Summary, Characters and Themes of As You Like It By William Shakespeare Bangla and English Summary

Mofizur Rahman
0

Summary, Characters and Themes of As You Like It By William Shakespeare Bangla ‍and English Summary

Honours 2nd Year
Subject: Introduction to Drama
As You Like It Written by William Shakespeare
Bangla summary & and English Summary

Summary, Characters and Themes of As You Like It By William Shakespeare,Love at first sight.Love in disguise,Romantic love,City life vs Country life,





{tocify} $title={Table of Contents}


As You Like It

Character lists:

Rosalind:

Rosalind is the daughter of Duke Senior. Rosalind, considered one of Shakespeare’s most delightful heroines, is independent minded, strong-willed, good-hearted, and terribly clever. She falls in love with Orlando. When she disguises herself as Ganymede. 

Orlando:

The youngest son of Sir Rowland de Bois(Boys) and younger brother of Oliver. Orlando is an attractive young man. He is a fitting hero for the play and, though he proves no match for her wit or poetry, the most obvious romantic match for Rosalind.

Duke Senior:

The father of Rosalind and the rightful ruler of the dukedom in which the play is set. Having been banished by his usurping(দখলদারি) brother, Frederick, Duke Senior now lives in exile in the Forest of Ardenne (Arden) with a number of loyal men, including Lord Amiens and Jaques. 

Celia:

The daughter of Duke Frederick and Rosalind’s dearest friend. She accompanies Rosalind while going in the Forest of Arden. 

Duke Frederick:

The brother of Duke Senior and usurper of his throne. Duke Frederick’s cruel nature and volatile temper are displayed when he banishes his niece, Rosalind, from court without reason. That Celia, his own daughter, cannot mitigate his unfounded anger demonstrates the intensity of the duke’s hatefulness. He later changes his ways, dedicating himself to a monastic life and returning the crown to his brother. 

Oliver:

The oldest son of Sir Rowland de Bois and sole inheritor of the de Bois estate. Oliver is a loveless young man who begrudges(ক্ষুব্ধ হওয়া) his brother, Orlando, a gentleman’s education. He admits to hating Orlando without cause or reason and goes to great lengths to ensure his brother’s downfall. 

Jaques:

A faithful lord who accompanies Duke Senior into exile in the Forest of Ardenne. Jaques is an example of a stock figure in Elizabethan comedy, the man possessed of a hopelessly melancholy disposition. 

Touchstone:

A clown in Duke Frederick’s court who accompanies Rosalind and Celia in their flight to Ardenne. Although Touchstone’s job, as fool, is to criticize the behavior and point out the folly of those around him.

Silvius:

A young, suffering shepherd, who is desperately in love with the disdainful Phoebe. Conforming to the model of Petrarchan love, Silvius prostrates himself before a woman who refuses to return his affections. In the end, however, he wins the object of his desire. 

Phoebe:

A young shepherdess, who disdains the affections of Silvius. She falls in love with Ganymede, who is really Rosalind in disguise, but Rosalind tricks Phoebe into marrying Silvius. 

Lord Amiens:

A faithful lord who accompanies Duke Senior into exile in the Forest of Ardenne. Lord Amiens is rather jolly and loves to sing.

Charles:

A professional wrestler in Duke Frederick’s court. He wanted to defeat  Orlando but has defeated by him.

Sir Rowland de Bois:

The father of Oliver and Orlando, friend of Duke Senior, and enemy of Duke Frederick. Upon Sir Rowland’s death, the vast majority of his estate was handed over to Oliver according to the custom of primogeniture  (পূর্বাধিকার). 

Audrey:

A simpleminded girl who agrees to marry Touchstone. 

William:

A young country boy who is in love with Audrey. 

Theme:

  1. Love at first sight.
  2. The malleability of the human experience and human nature.
  3. City life vs Country life.
  4. Romantic love.
  5. Love in disguise.

বাংলা সামারী, সারাংশ বা সারমর্ম (Bengali Summary)

সেকালের ফ্রান্স বিভক্ত ছিল একাধিক প্রদেশে (যেগুলিকে বলা হত ডিউক-শাসিত রাজ্য)। এমনই এক প্রদেশ শাসন করতেন জনৈক প্রবঞ্চক, যিনি তাঁর দাদা তথা রাজ্যের ন্যায়সঙ্গত শাসককে বলপূর্বক উচ্ছেদ করে মসনদ দখল করেছিলেন। স্বরাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে উক্ত ডিউক জনাকতক বিশ্বস্ত অনুচর নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন আর্ডেনের বনে। সহমর্মী স্বেচ্ছানির্বাসিত এই সব বন্ধুদের নিয়ে সেই বনেই বাস করছিলেন মহান ডিউক। আর তাঁদের জমি ও রাজস্বভাগ ভোগদখল করে ফুলে ফেঁপে উঠছিলেন সেই প্রবঞ্চক।

ধীরে ধীরে বনের সরল নিরুদ্বেগ জীবনযাত্রা রাজোচিত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানবহুল জীবনযাত্রার তুলনায় প্রিয়তর হয়ে উঠল তাঁদের কাছে। তাঁরা বসবাস করতে লাগলেন সেকালের ইংল্যান্ডের রবিন হুডের মতো। রোজই রাজসভার কোনো না কোনো সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি আসতেন বনে। নিরুদ্বেগে কাটিয়ে যেতেন কিছুটা সময়। তাঁদের কাছে সেই সময়টুকু মনে হত সুবর্ণযুগ। গ্রীষ্মে প্রকাণ্ড বুনো গাছের শীতল ছায়ায় শুয়ে থাকতেন তাঁরা। খেলা করতেন বুনো হরিণের সঙ্গে।

বনের এই অবলা হরিণগুলিকে তাঁরা এত ভালবাসতেন যে, খাদ্যের প্রয়োজনে এগুলিকে হত্যা করতে খুব কষ্ট হত তাঁদের। শীতের হিমেল বাতাস ডিউককে তাঁর দুর্ভাগ্যের কথা স্মরণ করিয়ে যেত। তিনি সহ্য করতেন। ধৈর্য ধরতেন। বলতেন, “এই যে হিমেল হাওয়া আমার শরীরে কাঁপন ধরাচ্ছে, এরাই আমার সত্যিকারের সভাসদ।

