Restoration and 18th Century Fiction, All Summary
Oroonoko
বাংলা সামারী:-
Fiction টি শুরু হয়েছে কোন একজন speaker এর বক্তব্যের মাধ্যমে। প্রথমেই লেখিকা গাছগাছালির, পশুপাখির বর্ণনা দিয়েছেন। এরপর লেখক কালো মানুষদের দেশ কোরামানটীনের বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে দাস ব্যবসা ছিল সাধারণ একটা কাজ। সেখানকার ছোট ছোট গোত্রের মধ্যে যুদ্ধ হত এবং যারা পরাজিত হত তারা যদি মুক্তিপণ দিতে না পারত তাহলে তাদেরকে শেতাঙ্গদের কাছে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হত। কোরামানটীনের রাজার বয়স ছিল প্রায় একশ বছরেরও বেশী। তার অনেক স্ত্রী ও পুত্র ছিল কিন্তু রাজাকে জীবিত রাখার জন্য তার সব পুত্ররাই যুদ্ধে প্রাণ হারায়। এখন রাজার কাছে একজন পৌত্র (নাতি) জীবিত আছেন তার দেখভাল করার জন্য। ক্রমে ক্রমে সে বড় হয়ে ১৭ বছরে পা দিল এবং এক দক্ষ ফরাসি সেনাপতির কাছ থেকে অস্ত্রশিক্ষা নিয়ে সে হয়ে উঠল একজন দক্ষ যোদ্ধা। সেই যোদ্ধাই হচ্ছে আমাদের ফিকশনের নায়ক, ওরুনৌকো।
একবার ওরুনৌকো তার প্রশিক্ষক সেনাপতির সাথে যুদ্ধে যায়। যুদ্ধে ওরুনৌকোর প্রশিক্ষক সেনাপতি মারা যায় ওরুনৌকোকে বাঁচাতে গিয়ে। এরপর speaker ওরুনৌকোর সাথে দেখা করেছিলেন সেই কথা তুলে ধরেন, তার শারিরীক সৌন্দর্যের কথা। আমাদের ফিকশনের নায়িকা হচ্ছেন, ইমোয়িন্ডা।
ইমোয়িন্ডা ছিলেন ওরুনৌকোর প্রশিক্ষক সেই ফরাসি সেনাপতির মেয়ে। ইমোয়িন্ডার সৌন্দর্যও ছিল নিগ্রোদের মধ্যে অন্যতম। অনেক নিগ্রোই তাকে প্রেম নিবেদন করেছিল কিন্তু সে সবই প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিল। যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ওরুনৌকো, ইমেয়িন্ডার সাথে দেখা করে তার পিতার মৃত্যুসংবাদ তাকে জানায় এবং তাকে সেজন্য সান্ত্বনাও দেয়। প্রথমবার দর্শনেই দুজন দুজনকে দেখে অভিভূত হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার যখন তাদের দেখা হয় তখন একে অপরকে ভালোবাসার কথা বলে এবং কিছুদিন পর দুজনের সম্মতিতে তা প্রণয়ে পরিনত হয়। অন্যদিকে বৃদ্ধ রাজা মানে ওরুনৌকোর grandfather সেও ইমোয়িন্ডার রূপের বর্ণনা শুনে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। ওরুনৌকো যখন শিকার করতে বাইরে যায় সেই সুযোগে বৃদ্ধ রাজা ইমোয়িন্ডার জন্য 'রাজ অবগুণ্ঠন' পাঠালেন তাকে বিয়ের প্রস্তাবস্বরূপ। রাজা বেশ ভাল করেই জানত এটা ইমোয়িন্ডা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না আর তা করলে নির্ঘাত মৃত্যুকে বরণ করতে হবে। তাই ইমোয়িন্ডা ভয়ে ভয়ে রাজপ্রাসাদে গেল রাজার ভোগের পণ্য হতে। যখন ইমোয়িন্ডাকে প্রস্তুত করা হচ্ছিল তখন সে রাজার কাছে কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করে তাকে ছেড়ে দেবার জন্য। ইমোয়িন্ডা এও বলে যে অন্যের বাগদত্তা স্ত্রীকে লালসার শিকারে পরিণত করা জঘন্য পাপকার্য। এসব শুনে রাজা ক্রোধে গর্জন করে ইমোয়িন্ডাকে জিজ্ঞেস করল তার(রাজার) অনুমতি ব্যতীত কে তাকে বাগদান করেছে। রাজা কিন্তু এতক্ষণে বুঝে ফেলেছে কে সেই বাগদানকারী। এরপর রাজা ইমোয়িন্ডাকে প্রস্তুত হতে বলল এবং সে যদি তা অমান্য করে তবে তার(ইমোয়িন্ডার) বাগদানকারীকে হত্যা করা হবে যদি সে ওরুনৌকো হয় তবুও।
এরপর রাজা ইমোয়িন্ডাকে স্নানে নিয়ে গেল। এদিকে ওরুনৌকো শিকার থেকে ফিরে এসে দেখে ইমোয়িন্ডা নেই। যখন শুনল ইমোয়িন্ডাকে তার(ওরুনৌকোর) বৃদ্ধ পিতামহ বিবাহের জন্য প্রসাদে নিয়ে গেছে তখন সে ক্রোধে ফেটে পড়ল। অনেকেই তাকে বুঝিয়ে শান্ত করল কিন্তু সে ইমোয়িন্ডার সাথে দেখা করবার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে গেল। আর এই কাজে সাহায্য করল বৃদ্ধ রাজার পরিত্যক্ত স্ত্রী, ওনাহাল। রাজার হারেমের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অনুচর ছিল এবোয়ান। ওনাহাল ছিল এবোয়ানের প্রতি আসক্ত। ওরুনৌকো এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাইল। ওনাহাল এক রাতে ওরুনৌকোকে, ইমোয়িন্ডার ঘরে গোপনে ঢুকিয়ে দিল ও সে(ওনাহাল) এবোয়ানকে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। ওরুনৌকো, ইমোয়িন্ডাকে জাগিয়ে তোলে। দুজন দুজনকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়, দুজনে মিলিত হয়। কিন্তু কখন যে সকাল হয়ে গেছে তা তাদের খেয়ালই নেই। তাই রাজা তার প্রহরীদের ডেকে পাঠান ওরুনৌকোকে খুঁজতে। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে ওরুনৌকো যুদ্ধে যোগদান করেন ইমোয়িন্ডাকে প্রাণে বাঁচাবার জন্য কারণ তারা যে মিলিত হয়েছে একথা জানার পর বৃদ্ধ রাজা ইমোয়িন্ডাকেই দোষারোপ করবে, এমনকি মেরেও ফেলতে পারে। পরক্ষণে রাজা এসব শুনে বুঝতে পারেন ওনাহালের বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই এসব হয়েছে তাই সে ওনাহাল ও ইমোয়িন্ডাকে দাস হিসেবে বিক্রির আদেশ দেন। কিন্তু বৃদ্ধ রাজা ভাবলেন একথা ওরুনৌকো জানতে পারলে তাকে ক্ষমা করবে না তাই সে দূতমুখে ওরুনৌকোকে সংবাদ পাঠালেন যে ইমোয়িন্ডাকে গোপনে হত্যা করা হয়েছে। দূতমুখে এসব শুনে ওরুনৌকো যুদ্ধ থেকে ইস্তফা দেয় কিন্তু পরক্ষণে পরাজিত হবার ভয়ে সে আবার পুনরায় যুদ্ধ শুরু করল এবং জয়লাভ করল। যারা পরাজিত হল ওরুনৌকো তাদেরকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দিল। যার কাছে বিক্রি করে সেই ব্যবসাকারীর সাথে ওরুনৌকোর অনেক ভাল সম্পর্ক ছিল তাই সেই ব্যবসায়ী ওরুনৌকোকে তার জাহাজে আমন্ত্রণ করল আর সুযোগ বুঝে তাদের সবাইকে বন্দী করে ফেলল দাস হিসেবে বিক্রি করবার জন্য। এসব টের পেলে ওরুনৌকোসহ সবাই অনশন করার সিদ্ধান্ত নিল। ক্যাপ্টেন ভয় পেলে তাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিল যে ওরুনৌকো ও তার সঙ্গীদের ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু জাহাজ যখন সুরিনামে পৌছায় তখন ওরুনৌকোসহ সবাইকে দাস হিসেবেই বিক্রি করে দেয়।
ওরুনৌকোর নতুন মালিকের নাম ট্রেফ্রাই। ট্রেফ্রাই ওরুনৌকোর চেহারা দেখেই বুঝতে পারে সে সাধারণ কোন মানুষ নয় তাই সে ওরুনৌকোর সাথে অতি ভদ্র আচরণ করে। ট্রেফ্রাই ওরুনৌকোর নতুন নাম দেয় 'সিজার'। আশেপাশের সবাই ওরুনৌকোকে দেখে সমীহ করে চলে, সম্মান প্রদর্শন করে। ট্রেফ্রাই, সিজারকে(ওরুনৌকোকে) বলে যে তাদের দাস এলাকায় এক তরুণী দাস আছে যে কিনা নিগ্রো হলেও অপূর্ব সুন্দরী। অনেক শেতাঙ্গ ও নিগ্রো তাকে প্রেমের জালে বাঁধতে চেয়েছে কিন্তু কেউ তা পারেনি। এমনকি ট্রেফ্রাই নিজেও চেষ্টা করেছে। আর সেই সুন্দরীর নাম হচ্ছে ক্লিমেন। সিজারকে (ওরুনৌকোকে) নিয়ে একদিন ট্রেফ্রাই যায় সেই ক্লিমেনর কাছে। সিজার, ক্লিমেনকে দেখেই চিনে ফেলে। আসলে ক্লিমেনই হল ইমোয়িন্ডা। এরপর দুজনের বিয়ে হয় এবং কিছুদিন পর ক্লিমেন গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তাই এখন সিজার মুক্তিলাভের তাড়নায় অস্থির হয়ে পড়ে।
এরপর স্পিকার তার নিজ সম্পর্কে বর্ণনা দেন। তার পিতা ছিলেন লেফটেন্যান্ট যার কিছুদিন পর জেনারেল হবার কথা ছিল কিন্তু সে সুরিনামে আসার পথেই মারা যায়। এরপর স্পিকার, সিজারের সাথে থাকাকালীন বিভিন্ন শিকারের বর্ণনা দিয়েছেন। স্পিকার ও তার অনেক সঙ্গীরা মিলে সিজারের সাথে বাঘের বাচ্চা শিকারে যেত। একবার এক বাঘিনী দেখে ফেললে তাদের উপর সেই বাঘিনী আক্রমণ করবার গেলে সিজার তার সাহসিকতায় তাকে পরাস্ত করে মেরে ফেলে। আবার প্রকান্ড এক ঈল মাছ শিকার করে তা দিয়ে সবাইকে সান্ধ্যভোজ করে খাইয়েছিল। একবার স্পিকার ও তার দল স্থানীয় গ্রামে বেড়াতে যাবার পরিকল্পনা করলেও তারা ভয়ে যেতে পারছিল না। করাণ স্থানীয়দের সাথে শেতাঙ্গদের বিরোধ চলছিল। তখন সিজার তাদের সবাইকে অভয় দিয়ে তাদের সাথে নিয়ে বেড়াতে যায়।
এদিকে ক্লিমেনের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে গর্ভাবস্থার জন্য। তাই সুযোগ বুঝে একদিন সিজার ক্রীতদাস বস্তিতে গিয়ে এক বক্তৃতা দিয়ে সবাইকে শেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে উদ্ধুদ্ধ করে তোলে। পরে একদিন তারা সবাই মিলে পালাবার দিনক্ষণ ঠিক করে। কিন্তু শেতাঙ্গদের মিলিশিয়া বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে সবাই পালিয়ে যায়। কিন্তু সিজার, ইমোয়িন্ডা ও টুসকান নামের এক যোদ্ধা তারপরও যুদ্ধ করতে থাকে শেতাঙ্গদের বিপক্ষে। তাদের ভয়ানক লড়াই দেখে গভর্ণর বায়াম সিজারকে বলে যে সে তাদের(সিজারদের) বন্দীদশা থেকে মুক্তি দিবে যদি তারা আর যুদ্ধ না করে কিন্তু সময় বুঝে বায়াম সবাইকে বন্দী বানিয়ে নির্মম অত্যাচার করতে থাকে। এতে স্পিকার মনে মনে দুঃখ পান এবং পারহাম খামার ত্যাগ করেন। ইমোয়িন্ডা যুদ্ধে বায়ামকে আঘাত করায় বায়াম সাময়িকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। যখন সে সুস্থ হয় তখন সে সিজারকে মারার জন্য পরিকল্পনা করে কিন্তু তার সে ক্ষমতা ছিল না। অন্যদিকে সিজার বায়ামের উপর প্রতিশোধ নেবার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে কিন্তু সে ভেবে দেখে সে(সিজার) অবশ্যই এ বিদ্রোহে মারা যাবে তাহলে ইমোয়িন্ডাকে হ্রিংস শেতাঙ্গরা খুবলে খুবলে খাবে তাই সে(সিজার) ইমোয়িন্ডাকে(ক্লিমেন) তার পরিকল্পনার কথা জানায়। ইমোয়িন্ডা, সিজারের প্রস্তাবকে স্বীকার করে। পরে সিজার ইমোয়িন্ডাকে হত্যা করে কিন্তু ইমোয়িন্ডার বিরহ সিজারকে এতটাই বিহ্বল করে ফেলে যে সে বায়ামের উপর প্রতিশোধ নেবার কথা ভুলে যায়। প্রায় দু'দিন গভীর জঙ্গলে একাকী কাটায়। প্রায় আটদিন পর স্থানীয় লোকেরা সিজারকে খুঁজে পায়। তখন সিজারের অবস্থা মৃতপ্রায়। মৃত্যুভয়ে সে নিজেই নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে দেয়। টুসকান গিয়ে তাকে বাঁচাবার চেষ্টা করে। সবাই মিলে সিজারকে পারহাম খামারে নিয়ে যায়। চিকিৎসকের সহায়তায় সে একটু সুস্থ হয়। এরপর ব্যানিষ্টার নামের এক ভাড়াটে খুনী এসে সিজারকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় মারার জন্য। জল্লাদ প্রথমে সিজারের পুরুষাঙ্গ কেটে আগুনে নিক্ষেপ করে, তারপর নাক, কান কেটে নিক্ষেপ করে। পর্যায়ক্রমে তার হাতও কেটে ফেলে আর এভাবেই শেষ হয়ে যায় একজন রয়াল স্লাভের। সিজারকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয় যাতে আর কোন দাস বিদ্রোহ করতে না পারে।
English Summary:-
'Oroonoko' is the story of an African prince Oroonoko and his beloved wife Imoinda, who are captured by the British and brought to Surinam as slaves. The story is narrated by a nameless writer but some critics believe that it is the story that was witnessed by the writer herself. The narrator begins her story by portraying detail scenary about the colony and the inhabitants, presenting first a list of multicolored birds, myriad insects, high-colored flora and exotic fauna, and then an almost anthropological account of the natives with whom the British trades.
