সফনি তার চুল দেখতে চাইলেন। চুল তাঁর পছন্দ হলো । তিনি বিশ ডলার দাম দিয়ে ডেলার চুল কিনলেন। ডেলা বিভিন্ন দোকানে জিমের জন্য উপযুক্ত উপহার খোঁজা শুরু করল। অবশেষে একটি দোকানে সে তা পেল। এটি ছিল একটি সোনার তৈরি ঘড়ির চেইন। কারুকার্যপূর্ণ না হলেও যে ধাতব দ্রব্য দিয়ে এটি তৈরি তার জন্যই এটি ছিল মূল্যবান। ডেলার মনে হলো এটা জিমের মতোই শান্ত এবং মূল্যবান। জিমের ঘড়িটা দামি হলেও চেইনটা সুন্দর ছিল না। জিম লুকিয়ে লুকিয়ে সময় দেখে নিত। এখন ঐ সুন্দর চেইনসহ ঘড়িটায় জিম যে কোনো স্থানে যে কোনো সময় সময় দেখে নিতে পারবে।

বাসায় ফিরে ডেলা তার মাথার ছোটো করে কাটা চুলগুলো যতদূর সম্ভব পরিপাটি করে নিল। চুল কেটে ফেলার জন্য জিম হয়ত তাকে তিরস্কার করবে ভেবে ডেলা শঙ্কিত হয়ে রইল। মনে মনে সে প্রার্থনা করল-চুল কাটার জন্য জিমের চোখে সে যেন অসুন্দর মনে না হয়। জিম যথাসময়ে বাসায় ফিরল। ঘরে ঢুকে ডেলাকে দেখে সে অদ্ভুতভাবে তার দিকে তাকিয়ে রইল। জিমের মুখ দেখে ডেলা তার মনোভাব বুঝতে পারল না। ডেলা জিমকে জানাল যে সে তার চুল কাটিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। সে ক্রিসমাস উপলক্ষে জিমকে একটা সুন্দর কিছু উপহার দেয়ার জন্যই চুলটা বিক্রি করেছে। জিম হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল।

জিমকে আশ্বাস দেয়ার জন্য সে বলল যে তার চুল খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। সে বলল তার চুলের আয়ু সীমিত, কিন্তু জিমের প্রতি তার ভালোবাসা অসীম। জিম ডেলাকে বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করে বলল যে চুল কাটানোর জন্য ডেলার প্রতি তার ভালোবাসা বিন্দুমাত্র কমেনি। সে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল কারণ সে ডেলার জন্য তার অত্যন্ত পছন্দের রত্নখচিত চিরুনি সেটটি এনেছিল তাকে উপহার দিতে, অথচ ডেলা তার চুল কাটিয়ে ফেলেছিল। নিরাশ জিমকে আশ্বস্ত করতে ডেলা যে তার চুল খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। সে আনন্দিতচিত্তে সোৎসাহে জিমের জন্য আনা উপহারটি তাকে দেখাল। সে জিমের কাছে তার ঘড়িটি চাইল, চেইনটা লাগিয়ে দেখার জন্য। জিম ডেলাকে জানাল যে সে ডেলার চিরুনি কেনার জন্য ঘড়িটি বিক্রি করে দিয়েছে।

মেইজাইরা প্রথম ক্রিসমাস উপলক্ষে উপহার দেয়া প্রবর্তন করেন। তাঁরা ছিলেন বিজ্ঞ, সুতরাং তাঁদের উপহারটিও নিশ্চয়ই বিজ্ঞজনোচিত ছিল। যদিও জিম এবং ডেলাকে তাদের দুটি মূল্যবান জিনিস হারাতে হয়েছিল। তাদের উপহার দুটিও কম বিজ্ঞজনোচিত ছিল না। তারাও ছিল মেইজাই তুল্য বিজ্ঞ।

English Summary
His wife Della had been saving up little by little for days to give Jim something nice for Christmas. On Christmas Eve evening he heard that his savings amounted to only one dollar and eighty-seven cents. She continued to cry in despair.