এরা চাটুকথা বলে না। সত্যি কথা বলে প্রতিনিয়ত আমাকে আমার প্রকৃত অবস্থাটা দেখিয়ে দেয়। এরা কামড় বসায় তীক্ষ্ণ দাঁতে। কিন্তু সে দাঁত এদের অকৃতজ্ঞের দাঁত নয়। মানুষ দুর্ভাগ্য চায় না। কিন্তু দুর্ভাগ্য মানুষকে কতই না অমূল্য সম্পদ দিয়ে যায়। অশুভের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে শুভ। যেমন গরল থেকেও পাওয়া যায় জীবনদায়ী ওষুধ, অমৃত।” সবকিছু থেকেই একটা না একটা নীতিবাক্য ঠিক টেনে বার করতেন ডিউক।

এই জনহীন বনের সব কিছুই তাঁর চোখে মঙ্গলময় ঠেকত। তাই তিনি গাছের মধ্যে খুঁজে পেতেন ভাষা, বহমান সোঁতার মধ্যে খুঁজে পেতেন পুথি, পাথরের মধ্যে দেখতেন উপদেশমালা আর সব কিছুর মধ্যে পেতেন পরম ভালকে। নির্বাসিত ডিউকের রোজালিন্ড নামে একটি মেয়ে ছিল। প্রবঞ্চক ডিউক ফ্রেডেরিক তার বাবাকে বিতাড়িত করলেও, রোজালিন্ডকে নিজের মেয়ে সেলিয়ার সঙ্গিনী হিসেবে রেখে দিয়েছিলেন। দুই বোন একে অপরকে খুব ভালবাসত। তাদের জন্মদাতাদের পারস্পরিক বিবাদ তাদের ভালবাসার বাঁধন আলগা করে দিতে পারেনি।

রোজালিন্ডের বাবাকে রাজ্যচ্যূত করে তাঁর প্রতি যে অবিচার করা হয়েছিল, সেই ক্ষত রোজালিন্ডের মন থেকে মুছে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করত সেলিয়া। বাবার নির্বাসন এবং এক মিথ্যা প্রবঞ্চকের দাক্ষিণ্যে জীবনধারণের গ্লানি রোজালিন্ডকে গ্রাস করলেই সেলিয়ে এগিয়ে আসত তাকে সান্ত্বনা দিতে। একদিন ডিউকের এক দূত এসে জানালো, মল্লযুদ্ধ দেখার ইচ্ছে থাকলে মেয়েরা যেন তক্ষুনি রাজপ্রাসাদ-লাগোয়া রাজসভায় চলে আসে; কারণ, একটি মল্লযুদ্ধের আসর বসতে চলেছে সেখানে। সেলিয়া ভাবল, সেখানে গেলে অন্তত রোজালিন্ড একটু আমোদ পাবে।

তাই সে রাজি হয়ে গেল। আজকাল মল্লযুদ্ধ মানে গেঁয়ো চাষাভুষোদের খেলা। কিন্তু সেকালে এই খেলা ছিল রাজসভার একটি প্রিয় অবসর বিনোদন। রাজকুমারী সহ অন্যান্য অভিজাত রমণীরা এই খেলা দেখতে আসতেন। সেলিয়া ও রোজালিন্ড গেলেন সেই মল্লযুদ্ধের আসরে। কিন্তু গিয়ে যা দেখলেন, তাতে তাদের বুক ফেটে গেল। আসরের একদিকে এক অভিজ্ঞ মল্লযোদ্ধা, যিনি কিনা তাঁর মতো বহু দক্ষ যোদ্ধাকে প্রতিযোগিতার আসরে নিকেশ করেছেন; আর অন্য দিকে তাঁর বিরুদ্ধে নামা একটি অত্যন্ত অল্পবয়সী যুবক। ছেলেটির বয়স ও অভিজ্ঞতা, দুইই এত অল্প ছিল যে সবাই ধরেই নিয়েছিল, এই আসরেই তার ভবলীলা সাঙ্গ হতে চলেছে।

মেয়ে সেলিয়া ও ভাইঝি রোজালিন্ডকে দেখে ডিউক বললেন, “এই যে, আমার মায়েরাও গুটিগুটি পায়ে মল্লযুদ্ধ দেখতে এসেছো দেখছি। তবে আজকের খেলা তোমাদের ততটা ভাল লাগবে না। ঠিক সমকক্ষ যোদ্ধাদের মধ্যে তো আর যুদ্ধ হচ্ছে না। ছেলেটাকে দেখে দয়া হচ্ছে আমার। ওকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে আসর থেকে সরিয়ে আনতে পারলেই মঙ্গল হয়। তা মায়েরা, তোমরা একবার ওর সঙ্গে কথা বলে দ্যাখো না, যদি ওকে বোঝাতে পারো।” 

কাজটি সৎ। তাই ওদের বেশ মনে ধরল। প্রথমে সেলিয়া এসে তরুণ আগন্তুকটির সঙ্গে কথা বলল। অনুরোধ করল প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াতে। তারপর রোজালিন্ড এসে মিষ্টি কথায় তাকে বুঝিয়ে বলল এই প্রতিযোগিতা কেন তার পক্ষে বিপজ্জনক। কিন্তু সেই মিষ্টি কথার ফল হল উল্টো। যুবক তার সংকল্প তো ত্যাগ করলই না, বরং সুন্দরীদের সামনে নিজের শৌর্যপ্রদর্শনের একটা অদম্য ইচ্ছে চেপে বসল তার মনে। সে সবিনয়ে সেলিয়া ও রোজালিন্ডের অনুরোধ ফিরিয়ে দিল।

মেয়েরা তো মহাশঙ্কিত হয়ে উঠল। শেষে যুবক বলল, “আপনাদের মতো সুন্দরীদের অনুরোধ ফিরিয়ে দিতে আমার খুবই খারাপ লাগছে। আপনাদের শুভেচ্ছা দৃষ্টি এই প্রতিযোগিতায় আমার সহায়ক হোক। পরাজিত হলে জানবেন, আমি মহৎ কেউ ছিলাম না। আমার মৃত্যু হলে জানবেন, এক মৃত্যুপিপাসীর মৃত্যু হয়েছে। তাতে কারো কোনো ক্ষতি হবে না। আমার জন্য কাঁদার কেউ নেই। আমার জন্য জগতের কিছুই আটকাবে না। জগতে আমার কিছুই নেই। বরং যে জায়গাটুকু আমি দখল করে আছি, সেটুকু খালি হয়ে গেলে, সেখানে যোগ্যতর কেউ আসতে পারবে।