The story is divided into three sections.
1. Life in Surinam.
2. Life in Coramantien.
3. Oroonoko in Surinam and
4. Revolt in Surinam.
The narrator claims to have known Oroonoko during his captivity in Surinam, South America. Surinam is a British colony at the time the narrative takes place. And there, Oroonoko is not just any old slave—he is the last descendant of a royal line, and the prince of an African country called Coramantien (Now known as Ghana).
Oroonoko has grown up away from the court, and has been trained to be a great military leader by Imoinda’s father. One day, during an intense battle, Imoinda’s father takes a fatal arrow in the eye and saves Oroonoko’s life. The seventeen-year-old Oroonoko becomes the new general, and returns to court an elegant and intelligent young man. After returning the court, Oroonoko visits the daughter of his foster father, the beautiful and pure Imoinda. They fall in love at first sight. They participate in a marriage ceremony but Oroonoko didn't ask about this marriage with his grandfather, the King, for his blessing, in keeping with the patriarchal customs of the society. However, the king, a lecherous old man, hears about Imoinda’s beauty. After seeing her at court, he decides he wants her to become one of his concubines/sub-wife. While Oroonoko goes for hunting, the king sends her the royal veil, a sign of invitation for attractive women to come to court. Imoinda is duty-bound to obey. Separated from her true love, Imoinda is placed at the Otan, the King’s pleasure palace. She is still a virgin and refuses, as much as she can, the King’s advances. Due to the strict laws of the Otan, Oroonoko is prevented from seeing Imoinda until the King invites him. When Oroonoko comes back from hunting and knows the matter he becomes very angry but the lovers remain faithful to each other. Oroonoko confirms Imoinda’s longing to return to him from Onahal, one of the King’s old wives, and by exchanging secret glances with Imoinda when visiting the Otan.
Before Oroonoko leaves for war, he is determined to fulfil his marriage to Imoinda with the help of his good friend and fellow warrior, Aboan. Onahal loves Aboan secretly so she wants to take a chance of seeking pleasure of sex with Aboan. And Aboan the true friend of Oroonoko takes this offer as an opportunity then he seduces Onahal, who quickly agrees to help the lovers. Then Oroonoko and Imoinda spend the night together. Unfortunately, the King, who had been suspicious that something might happen, sends his guard to confront Oroonoko, but Oroonoko flees to the battlefront. As punishment for her perfidy, the King sells Imoinda into slavery, an ignoble punishment, but he tells Oroonoko he has executed her. Upon hearing this, Oroonoko gives up his will to fight, and he abandons his troops, retiring to his tent. When they are about to lose, however, Oroonoko rouses himself from his lovesick madness and leads his army to nab the victory. Then an English sea captain comes to Coramantien, and Oroonoko receives him as a royal guest because they were familiar with. The Captain invites Oroonoko onboard his ship and then kidnapping him, along with a hundred of Oroonoko’s servants. The Captain brings Oroonoko across the Atlantic to Surinam, where he sells him to an intelligent and kind-hearted slave-owner named Trefry. Trefry gives Oroonoko the name “Caesar,” and promises to help free him one day. Trefry also unwittingly reunites Caesar with Imoinda, whom Trefry knows as “Clemene.” Together at last, though in undesirable circumstances, “Caesar” and “Clemene” conceive a child and spend their days mingling with the white nobility, who immediately accept the couple because they are noble, virtuous, and beautiful. But as Imoinda’s pregnancy develops, Caesar becomes increasingly restless and wants to take his new family back home. Though he honours and believes some white people, like Trefry and the narrator, he is also rightly suspicious of the lengthy delay regarding his release. He feels that he will once again be tricked and his family will remain in slavery. So he has made the plan of elopement with the Deputy Governor Byam, who is part of the colonial government in Surinam and intends to keep Caesar a slave. As Caesar is a man of action so he determines to take matters into his own hands and convince the slaves to run away. Led by Caesar, they manage to escape, but their journey ends in disaster when the white colonists come after them. With the exception of Caesar’s friend Tuscan, most of the slaves flee the group, leaving Caesar and a heavily pregnant Imoinda to confront the plantation owners. They all fight bravely and Imoinda wounds Byam in the shoulder with a poisoned arrow. With the help of Trefry, Byam convinces Caesar to surrender peacefully and promises to fulfill all his demands. They write a contract, but Byam almost immediately breaks it. He Isolates Imoinda and brutally whips Tuscan and Caesar from each another. Now that he is fully awakened to Byam’s treachery, Caesar vows revenge. He murders Imoinda and their child, with Imoinda’s permission and blessing, to save them from the intolerable suffering. Caesar then fails to enact his revenge against Byam. When the colonists come looking for Caesar, he is rescued against his will by his friends. Sick and dying, he tells them of his plan to kill Byam. They try to encourage him to abandon this idea and focus on recovery. One day, the ruthless Irishman Banister kidnaps Caesar at Byam’s behest. Caesar is again tied to the stake, where he is slowly dismembered, dying without making a sound. They chop off his nose, ears, and one leg. Then he falls down dead, and they quarter his body before disposing of it.
Character List:-
Caesar:- The hero of the fiction. His real name is Oroonoko. And Caesar is the slave name given to Oroonoko by Trefry.
Clemene:- The heroine of the fiction. Her real name is Imoinda.
Aboan:- Oroonoko's true friend im Coramantien, who helps him enter the otan to visit Imoinda.
Banister:- Elected by Byan to kill Oroonoko.
Byam:- The historical deputy governor of Surinam.
Jamoan:- African warrior defeated by Oroonoko and becomes slave but Oroonoko doesn’t treat with him as a slave.
Onahal:- The senior wife of the old king than means grandmother of Oroonoko.
Trefry:- The overseer of Parham Plantation.
Tuscan:- A slave of Surinam who helps Oroonoko to organize the slave revolt against the Whites but al last he betrays Oroonoko.
Themes:-
(a) Racism,
(b) Freedom of Slavery,
(c) Betrayal of the Colonists,
(d) Love and obedience,
(e) Horror;
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Restoration and 18th Century Fiction, All Summary
Tom Jones
প্রথম পর্ব:
সমারসেটশায়ারের এক জমিদার ছিলেন নাম স্কয়ার টমাস অলওয়ার্দী। তার কোন সন্তান ছিল না। তিনজন হয়েছিল কিন্তু শৈশবেই তারা মারা গিয়েছিল। অলওয়ার্দী সাহেব একবার লন্ডনে বেড়াতে দিয়েছিলেন। অনেক দিন পর যখন তার নিজ বাসায় আসলেন তখন তিনি তার বিছানায় একটি শিশুকে ঘুমাতে দেখেন। তিনি বাড়ির লোকদের কাছে জানতে চান বাচ্চাটি কার? কিন্তু কেউ তা বলতে পারে না। একসময় গ্রামের লোক বলাবলি করে যে জেনী জোনস নামে অলওয়ার্দী সাহেবের বাসায় যে একটা কাজের মেয়ে আছে বাচ্চাটি হয়তো তারই হবে। তখন অলওয়ার্দী জেনী জোনসকে তার বাসায় ডেকে জিজ্ঞেস করে। উত্তরে জেনী বলে হ্যা বাচ্চাটি তার কিন্তু জেনী বাচ্চাটির বাবার নাম বলতে রাজী হয়না। শেষে অলওয়ার্দী তার SP বোনের অনুরোধে জেনীকে কিছু না বলেই ছেড়ে দেয়। অলওয়ার্দী সাহেবের বাসায় একজন ডাক্তার ছিলেন নাম রিফিল। সে মনে মনে অলওয়ার্দী সাহেবের বোন মিসেস ব্রিগেডকে পছন্দ করত। মিসেস ব্রিগেডের চেহারা ততটা ভাল না হওয়ায় তিনি অবিবাহিতই ছিলেন। আর ডাক্তার রিফিলের সাথে অলওয়ার্দী সাহেবের সম্পর্ক অনেক ভাল ছিল আর ব্লিফিও আগেও একটা বিয়ে করেছিল তাই সে মিসেস ব্রিগেডকে তার মনের কথা বলতে পারল না। তখন সে তার ছোটভাই ক্যাপ্টেন রিফিলকে নিয়ে আসে। এরপর ক্যাপ্টেন ব্লিফিল ও মিসেস ব্রিগেড গোপনে বিয়ে করে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তা জানাজানি হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন ব্লিফিলের প্রচন্ড লোভ ছিল তাই সে তার ভাইকে অলওয়ার্দীর বাড়ি থেকে তাড়ানোর পরিকল্পনা করে কারণ তার বড় ভাই থাকলে সেও অলওয়ার্দীর সম্পত্তির ভাগিদার হতে পারে। তাই সে তার ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেন। এসব সহ্য করতে না পেরে ডাক্তার রিফিল কাউকে না জানিয়ে লন্ডনে চলে যায় এবং সেখানেই মারা যায়।