There was a letter box at the entrance of the house. Mr. in the letter box due to reduced income. James Dillingham Young's name now seemed superfluous. It seemed that Mr. James D. Young would have been fine. Of course Della only called him 'Jim' when he entered the room. After crying, Della looked out the window with bored eyes for a while. He was devastated as his long-term savings were unexpectedly low. She was very sad that her plan to give Jim something expensive and beautiful had failed. Suddenly remembering something, he left the window and stood in front of the narrow mirror hanging on the wall.

James Dillingham Young had two things to be proud of. One is Jim's gold watch he inherited, and the other is Della's beautiful long hair. Della was very proud of her hair. He considered her hair more beautiful and precious than any queen's jewels. Jim also valued the gold watch his father had given him more than the king's wealth. Now Della opened her hair and took a look. Then he put on his coat and hat and went out into the street. He reached Mrs. Sophie's hair salon.

Mrs. Sofney was a large, very fair woman; He called out to her. When Della wants to sell her hair, Mrs. Sofney wants to see her hair. He liked the hair. He bought Della's hair for twenty dollars. Della began shopping around for the perfect gift for Jim. Finally he found it in a shop. It was a watch chain made of gold. Although not functional, it was valuable for the metal it was made of. Della thought it was as cool and precious as Jim. Jim's watch was expensive but the chain wasn't pretty. Jim used to watch the time secretly. Now Jim can check the time anywhere with that beautiful chain watch.

Back home, Della tidied up her cropped hair as much as possible. Della worried that Jim might scold her for cutting her hair. She prayed to herself that she wouldn't look ugly in Jim's eyes for the haircut. Jim returned home on time. When he saw Della entering the room, he looked at her strangely. Della couldn't understand Jim's attitude by looking at Jim's face. Della tells Jim that she cut her hair and sold it. She sold the hair to give Jim something nice for Christmas. Jim was shocked.

To reassure Jim, she says that her hair grows very quickly. She said her hair has a limited lifespan, but her love for the gym is infinite. Jim puts Della in armbands and says that his love for Della hasn't diminished one bit for the haircut. He was shocked because he brought Della his much-loved bejeweled comb set to present to her, while Della cut her hair. Della reassures a disappointed Jim that her hair grows too fast. She excitedly showed him the gift she had brought for Jim. He asked Jim for his watch, to try putting on the chain. Jim tells Della that he sold the watch to buy Della's comb.

The Meijis first introduced gift-giving at Christmas. They were wise, so their gift must have been wise. Although Jim and Della had to lose two of their valuables. Their gifts were no less ingenious. They were also as wise as Meijai.

জেমস জয়েস।
  • Araby 
বাংলা সারমর্ম।
কিশোর বয়সের মোহাবিষ্ট প্রেম কেন্দ্রিক 'আরাবী' গল্পটি। মানাগানের বোনকে বয়ঃসন্ধিকালে গল্পের নায়কের এত বেশি ভালো লেগেছিল, তার প্রতি পল, অনুপল জুড়ে, সমগ্র চেতনা জুড়েই থাকত সে। যদিও তার সঙ্গে কথা বলাই হয়ে উঠেনি। কথা বলা দূরে থাক, ওর নাম শুনলেই নায়ক (সম্ভবত, জেমস জয়েস নিজেই) আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠত, তার বুকে কাঁপুনি জাগত। কতদিন নিজেদের বাড়ির জানালার পর্দা আলগোছে ফাঁক করে নায়িকাদের বাড়ির দিকে তাকিয়ে থেকেছে, যদি তার দেখা পাওয়া যায়! ওকে স্কুলে যেতে দেখে, বই হাতে ওর পিছে পিছে হেঁটেছে, গভীর করে ওকে দেখছে, আর ভেবেছে, যদি কথা বলা হয়!