এক নির্বান্ধব পরিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ছেলেটি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে চাইছিল দেখে ছেলেটির প্রতি সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছিল রোজালিন্ডের। সে দেখল, ছেলেটি তো তারই মতো হতভাগ্য। রোজালিন্ডের দয়া হচ্ছিল ছেলেটির প্রতি। খেলার কঠিন মুহুর্তগুলির প্রতি তার একনিষ্ট মনযোগই বলে দিচ্ছিল, সে সেই মুহুর্তেই ছেলেটির প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। দুই সুন্দরী অভিজাত রমণীর দয়া দেখে আগন্তুক যুবকের সাহস ও শক্তি দুইই বেড়ে গিয়েছিল। সে বিস্ময় সাধন করে প্রতিযোগীকে সম্পূর্ণ পরাভূত করল। লোকটার নড়াচড়া করার তো দূরের কথা, কথা বলারও ক্ষমতা রইল না।

ডিউক ফ্রেডেরিক তরুণ আগন্তুকের সাহস ও দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হলেন। ছেলেটিকে নিজের তত্ত্বাবধানে রাখার মানসে তার নাম ও পিতৃপরিচয় জানতে চাইলেন। আগন্তুক জানালো যে, সে স্যার রোল্যান্ড ডে বয়েজের ছোটো ছেলে অর্ল্যান্ডো। অর্ল্যান্ডোর বাবা স্যার রোল্যান্ড ডে বয়েজ বছর কয়েক আগেই মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু বেঁচে থাকতে তিনি ছিলেন নির্বাসিত ডিউকের এক অনুগত প্রজা ও বিশ্বস্ত বন্ধু। অর্ল্যান্ডো তার নির্বাসিত দাদার বন্ধুপুত্র জানা ফ্রেডেরিকের মন গেল বিষিয়ে। একরাশ বিরক্তি নিয়ে তিনি বেরিয়ে গেলেন। দাদার বন্ধুদের নামও শুনতে চাইতেন না তিনি।

ছেলেটির বীরত্ব তাঁকে মুগ্ধ করেছিল বলে তিনি শুধু এইটুকু বলে গেলেন, অর্ল্যান্ডো অন্য কারোর ছেলে হলে তাঁর ভাল লাগত। রোজালিন্ড কিন্তু তার বাবার পুরনো বন্ধুর ছেলেকে দেখে খুব খুশি হল। সে সেলিয়াকে বলল, “আমার বাবা স্যার রোল্যান্ড ডে বয়েজকে খুব ভালবাসতেন। যদি আগে জানতাম যে, এই যুবক তাঁর ছেলে, তাহলে চোখের জলে তাঁকে স্বাগত জানাতুম।” 

দুই বোন তখন গেল যুবকের কাছে। ডিউকের হঠাৎ-অসন্তোষে ছেলেটি কিঞ্চিৎ হতভম্ব হয়ে পড়েছিল। দু’বোনে মিলে নরম কথায় তাকে উৎসাহিত করল। চলে আসার সময় আর একবার ফিরে এসে রোজালিন্ড তার বাবার মৃত বন্ধুর ছেলের সঙ্গে দু’টো ভদ্রতার কথা বলল। নিজের গলার হার খুলে সে বলল, “মহাশয়, আমার এই উপহার গ্রহণ করুন। আমার এই হতভাগ্য দশা না হলে, আপনাকে আরও মূল্যবান কিছু উপহার দিতাম।” অন্তঃপুরে নিভৃত আলাপের সময় রোজালিন্ড ঘুরে ফিরে শুধু অর্ল্যান্ডোর কথাই বলতে লাগল।

সেলিয়া বুঝতে পারল, তার বোন সুদর্শন তরুণ মল্লযোদ্ধাটির প্রেমে পড়েছে। সে রোজালিন্ডকে বলল, “এও কী সম্ভব? এত সহজে তুই ওর প্রেমে পড়ে গেলি?” রোজালিন্ড বলল, “ডিউক, মানে আমার বাবা, ওঁর বাবাকে খুব ভালবাসতেন কিনা!” সেলিয়া বলল, “তোর বাবা ওর বাবাকে ভালবাসতেন বলেই তুই ওর প্রেমে পড়ে গেলি। আমার বাবা তো ওর বাবাকে অপছন্দ করতেন।

কই, আমার তো ওকে খারাপ লাগেনি!” এদিকে রোল্যান্ড ডে বয়েজের ছেলেকে দেখে ফ্রেডেরিক উঠলেন খেপে। তাঁর মনে পড়ে গেল, অভিজাত রাজপুরুষদের মধ্যে অনেকেই নির্বাসিত ডিউকের বন্ধু ছিলেন। ভাইঝির প্রতিও হঠাৎ তাঁর রাগ হতে লাগল। কারণ, সবাই ওর গুণের প্রশংসা করত আর ওর বাবার দুর্ভাগ্যের জন্য ওর প্রতি সহানুভূতি দেখাত। সেলিয়া আর রোজালিন্ড অর্ল্যান্ডোকে নিয়ে কথা বলছে, এমন সময় ফ্রেডেরিক সেই ঘরে এসে হাজির হলেন। 

দৃষ্টিতে আগুন ছিটিয়ে ফ্রেডেরিক রোজালিন্ডকে প্রাসাদ ছেড়ে নির্বাসিত বাবার কাছে চলে যেতেআদেশ করলেন। সেলিয়া বাবাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করল। কিন্তু তার কথায় কান না দিয়ে ফ্রেডেরিক বললেন, রোজালিন্ডের মতো মেয়ের সঙ্গে তার থাকা উচিত নয়। সেলিয়া বলল, “তেমন হলে ওকে রেখে দেওয়ার কথা আদৌ তুলতাম না। আগে ছোটো ছিলাম। তাই ও কেমন মেয়ে বুঝতাম না। কিন্তু আজ এত দিন ধরে একসঙ্গে খেয়ে, ঘুমিয়ে, খেলে, লেখাপড়া করে আমি ও আসলে কেমন মেয়ে তা বুঝতে পারি। ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না।