দ্বিতীয় পর্ব:
ডাক্তার রিফিল মারা যাওয়াতে জমিদার অলওয়ার্দীর মন খারাপ হয়ে যায়। এদিকে বিয়ের আট মাস পর মিসেস ব্রিগেডের একটা ছেলে হয়। তার নাম রাখা হয় ব্লিফিল। মিসেস ব্রিগেডের নিজের ছেলের প্রতি কোন খেয়াল নেই সে সর্বদা ব্যস্ত থাকে সেই জারজ বাচ্চাটাকে নিয়ে। জমিদার অলওয়ার্দীর এলাকায় একজন শিক্ষক ছিলেন নাম মিষ্টার প্যাট্রিজ। তিনি অনেক ভাল একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি জেনী জোনসকে ল্যাটিন ভাষা শেখাতেন। কিন্তু গ্রামের লোকজন মিঃপ্যাট্রিজ ও জেনীকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করায় অলওয়ার্দী সাহেব প্যাট্রিজকে চাকরি থেকে বহিষ্কৃত করে দিলেন। কিছুদিন পর তার স্ত্রী মারা গেলে সে লন্ডনে চলে যায়। এদিকে আমাদের উপন্যাসের নায়ক সেই জারজ বাচ্চাটা আস্তে আস্তে অনেক বড় হয়ে গেছে। জমিদার অলওয়ার্দী তার নাম রেখেছেন Tom Jones. যেমন তার চেহারা তেমন তার চঞ্চলতা। ছোটসময়ই টম প্রচন্ড দুরন্ত প্রকৃতির ছিল। লেখাপড়া তো করতই না বরং সারাদিন খেলা
তৃতীয় পর্ব:
টম জোনস ও ব্লিফিল দুজনে আপন ভাইয়ের মতোই বড় হতে থাকে। টম ছিল প্রচন্ড চঞ্চল আর রিফিল অনেকটাই ভদ্র। অলওয়ার্দী সাহেব তাদের জন্য একজন গৃহশিক্ষক রাখেন নাম থকাম। কিন্তু টমের লেখাপড়ায় কোন মন নেই। সে সবসময় বন রক্ষক ব্ল্যাক জর্জের সাথে বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়াতো। একদিন তারা দুজনে তিতির শিকার করতে করতে জমিদার ওয়েষ্টার্নের বাগানে ডুকে পড়ে। বলে নেই, জমিদার ওয়েষ্টার্ন হচ্ছেন আমাদের উপন্যাসের নায়িকা সোফিয়ার বাবা। তিনিও সমারসেটশায়ারে বাস করেন। তিনি টমকে তার বাগানে তিতির শিকার করতে দেখে জমিদার অলওয়ার্দী সাহেবের কাছে অভিযোগ দেন। তখন জমিদার অলওয়ার্দী ব্ল্যাক জর্জকে বনরক্ষকের চাকরি থেকে বহিষ্কৃত করে দেয়। আর অলওয়ার্দী সাহেব টমের এইসব সহ্য করতে না পেরে টম ও রিফিলের জন্য আরো একজন শিক্ষক রাখেন নাম স্কয়ার। তারা একে অন্যকে সহ্য করতে পারত না। একজন একটা বললে আরেকজন সবসময় তার বিরোধিতা করত। দুজন শিক্ষকের একজনও টমকে সহ্য করতে পারত না কারণ টম পড়ালেখা করত না তাছাড়া তাদের কথাও শুনত না। এদিকে গৃহশিক্ষক থকাম ও স্কয়ার মিসেস ব্রিগেডের মন জয় করার জন্য উড়েপড়ে লেগেছে কিন্তু মিসেস ব্রিগেডের থেকে কোন আগ্রহ না পেয়ে তারা সে ধান্দা বাদ দেয়। এদিকে ব্ল্যাক জর্জের চাকরি চলে যাওয়াতে তার পারিবারিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়ে। টম এইসব জানার পর সে তার প্রিয় ঘোড়াটা যেটা তাকে অলওয়ার্দী সাহেব দিয়েছিল সে সেটা বিক্রি করে দেয় এবং সব টাকা জর্জকে দিয়ে দেয়। এরপর টম একটা বাইবেল বিক্রি করে সেই টাকাও ব্ল্যাক জর্জকে দিয়ে দেয়। এসব কথা ব্লিফিল গিয়ে অলওয়ার্দী সাহেবকে জানায়। অলওয়ার্দী টমকে অনেক বকে এজন্য আর বলে ভবিষ্যতে এসব কাজ করার আগে যেন তার থেকে অনুমতি নেয়। টম কোন কথা না বলে চলে যায় আর পরে অলওয়ার্দী সাহেবের কাছে অনুরোধ করে ব্ল্যাক জর্জের চাকরিটা ফিরিয়ে দিতে। ব্ল্যাক জর্জের একটা মেয়ে ছিল নাম মলি। রিফিল, মলি ও টমকে নিয়ে অলওয়ার্দীর কাছে বানিয়ে বানিয়ে অনেক কথা বলে তাই অলওয়ার্দী আর ব্ল্যাক জর্জকে চাকরিটা ফেরত দেয় না ৷
চতুর্থ পর্ব:
এই পর্বে এসে আমরা আমাদের উপন্যাসের নায়িকা সোফিয়ার পরিচয় পাই। তার পুরো নাম মিস সোফিয়া ওয়েস্টার্ন। তার মা জীবিত নেই। সে তার বাবা ও ফুফুর কাছেই লালিত-পালিত হয়েছে। সে অনেক ভাল একটা মেয়ে। যেমন রূপ তেমন তার ব্যবহার। সোফিয়ার বয়স যখন 13 তখন তার সাথে টমের পরিচয় হয়। সোফিয়ার বাবা মিঃ ওয়েষ্টার্নের প্রচন্ড শিকারের নেশা ছিল। এদিকে টমও ছন্নছাড়া। তাই তার সাথে টমের ভাল ভাব জমে উঠল। কিছুদিন পর মিঃওয়েষ্টার্ন টমকে নিয়ে শিকারে যেতে লাগল। এদিকে ব্লাক জর্জের মেয়ে মলির সাথে টমের সম্পর্ক দিন দিন বেড়ে যেতে লাগল। একপর্যায়ে মলি গর্ভবতী হয়ে গেল। এ খবরটা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। শেষে জমিদার অলওয়ার্দী মলিকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে সে কোন উত্তর দিল না। অলওয়ার্দী মলিকে শাসালে টম এসে বলল সেই মলির এই অবৈধ কর্মের দায়ী। মিঃওয়েষ্টার্নের বাড়ির চাকর মিসেস অনার, সে এসে এই খবরটা সোফিয়াকে দিল। এটা শুনে সোফিয়ার একটু খারাপই লাগল।
পঞ্চম পর্ব:
টম মাঝেমধ্যে সোফিয়ার বাবার সাথে শিকারে যেত। একদিন সোফিয়া ও তার বাবার সাথে শিকারে গিয়ে একটা দুর্ঘটনা হয় তাতে টমের একটা কনুই ভেঙে যায় তাই মিঃওয়েষ্টার্ন টমকে তার বাড়িতে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এদিকে সোফিয়াও টমের আচার - ব্যবহারে তাকে ভালবেসে ফেলে। টম সেটা বুঝতে পারে কিন্তু সে দ্বিধায় পড়ে যায়। টম ভাবে সে কি সৌফিয়াকে জীবনসঙ্গিনী করবে নাকি মলি কে। এরপর সে সিদ্ধান্ত নেয় সে সবকিছু মলিকে খুলে বলবে আর মলিকে কিছু কিছু অর্থ দিয়ে দিবে প্রতিদানস্বরূপ তারপর সোফিয়াকে আপন করে নিবে। এসব ভেবে সে মলির বাড়ির দিকে যায় কিন্তু টম গিয়ে দেখে মলির ঘরের পর্দার আড়ালে মিঃস্কয়ার (টম ও ব্লিফিলের গৃহশিক্ষক) দাড়িয়ে আছে। তাকো দেখে টম বুঝে নিল মিঃস্কয়ারের সাথেও মলির অনৈতিক সম্পর্ক আছে। কয়েকদিন পর মলির নামে আরেকটা কলঙ্ক বের হয়। সে নাকি উইল বারনেস নামের এক ব্যক্তির সাথেও মেলামেশা করে। এসব শুনে টমের মনে মলির জন্য শুধু ঘৃনার জন্ম নেয়। এতদিনে টমের হাত প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছে। ওদিকে জমিদার অলওয়ার্দীর শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়াতে সে তার সব সম্পত্তি তার আপন ভাগ্নে ব্লিফিলের নামে উইল করে দিয়েছেন আর মিঃব্রিগেড ও টমের জন্য একটা বড় অংকের বাৎসরীক ভাতা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। জমিদার অলওয়ার্দীর স্বাস্থ্য খারাপ হওয়াতে টম নিজের নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়ে সর্বদা অলওয়ার্দীর সেবা শুশ্রূষা করে যাচ্ছে। কিছুদিন পর অলওয়ার্দী সাহেব সুস্থ হয়ে উঠলেন। জমিদার অলওয়ার্দী সুস্থ হওয়াতে টম কিছুটা নেশা করল। এসব দেখে রিফিল সহ্য করতে না পেরে টমের সাথে মারামারি শুরু করে দিল। তাদের শিক্ষক এসে থামালেন। তখন টমের সাথে মলির দেখা। টম নেশাগ্রস্থ ছিল তাই সে নিজেকে সামলাতে পারল না। সে আর মলি একটা ঝোপের মধ্যে চলে গেল। তখন তারা শুনতে পেল কারা যেন তাদের দিকেই আসছে। মলি তখন উঠে আরেক দিকে দৌড়ে পালাল। টম দেখল মিষ্টার থকাম ও রিফিল আসছে। আবার দু-ভাইয়ে মারামারি শুরু হয়ে গেল। সাথে থকামও টমকে মারতে লাগল। এইবার মিঃওয়েষ্টার্ন এসে টমকে বাচাল। সোফিয়া রক্তাক্ত টমকে দেখে অজ্ঞান হয়ে গেল।
ষষ্ঠ পর্ব:
এদিকে সোফিয়া যে প্রেমে পড়েছে সেটা তার ফুফু মিসেস ওয়েষ্টার্ন বুঝে ফেলল। তখন মিসেস ওয়েস্টার্ন গিয়ে এসব তার ভাইকে বলল। কিন্তু মিসের ওয়েস্টার্ন জানত না সোফিয়া টমের প্রেমে পড়েছে। সে গিয়ে বলল সোফিয়া ব্লিফিলের প্রেমে পড়েছে মনে হয়। ওয়েস্টার্ন সাহেব এসব শুনে মেয়ের জন্য প্রস্তাব নিয়ে গেলেন জমিদার অলওয়ার্দীর বাড়িতে। ব্লিফিলও এ প্রস্তাবে রাজি হল। কারণ সোফিয়া রূপে, গুণে অনন্যা। তাছাড়া রিফিল জানতে টম, সোফিয়াকে ভালবাসে তাই সোফিয়াকে বিয়ে করার মাধ্যমে টমকে শায়েস্তা করা যাবে। মিসেস ওয়েস্টার্ন সোফিয়াকে গিয়ে বলল তার বাবা তার বিয়ে ব্লিফিলের সাথে ঠিক করে এসেছে৷ সোফিয়া তো শুনে অবাক। সে বলল সে টমকে ভালবাসে আর টম ছাড়া কাউকে সে বিয়ে করবে না। কিছুদিন পর জমিদার অলওয়ার্দী তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে জমিদার ওয়েস্টার্নের বাসায় বেড়াতে এল। সোফিয়ার সাথে ব্লিফিলের কথা হল। সোফিয়া গিয়ে তার বাবাকে বলল সে রিফিলকে বিয়ে করতে পারবেনা। এটা নিয়ে বাবা - মেয়ের মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হল। শেষে টম আসাতে জমিদার ওয়েস্টার্ন টমকো বলল সোফিয়াকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে। টম, সোফিয়ার ঘরে গেল আর সব শুনল সোফিয়ার থেকে। যখন দুজন-দুজনকে জড়িয়ে ধরেছে আছে তখনই জমিদার ওয়েস্টার্ন সোফিয়ার ঘরে প্রবেশ করে দেখে সোফিয়া ও টম দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে আছে। তার আর বুঝতে বাকি রইল না যে সোফিয়া কেন বিয়ে করতে চাচ্ছে না। সে টমকে তখনই তার বাড়ি থেকে চলে যেতে বলল। এরপর রিফিল টমের নামে নানা রকম বাজে কথা বানিয়ে বানিয়ে জমিদার অলওয়ার্দীকে শোনায়। এসব শুনে অলওয়ার্দী সাহেব টমকে ডেকে কিছু টাকা দিয়ে বলল যে যেন কালই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরদিন টম বাড়ি থেকে চলে যায়। দুর্ভাগ্যবশত, জমিদার অলওয়ার্দীর দেয়া টাকাটাও টম হারিয়ে ফেলে। যাবার সময় একটা চিঠি লিখে সোফিয়াকে দেবার জন্য। টম ব্ল্যাক জর্জকে বলে সেটা সেফিয়ার কাছে পৌঁছে দিতে। ব্ল্যাক জ র্জ পরে টমের টাকাটা পায় কিন্তু সে তা টমকে ফিরিয়ে দেয় না। ব্ল্যাক জর্জ শুধু চিঠিটা সোফিয়ার কাছে পৌঁছে দেয়। চিঠি পেয়ে সোফিয়া বুঝতে পারে না কি করবে। সে ব্ল্যাক জর্জকে কিছু টাকা আর একটা চিঠি দেয় আর বলে এগুলো টমের কাছে দিতে। এদিকে জমিদার ওয়েস্টার্ন সোফিয়াকে এখন ঘরে বন্দী করে রেখেছে। সোফিয়া শুধু ঘরে বসে সারাদিন কাঁদে।