অবশেষে যেদিন কথা হলো ওর সাথে, সেদিনই নায়ক জানল, "আরাবী' মেলার কথা। নায়ক তাকে দু'চোখ ভরে দেখে তৃপ্ত চেতনায় আগ বাড়িয়ে বলল, নায়ক মেলায় যাবে এবং নায়িকার জন্য কিছু একটা উপহার আনবে। পরীক্ষামূলক চেতনা প্রবাহী ধারায় গল্পটি নায়কের দরিদ্র পরিবেশ ও নিজ দারিদ্রের কথা বলছে অকপটে। আরাবী থেকে উপযুক্ত কিছু কেনার মতো আর্থিক স্বাচ্ছন্দ নায়কের ছিল না শুধুই ছিল কৈশোরের আবেগ ভরা ভালোবাসার গভীর মোহ। গল্পের শেষে, নায়ককে বড়ো বেশি। অসহায়, বড়ো বেশি হতাশ হতে হয়, তার প্রিয়জনকে কোনো কিছু উপহার দিতে না পারার ব্যর্থতায়। কিশোর প্রেমের চিরকালীন নিদর্শন হিসেবে, কিশোর চেতনার অকৃত্রিম প্রকাশ হিসেবে গল্পটি অসাধারণ।

English Summary
The 'Arabian' story is about teenage love. Managan's sister was so fond of the hero of the story as a teenager that he was obsessed with her, with Paul, with Anupal, with his entire consciousness. Although it was not possible to talk to him. Far from speaking, hearing her name would have made the hero (perhaps, James Joyce himself) ecstatic, his chest quivering. How long have they been looking at the house of the heroines with the curtain of the window of their own house open, if he can be seen! Seeing him go to school, walking behind him with a book in his hand, looking at him deeply, and thought, if he spoke!

On the day he finally spoke to her, the hero came to know about the "Arabian" fair. The hero looked at him with full eyes and said with satisfaction, "The hero will go to the fair and bring some gift for the heroine." He speaks candidly about his poverty. The hero does not have the financial comfort to buy something suitable from an Arab, but only the deep infatuation of adolescent love. At the end of the story, the hero is much more helpless, much more disappointed, unable to give anything to his loved ones. .The story stands out as a timeless symbol of teenage love, a genuine expression of teenage spirit.

ক্যাথরিন ম্যান্সফিল্ড।
  • The Garden Party 
বাংলা সারমর্ম।
সেরিডান পরিবার একটা জমকালো গার্ডেন পার্টির আয়োজন করতে যাচ্ছিল। সকাল থেকেই বাড়িতে বেশ সাজ সাজ রব। সকাল থেকেই মালিরা বাগানের ঘাস কেটে সমান করছিল। কাজের লোকেরা এসে গেলে তাঁবু টানানোর কাজ শুরু হলো। কাজের লোকগুলো তাদের সব সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিল। আর এসব কাজ তদারকির ভার ছিল লরার উপর। লরা এসব কাজের বেশ মজা পায়। যদিও তার সকাল বেলার নাস্তা তখনো শেষ হয়নি, লরা সে অবস্থাতেই কাজে লেগে গেল। কাজের লোকদের মধ্যে লম্বা লোকটির দৈহিক সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য লরাকে আকৃষ্ট করল। লরা কাজের লোকদের সঙ্গে তাঁবুটি টানানোর ব্যাপারে কথা বলতে বলতে লম্বা লোকটিকে প্রত্যক্ষ করছিল।

লরার মনে হলো মানব সমাজে সৃষ্ট শ্রেণি ব্যবধান বড়ো মেকি একটা ব্যবধান। তার মনে হলো, কাজের লোকদের মধ্যেও অনেকেই তার বন্ধুবান্ধবদের চেয়ে অনেক দিক থেকেই শ্রেয়। শ্রেণির ব্যবধান অকারণেই মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। তবুও লরা তাদের জমকালো গার্ডেন পার্টিটা পছন্দ করছিল। বিত্তবানদের বিলাসী জীবনযাপন একদিকে, অন্যদিকে বিত্তহীনদের প্রতি করুণাবোধ লরার জীবনবোধে এই বৈপরিত্যই গল্পটির প্রধান আকর্ষণ। লরা তার জীবনের আড়ম্বরও ছাড়তে পারছে না, বিত্তহীনদের প্রতি সহানুভূতিশীল না হয়েও পারছে না যদিও তার পরিবার তার এই সহানুভূতিটাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না বরং লরাকে সেন্টিমেন্টাল ভাবছে।