ফ্রেডেরিক বললেন, “তুই বোকার মতো ওর সালিশি করছিস। ওর রূপ, ওর ওই চুপ করে থাকা, ওর ধৈর্য দেখে লোকেরা ওর প্রতি সহানুভূতি দেখায়। ও চলে গেলে তোকে রূপে গুণে আরও মহীয়সী মনে হবে। তাই ওর হয়ে কথা বলিস না। জেনে রাখিস, আমার আদেশের নড়চড় হবে না।” রোজালিন্ডকে কাছে রেখে দেওয়ার জন্য বাবার কাছে সেলিয়ার সব আবেদনই নিষ্ফল হয়ে গেল। তখন সে নিজে রোজালিন্ডের পাশে দাঁড়াল। সেই রাতেই বাবার প্রাসাদ থেকে পালিয়ে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আর্ডেনের বনে রোজালিন্ডের বাবাকে খুঁজতে যাওয়ার প্রস্তাব দিল।

যাত্রা শুরুর আগে সেলিয়ার মনে হল, দামি পোষাক পরে দুই অল্পবয়সী মেয়ের রাস্তায় চলা নিরাপদ হবে না। সে গ্রামের মেয়েদের পোষাক পরে বের হওয়ার কথা বলল। রোজালিন্ড বলল, সবচেয়ে ভাল হবে, যদি তাদের একজন পুরুষ সাজে। তাই ঠিক হল। রোজালিন্ড দীর্ঘকায়া। সে গ্রাম্য যুবকের ছদ্মবেশ নিল। সেলিয়া পরল গ্রাম্য মেয়ের পোষাক। দুইজনে সাজল ভাই-বোন। রোজালিন্ড হল গ্যানিমিড আর সেলিয়া হল এলিয়েনা। অনেক দূরের পথ আর্ডেনের বন।

ডিউক-রাজ্যের সীমানার বাইরে। তাই এই দীর্ঘপথের রাহাখরচ হিসেবে কিছু টাকাপয়সা ও ধনরত্নও সঙ্গে নিল তারা। তারপর রওনা হল বনের উদ্দেশ্যে। পুরুষবেশে লেডি রোজালিন্ড (বা যাঁকে এখন গ্যানিমিড বলাই ভাল) পুরুষালি দৃপ্ত ভঙ্গিমায় চলতে লাগল। সেলিয়া তার সত্যিকারের বন্ধু। বিশ্বস্ত বন্ধুত্বের প্রতিদানস্বরূপ সিলিয়া তার নতুন ভাইয়ের সঙ্গে এই কষ্টদায়ক যাত্রায় অংশ নিল। তার আচরণে লোকে মনে করল, এই ছেলেটি সত্যিই এলিয়েনা নামে এক সুকুমারী গ্রাম্য বালিকার দাদা কঠোর-হৃদয় গ্রাম্যযুবক গ্যানিমিড।

পথে তারা কয়েকটা আরামদায়ক সরাই আর ভাল থাকার জায়গা পেয়েছিল। কিন্তু আর্ডেনের বনে পৌঁছে তারা সেরকম কিছুই পেল না। গ্যানিমিড এতক্ষণ মজার মজার কথা বলে বোনের চিত্তবিনোদন করতে করতে আসছিল। এইবার খাবার আর আশ্রয়ের জন্য সেও কাতর হয়ে পড়ল। এলিয়েনার কাছে স্বীকার করল, পুরুষবেশ ফেলে মেয়েদের মতো চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে তার। এলিয়েনা বলল, ক্লান্তিতে তা পা অবশ হয়ে আসছে। মেয়েরা দুর্বল, তাই তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করা আর সান্ত্বনা দেওয়া পুরুষদেরই কাজ – এই কথা ভেবে পুরুষালি ভাব দেখিয়ে গ্যানিমিড বলল, “আয়, এলিয়েনা, বোন আমার।

আর একটুখানি। এই তো আমরা আর্ডেনের বনের কাছে এসেই পড়েছি।” কিন্তু কল্পিত পুরুষত্ব আর আরোপিত সাহস আর তার সঙ্গ দিল না। আর্ডেনের বনে তারা এসে পোঁছেছিল বটে। কিন্তু ডিউক এই বনের কোথায় আছেন তা তো আর তাদের জানা ছিল না। তারা ভাবল যে তারা বোধহয় পথ হারিয়েছে। খিদেয়, ক্লান্তিতে, অবসাদে হতোদ্যম ও মৃতপ্রায় হয়ে ঘাসের উপর বসে পড়ল। এমন সময় একটি গ্রাম্য লোক সেই খান দিয়ে যাচ্ছিল। তাকে দেখে গ্যানিমিড আর একবার পুরুষের ভাব করে গম্ভীরভাবে বলল, “রাখাল, এই নির্জন স্থানে আমাদের বিশ্রামস্থলের বড়ো প্রয়োজন। আমার এই ছোটো বোনটি যাত্রার ক্লান্তিতে আর ক্ষুধায় অবশ হয়ে আর চলতে পারছে না।

আমাদের এমন কোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারো, যেখানে আমরা দু’টি খেয়ে বিশ্রাম করতে পারব। তার বদলে যা চাও দেবো।” লোকটি বলল যে, সে রাখাল নয়, এক রাখালের পরিচারক মাত্র। তার প্রভুর বসতবাড়িখানা খুব শীঘ্রই বিক্রি করে দেওয়া হবে। তাই সেখানে থাকা-খাওয়ার খুব একটা সুরাহা হওয়া সম্ভব নয়। তবে চাইলে তারাই বাড়িটা কিনে নিতে পারে। থাকা-খাওয়ার একটা সুরাহার আশায় তাদের দেহে নতুন বলসঞ্চার হল। তারা লোকটির সঙ্গে চলে গেল। কিনে নিল সেই রাখালের বাড়ি ও তার ভেড়ার পাল। যে লোকটি তাদের রাখালের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল, তাকে তারা পরিচারক নিযুক্ত করল। এইভাবে ভাগ্যক্রমে তারা একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কুটির পেয়ে গেল। 