সপ্তম পর্ব
টম বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটা হোটেলে আশ্রয় নেয়। সে ঠিক করল ব্রিস্টল যাবে। ওদিকে মিষ্টার ও মিসেস ওয়েস্টার্ন মিলে সোফিয়াকে বোঝাতে লাগল টম যেহেতু চলে গিয়েছে তাই তার এখন রিফিলকে বিয়ে করা উচিত। কিন্তু সোফিয়া কোন কিছুতে রাজি হল না তাই দুজনই তাকে দারুণ শাসাল। সকালে টম একটা ঘোড়া ঠিক করে ব্রিস্টলের দিকে রওয়ানা দিল। এদিকে সবাই সোফিয়ার বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তাই সোফিয়া সিদ্ধান্ত নিল সে বাড়ি থেকে পালিয়ে লন্ডন চলে যাবে। সে তার দাসী মিসেস অনার্সকে এটা বলল। টম যে ব্রিস্টলে যাচ্ছিল কিন্তু তার ঘোড়সওয়ার ব্রিস্টলের পথ চিনত না। তাই তারা উল্টো পথে চলে আসছে। এরপার তারা একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে টমের সাথে একদল সৈন্যদের সাথে দেখা হয়। তাদের সাথে কথা বলে টম তাদের সাথে যোগ দিল। কিন্তু দলের সবাই ভাল ছিল না। নর্দাটন নামের একটা লোক টমকে সহ্য করতে পারেনি তাই একপর্যায়ে সে টমের সাথে মারামারি শুরু করে। টমের বোতলের আঘাত লাগে সে জ্ঞান হারায়। দলের অফিসার নর্দাটনকে অ্যারেস্ট করে টমের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতো বলে। ওদিকে টম প্রতিশোধ নিতে চাইছিল। সে কিছুতেই নর্দাটনকে ক্ষমা করতে পারছিল না। তাই সে একজন সৈন্যর থেকে একটা তলোয়ার কিনে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নর্দাটন পালিয়ে যায়।
অষ্টম পর্ব:
পরের দিন টমের মাথার আঘাত কিছুটা সেরে যায়৷ কিন্তু এক পাঁজি ডাক্তার টমকে প্রচন্ড জ্বালাতন করতে থাকে আসলে তার ধান্দা ছিল টমের থেকে টাকা নেয়া। কিন্তু টম তাকে তোয়াক্কা না করে বরং তার উপর চটে যায়। অবশেষে ডাক্তার, টমের মতিগতি ভাল না বুঝে কেটে পড়ে। একদিন টম শেভ (দাড়িগোঁফ কামানো) করার জন্য একজন নাপিত খুঁজতে থাকে। অনেক খুঁজে টম একজন নাপিত পায়। নাপিতের সাথে তার পরিচয় হয়। তার নাম বেনজামিন। পরে তাদের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ব তৈরি হয়৷ সন্ধায় তারা একটি বারে গিয়ে মদ পান করে। তখন বেনজামিন টমকে জিজ্ঞেস করে কেন সে এখানে এসেছে। মদ খেয়ে টমের কোন হুশ ছিলনা তাই সে তার সব কাহিনি বেনজামিনের কাছে বলতে থাকে। টমের অবস্থা একটু খারাপ হয়ে যায় তখন বেনজামিন তাকে ঔষধ দিয়ে সুস্থ করে তোলে। টম বুঝে ফেলে বেনজামিন আসলে কোন নাপিত নয়। তাই টম বেনজামিনকে তার আসল পরিচয় দিতে বলে। পরে বেনজামিন টমকে বলে সে হচ্ছে তাদের এলাকার সেই স্কুলমাস্টার প্যাট্রিজ যাকে জমিদার অলওয়ার্দী একটা অপরাধের জন্য তাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর প্যাট্রিক টমকে অনুরোধ করে তাকে টমের সাথে নেবার জন্য। টম তার অনুরোধ রাখে। কিন্তু প্যাট্রিজ আসলে চেয়েছিল সে কোনোভাবে টমকে তার পিতা(টম যাকে বাবা বলত) মানে অলওয়ার্দী সাহেবের কাছে পৌঁছে দিবে তাহলে অলওয়ার্দী খুশী হয়ে তাকে আবার চাকরি ফিরিয়ে দিবে। পরের দিন সকালে টম ও প্যাট্রিজ গ্লোউসেস্টার শহরে আসল। তারা একটি হোটেলে উঠল। কিন্তু হোটেলওয়ালি টমের সাথে গন্ডগোল করাতে টম তখনই সেখান থেকে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিল। প্যাট্রিজ যেতে চাইল না কারণ তার ছিল ভূতের ভয় কিন্তু টম চলে যাওয়াতে সে তার পিছু পিছু ছুড়ল। কয়েকমাইল হাটার পর তারা দুজনই ক্লান্ত হয়ে পড়ল। তারা দূরে একটা কুঁড়েঘর দেখতে পেয়ে সেখানে থাকার জন্য গেল। কিন্তু মালিক ছিল প্রচন্ড কড়া। ভাগ্যবশত টম বাড়ির মালিককে দুজন ডাকাতের হাত থেকে বাচায় তাই বাড়ির মালিক খুশী হয়ে তাদেরকে থাকতে দেয়৷ টম সারাটারাত বাড়িওয়ালার সাথেই গল্প করতে করতে কাটিয়ে দেয়। মাঝখানে প্যাট্রিজকে রেখে টম ও বাড়িওয়ালা একটু ঘুরতে এসেছে।
নবম পর্ব:
টম ও বাড়িওয়ালা হাটতে হাটতে পশ্চিমের পাহাড়ের কাছে এসে পৌঁছেছে। হঠাৎ শুনতে পেল একজন মহিলার আর্তচিৎকার। টম ঐ ধ্বনি অনুসরন করে দৌড়াতে লাগল। গিয়ে দেখল একটা দস্যু জাতীয় লোক এক মহিলার গলায় কাপড় জড়িয়ে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। টম তা দেখে সহ্য করতে পারল না। সে ঐ লোকটিকে কয়েক ঘা বসিয়ে দিল আর মেয়েটিকে নিয়ে সেই বাড়িওয়ালার কাছে চলে এল। বাড়িওয়ালার থেকে ঐ মহিলার জন্য কিছু কাপড় নিয়ে টম আপটনের দিকে রওয়ানা হল আর বাড়িওয়ালাকে বলে গেল প্যাট্রিজ ঘুম থেকে উঠলে তাকে বলবেন আপটনে যেতে। যে দস্যুটাকে টম মেরেছিল সে ছিল নর্দাটন। যে টমকে সেনাবাহিনীতে বলে মেরেছিল। নিজের হাতে প্রতিশোধ নিতে পেরে টমের প্রচন্ড ভাল লাগছিল। আপটনে এসে তারা একটি হোটেলে উঠল। কিন্তু হোটেলওয়ালি টমের সাথে ঐ মহিলাকে দেখে রেগে উঠল। সে বলল এক্ষুনি তার হোটেল থেকে বের হয়ে যেতে। এমনিতেই টমের মেজাজ ভাল ছিল না তারউপর বাড়িওয়ালীর এই চেঁচামেচি। শেষমেষ এটা টম বাড়িওয়ালীর সাথে মারামারিই বাধিয়ে নিল। টমের একটু আঘাত লাগল। এরমধ্যে প্যাট্রিজ সেখানে এসে পড়েছে। তখন তিনজনে অন্য হোটেলে যাবে বলে মনঃস্থির করল। এমন সময় একজন সার্জেন্ট টমের সাথে সেই মহিলাকে দেখে চমকে উঠল। আসলে সেই মহিলা ছিল একজন ক্যাপ্টেনের স্ত্রী। তার নাম মিসেস ওয়াটার্স। এসব দেখে হোটেলের মালিক তার ভুল বুঝতে পারল এবং সবার কাছে ক্ষমা চাইল ও তাদের থাকার জন্য অনুরোধ করল। টম প্রথমে কিছুতেই রাজি হল না পরে মিসেস ওয়াটার্সের অনুরোধে টম সেখানে থাকতে রাজি হল। আসলে টমের আকর্ষনীয় চেহারা, পুরুষসুলভ ব্যক্তিত্ব আর অমায়িক ব্যবহার মিসেস ওয়াটার্সকে বিমুগ্ধ করে দিয়েছিল। সে টমের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। টম বুঝতে পেরেও চেপে গেল। কিন্তু শেষমেশ টম হার মানল । শেষপর্যন্ত সে মিসেস ওয়াটার্সের সাথে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হল।
দশম পর্ব:
এতক্ষন পর্যন্ত ভালই চলেছিল কিন্তু হঠাৎ সমস্যা দেখা দিল। সোফিয়া যে বাড়ি থেকে পালানোর বুদ্ধি করেছিল অবশেষে সে আর তার ব্যক্তিগত দাসী মিসেস অনার বাড়ি থেকে পালায়। ঘুরতে ঘুরতে তারা টম যে হোটেলে আছে সেই হোটেলেই এসে উঠে। তখনও তারা জানত না যে টম সেখানে আছে। একটাসময়ে প্যাট্রিজের সাথে মিসেস অনারের দেখা হয়। তখন মিসেস অনার বুঝে যায় যে টমও এই হোটেলেই আছে। সে এটা গিয়ে সোফিয়াকে বলে। শুনে সোফিয়া আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। সোফিয়া মিসেস অনারকে পাঠায় টম কোন রুমে আছে তা জানার জন্য। মিসেস অনার গিয়ে প্যাট্রিজকে জিজ্ঞেসা করলে প্যাট্রিজ বলে টম একটা মেয়ের সাথে আনন্দ করতেছে। এটা শুনে মিসেস অনার দ্রুত তা সোফিয়াকে জানায়। শুনে সোফিয়া প্রচন্ড কষ্ট পায়। প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরে কাজের মেয়ে সুসানের থেকে জানার পর নিশ্চিত হয়। সোফিয়া আর সেখানে থাকতে চায় না। সে কাজের মেয়ে সুসানকে ১ পাউন্ড ঘুষ দিয়ে বলে তার(সোফিয়ার) একটা হাতমোজা টমের ঘরে রেখে আসতে। সোফিয়া ও মিসেস অনার তখনই সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে। টম ঘুম থেকে উঠে ঐ হাতমোজা দেখেই কিছুটা আন্দাজ করে ফেলে এটা কার। নিশ্চিত হবার জন্য সে প্যাট্রিজকে জিজ্ঞাসা করে। প্যাট্রিজের উত্তর শুনেই টম বুঝে যায় সেটা সোফিয়া। সে দ্রুত গিয়ে কাজের মেয়ে সুসানের কাছে জিজ্ঞেস করে। তখন সুসান বলে তারা রাতেই হোটেল ছেড়ে চলে গেছে। শুনে টম অত্যন্ত ভেঙে পড়ে। ঠিক ঐ মুহুর্তেই জমিদার ওয়েস্টার্ন সোফিয়াকে খুঁজতে ঐ হোটেলে আসে। টমকে সেখানে দেখে সে ভাবে সোফিয়াও হয়তো সেখানে আছে। কিন্তু অনেক খুঁজেও না পেয়ে তারা চলে যায়। ওদিকে জমিদার ওয়েস্টার্ন চলে যাবার পর টম ও প্যাট্রিজ 'বাথ' নগরীর উদ্দেশ্য রওয়ানা দিল।
একাদশ পর্ব:
আপটন হোটেল থেকে বের হয়ে সোফিয়া ও মিসের অনার লন্ডনের দিকে যাত্রা করল। যাবার পথে সোফিয়ার সাথে তার ফুফাতো বোনের দেখা হল। মাঝপথে তারা একটি হোটেলে উঠল। অনেকদিন পর দুইবোন দুইবোনকে কাছে পেয়ে মনের যত কথা ছিল সব বলা শুরু করল। কেন সোফিয়া এখানে এসেছে? আরো কত কি..... ব্লা ব্লা ব্লা। (এটা একটা মেয়েই ভাল বলতে পারবে তাদের পেটের মধ্যে কত কথা লুকিয়ে থাক। এরপর তারা একজন আইরিশ ভদ্রলোকের কোচে চড়ে লন্ডনের দিকে রওয়ানা হল। পরের দিন সন্ধায় সোফিয়া, হ্যারিয়েট (সোফিয়ার ফুফাতো বোন) ও আইরিশ ভদ্রলোক লন্ডন এসে পৌঁছাল। কিন্তু সোফিয়া বুঝে ফেলল যে ঐ আইরিশ ভদ্রলোকটি আসলে হ্যারিয়েটের অপরিচিত নয়। তারা দুজন দুজনকে চিনে আর তাদের মধ্যে সম্পর্কও আছে। সুতরাং তারা দুজন একান্তে থাকতে চায়। তাই সোফিয়া ঠিক করল সে "বাথ" শহরে চলে যাবে। সে ওয়েস্টার্ন পরিবারের দূরসম্পর্কের এক আত্মীয় লেডি বেলাষ্টোনকে বলল তাকে(সোফিয়াকে) যে সে(লেডি বেলাষ্টোন) এগিয়ে নিয়ে যায়।