গার্ডেন পার্টির প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ, তখনই দুঃসংবাদ এল যে সেরিডান। পরিবারের প্রায় প্রতিবেশী এক ঘোড়া গাড়ি চালক মি: স্কট দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। সংবাদটি সেরিডান পরিবারের আর কাউকে তেমন স্পর্শ না করলেও লরাকে খুব ব্যথিত করে। লরা গার্ডেন পার্টির সব আয়োজন, বাদ্য বাজনাকে সদ্য বিধবা মহিলা আর তার পরিবারের প্রতি অশোভন আচরণ মনে করে গার্ডেন পার্টি বন্ধের প্রস্তাব করলে পরিবারের অন্যরা লরাকে নিয়ে উপহাস করে। সাময়িকভাবে সে উপহাস উপেক্ষা করে গার্ডেন পার্টিটা মেনে নিলেও তার মানবিক বোধটা তাকে বার বারই উদ্বেগাচ্ছন্ন করে তুলছিল।

অবশেষে মিসেস সেরিডান পার্টির উদ্বৃত্ত খাবারগুলো দুস্থ পরিবারকে দেবার প্রস্তাব করলে, লরাই ঝুড়ি ভর্তি খাবারগুলো স্কট পরিবারের জন্য নিয়ে যায়। যদিও লরা বিষয়টাকে খুব সহানুভূতি প্রকাশক বা মানবিক ভাবল না তবুও সে ঝুড়িটা স্কট পরিবারের জন্য নিয়ে রওয়ানা হলো। যেতে যেতে লরা নিজে নিজেই খুব সঙ্কোচ বোধ করছিল, ভাবল, উদ্বৃত্ত খাবার দিয়ে এ কেমন সহানভূতি প্রকাশ! দুস্থ ও দরিদ্র স্কট পরিবারকে দেখে লরার দুঃখবোধ আরো মানবিক মাত্রা পেল। সকলে তাকে বেশ সমীহের দৃষ্টিতে দেখল, তোষামোদে ভাষায় কথা বলল। বিশেষ করে মিসেস স্কটের বোন। লরা শুধু ঝুড়িটা দিয়েই চলে আসবে ভেবেছিল, কিন্তু মিসেস স্কটের বোন লরাকে বার বারই মৃতদেহটি একবার দেখে যাবার জন্য অনুরোধ করছিল।

লরা তার বিনীত অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারছিল না। অবশেষে চিরনিদ্রায় শায়িত জীবন, ঐশ্বর্য, আভিজাত্য সব থেকে যোজন যোজন দূরে মৃত মানুষটিকে দেখে লরার মনে হলো এসব পার্থিব ব্যবধান ঘুচিয়ে দেয় মৃত্যু কোমল মৃত্যুই। মৃত্যুই সকলকে সমান করে দেয়। লরা নিজের অজান্তেই কান্নায় ভেঙে পড়ল, ডাবল জীবন কত ক্ষণস্থায়ী। কত স্বল্পায়ু জীবনের সব আয়োজনের, সব বিলাসের, সব বৈভবের। ওদিকে লরার ফিরে যাবার বিলম্ব দেখে তার ভাই লরী লরাকে নিতে এগিয়ে এল। আবছা অন্ধকারে লরাকে দেখে লরী জিজ্ঞেস করল সে কাঁদছে কি না? লরা শরীর হাত ধরে আরো জোরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল ।


মৃত্যু যেন ক্ষণিকের জন্য মানুষে মানুষে সব ব্যবধান ভুলিয়ে দিয়ে সব মানুষকে এক কাতারে নিয়ে এল। লরার অশ্রুতে যেন সব ব্যবধান ধুয়ে মুছে গেল। লরা যেন জীবনের ভিন্ন অর্থ পেল, লরাকে সান্ত্বনা দিতে দিতে লরীও যেন একই বোধে উজ্জীবিত হলো।