 খাওয়ার চিন্তাও আর রইল না। তারা ঠিক করল, যতক্ষণ না বনের মধ্যে কোথায় ডিউক আছেন তা জানতে পারে, ততক্ষণ তারা সেখানেই থাকবে। দীর্ঘযাত্রার ক্লান্তি দূর হল বিশ্রামে। ধীরে ধীরে তারা তাদের নতুন জীবনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ল। তারা রাখাল-রাখালিনীর ছদ্মবেশ নিলেও, নিজেদের সত্যিকারের রাখাল-রাখালিনীই ভাবতে লাগল। মাঝে মাঝে গ্যানিমিড অবাক হয়ে ভাবত, সে কিনা ছিল বাবার বন্ধুপুত্র বীর অর্ল্যান্ডোর প্রেমে পাগলিনী লেডি রোজালিন্ড। ভাবত, অর্ল্যান্ডো না জানি কত দূরে।

আসলে, তারা যত দীর্ঘপথই পেরিয়ে আসুক না কেন, বাস্তবে অর্ল্যান্ডো ছিল তাদের কাছেই, ওই আর্ডেনের বনেই। কিছুদিন পরেই তারা সেকথা জানতে পারে। কিন্তু এমন আশ্চর্য ঘটনা কিভাবে ঘটল, আগে সেটাই শোনো। মৃত্যুর সময় স্যার রোল্যান্ড শিশু অর্ল্যান্ডোর দেখাশোনার ভার দিয়ে যান তার বড়োদাদা অলিভারকে। ভাইকে লেখাপড়া শিখিয়ে তাঁদের প্রাচীন বংশের সুযোগ্য উত্তরসূরি করতে তুলতে বলে যান তিনি অলিভারকে। কিন্তু দাদা হিসেবে অলিভার ছিল নিতান্তই অযোগ্য। সে তার কর্তব্য পালন করেনি।

মৃত্যুশয্যায় শায়িত পিতার আদেশকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে ভাইকে স্কুলে না পাঠিয়ে বাড়িতেই চরম অবহেলার মধ্যে রেখে দেয় সে। তা সত্ত্বেও রক্তের সূত্রে প্রাপ্ত সহজাত গুণে অর্ল্যান্ডো অনেকাংশেই তার বাবার মতো হয়ে উঠেছিল। প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও তাকে মার্জিত রুচিসম্পন্ন যুবকই মনে হত। শিক্ষাবিহীন এই ভাইটির রুচিবোধ ও মার্জিত আচরণকে ঈর্ষা করতেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ভাইকে শেষ করে দিতে গেলেন। লোক লাগিয়ে ভাইকে পূর্বকথিত সেই বিখ্যাত বহুঘাতী মল্লযোদ্ধাকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান জানানোর জন্য উসকাতে লাগলেন। দাদার এহেন নিষ্ঠুরতাই অর্ল্যান্ডোকে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ করে তুলেছিল।

কিন্তু অলিভারের ষড়যন্ত্রে অর্ল্যান্ডোর কোনো ক্ষতিই হল না, বরং তার খ্যাতি আরও বেড়ে গেল; আর তাই দেখে অলিভারের ঈর্ষার সীমা রইল না। তিনি ঠিক করলেন, অর্ল্যান্ডোর ঘরে আগুন দিয়ে তাকে পুড়িয়েই মারবেন তিনি। কিন্তু তাঁর বাবার এক বুড়ো বিশ্বস্ত চাকর তাঁর এই সংকল্পের কথা শুনে ফেলল। স্যার রোল্যান্ডের সঙ্গে অর্ল্যান্ডোর অনেক মিল ছিল বলে সে অর্ল্যান্ডোকে খুব ভালবাসত। বুড়ো বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ল।

ডিউকের প্রাসাদ থেকে ফেরার পথে অর্ল্যান্ডোর সঙ্গে তার দেখা হয়ে গেল। তার নতুন মালিকের শয়তানি ফন্দির কথা স্মরণ করতেই সে বিহ্বল হয়ে পড়ল: “ওগো দাদাবাবু, মিষ্টি সোনা দাদাবাবু আমার, স্যার রোল্যান্ডের স্মৃতি তুমি। কেন তুমি এমন গুণের মানুষ? কেন তুমি এত সুন্দর, এত শক্তিশালী, এত সাহসী? কেন ওই মল্লযোদ্ধাকে আহ্বান করে হারাতে গেলে? তোমার খ্যাতির কথা যে তোমার আগেই বাড়ি পোঁছে গেছে।” অর্ল্যান্ডো এসব কথার অর্থ বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসা করল, কী হয়েছে।

বুড়ো তখন বলল, তার শয়তান দাদা লোকমুখে ডিউকের প্রাসাদে তার জয়ের খবর পেয়ে আরও ঈর্ষান্বিত হয়ে রাতে তার ঘরে আগুন লাগিয়ে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে। বুড়ো তাকে তক্ষুনি পালিয়ে যেতে বলল। অর্ল্যান্ডোর টাকাপয়সা কিছু নেই জেনে অ্যাডাম (সেই বুড়োর তা-ই নাম ছিল) তাকে নিজের গোপন টাকার থলিটা দিয়ে বলল, “তোমার বাবার কাছে কাজ করার সময় আমি অনেক কষ্টে এই পাঁচশো ক্রাউন সঞ্চয় করেছিলাম যাতে বুড়ো বয়সে যখন অথর্ব হয়ে পড়ব, তখন আমাকে অর্থাভাবে পড়তে না হয়।

এটা নাও। বুড়ো বয়সে আমাকে ঈশ্বরই দেখবেন। এতে যা সোনা আছে, তার সবটাই তোমাকে দিচ্ছি। আর আমাকে তোমার চাকর করে নাও। আমি বুড়ো হলেও, দরকারে-অদরকারে তোমার মতো জোয়ান ছেলের সেবা করতে পারব।” অর্ল্যান্ডো বলল, “বুড়োদাদা আমার, এই বয়সেও তুমি কত আমার কথা ভাব! তোমার মতো লোক তো একালে মেলে না। চলো আমরা একসঙ্গে যাই। তোমার এই ক্ষুদ্র সঞ্চয় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই, আমাদের দেখভালের একটা সুরাহা করে ফেলতে হবে।” তারপর বিশ্বাসী অ্যাডাম তার প্রিয় প্রভুপুত্র অর্ল্যান্ডোর সঙ্গে বেরিয়ে পড়ল এক অজানা ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে। 