দ্বাদশ পর্ব:
এদিকে মিঃ ওয়েষ্টার্ন মানে সোফিয়ার বাবা সোফিয়াকে আপটন হোটেলে না পেয়ে খুব হতাশ হলেন। তারা একজায়গায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আর ওদিকে টম আর তার সঙ্গী প্যাট্রিজ সোফিয়াকে খুঁজতে খুঁজতে সেই রাস্তায়ই যাচ্ছে যেদিকে সোফিয়ারা গিয়েছিল। পথে এক ভিখারির থেকে সন্ধান নিয়ে বুঝতে পারল তারা ঠিক রাস্তায়ই যাচ্ছে। পথে একটা হোটেল দেখতে পেয়ে সেখানে আশ্রয় নিল। প্যাট্রিজ সারাক্ষণ শুধু ভাবে কি করে টমকে বাড়ি পৌঁছে দেয়া যায়। তাই সে হোটেলওয়ালীর সাথে মিলে পরিকল্পনা করল যাতে সে(হোটেলওয়ালী) টমকে Shina বাসায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু হোটেলওয়ালি যখন টমকে দেখল সে তার প্রেমে পড়ে গেল তাই সে প্যাট্রিজের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল। সকালে হৈচৈ শুনে টমের ঘুম ভেঙে গেল। এসে দেখল এক জোকারকে তার মালিক মারতেছে। সে গিয়ে জোকারটাকে বাঁচাল। তার নাম এন্ড্রু। এন্ড্রুর কাছ থেকে সে(টম) সোফিয়ার সম্পর্কে জানতে পেরে টম তাৎক্ষণাৎ সেখান থেকে রওয়ানা হল এন্ড্রুর দেখানো পথের দিকে। পথে যাবার পথে তারা প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টির সম্মুখীন হল। শেষে টম একটা ঘোড়া ভাড়া করল। পথে একজন অ্যাডভোকেট বন্ধুর সাথে দেখা হলো। সে টম ও প্যাট্রিজকে তার বাড়ি নিয়ে গেল এবং অনেক গল্পগুজব করল। তারপর ঝড়বৃষ্টি থেমে গেলে টম আবার রওয়ানা হল। যাবার পথে একজন আগন্তুকের সাথে পরিচয় হল। সে ছিল একজন দুর্বৃত্ত। সে টমের থেকে টাকা হাতাবার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু টম তাকে ধরে ফেলে পরে সে স্বীকার করে সংসারের অভাবের জন্য সে এই পথ বেছে নিয়েছে। টম তাকে কিছু টাকা দিয়ে আবার রওয়ানা করল। সন্ধার দিকে তারা লন্ডনে পৌঁছাল।
ত্রয়োদশ পর্ব:
অনেক খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে একটা হোটেল পেল। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে সে একটা বড় বাড়ি দেখতে পেল আরো তথ্য জেনে সে বুঝতে পারল ঐ বাড়িতেই হয়তো সোফিয়া আছে। কিন্তু সে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারল না। তাই সে(টম) গিয়ে সেই বাড়ির মালিককে (মিসেস ফিজপ্যাট্রিক মানে সোফিয়ার ফুফাতো বোন হ্যারিয়টকে) জিজ্ঞেস করল এখানে কি সোফিয়া ওয়েস্টার্ন নামের কেউ আছে? মিসেস ফিজপ্যাট্রিকের মনে হল এই হচ্ছে রিফিল যাকে সোফিয়া ঘৃনা করে তাই সে বললঃ-- না সোফিয়া সকালে অন্য বাসায় চলে গিয়েছে। পরের দিন টম আবার সেই বাসায় আসল এবং একই কথা জিজ্ঞেস করল যে সোফিয়া এখানে আছে নাকি। কিন্তু মিসেস ফিজপ্যাট্রিক তাকে কোন কিছুই বলল না বরং বিরক্তবোধ করল। ওদিকে সোফিয়া তখন লেডি বেলাষ্টোনের কাছে থাকত। তাই মিসেস ফিজপ্যাট্রিক ও মিসেস বেলাষ্টোন মিলে ফন্দি করল তারা কিছুতেই টমকে সোফিয়ার সাথে দেখা করতে দিবে না। পরেরদিন টম ঠিক পাঁচটার সময় আবার মিসেস ফিজপ্যাট্রিকের বাসায় আসল। তখন লেডি বেলাষ্টোনও, মিসেস ফিজপ্যাট্রিকের বাসায় ছিল। টমকে প্রথম দেখাতেই তার ভাল লেগে গেল। টম এইবারও সেখান থেকে সোফিয়ার কোন সন্ধান পেল না। এদিকে তার টাকাও প্রায় ফুরিয়ে আসছিল। তাই সে উদাস মনে হাঁটতেছিল। হঠাৎ শুনল এক ভদ্রলোককে তার চাকর দেয়ালের সাথে চেঁপে ধরেছে আর বাড়িওয়ালীর মেয়ে ন্যান্সি তা দেখে চিৎকার করতেছে। টম, এসে সেই লোকটাকে বাঁচাল। লোকটার নাম নাইটিঙ্গেল। টম বুঝতে পারল ন্যান্সির সাথে লোকটার একটা সম্পর্ক আছে। এরপর টমের সাথে ন্যান্সি, নাইটিঙ্গেল ও বাড়ির সবার সাথে একটা ভাব জমে উঠল। একদিন সবাই মিলে গল্প করতেছিল তখন টমের নামে একটা চিঠি আসে। কিন্তু তাতে প্রেরকের নাম না ঠিকানা ছিল না। আসলে ওটা ছিল একটা মুখোশ পার্টির টিকিট আর সাথে একটা মুখোশ আর সেটা পাঠিয়েছিল লেডি বেলাষ্টোন কারণ সে টমকে কাছে পেতে চাইছিল। তখনো কিন্তু টম জানত না কে এই চিঠি পাঠিয়েছে। তারপর টম সেই মুখোশ পার্টিতে যায় এবং লেডি বেলাষ্টোনের সাথে পরিচয় হয়। লেডি বেলাষ্টোন, টমকে বলে সে(লেডি বেলাষ্টোন) জানে সোফিয়া কোথায় আছে। টম তাকে অনুরোধ করে সোফিয়ার সাথে একবার দেখা করিয়ে দেবার জন্য। লেডি বেলাষ্টোন টমকে আশ্বস্ত করল এবং বলল সে টমকে সোফিয়ার সাথে দেখা করিয়ে দিবে। এরপর টম ও লেডি বেলাষ্টোন মিলে নাচগান করল, মদপান করল এবং যাবার সময় টমকে কিছু টাকা দিয়ে গেল। আস্তে আস্তে টমের সাথে লেডি বেলাষ্টোনের সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে। টম সম্পূর্ণভাবে লেডি বেলাষ্টোনের টাকার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে৷ এখন টম যখন তখন লেডি বেলাষ্টোনের বাসায় যায় আর শারিরীক সম্পর্কে মিলিত হয়। একদিন সৌভাগ্যক্রমে সোফিয়ার সাথে দেখা হয়ে যায়। সোফিয়া টমকে দেখেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। টম তাকে সুস্থ করে তুলল এবং তার কাছে ক্ষমা চাইল। টম সবকিছু খুলে বলতে লাগল সোফিয়াকে। সে শুধু তার জন্যই কোন টাকাকড়ি ছাড়া লন্ডনে আসার ঝুঁকি নিয়েছে। টমের ভালবাসায় আবার সোফিয়া দুর্বল হয়ে পড়ল। সে টমকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে লাগল। আবার তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠল। একটু পরেই লেডি বেলাষ্টোন সেখানে আসল। তখন টম ও সোফিয়া এমন ভাব করল যেন কেউ কাউকে চিনে না।
চতুৰ্দশ পৰ্ব:
এদিকে টম ও সোফিয়াকে একসাথে দেখে লেডি বেলাষ্টোন বুঝে ফেলল যে তারা একে অপরকে আগে থেকেই চিনে। লেডি বেলাষ্টোন তখন টমের প্রেমে পুরোপুরি পাগল। টমকে ছাড়া তার একটা দিনও চলে না। একদিন খুব ভোরে চেঁচামেচিতে টমের ঘুম ভেঙে গেল। টম এসে শুনল বাড়িওয়ালীর মেয়ে ন্যান্সির সাথে নাইটিঙ্গেলের যে সম্পর্ক ছিল তা সে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন নাইটিঙ্গেল তার shna বাবার পছন্দ করা মেয়েকেই বিয়ে করবে। এটা শুনে ন্যান্সী অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। ওদিকে ন্যান্সী গর্ভবতী। টম সবটা শুনে বলল সে নিজে নাইটিঙ্গেলের সাথে কথা বলবে। এরপর টম, নাইটিঙ্গেলের বাসায় যায় ও তার বাবার সাথে কথা বলে। অনেক কষ্টে টম, নাইটিঙ্গেলের বাবাকে রাজী করায়। যদিও নাইটিঙ্গেলের চাচা বিয়েটাকে নাস্তানাবুদ করার অনেক চেষ্টা করে কিন্তু টম তাকে পাত্তা না দিয়ে নাইটিঙ্গেলের বাবাকে রাজি করিয়ে সেখান থেকে চলে আসে।
পঞ্চদশ পর্ব:
ইদানিং টম, লেডি বেলাষ্টোনকে একদমই সময় দেয় না তাই সে বুঝে ফেলেছে তার ও টমের মাঝে সোফিয়াই হল প্রতিবন্ধকতা। তাই সে লর্ড ফেলামার নামের এক যুবককে ঠিক করে সোফিয়ার সাথে বিয়ে দেবার জন্য। লর্ড ফেলামারের পারিবারিক অবস্থাও ভাল আর সে সোফিয়াকে আগে থেকেই পছন্দ করে। লেডি বেলাষ্টোন, লর্ড ফেলামারকে বলে যদি তার (লর্ড ফেলামারের) প্রস্তাবে সোফিয়া রাজি না হয় তাহলে সে(লর্ড ফেলামার) যেন সোফিয়াকে ধর্ষন করে। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও লর্ড ফেলামার, সোফিয়াকে রাজি করাতে পারল না তখন লেডি বেলাষ্টোন অন্য রাস্তা খুঁজে বের করল। সে টমকে বলল সোফিয়া এখন লর্ড ফেলামার নামের এক যুবকের সাথে প্রেম করছে এবং তারা যে কোন সময় বিয়ে করে ফেলতে পারে৷ এটা শুনে টমের অনেক খারাপ লাগে। অনেক চেষ্টার পরেও যখন লর্ড ফেলামার, সোফিয়াকে রাজি করাতে পারল না তখন সে জোর করে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করল কিন্তু সৌভাগ্যবশত তখন জমিদার ওয়েস্টার্ন মানে সেফিয়ার বাবা চলে আসে তাই লর্ড ফেলামার সোফিয়াকে ছেড়ে দেয়। তারপর ওখানে থেকে জমিদার ওয়েস্টার্ন, সোফিয়াকে একপ্রকার জোর নিয়ে যায়। এদিকে সোফিয়াকে নিয়ে যাওয়াতে লেডি বেলাস্টোন রাগ না হয়ে বরং খুশীই হয় কারণ এখন তার ও টমের মধ্যে কোন বাধা নেই। যদিও মিসেস অনার সোফিয়াকে নিয়ে যেতে বাধা দেয় কিন্তু জমিদার ওয়েস্টার্ন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়৷ তখন মিসেস অনার টমকে গিয়ে সবকিছু জানায়। ঠিক তখনই লেডি বেলাষ্টোন টমের বাসার দিকে আসে। টম তখন মিসেস অনেরকে বলের পর্দার আড়ালে লুকাতে কিন্তু সে(লেডি বেলাষ্টোন) মিসেস অনারকে দেখে ফেলে। সে মনে করে মিসেস অনারের সাথেও টমের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। লেডি বেলাষ্টোন তখন টমকে গালাগাল করতে তাকে। মিসেস অনারও টমকে ভুল বুঝতে শুরু করে তখন টম তাকে(মিসেস অনারকে) কিছু টাকা দেয়। মিসেস অনার বলে সে এসব কখনও সেফিয়াকে বলবে না। এদিকে নাইটিঙ্গেলের চাচা নাইটিঙ্গেলকে আটকে রেখেছিল যাতে সে ন্যান্সিকে বিয়ে করতে না পারে। হঠাৎ করে নাইটিঙ্গেলের চাচার একটা ঝামেলা এসে পড়ে এই সুযোগে নাইটিঙ্গেল সেখান থেকে পালায় আর টমের কাছে এসে বলে সে এখন ন্যান্সিকে বিয়ে করতে রাজি। এরপর ন্যান্সি ও নাইটিঙ্গেলের বিয়ে হয়ে যায়। সোফিয়া লন্ডন ছেড়ে চলে যাওয়াতে টমের ভাল লাগছিল না আর সে এখন লেডি বেলাষ্টোনের সাথে সম্পর্কটাও রাখতে চায় না। কিন্তু সে জানেনা কিভাবে লেডি বেলাষ্টোনের থেকে মুক্তি পাবে তাই সে নাইটিঙ্গেলের সাহায্য নেয়।