English Summary
The Seridan family was going to host a grand garden party. I have been very well dressed in the house since morning. The gardeners were cutting and leveling the grass in the garden since morning. When the workers arrived, the work of pulling the tent began. The workmen brought all their tools. And the burden of supervising these works was on Laura. Laura enjoys these activities. Although her breakfast was not yet finished, Laura set to work. Laura was attracted by the physical beauty and beauty of personality of the tall man among the working men. Laura watched as the tall man talked to the workmen about pulling up the tent.

Laura felt that the class gap created in human society is a big gap. He felt that many of the workers were better than his friends in many ways. Class differences unnecessarily divide people. Still Laura loved their lavish garden party. The main attraction of the story is the contrast between the luxurious lifestyle of the rich and the compassion for the poor on the other hand. Laura is unable to give up the luxury of her life, nor can she sympathize with the poor, although her family does not take this sympathy very seriously and thinks Laura is sentimental.

When the preparations for the garden party were almost over, the bad news came that Seridan. Mr. Scott, a horse cart driver who was a near neighbor of the family, died in an accident. Although the news did not affect anyone else in the Seridan family, Laura was greatly distressed. The rest of the family ridicules Laura when Laura proposes to stop the garden party, considering all the arrangements, playing the music, to be rude to the newly widowed woman and her family. Temporarily he ignored the ridicule and accepted the garden party, but his sense of humanity kept troubling him.

Finally, when Mrs. Sheridan offers to give the leftover food from the party to a needy family, Laurie takes the basket full of food to the Scott family. Although Laura did not find it very sympathetic or humane, she left with the basket for the Scott family. Laura herself was feeling very shy as she went, thinking, what kind of sympathy is this with surplus food! Seeing the poor and destitute Scott family made Laura's grief more human. Everyone looked at him very sympathetically, spoke in flattering language. Especially Mrs. Scott's sister. Laura thought she would just leave with the basket, but Mrs. Scott's sister kept urging Laura to take a look at the body.

Laura could not ignore his humble request. Finally, seeing the dead man lying in eternal slumber, far away from life, wealth, nobility, Laura felt that death is a gentle death that bridges these earthly gaps. Death makes all equal. Laura burst into tears without knowing how fleeting double life is. How short-lived are all the arrangements of life, all the luxuries, all the splendor. On the other hand, seeing the delay of Laura's return, her brother Lori came to pick her up. Seeing Laura in the dark, Lori asked if she was crying. Laura clutched her body and cried harder.

Death as if for a moment forgot all the differences between people and brought all people together. Laura's tears washed away all the gaps. As if Laura found a different meaning in life, Laurie was inspired by the same feeling to comfort Laura.

Ernest Hemingway। আর্নেস্ট হেমিংওয়ে।
  • A cat in the Rain 
বাংলা সারমর্ম।
গল্পের প্রথমাংশ ষাঁড়ের লড়াইয়ের দৃশ্য সম্বলিত। এ অংশ জীবনের কাঠিনা আর বই। প্রবাহের ইঙ্গিতবহ।


মূল গল্পটি বিচ্ছিন্নতাবোধ ও কর্মহীন জীবনে মানুষে মানুষে তুচ্ছ কারণে ব্যবধান বোধ বেড়ে উঠার আলেখা। একটা হোটেলে আত্মীয় বন্ধুহীন পরিবেশে এক আমেরিকান দম্পতি। 'আমেরিকান' তাদের আপেক্ষিক পরিচয় মাত্র মূলত তারা বিস্মির মানুষের প্রতীক। স্বামী-স্ত্রী দু'জনের মানসিক দূরত্ব অনেক একজন সারাক্ষণ বইয়ে ডুবে থাকেন, অন্যজনের কোরবার মতো কোনো কাজ নেই। দু'জন দুজগতের অধিবাসী। ব্যবধানই তাই পরিণতি।