তারাও এল আর্ডেনের বনে। সেখানে পৌঁছে গ্যানিমিড ও এলিয়েনার মতোই খাদ্যকষ্টে পড়তে হল তাদেরও। এদিক ওদিক ঘুরে জনবসতির খোঁজ করল। শেষে কিছুই দেখতে না পেয়ে ক্ষুধায় শ্রমে ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ল মাটিতে। অ্যাডাম বলল, “দাদাবাবু গো, আর যে চলতে পারি নে। খিদেয় মরে যাচ্ছি।” সে ধরেই নিল, তার আয়ু শেষ, এখানেই তার জন্য কবর খুঁড়তে হবে। তাই সে তার প্রভুকে শেষ বিদায় জানিয়ে দিল। অর্ল্যান্ডো তার বুড়ো চাকরের এমন অবস্থা দেখে তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে কতগুলি সুন্দর গাছের শীতল ছায়ায় এনে রাখল। বলল, “হতাশ হয়ো না, অ্যাডামদাদা, এখানে বসে একটু বিশ্রাম করো, এখনই মরার চিন্তা করতে হবে না।”

খাবারের খোঁজে বেরলো অর্ল্যান্ডো। হাজির হল ডিউকের আড্ডায়। ডিউক তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে সেখানে ঘাসের উপর সান্ধ্যভোজে বসেছিলেন। তাঁর মাথার উপর রাজছত্র ছিল না, ছিল মাত্র বিরাট কয়েকটি গাছের ছায়া। খিদের চোটে মরিয়া হয়ে অর্ল্যান্ডো তরবারির জোরে কেড়ে নিতে চাইল খাবার। বলল, “খবরদার, আর খাবে না। খাবারগুলো দিয়ে দাও আমাকে।” ডিউক তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, অবসাদ তাকে এমন সাহসী করে তুলেছে, নাকি সে ভদ্র ব্যবহার অপছন্দ করে বলে এমন করছে। তার উত্তরে অর্ল্যান্ডো বলল যে, সে খিদেয় মরে যাচ্ছে।

তখন ডিউক তাকেও ভোজসভায় আমন্ত্রণ জানালেন। এত ভদ্রভাবে তাঁকে কথা বলতে দেখে অর্ল্যান্ডো তরবারি খাপে রাখল। খাবার চেয়ে তার দুর্ব্যবহারের জন্য লজ্জায় মরে গেল। সে বলল, “অনুগ্রহ করে আমাকে ক্ষমা করুন। আমি ভেবেছিলাম, এখানে সবাই বন্য বর্বর। তাই আদেশের সুরে কথাটা বলেছিলাম। এই নেই-রাজ্যে বিষন্ন লতার আচ্ছাদনের তলায় বসে আপনারা যেই হন না কেন, সময় সম্পর্কে কী নির্লিপ্ত। হয়ত আপনাদের সুসময় ছিল কোনোদিন। আপনারা হয়ত সেইখানে ছিলেন, যেখানে গির্জায় ঘণ্টা বাজে, হয়ত কোনো বড়োমানুষের ভোজসভায় গিয়ে বসতেন, কোনোদিন হয়ত চোখের জল মুছেছেন, তাই জানেন দয়াপ্রার্থীকে দয়া করার প্রয়োজনীয়তা। 

তাই এখন মধুরভাষ্যে আপনি আমাকে সাদর অভ্যর্থনা জানালেন।” ডিউক উত্তর দিলেন, “ঠিকই বলেছ, আমাদের সুদিন ছিল কোনো এক সময়ে। আমরা এই বনজঙ্গলে থাকতাম না। থাকতাম নগরে-মহানগরে। সেখানে গির্জায় পবিত্র ঘণ্টাধ্বনি শোনা যেত। আমরা বড়োমানুষের ভোজসভায় বসতাম। চোখে আমাদের পবিত্র দয়া সঞ্জাত অশ্রু দেখা যেত, আমরা তাই মুছতাম। তাই এখানে এসে বসো। যা ইচ্ছা খাও।

ক্ষুধা নিবৃত্ত করো।” অর্ল্যান্ডো বলল, “আমার সঙ্গে একজন বৃদ্ধ আছেন। তিনি আমাকে ভালবেসে আমার সঙ্গে অনেক দূর অবধি এসেছেন। কিন্তু আর হাঁটতে পারছেন না। বয়স ও ক্ষুধার ভারে ভারাক্রান্ত তিনি। তাঁর ক্ষুধা নিবৃত্ত না করে আমি এক কণাও দাঁতে কাটতে পারি না।” ডিউক বললেন, “যাও, তাঁকেও এখানে নিয়ে এস। তোমরা না ফেরা অবধি আমরা ভোজন আরম্ভ করব না।” হরিণী যেমন তার শাবকের জন্য ছুটে যায় খাবার আনতে, তেমনি ছুটল অর্ল্যান্ডো। অ্যাডামকে কাঁধে করে নিয়ে এল সেখানে। ডিউক বললেন, “ওহে বৃদ্ধ বোঝা।

English Summary (ইংরেজি সারাংশ বা সামারি)

France at the time was divided into several provinces (called ducal states). One such province was ruled by a Pravanchaka, who seized Masnad by forcibly ousting his grandfather, the just ruler of the state. Expelled from the kingdom, the duke took refuge in the Forest of Arden with a loyal retinue. The great duke was living in that forest with all these friends who were fellow-volunteers. And that Prabanchak was flourishing by occupying their land and revenue share.

Gradually the simple carefree way of life of the forest became dearer to them than the life of Rajoj and the pomp and ceremony. They began to live like Robin Hood of England at that time. Every day some noble person of the Raj Sabha used to come to the forest. He used to spend some time without worry. To them that time seemed like a golden age. In summer, they used to sleep in the cool shade of huge wild trees. He used to play with wild deer.

They loved these wild deer of the forest so much that it was very difficult for them to kill them for food. The cold winter air reminded the Duke of his misfortune. He would endure. He was patient. He used to say, "This frosty wind shivering my body, these are my true companions.