নাইটিঙ্গেল, টমকে বলে একটা চিঠি লিখতে তাতে লেখা থাকবে যদি লেডি বেলাষ্টোন, টমকে বিয়ে করতে রাজি হয় তাহলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকবে তা না হলে টম আর সম্পর্কটাকে দীর্ঘ করতে চায় না। আসলে লেডি বেলাষ্টোন ছিল শরীরের পাগল তার কাছে বিয়ের কোন মানে ছিল না তাই সে টমের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। টম ও লেডি বেলাষ্টোনের সম্পর্ক ওখানেই শেষ হয়ে যায়। একদিন প্যাট্রিজ এসে টমকে বলে সোফিয়ারা লন্ডন ছেড়ে যায়নি। বর্তমানে তারা পিকাডেলী সার্কাসের একটা বাসায় থাকে। টম বিলম্ব না করে সোফিয়াকে একটি চিঠি লিখল আর প্যাট্রিজকে বলল এটা যে কোন মূল্যে যেন সেফিয়াকে দিয়ে দেয়। প্যাট্রিজ, ব্লাক জর্জের কাছে গিয়ে চিঠিটা দেয় আর বলে এটা সোফিয়াকে দিতে। এজন্য অবশ্য ব্লাক জর্জকে ঘুষ দিতে হয়েছিল।
ষোড়শ পর্ব:
স্কয়ার ওয়েস্টার্ন সোফিয়াকে বাসায় বন্দি করে রেখেছেন আর বার বার প্রেসার দিচ্ছেন সেফিয়াকে, ব্লিফিলকে বিয়ে করার জন্য। ওদিকে লর্ড ফেলামারও সোফিয়ার আশা ছাড়েননি। এরপর ব্লাক জর্জ সোফিয়ার কাছে টমের দেয়া চিঠি পৌঁছে দেয়৷ চিঠিটা পড়ে সোফিয়ার মন টমের জন্য আমার কেঁদে উঠে। সে প্রতিজ্ঞা করে টমকে ছাড়া আর কাউকেই সে বিয়ে করবে না। এরপর মিষ্টার ওয়েস্টার্ন, রিফিলকে লন্ডনে আসতে বলে সোফিয়াকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু হঠাৎ মিষ্টার ওয়েস্টার্নের মত পালটে যায়। সে এখন লর্ড ফেলামারের সাথে সোফিয়াকে বিয়ে দিবে কারণ রিফিলের চেয়ে তার বেশী অর্থসম্পদ আছে। তারপর একদিন লেডি বেলাষ্টোন, মিসেস ওয়েস্টার্নকে একটা চিঠি দেখাল যেটা টম তাকে দিয়েছিল বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। আসলে লেডি বেলাষ্টোনের মতলব ছিল সোফিয়ার কাছে টমকে ছোট করা, তাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরানো। পরদিন বিকেল বেলা যথাসময়ে টম মিসেস ফিজপ্যাট্রিকের সাথে তার বাসাতে দেখা করতে গেল। মিসেস ফ্রিজ প্যাট্রিক টমকে বলল সে তাকে সব সর্বপ্রকার সাহায্য করবে। কিন্তু মিষ্টার ফিজপ্যাট্রিক টমকে মিসেস ফিজপ্যাট্রিকের বাসায় দেখে টমের নাকে বরাবর একটা ঘুষি দিল। দুজনের মধ্যে প্রচন্ড হাতাহাতি বেধে গেল। যুদ্ধ শেষে ফিজপ্যাট্রিক মারাত্মকভাবে আহত হল তাই টমকে জেলে নিয়ে যাওয়া হল।
সপ্তদশ পর্ব:
ব্লিফিলের সবসময় একটাই চিন্তা ছিল কি করে টমকে মিষ্টার অলওয়ার্দীর কাছে খারাপ প্রমাণ করা যায়। টম যে জেলে গিয়েছে এটা রিফিল জমিদার অলওয়ার্দী কাছে বলল। এটা শুনে জমিদার অলওয়ার্দী একটু খারাপই লাগলো। এদিকে মিষ্টার ওয়েস্টার্ন, জমিদার অলওয়ার্দীকে বলল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিফিল আর সোফিয়ার বিয়ে সম্পন্ন করতে। এজনঢ় তারা একটু শলাপরামর্শ করল। পরে তারা মিসেস ওয়েস্টার্নকে পাঠাল সোফিয়াকে রাজি করানোর জন্য। মিসেস ওয়েস্টার্ন সোফিয়াকে গিয়ে অনেক অনুরোধ করল কিন্তু সোফিয়া কিছুতেই রাজি হল না। তারপর সে বলল যদি রিফিলকো পছন্দ না হয় তাহলে লর্ড ফেলামারকে কেন সে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তখন সোফিয়া মিসেস ওয়েস্টার্নের কাছে লর্ড ফেলামারের, সেফিয়াকে ধর্ষনের প্রচেষ্টার কথা খুলে বলল। তখন মিসেস ওয়েস্টার্ন বুঝতে পারল লর্ড ফেলামার বা রিফিল এদের কাউকেই বিয়ে করতে সোফিয়া রাজি হবে না। এদিকে টম জেলে বসে সেফিয়াকে একটা চিঠি লিখেছে। টম তাতে সেফিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু সোফিয়ার মন তাতে টলে নি। আজ টমের ফাঁসির দিন তাই জমিদার অলওয়ার্দীর অনেক খারাপ লাগছে। মিসেস ওয়েস্টার্ন ও লেডি বেলাষ্টোন বুদ্ধি করে লর্ড ফেলামারকে আবার পাঠাল সোফিয়ার কাছে। কিন্তু সোফিয়া এবারও লর্ড ফেলামারকে প্রত্যাখ্যান করল তখন মিসেস ওয়েস্টার্নের একধরনের রাগ অনুভূত হল সোফিয়ার প্রতি। হঠাৎই একটা সুসংবাদ এল যে মিষ্টার ফিজপ্যাট্রিক কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন আর তিনি এও স্বীকার করেছেন যে টমের কোন দোষ ছিল না।
অষ্টাদশ পর্ব:
এটা শুনে টমের প্রচন্ড আনন্দ হচ্ছিল কারণ কিছুক্ষনের মধ্যেই সে ছাড়া পেয়ে যাবে। কিন্তু প্যাট্রিজ এসে টমকে এমন একটা খবর দিল যা শুনে টমের বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছাই ছিল না। সে বলল টম আপটন হোটেলে (মানে মিসেস ওয়েটার্স)যার সাথে এক রাত কাটিয়েছে তিনি টমের জন্মধাত্রী মা। এটা শুনে টম মুষড়ে পড়ল। মিসেস মিলার যখন জমিদার অলওয়ার্দীর সাথে টমকে নিয়ে কথা বলতেছিল তখন ডাকপিয়ন মিষ্টার স্কয়ারের(টমের শিক্ষক) একটা চিঠি নিয়ে আসল। সে তাতে লিখল টম একটা ভাল ছেলে সে জমিদার অলওয়ার্দীকে অনেক ভালবাসে। যখন সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তখন টমৎ তাকে বাচিয়ে তুলেছিল কিন্তু রিফিল তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে। এসব জেনে জমিদার অলওয়াড়দী টমের উপর আবার দুর্বল হয়ে পড়লেন৷ সে তখনই টমের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলেন। কিছুক্ষনের মধ্যে মিসেস ওয়াটার্স সেখানে আসলেন। মিসেস ওয়াটার্সের আগের নাম জেনী জোনস যাকে টমের মা ভাবা হয়েছিল এবং তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তখন সে এসে কে টমের মা তা সবাইকে খুলে বলল। সে বলল টমের মা হচ্ছেন মিসেস ব্রিগেড। সে আরো বলল মিসেস ব্রিগেড তাকে কিছু টাকা দিয়েছিল আর এটা বলতে নিষেধ করেছিল ও তাকে (মিসেস ওয়াটার্সকে) টমের মা বলে পরিচয় দিতে বলেছিল। তখন সবাই জিজ্ঞেস করল তাহলে টমের বাবা কে? উত্তরে মিসেস ওয়াটার্স বলল এক সময় জমিদার অলওয়ার্দীর বাড়িতে একজন শিক্ষক থাকতেন মিষ্টার সামার নামের। সেই হচ্ছেন টমের আসল পিতা। তিনি আর মিসেস ব্রিগেড গোপনে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি গুটি বসন্তে মারা গিয়েছিলেন। তখন সবাই আসল ঘটনা বুঝতে পারলেন। আর মিষ্টার ডাউলিং নামের এক ভদ্রলোক সে বলল মিসেস ব্রিগেড মারা যাবার আগে তার কাছে বলে গিয়েছে টম তার(মিসেস ব্রিগেডের) ছেলে। কিন্তু রিফিল এটা জমিদার অলওয়ার্দীকে জানাতে নিষেধ করেছে। তখন সবাই বুঝতে পারল আসল নিমকহারাম হচ্ছে রিফিল। তার চক্রান্তেই আজ টমের এই অবস্থা। এর মধ্যে মিষ্টার ফিজপ্যাট্রিক আদালতে স্বীকার করেছে যে টমের কোন দোষ ছিল না তাই আদালত টমকে স্বসম্মানে মুক্তি দিয়েছে। কয়েকদিন পর টমকে সোফিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। টম সোফিয়ার কাছে ক্ষমা চাইলে সোফিয়া বলল:- তুমি কি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য? টম বলল সে শুধু তার অপরাধ স্বীকার করতে এসেছে। তারপর কথা বলতে বলতে দুজনের আবার সম্পর্ক হয়। টম সেফিয়াকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে থাকে। পরে ধর্মীয় বিধিবিধান মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। এদিকে ব্লিফিল শহর ছেড়ে পালিয়েছে। টম তাকে খুঁজে বের করে তাকে নিজ ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে। রিফিলও তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে টমের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। টম ও সোফিয়া দুটো বাচ্চা হয়। বড়টা মেয়ে ও ছোটোটি ছেলে।
উপন্যাসটি এখানেই শেষ হয়। অনেক বড় উপন্যাস তাই হয়তো সবটা ভালভাবে বুঝাতে পারিনি। যতটা পেরেছি চেষ্টা করেছি।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Restoration and 18th Century Fiction, All Summary
Robinson Crusoe
Character list:
Robinson Crusoe:- The novel's protagonist and narrator. Crusoe begins the novel as a young middle-class man in York in search of a career. He father recommends the law, but Crusoe yearns for a life at sea, and his subsequent rebellion and decision to become a merchant is the starting point for the whole adventure that follows.
Friday:- A twenty-six-year-old Caribbean native and cannibal who converts to Protestantism under Crusoe's tutelage. Friday becomes Crusoe's servant after Crusoe saves his life when Friday is about to be eaten by other cannibals.
Xury:- A nonwhite (Arab or black) slave boy only briefly introduced during the period of Crusoe's enslavement in Sallee.
The Portuguese captain:- The sea captain who picks up Crusoe and the slave boy Xury from their boat after they escape from their Moorish captors and float down the African coast. The Portuguese captain takes Crusoe to Brazil and thus inaugurates Crusoe's new life as plantation owner.
The Spaniard:- One of the men from the Spanish ship that is wrecked off Crusoe's island, and whose crew is rescued by the cannibals and taken to a neighboring island.