স্ত্রীটি বৃষ্টি ভেজা বিকেলে উদাস দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে একটা বিড়ালকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে তার জন্য সহানুভূতিশীল। স্বামীটি সে ব্যাপারে নিস্পৃহ। তার কোনো আগ্রহ নেই বিড়ালটিতে। স্ত্রীটি নিজেকে অবহেলিত গুরুত্বহীনভাবে অথচ সে সব সময় চায় কেউ তাকে গুরুত্ব দিক, তাকে নিয়ে ভাবুক, তার অনভূতিগুলোর মূল্য নিক। কিন্তু স্বামীটি নির্বিকার। স্ত্রীটি বৃষ্টির মধ্যে বিড়ালটিকে খুঁজতে যাবার পথে, হোটেল মালিকের বিনীত আচরণ তাকে মুগ্ধ করে, নিজেকে তার মুহূর্তের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। সে নিজেকে, নিজের অস্তিত্বকে খুঁজে পায় অথচ তার স্বামী তার শূন্যতাবোধ নিয়ে তেমন মাথাই ঘামাতে নারাজ।

তার খেয়ালি মনের বিলাসগুলো চুল লম্বা করে বেণি বাধার শখ, বিড়াল পুষবার শখ সবই স্বামীর কাছে তুচ্ছ মনে হয়। অতি পরিণত বুদ্ধির মানুষের বিপরীতে ছেলেমানুষি খেয়ালের মানুষের এমনি হওয়া স্বাভাবিক। স্ত্রীর বিলাসী মনের খেয়ালগুলোর প্রতি স্বামীটি সহানুভূতিশীলতো নয়ই বরং বিরক্ত ও রূঢ় আচরণপ্রবণ। এই আচরণ স্ত্রীটিকে আরো অসহায়, আরো হতাশ করে, নিজেকে ছিন্নমূল ভাবায়। পক্ষান্তরে, হোটেল মালিকের বৈশ্য আচরণ, কৃত্রিম ভদ্রতা, মেকি বিনয় তাকে আপ্লুত করে। সচেতন পাঠক স্ত্রীটির প্রতি একটু সহানুভূতিপ্রবণ হয়ে উঠলেও সম্পূর্ণভাবে স্ত্রীটির প্রতি একাত্মবোধও করতে পারে না; আচরণে, ভাবনায় অতি ছেলেমানুষিপনার জন্য ।

মানুষের মনে বিচ্ছিন্নতাবোধ এভাবেই জমাট বেঁধে ওঠে। ফল হয় মানুষে মানুষে আরো ব্যবধান, আরো দূরত্ব। মানস গঠন প্রকৃতির ভিন্নতার কারণে এই ব্যবধানের শুরু হলেও পরে এতে আরো অনুষঙ্গ যোগ হয়ে বিভেদের দেয়ালটিকে আরো মজবুত করে।
অত্যন্ত সহজ ভাষায়, অত্যন্ত সহজ কাঠামোতে, হেমিংওয়ে গল্পটিতে এই বিষয়ই ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন। উক্ত কথার চেয়ে অনুক্ত ইঙ্গিত বেশি দিয়ে গল্পটিতে হেমিংওয়ে প্রধান চরিত্র দুটির মানসিক ব্যবধান সাফল্যের সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন।

English Summary
The first part of the story consists of a bullfight scene. This part of life is hard and book. indicative of flow.

The main story is about the feeling of alienation and the growing sense of gap between people due to trivial reasons in a dysfunctional life. An American couple in a hotel without relatives or friends. 'American' is their relative identity but basically they are the epitome of people of wonder. The emotional distance between husband and wife is so much that one is immersed in books all the time, while the other has nothing to do. The two are inhabitants of two worlds. The gap is the result.

The wife is sympathetic to him on a rainy afternoon looking out boredly to see a cat getting drenched in the rain. The husband is indifferent about it. He has no interest in the cat. The wife neglects herself unimportantly yet she always wants someone to pay attention to her, to think about her, to value her feelings. But the husband is silent. As the wife goes to look for the cat in the rain, she is charmed by the humble demeanor of the hotelier, feeling very important for her moment. She finds herself, her own existence, while her husband refuses to bother with her sense of emptiness.