They do not flatter. Telling the truth constantly shows me my true state. They bite with sharp teeth. But those teeth are not the teeth of the ungrateful. People don't want bad luck. But what a priceless asset misfortune gives to man. Good is hidden even in evil. As from the throat is also obtained the life-giving medicine, the elixir.” Duke used to pull out one or the other motto from everything.

Everything in this deserted forest was good in his eyes. So he would find language in trees, puthi in floating silk, advice in stones, and in all things he would find supreme goodness. The exiled duke had a daughter named Rosalind. The persuasive Duke Frederick banished her father, but kept Rosalind as his daughter Celia's consort. The two sisters loved each other very much. The strife between their parents could not loosen the bonds of their love.

Celia tried her best to erase from Rosalind's mind the injustice done to Rosalind by dethroning her father. When Rosalind was overwhelmed by her father's exile and the grief of living in the South of a lying seducer, Selye came forward to comfort her. One day a duke's messenger came and said, if you want to see the wrestling match, the girls should immediately come to the royal palace-near the palace; Because a wrestling match is going to be held there. At least Rosalind would have some fun going there, thought Celia.

So he agreed. Today, wrestling means the game of the peasants. But in those days this sport was a favorite pastime of the royal family. Princesses and other noble ladies used to come to watch this game. Celia and Rosalind went to the wrestling match. But what they saw when they went, their chests burst. On one side of the arena is an experienced wrestler, who has defeated many skilled fighters like him in the arena of competition; And against him on the other side was a very young youth. The boy's age and experience were both so small that everyone assumed he was going to be in good company at this event.

Seeing his daughter Celia and niece Rosalind, the Duke said, “Look, my mothers have come to watch the wrestling match. But you won't like today's game that much. There is no longer a war between equal combatants. I feel sorry for the boy. It will be good if you can explain him and remove him from the gathering. Mothers, don't you try to talk to him once, if you can convince him."

The work is honest. So they remembered well. First Celia came and spoke to the young stranger. Requested to withdraw from the competition. Then Rosalind came and sweetly explained to him why this contest was dangerous for him. But the result of those sweet words is the opposite. The young man did not abandon his resolve, but an indomitable desire to display his bravery in front of the beauties sat in his heart. She politely turned down Celia and Rosalind's request.

The girls were terrified. At last the young man said, “I feel very bad to turn down the requests of beauties like you. May your best wishes help me in this competition. If you lose, you will know that I was not a great person. If I die, you will know that a death-hungry person has died. It will not harm anyone. I have no one to cry for. Nothing in the world will stop me. I have nothing in the world. Rather, if the place I am occupying becomes vacant, someone more qualified can come there.

Rosalind felt the greatest pain towards the boy as he wanted to embrace death to get rid of an unfriendly environment. He saw that the boy was as unfortunate as him. Rosalind felt pity for the boy. Her undivided attention to the difficult moments of the game suggested that she had fallen in love with the boy in that moment. The young man's courage and strength were both increased by the kindness of the two beautiful noble women. He surprisingly completely overpowered the competitor. The man was unable to move, let alone speak.

Duke Frederick was impressed by the courage and skill of the young newcomer. He wanted to know the boy's name and parentage in order to keep him under his care. The stranger said that he was the son of Sir Roland Day boys The son Orlando. Orlando's father, Sir Roland Dayboys, had died a few years earlier. But while alive he was a loyal subject and faithful friend of the exiled duke. Orlando, the son of his exiled grandfather's friend Jana Frederic, became enamored. He went out with a grudge. He did not even want to hear the names of grandfather's friends.

As the boy's heroism impressed him, he only said that he would have liked Orlando to have been someone else's son. But Rosalind was overjoyed to see the son of her father's old friend. He told Celia, “My father was very fond of Sir Roland Day Boys. If I had known earlier that this young man was his son, I would have welcomed him with tears.”

The two sisters then went to the young man. The boy was somewhat taken aback by the Duke's sudden displeasure. The two sisters encouraged him with soft words. Returning once more as she departed, Rosalind had two pleasantries with the son of her father's dead friend. Taking off her necklace, she said, “Sir, accept this gift of mine. Had I not been in this wretched condition, I would have given you something more valuable.” During the hushed conversation, Rosalind turned and spoke only of Orlando.

Celia realizes her sister is in love with the handsome young wrestler. He said to Rosalind, “Is that even possible? Did you fall in love with him so easily?" "Duke," said Rosalind, "I mean my father, did he love his father very much!" Celia said, “You fell in love with her because your father loved her father. My father disliked his father.

Why, I didn't feel bad for him!” Meanwhile, Frederic was upset when he saw Roland Day Boyz's son. He remembered that many of the noble princes were friends of the exiled Duke. He suddenly became angry with his niece. Because everyone admired her virtue and sympathized with her for her father's misfortune. Celia and Rosalind are talking about Orlando when Frederick comes into the room.

Fire at the sight, Frederick ordered Rosalind to leave the palace and go to her father in exile. Celia tried to dissuade her father. But Frederick did not listen to her words and said that he should not be with a girl like Rosalind. “Then I wouldn't have thought of leaving him,” said Celia. I was young before. So I did not understand what kind of girl she is. But today, after eating, sleeping, playing and studying together for so long, I can understand what kind of girl she really is. I can't live without him.

“You are judging her like a fool,” said Frederick. People sympathize with her form, her silence, her patience. When he is gone, you will feel more noble in form and quality. So don't speak for him. Know that my order will not be shaken.” All of Celia's pleas to her father to keep Rosalind close were in vain. Then he himself stood beside Rosalind. That night, he escapes from his father's palace and offers to take a friend with him to the Forest of Arden in search of Rosalind's father.

Before starting the journey, Celia felt that it would not be safe for two young girls to walk the streets in expensive clothes. She talked about going out dressed as village girls. It would be best, said Rosalind, if a man dressed them. So it's okay. Rosalind is long. He assumed the guise of a village youth. Celia dressed as a country girl. The two are brothers and sisters. Rosalind is Ganymede and Celia is Aliena. A long way to the forest of Arden.

Beyond the borders of the duke-dom. So they took some money and jewels with them as travel expenses for this long journey. Then left for the forest. Lady Rosalind (or better known as Ganymede now) moved in a manly manner. Celia is his true friend. As a reward for faithful friendship, Celia accompanied her new brother on this harrowing journey. By his behavior, people thought that this boy was really the hard-hearted villager Ganymede, the grandfather of a beautiful country girl named Elena.