Themes:
(a) Sin, Crime and Punishment;
(b) Self- awareness;
(c) Christianity;
(d) Society, Individuality, and Isolation;
(e) Ambition;
বাংলা সামারী:
রবিনসন ক্রুসো, ড্যানিয়েল ডিফোর অ্যাডভেঞ্চারাস টেইল। রবিনসন ক্রুসো ইয়র্ক শহরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। ওর বাবা চেয়েছিল ও আইন নিয়ে পড়ুক কিন্তু ছোট থেকে রবিনসনের মাথায় ছিল জাহাজে করে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর ফন্দি। তাই বাবা-মার নিষেধ সত্ত্বেও সে বেশ কিছু পাউন্ড নিয়ে বেরিয়ে পরলো লন্ডনের উদ্দেশ্যে। ইউরোপ থেকে লন্ডনে আসার জন্য জাহাজ উঠল কিন্তু জাহাজটি ইয়ারমাউথ নামক স্থানে ডুবে গেল। ভাগ্য ভালো ছিলো যে অন্য একটি জাহাজ ওদের জাহাজের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। ওদের দুরাবস্থা ওরা রবিনসনদের ওদের লাইফবোটে তুলে নিল। যা ছিলো তা দিয়ে শেষ পর্যন্ত রবিনসন লন্ডনে এসে পৌঁছালো। লন্ডনে আসার কদিন পরে জাহাজ মালিকের সঙ্গে পরিচয় হয় রবিনসনের। ভদ্রলোক জাহাজে প্রায়ই বিভিন্ন দেশে বিদেশে যাতায়াত করেন। ভদ্রলোক রবিনসনকে প্রস্তাব করলো তাঁর সাথে ব্যবসা করার জন্য। প্রথমবার বেশকিছু উপার্জন হলো রবিনসনের কিন্তু দুর্ভোগ নেমে আসলো পরেরযাত্রাতে। গিনি থেকে বাণিজ্য করে ফিরে আসার পথে জলদস্যুদের কবলে পড়ে রবিনসনসহ তাঁর সঙ্গীসাথীরা। দস্যুরা সবাইকে ধরে ক্রীতদাস রূপে বিক্রি করে দেয়। ভাগ্য ভাল ছিল যে যার কাছে রবিনসনকে বিক্রি করা হয়েছিল সে খুব
ভালো ছিলো। তাঁর ছিলো মাছ ধরার নেশা। একদিন রবিনসনের মনিব রবিনসন ও একটা একটা মুর ছেলেকে পাঠালো মাছ ধরতে। ছেলেটির নাম জুরি। রবিনসন অনেকদিন ধরেই পালাবার সুযোগ খুঁজতেছিল। সুযোগ পেয়ে সে ছেলেটিকে পানিতে ফেলে দিল আর ভয় দেখালো যে ফিরে না গেলে রবিনসন তাঁকে গুলি করে মারবে। কিন্তু সেই ছেলেটি ভয় না পেয়ে বরঞ্চ রবিনসনকে সাহায্য করতে রাজী হল। তখন রবিনসন ছেলেটিকে নৌকায় তুলে নিল আর সামনের দিকে নৌকা বেয়ে এগুতে লাগলো। এভাবে দুইদিন কেটে গেল। তারপর তাঁরা দেখল একটি জাহাজ তাঁদের দিকেই আসছে। জাহাজিদের কাছে সব খুলে বললে জাহাজিরা ওদেরকে জাহাজে তুলে নিল এ রবিনসনকে ব্রাজিলের একটি বন্দরে নামিয়ে দিল আর সেই ছেলেটিকে মানে জুরিকে জাহাজি নিজের জন্য রেখে দিল। ব্রাজিলে গিয়ে রবিনসন কিছু জমি কিনল আর আখের চাষ শুরু করলো। কিছুদিনের মধ্যেই বেশকিছু টাকাপয়সা জমিয়ে ফেলল তখন আবার পুরনো সেই নেশা পেয়ে বসলো। স্থানীয় এক জাহাজির সাথে আবার রওয়ানা দিল অজানা সমুদ্রে। প্রথমে কয়েকদিন বেশ ভালই যাচ্ছিল রবিনসনদের। কিন্তু একদিন সমুদ্রে ভীষণ ঝড় আরম্ভ হল। ঝড়ের প্রচন্ড দাপটে তাঁদের জাহাজটা আটকে গেল তাই জীবন বাঁচাতে তাঁরা সবাই একটি ছোট নৌকায় করে তীরের দিকে রওয়ানা হলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সমুদ্র ঢেউ এসে তাদের নৌকাটা উল্টো করে ডুবিয়ে দিলো । ওরা নৌকাতে মোট এগারোজন ছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ঐ এগারজনের মধ্যে শুধু রবিনসন একাই বেঁচেছিল। সাঁতরে সাঁতরে অর্ধমৃত অবস্থায় রবিনসন একটা তীরে পৌঁছালো। সে রাতটা রবিনসন একটি গাছের উপরেই কাটিয়ে দিল। পরের দিন ঘুম ভাঙতেই দেখল আকাশ পরিষ্কার এবং ঝড়ের তোপে তাঁদের জাহাজটা প্রায় ডাঙ্গা পর্যন্ত চলে এসেছে। তখন ক্রুসো জাহাজে ফিরে গেল এবং কিছু খেয়ে যা-কিছু পারল জাহাজ থেকে তীরে নামিয়ে আনল এবং থাকার জন্য একটি মাচা তৈরি করল। তারপর বন্দুক নিয়ে এসে বেরিয়ে পড়ল দ্বীপটাকে দেখার জন্য এবং খাবার খুঁজতে। অবশ্য একটু একটু করে রবিনসন সব জিনিসই নামিয়ে এনেছিল জাহাজ থেকে। যদি না এর মধ্যে ঝড়ে জাহাজটা অদৃশ্য হয়ে যেত তাহলে হয়তো রবিনসন পুরো জাহাজটাই একটু একটু করে নিয়ে আসত। এরপর ক্রুসো ভাবলো জাহাজ থেকে আনীত জিনিসগুলো একটা নিরাপদ জায়গায় রাখা উচিত তাই সে একটি আবাসস্থল বানানোর কাজে লেগে পড়ল। ক্রুসো একটি সমতল জায়গা আবিষ্কার করল এবং সেখানে থাকবার মতো একটি ছাউনি তৈরি করল। এরপর সমস্যা দেখা দিলো আসবাবপত্রের। তখন ক্রুসো বন থেকে কাঠ জোগাড় করে চেয়ার, টেবিল ও অনান্য নিত্য প্রয়োজনীয় যা যা লাগে তা বানালো। সেই সাথে ক্রুসো জাহাজ থেকে আনা এক টুকরো লোহা দিয়ে বানালো কোদাল ও এক ধরনের শক্ত গাছ দিয়ে তৈরি করল একটি কুড়াল। সে নিজের বাসস্থানকেও ততদিনে বেশ পাকাপোক্ত করে নিয়েছে। বর্ষা থেকে বাঁচার জন্য সে অলটারনেটিভ একটি বাড়িও তৈরি করেছে। জাতে বন্যপ্ৰাণী প্ৰবেশ করতে না পারে সেজন্য ক্রুসো সবসময় মই দিয়ে যাতায়াত করতো। ক্রুসো জঙ্গলে থাকলে কি হবে সে গাছ খুঁড়ে প্রতিদিন কি করছে না না করছে তামলিখে রাখতো। আর তাঁর মধ্যে ঈশ্বর চিন্তাও দেকা দিল। সে প্রতিদিন বাইবেল পড়া আরম্ভ করলো। ক্রুসো একদিন জিনিসপত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় কয়েকটি থলের মধ্যে বেশ কিছু তুঁষ জাতীয় জিনিস দেখতে পেল সে গুলোকে মাটিতে ফেলে দিলো এবং বেশ কিছুদিন পর দেখল সেখান থেকে ছোট ছোট অঙ্কুর বের হয়ে আসছে। অঙ্কুরগুলো একটু বড় হলে ক্রুসো বুঝতে পারলো ওগুলো ধান ও যব গাছের অঙ্কুর। চারাগুলো বড় হলে ক্রুসো আরো বেশ কিছু জায়গা কোদাল দিয়ে তৈরি করে সেখানে রোপন করে দিল। কিছুদিনের মধ্যেই ওই জমি থেকে বেশকিছু যব এবং ধান পেল। এবার ক্রুসো চিন্তা হলো ওগুলো মাড়াই করবে কীভাবে এবং যব থেকে রুটি তৈরি করবে কিভাবে? তাই ক্রুসো শক্ত কাঠ দিয়ে তৈরি করল যাতা এবং রুটি ছ্যাকার জন্য মাটি দিয়ে তৈরি করলো তাওয়া। এবার সমস্যা দেখা দিল পোশাকের। জঙ্গল থেকে ক্রুসো ছাগল শিকার করে আনত এবং সেই চামড়াগুলো শুকাতে দিয়ে সেগুলো দিয়ে তৈরি করলো পোশাক। এভাবে অনেকদিন কেটে গেল। এরমধ্যে ক্রুসো বন থেকে পশু পাখি যেমন বিড়াল, কুকুর এবং টিয়ে পাখি নিয়ে আসছিল আর সেগুলোকে পোষ মানিয়েছিলো৷ তাঁদের নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল। ক্রসোর। কিন্তু একদিন বেলাভূমিতে হাঁটার সময় ক্রুসো একটি পায়ের ছাপ দেখতে পেল এ হতবিহ্বল হয়ে গেল। কোথায়ও কোন জনমানুষের চিহ্নমাত্র নেই তাহলে এই পায়ের ছাপ আসলো কোথা থেকে? তখন ক্রুসোর মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করতে লাগল। তাই সে আবার নতুন করে দেয়াল দিয়ে তার বাড়ি আরো দুর্ভেদ্য করে তুলল। যাইহোক এভাবে করে প্রায় দুবছর কেটে গেল তারপর একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখল সাগরতীরে পাঁচটি নৌকা বাঁধা। আরেকটু ভালো করে বোঝার জন্য ক্রুসো একটা পাহাড়ের উপর উঠলো এবং দেখলো প্রায় জনা ত্রিশেক লোক আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে চারদিকে ঘিরে ঘিরে নাঁচছে এবং বীভৎস রকমের চিৎকার করছে। একটু পরেই ওরা দুজন লোককে ওদের সে নৌকা থেকে টানতে টানতে বালিতে নামিয়ে আনলো। একজনকে তো সাথে সাথেই মেরে ফেলল এবং অন্যজন একটু সুযোগ বুঝেই দৌড় দিল। তখন তিনজন নরখাদক লোকটার পিছে পিছে ছুটল তাকে ধরে আনতে। কিন্তু ক্রুসো দেখল ওদের মধ্যে থেকে একজন ফিরে যাচ্ছে এবং দুজন লোকটাকে ধাওয়া করছে। তখন তাকে বাঁচানোর ক্রসো জন্য এগিয়ে গেল এবং গুলি করে সেই লোকটিকে বাঁচাল। তারপর তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাবার খেতে দিল। আস্তে আস্তে সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকে তাঁর পরিচয় জানতে পারল আকারে ইঙ্গিতে। রবিনসন ওকে শুক্রবার কুড়িয়ে পেয়েছিল তাই ওর নাম দিল ফ্রাইডে। এতদিন রবিনসন একা ছিল এখন তার একজন দোসর হলো। রবিনসনকে খুব যত্ন করে আস্তে আস্তে কথা বলা শেখানো ঈশ্বরের সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্ম কথা শোনালো তাছাড়া তাঁর প্রতি ফ্রাইডের ভক্তি এবং ভালোবাসা দেখে সে মুগ্ধ হয়ে গেল। এভাবে প্রায় সাতাশ বছর কেটে গেছে পূর্বের মতো একদিন রবীননসন আবিষ্কার করল সমুদ্রের তীরে তিনখানা নৌকা বাঁধা এবং তাঁরা আগের মতোই কিছু লোককে বেঁধে রেখেছে আর আয়োজন করছে তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলার। রবিনসন, ফ্রাইডেকে নিয়ে তাঁদেরকে আক্রমণ করল এবং ওদেরকে উদ্ধার করল। দুজনের মধ্যে একজন ছিল ফ্রাইডের বাবা এবং আরেকজন ছিল স্পানিশ। আরো কিছুদিন পর একদিন ফ্রাইডে এসে রবিনসনকে বলল দূরে একটি জাহাজ দেখা যাচ্ছে। রবিনসন দেখল জাহাজিরা তিনজনকে ফেলে দ্বীপটা দেখবার জন্য বেরিয়েছে। তখন রবিনসন কৌশলে সেই তিনজনের থেকে কারণটা জেনে নিলো। তিনজনের একজন ছিলো জাহাজের ক্যাপ্টেন। সে জানালো জাহাজের খালাসিরা ষড়যন্ত্র করে তাঁদের বন্দী করেছে এবং এই নিঝুম দ্বীপে ফেলে জাহাজ নিয়ে পালাবে ওরা। তাড়াতাড়ি রবিনসন ও ফ্রাইডে ওদের বাঁধন খুলে দিলো এবং তিনজনকে আত্মরক্ষার তিনটি বন্দুক দিল। তারপর পাঁচজন মিলে যুদ্ধের মতো ওদের আক্রমণ করল সুতরাং তাঁদের যৌথ আক্রমণের কাছে খালাসিরা আত্মসমর্পণ করলো। তখন রবিনসন ক্রুসো তাঁদেরকে ঠিকমতো সবকিছু বুঝিয়ো দিয়ে দীর্ঘ আটাশ বছর পর ছুটে চলল দেশের দিকে এবং 35 বছর পর আবার দেশের মাটিতে পা রাখল।
English Summary:
Robinson Crusoe was an Englishman living at the town of York in the seventeenth century and the youngest son of a merchant of German origin. Robinson's father wanted Robinson to study law but was very fond of questing onto the sea. So, one day ignoring his parents' advice, Crusoe left home for seafaring. He embarked on a ship bound for London with a friend. He was involved in a series of violent storms at sea and was warned by the captain that he should not be a seafaring man. Crouse think it will be shameful to go home so he boarded another ship and returned from a successful trip to Africa. But for better success at his next voyage, he met with bad luck and was taken prisoner in Sallee. The bandits sold Crusoe to a buyer as a slave. One day while going to catch fish with a negro boy Xury Crusoe used this to his advantage and escaped. He was rescued by a Portuguese ship and started a new adventure. He landed in Brazil, and, after some time, he became the owner of a sugar plantation. But for better gaining Crusoe again plans to undertake to Africa in order to bring back a shipload of slaves. After surviving a storm, Crusoe and the others were shipwrecked. He was thrown upon shore only to discover that he was the sole survivor of the wreck. And almost in a deadly position Crusoe reached in a shore. He had spent this night on a tree. In the morning, Crusoe seeks shelter and food for himself. He returned to the wrecked ship to bring guns, powder, food, and other items. He brought as many things as possible from the wrecked ship. Being dispatched from the communication of human being, Crouse has made a spiritual bond to God put faith in His creations. To keep his sanity and to entertain himself, he began a journal. In the journal, he recorded every task that he performed each day. For the consequence of necessities, Crusoe became a skilled craftsman, able to construct many useful things, and thus furnished himself with diverse comforts. He also learned about farming. Crusoe begins to feel more optimistic about being on the island, describing himself as its "king." He has trained a pet parrot, took a goat as a pet, and develops skills in basket weaving, bread making, and pottery. He cut down an enormous cedar tree and builds a huge canoe from its trunk, but he discovered that he won't be able to move it to the sea. After building a smaller boat, he roamed around the island but nearly perishes when swept away by a powerful current. Already Crusoe had spent fifteen years in the lonely island. One day Crusoe while roaming on the seashore, Crusoe shocked to discover a man's footprint on the beach. He first assumed that the footprint is the devil's, then decides it must belong to one of the cannibals said to live in the region. Being terrified by this unexpected fears Crusoe was cautious for several years. Then one day Crusoe saw a ship in distress, and the next day he is able to see a ship wrecked on his coast. But unfortunately, there was nobody alive on the ship so Crusoe thought that everyone has already drowned on the sea. Soon afterward, Crusoe discovers that the shore has been strewn with human carnage, apparently the remains of a cannibal feast. Crusoe noticed that there were not less than thirty cannibals and they caught two persons for feasting. One of the victims is killed. Another one, waiting to be slaughtered, suddenly breaks free and runs toward Crusoe's dwelling. Crusoe protects him, killing one of the pursuers and injuring the other, whom the victim finally kills. As Crusoe found him on Friday so Crusoe has named him as Friday. Friday soon became Crusoe's humble and devoted slave. Finding Friday cheerful and intelligent, Crusoe teaches him some English words and some elementary Christian concepts. Crusoe and Friday made
plans to leave the island and, accordingly, they built another boat but their trip was postponed due to the return of the savages. This time it was necessary to attack the cannibals in order to save two prisoners since one was a white man. The white man was a Spaniard and the other was Friday's father. Later the four of them planned a voyage to the mainland to rescue sixteen companions of the Spaniard. First, however, they built up their food supply to assure enough food for the extra people. Crusoe and Friday agreed to wait on the island while the Spaniard and Friday's father brought back the other men. Eight days later, Friday noticed that an English ship was approaching towards the island. Friday and Crusoe noticed them and sew that eleven men take three captives onshore in a boat. Nine of the men explore the land, leaving two to guard the captives. Friday and Crusoe release the captives, one of whom is the captain of the ship, which has been taken in a mutiny. And after much scheming, regained control of the ship. The grateful captain gave Crusoe many gifts and requests Crusoe to go back to England with him. On December 19, 1686, Crusoe boards the ship to return to England. There, he finds his family is deceased except for two sisters. His widow friend has kept Crusoe's money safe, and after traveling to Lisbon, Crusoe learns from the Portuguese captain that his plantations in Brazil have been highly profitable. He arranges to sell his Brazilian lands. Later, Crusoe has made a bond of marriage but his wife dies early. Crusoe revisits his island, finding that the Spaniards are governing it well and that it has become a prosperous colony.