The luxuries of her whimsical mind, the hobby of braiding long hair, the hobby of petting cats, all seem insignificant to her husband. It is natural for people with childish interests to be like this as opposed to people with mature intellect. The husband is not sympathetic to the whims of his wife's luxurious mind but rather resentful and rude. This behavior makes the wife more helpless, more depressed, feeling herself torn apart. On the other hand, the hotel owner's mannerisms, artificial politeness, meek modesty charmed him. The conscious reader may sympathize a little with the wife, but cannot sympathize with her entirely; For childishness in behavior and thinking.

This is how the sense of isolation gets stuck in people's minds. The result is more distance between people, more distance. Due to differences in the nature of mind formation, this gap started but later more accessories were added to it and strengthened the wall of division.
In very simple language, very simple structure, Hemingway tries to convey this in the story. In the story, Hemingway successfully portrays the psychological difference between the two main characters by using more hints than words.


অনিতা দেসাই।
  • Games at Twilight
বাংলা সারমর্ম।
“গেমস অ্যাট টোয়াইলেইট' গল্পটি শিশু মনস্তত্ত্বভিত্তিক। রবি লুকোচুরি খেলার সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বি রঘুকে বোকা বানিয়ে এমন কঠিন এক জায়গায় লুকাল যে রঘু সবাইকে খুঁজে বার করলেও রবিকে কোথাও খুঁজে পেল না। রবি অবশেষে নিজেই লুকানো ভাঙা আসবাবের গুদামঘর থেকে বেরিয়ে এল। বেরুতে গিয়ে তার হাঁটু ছিলে গেল। রবি ভেবেছিল তার খেলার সাথিরা তাকে এ জন্য অনেক বাহবা দেবে, কৃতিত্ব দেবে। কিন্তু দেখা গেল তার খেলার সাথিরা কেউ তাকে কোনো কৃতিত্বতো দিলই না বরং তাকে ভুলে নতুন খেলায় মেতে উঠল। রবি ভীষণ হতাশ হলো, অবহেলিত অপমানিত বোধ করল। শিশু মনের এই বেদনা বোধ, হতাশা, অপমান বোধটিই গল্পের মূল বিষয়। অনিতা দেশাই তার সংবেদনশীল পরিণত মন দিয়ে শিশু মনের বেদনা বোধটি গভীর সহানুভূতি নিয়ে চিত্রিত করেছেন। সাধারণত যে বিষয়টি কারোই নজরে পড়বার মতো কিছু মনে হয়নি, শিশু মন সচেতন অনিতা দেশাই তা অনুভব করেন শিশু মনের সমস্ত কোমলতা বোধ দিয়ে এবং তাকে চিত্রিত করেন অতি নিপুণভাবে। পরিণত বয়সের কোনো রচয়িতার হাতে শিশু মনের এমন দিকটি তুলে ধরার বিষয়টি গল্পটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে।

English Summary
"Games at Twilight" story is based on child psychology. During a game of hide and seek, Ravi fooled his rival Raghu into hiding in such a difficult place that Raghu searched for everyone but Ravi was nowhere to be found. Ravi finally emerged from the warehouse of broken furniture he had hidden himself in. On his way out, his knee was broken. Ravi thought his teammates would give him a lot of praise and credit for this. But it turned out that none of his play mates gave him any credit but instead forgot him and got into the new game.

Ravi was very disappointed, felt neglected and humiliated. This feeling of pain, disappointment, humiliation of the child's mind is the main point of the story. Anita Desai with her sensitive mature mind portrays the pain of the child mind with deep empathy. What is usually overlooked, child mind conscious Anita Desai feels it with all the tenderness of child mind and portrays it very skillfully. The fact that an author of a mature age brings out such a side of the child's mind makes the story interesting.

পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখানেই

Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year, Introduction to Prose All Summary For 1st Year,

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!