On the way they found some comfortable inns and good lodgings. But when they reached the Forest of Arden they found nothing of the sort. Ganymede was always entertaining his sister with funny jokes. This time he was also desperate for food and shelter. He admitted to Elena that he wanted to cry like a girl without men. Elena said, her legs were going limp with exhaustion. Girls are weak, so it's men's job to comfort and comfort them – thought Ganymede manfully, “Come, Aliena, my sister.

And a little bit. Here we are near the Forest of Arden.” But imagined masculinity and imposed courage no longer accompanied him. They had arrived in the forest of Arden. But they no longer knew where the Duke was in this forest. They thought they must have lost their way. Hungry, tired, exhausted and dying, he sat down on the grass. At that time a villager was passing by that Khan. Seeing her, Ganymede once more became manly and said solemnly, “Rachel, we are in great need of a resting place in this lonely place. This little sister of mine is unable to walk because of the fatigue and hunger of the journey.

Can you take us somewhere where we can both eat and rest. I will give you whatever you want in return.” The man said that he was not a shepherd, but a servant of a shepherd. His lordship's homestead will soon be sold. So staying and eating there is very good

It is not possible to be But they can buy the house if they want. In the hope of a solution to food and living, their bodies have gained new strength. They went with the man. He bought the shepherd's house and his flock of sheep. The man who brought them to the shepherd's house, they appointed as attendant. Thus luckily they got a clean cottage.

I didn't even think about eating anymore. They decided to stay there until they found out where the Duke was in the forest. The fatigue of the long journey is relieved by rest. Slowly they got used to their new life. Although they assumed the guise of shepherds, they began to think of themselves as true shepherds. Sometimes Ganymede wondered if she was the mad Lady Rosalind in love with her father's friend, the heroic Orlando. I thought, I don't know how far Orlando is.

In fact, no matter how far they traveled, Orlando was in reality close to them, in that forest of Arden. After a few days they came to know about it. But how such a wonderful event happened, first listen to that. At the time of his death, Sir Roland left the care of baby Orlando to his great-grandfather Oliver. He asked Oliver to educate his brother and make him the successor of their ancient lineage. But Oliver was totally unfit as a grandfather. He did not do his duty.

Completely ignoring his dying father's order, he left his brother at home in extreme neglect without sending him to school. Despite this, Orlando became much like his father in his bloodline traits. Although he had no formal education, he seemed to be a young man of elegant taste. He envied the taste and elegant behavior of this uneducated brother. Finally he went to finish his brother off. People started inciting the brother to challenge the aforesaid famous multi-killer wrestler to a duel. It was this cruelty of his grandfather that made Orlando disgusted with life.

But Oliver's intrigues did Orlando no harm, but rather increased his reputation; And seeing that, Oliver's jealousy knew no bounds. He decided to set Orlando's house on fire and kill him. But an old trusted servant of his father heard of his determination. He loved Orlando very much because he had a lot in common with Sir Roland. The old man left the house.

On his way back from the duke's palace he met Orlando. He was dismayed as he recalled his new master's diabolical tricks: “O grandpa, sweet dear grandpa, you are my memory of Sir Roland. Why are you such a good person? Why are you so beautiful, so strong, so brave? Why call the wrestler to lose? Your reputation has gone home before you.” Orlando did not understand the meaning of these words and asked what happened.

The old man then said that his evil grandfather Lokmukh had become even more jealous of his victory at the Duke's palace and planned to kill him by setting fire to his house at night. The old man immediately told him to run away. Knowing that Orlando had no money, Adam (that was the old man's name) gave him his secret pocket of money and said, "I have saved up these five hundred crowns with great pains while working for your father, so that when I am old enough, I shall have a means of living." not

take it God will see me in my old age. I give you all the gold that is in it. And take me as your servant. Even though I am old, I can serve a young boy like you when needed.” Orlando said, "My old grandfather, how much you think of me even at this age! People like you are rare. Let us go together. Before this little savings of yours runs out, we need to sort out a maintenance.” Then the faithful Adam set out with his beloved son Orlando for an unknown future.

They also came to the forest of Arden. Reaching there, like Ganymede and Aliena, they also had to suffer from food shortages. He went around looking for settlements. At the end, not seeing anything, he sat down on the ground, tired of labor and hunger. Adam said, "Grandpa go, I can't go anymore." I am dying of hunger.” He assumed, his life is over, here he has to dig a grave. So he bade his Lord farewell. Orlando, seeing his old servant in such a state, lifted him on his shoulders and brought him to the cool shade of some beautiful trees. He said, "Don't despair, Adamdada, sit here and rest for a while, you don't have to worry about dying now."

Orlando went out in search of food. Appeared in Duke's chat. The Duke and his companions sat down to supper there on the grass. There was no canopy over his head, only the shade of a few large trees. Desperately hungry, Orlando tried to take away the food with the force of his sword. He said, "Warner, don't eat anymore." Give me the food.” The duke asked him if depression made him so bold, or if he disliked polite manners. Orlando replied that he was starving.

Then the Duke invited him to the banquet too. Seeing him speak so politely, Orlando sheathed his sword. He died of shame for his misbehavior in asking for food. She said, “Please forgive me. I thought, everyone here is a wild savage. So I said it in a commanding tone. Whosoever you are sitting under the cover of the melancholy vine in this no-realm, what cares about time. Maybe yours

It was a good time. You may have been there, where the bells rang in the church, you may have sat at the banquet of a great man, you may have wiped away tears, so you know the need to show mercy to those who seek mercy.

So now you greeted me with sweet words.” “You are right,” replied the Duke, “we had our heyday at one time. We didn't live in this jungle. I used to live in the city. There the sacred bells could be heard in the church. We used to sit in banquets of great people. Tears of holy mercy were visible in our eyes, so we wiped them away. So come and sit here. eat whatever you want

curb hunger.” “I have an old man with me,” said Orlando. He loves me and has come a long way with me. But can't walk anymore. He is burdened with age and hunger. I cannot bite a single particle in my teeth without quenching his hunger.” “Go, bring him here too,” said the Duke. We will not start eating until you return.” As a doe rushes to fetch food for her young, so ran Orlando. Adam was brought there on his shoulders. “Oh old burden,” said the Duke.

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!