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Restoration and 18th Century Fiction, All Summary
Gulliver's Travels
বাংলা সামারী:
"গালিভার ট্র্যাভেলস" ইংরেজি সাহিত্যের একটি বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনী যা এক সার্জন লেমুয়েল গালিভারের বেশ কয়েকটি যাত্রা নিয়ে জড়িত ছিল। তিনি অনেকগুলি অজানা দ্বীপে বসবাস করছেন। সেখানকার বাসিন্দাদের অস্বাভাবিক শারীরিক গঠন, আচরণ ইত্যাদি নিয়ে পর্যবেক্ষন করেছেন। বিভিন্ন শাস্ত্রের পন্ডিত দেখেছেন এবং সবশেষে বহু কষ্টের মাধ্যমে নিজ দেশে ফিরেছেন।
1. প্রথম Voyage:- গালিভারের যাত্রা শুরু হয় এক প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে দিয়ে তখন জীবন বাচানোর জন্য গালিভার লিলিপুট দ্বীপে পৌঁছায়। যেখানে তিনি দেখতে পান যে তিনি লিলিপুটিয়ানদের দ্বারা বন্দী হয়েছেন। লিলিপুটরা খুব ছোট আকৃতির মানুষ - তাদের উচ্চতা প্রায় ছয় ইঞ্চি। দ্বীপের বাসিন্দারা Gulliver কে সমবেদনা জানায় এবং তার থাকার, খাওয়ার সমস্ত দায়িত্ব বহন করে সেখানকার রাজা আর পরিবর্তে Gulliver তাদের কিছু সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করেন। বিশেষ করে তাদের শত্রু রাজ্য ব্লেফাঙ্কুদের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব সমাধান করেন। Gulliver এর সামর্থ্য দেখে লিলিপুট রাজ্যের রাজা Gulliver কে বলে ব্লেফাস্কুড়িয়ানদের নিজেদের রাজ্যের সাথে যুক্ত করতে। কিন্তু গালিভার তাতে রাজি হয়না। তাই তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হয়। তাছাড়া গালিভার লিলিপুট রাজ্যের প্রাসাদে আগুন লাগলে সে প্রসাব করে সেই আগুন নিভিয়েছিলেন তাই রানীরও রোষ ছিল গালিভারের উপর। তাই সবাই মিলে গালিভারকে মারার ফন্দি করে শেষে গলিভার ব্লেফুস্কুতে পালিয়ে যান এবং সেখানে তিনি একটি বৃহৎ যুদ্ধ জাহাজকে নিজের ব্যবহারে রূপান্তরিত করেন এবং দেশের পানে রওয়ানা দেন। অবশেষে ইংরেজী বাণিজ্যিক জাহাজ দ্বারা সমুদ্রে উদ্ধার করেন এবং ইংল্যান্ডে তার বাড়িতে ফিরে যান।
2. দ্বিতীয় Voyage:- এই পর্বে গালিভার জাহাজের একজন সার্জন হিসাবে ভ্রমণ করেন। গলিভার একজন কৃষকের হাতে বন্দী হন। কৃষকটি তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় যেখানে গলিভারের অনেক আদর-যত্ন করা হয়। কৃষক তার মেয়ে গ্লামডালক্লিচকে গালিভারের রক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করে। আসলে ঐদেশের সবাই ছিল বিশালাকৃতির আর তাদের তুলনায় গালিভার ছিল অতি ক্ষুদ্র তাই কৃষকটি গালিভারকে গ্রামাঞ্চলে ভ্রমণে নিয়ে যায় এবং দর্শকদের কাছে প্রদর্শন করে অনেক টাকা উপার্জন করে। অবশেষে কৃষক গালিভারকে ঐ দেশের রানীর কাছে বিক্রি করে দেয়। গালিভার রাজার সাথে দেখা করেন এবং দুজনে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। দেশের প্রথা এবং আচরণ নিয়ে আলোচনায় অনেক সময় কাটায়। অনেক ক্ষেত্রে, রাজা গালিভারের কথা শুনে স্বার্থপরতার কারনে হতাশ হন। একদিন গালিভার পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু তার বাক্স একটি ঈগল দ্বারা ঠোঁটে করে নিয়ে ফেলে দেয় এবং অবশেষে সে সমুদ্রের মধ্যে পড়ে যায়। ভাগ্যবশত একটি জাহাজের নাবিকরা গলিভারকে উদ্ধার করে, অবশেষে সে ইংল্যান্ডে তার পরিবারের কাছে ফিরে যায়।
English Summary:
1. The book is written in the first person from the point of view of Lemuel Gulliver. Lemuel Gulliver is a married surgeon from Nottinghamshire, England, who has a taste for traveling. He visits remote regions of the world, and it describes four adventures. In the first one, Gulliver is the only survivor of a shipwreck. He washes up on the shores of Lilliput, an island populated by people only six inches tall. The Lilliputians keep Gulliver restrained with ropes and chains until he proves he can be trusted. The Lilliputians indulge in ridiculous customs and petty debates. Political affiliations are divided between men who wear high-heeled shoes (symbolic of the English Tories) and those who wear low ones (representing the English Whigs), and court positions are filled by those who are best at rope dancing. Gulliver is asked to help defend Lilliput against the empire of Blefuscu, with which Lilliput is at war over which end of an egg should be broken, this being a matter of religious doctrine. Gulliver captures Blefuscu's naval fleet. Although Gulliver is hailed as a hero in Lilliput, things turn sour when he becomes too friendly with the ambassadors who negotiate peace with Blefuscu, and when he puts out a fire in the emperor's palace by urinating on it.
In spite of the great service that Gulliver has done for the Lilliputians, he has two terrible enemies, who seem to be jealous of his strength and favor with the Emperor: the admiral Skyresh Bolgolam and the treasurer Flimnap. These two men conspire to influence the Emperor to have Gulliver executed. They serve Gulliver with a series of Articles of Impeachment, with the final sentence that Gulliver is going to be blinded. (The ministers also decide, in secret, that they are going to starve Gulliver to save money on the enormous amount of food he eats.) Gulliver is informed of this plot against him by a friend at the Lilliputian court. He manages to escape to the island of Blefuscu and leaves behind both islands in a boat he finds by chance. He encounters an English ship and returns home to his family in England.
2. Gulliver does not stay at home for long and sets out on another journey that leaves him stranded in a land known as Brobdingnag, populated by giants who are about 60 feet tall. A farm worker finds Gulliver and delivers him to the farm owner. The farmer begins exhibiting Gulliver for money and the farmer's young daughter, Glumdalclitch, takes care of him. But soon the farmer works Gulliver nearly to death by putting him on display and making him perform for audiences all over the country. Fortunately, when the queen sees Gulliver, she offers to buy Gulliver from the farmer, who accepts her offer. The Queen keeps him like a kind of pet. She is amused, because he is so tiny and yet still manages to speak and act like a real person. She also takes the farmer's daughter, Gulliver's caretaker Glumdalclitch, into her service. Glumdalclitch looks after Gulliver and teaches him their language. While Gulliver lives at the palace, he is constantly in danger: bees the size of pigeons almost stab him, a puppy almost tramples him to death, a monkey mistakes
him for a baby monkey and tries to stuff him full of food. Gulliver lives for two harrowing years in the Brobdingnagian court, his tiny size putting him at the mercy of larger creatures at every turn. On an outing to the beach, a bird picks up Gulliver's carrying-box and drops it into the sea. Another English vessel finds the box afloat in the water, and the crew rescues Gulliver and help Gulliver to return his home again.
3. He only stays there for about two months, however, then he goes to sea again. Gulliver accepts a voyage to the East Indies. On Gulliver's third voyage he is set adrift by pirates and eventually ends up on the flying island of Laputa. The people of Laputa all have one eye pointing inward and the other upward. There he finds a race of men wholly concerned with theoretical matters and constantly absorbed in abstract thought. Though they are greatly concerned with mathematics and with music, they have no practical applications for their learning. Laputa is the home of the king of Balnibarbri, the continent below it. Although he is treated well, Gulliver grows bored and ventures to the land below Laputa, Balnibarbi. On Balnibarbi Gulliver learns how a little knowledge can be a dangerous thing, as he sees projectors, men who have been briefly educated in Laputa, attempt to improve life in their country through a series of absurd scientific theories and experiments. Gulliver grows frustrated and travels to the nearby island of Glubbdubdrib, where the governor uses his magical powers to allow Gulliver to converse with dead figures from history. Gulliver moves on to Luggnagg, where he learns that the potential cost of immortality is a lifetime of unending old age, and then returns to England by way of Japan and Holland.
4. In the extremely bitter fourth part Gulliver sails out as a captain in his own right, but his sailors quickly mutiny against him and maroon him on a distant island. This island is home to two kinds of creatures: (a) the beastly Yahoos, violent, lying, disgusting animals; and (b) the Houyhnhnms, who look like horses. Houyhnhnms, a race of intelligent horses who are cleaner and more rational, communal, and benevolent. The Houyhnhnms are very curious about Gulliver, who seems to be both a Yahoo and civilized, but, after Gulliver describes his country and its history to the master Houyhnhnm, the Houyhnhnm concludes that the people of England are not more reasonable than the Yahoos. The Houyhnhnms govern themselves with absolute reason. They do not even have words for human problems like disease, deception, or war. As for the Yahoos - they are human beings. They are just like Gulliver, except that Gulliver has learned to clip his nails, shave his face, and wear clothes. In Houyhnhnm Land, Gulliver finally realizes the true depths of human awfulness. He grows so used to the Houyhnhnm way of life that, when the Houyhnhnms finally tell him he must leave, he immediately faints. Gulliver obediently leaves the land of the Houyhnhnms, where he has been very happy, but he is so disgusted with human company that he nearly jumps off the Portuguese ship carrying home. Once Gulliver returns to his family, he feels physical revulsion at the thought that he had sex with a Yahoo female (his wife) and had three Yahoo children. He can barely be in the same room with them. We leave Gulliver slowly reconciling himself to being among humans again, but he is still really, really sad not to be with the Houyhnhnms. In fact, he spends at least four hours a day talking to his two stallions in their stable.
Lesson learned from Gulliver's Travels:- "The more we see of humans, the less we want to be one".
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------