Translations and summaries of Langston Hughes's poems (American Poetry)
- Langston Hughes (Born: 1902, Missouri, USA and Died: 1967, New York City, USA)
- Life of Langston Hughes.
- Biography and Literary Works.
- Poem Translation.
- Poems Summary.
জীবনী ও সাহিত্যকর্ম:
জীবনী: আমেরিকার মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে ১৯০২ সালে ল্যাংস্টন হিউজ জন্মগ্রহণ করেন। হার্লেম পুনর্জাগরণ' আন্দোলনের সাথে জড়িত বহুমুখী প্রতিভাধর অনেক আফ্রিকান আমেরিকানদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম ।
শিশুকালেই তাঁর পিতামাতার মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটায় মাতুলালয়ে মাতামহীর কাছেই তিনি বড়ো হন। তিনি তাঁর মায়ের কাছে ডেট্রয়েটেও ক্লীভল্যান্ডে থাকতেন। এখানেই তিনি তাঁর স্কুলজীবন শেষ করেন এবং কবিতা লেখা শুরু করেন। কখনো বা তিনি মার্কিন জীবন বৈষম্যে বিরক্ত হয়ে মেক্সিকোয় গিয়ে তাঁর পিতার কাছেও থাকতেন। টি. এস. এলিয়ট, রবার্ট ফ্রস্টের মতো হিউজেরও সৌভাগ্য যে তিনি কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল একজন মা পেয়েছিলেন।
১৯২০ সালে হিউজ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এক বছর পর ভাগ্যান্বেষণে প্যারিস যান পেশাদার নাবিক হিসেবে। প্যারিসে তিনি একটা নাইট ক্লাবে চাকরি করেন পরে ওয়াশিংটন ডিসিতে অন্য পেশায় ব্যস্ত সময় কাটান। এ সময়ে তিনি কবিতা রচনা করেন এবং তা প্রকাশও করেন, প্রধানত আফ্রিকান আমেরিকানদের সাহিত্য পত্রিকা 'অপরচুনিটি' ও 'ক্রাইসিস' দুটিতে। এলান লক সম্পাদিত 'দি নিউ নিগ্রো' সঙ্কলনে তাঁর এগারোটি কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে।
১৯২৭ সালে কাউন্টি কালেন সম্পাদিত 'ক্যারোলিং ডাস্ক' পত্রিকায়ও তাঁর অনেক কবিতা প্রকাশিত হয়। আফ্রিকান আমেরিকানদের সাহিত্য পৃষ্ঠপোষক শ্বেতাঙ্গ কার্ল ড্যান ভেচটেন হিউজকে তাঁর 'দি উইয়ারি ব্লুজ' প্রকাশে সহায়তা করেন। হিউজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে। এ বছরই তাঁর বিখ্যাত 'দি নিগ্রো আর্টিস্ট এণ্ড দি রেসিয়াল মাউন্টেন' প্রবন্ধটি 'ন্যাশান' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এই প্রবন্ধে তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের সাহিত্যচর্চার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময়ে তাঁর সহায়তায় এগিয়ে আসেন এ্যামি স্পিনগার্স। তিনি হিউজের পেনভিলেভেনিয়ায় লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার ব্যয় ভার বহন করেন এবং শার্লটে ম্যাশন হিউজের ১৯২৮ সাল থেকে ১৯৩০ সাল নিউ ইয়র্ক থাকাকালীন সময়ে আর্থিক সহায়তা করেন।
১৯৩০ সালে প্রকাশিত তাঁর উপন্যাস 'নট উইদাউট লাফটার' প্রকাশিত হবার পর সাহিত্যিক হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা পান অর্থও লাভ করেন। ১৯৩০ সাল থেকে তাকে 'হার্লেমের চারণ কবি' নামে ডাকা হতো।
ত্রিশের দশকের মহামন্দা, আফ্রিকান আমেরিকান সাহিত্য কর্মে হঠাৎ যতি টানে। হিউজ এ সময়ে বিপ্লবী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, অন্য অনেক আফ্রিকান আমেরিকানের সাথে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৩২ সালে হিউজ সোভিয়েত ইউনিয়নে যান এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ পর্যন্ত অনেক বিপ্লবী লেখা লেখেন। ১৯৩৭ সালে তিনি ‘বাল্টিমোর আফ্রো আমেরিকান' পত্রিকার রিপোর্টার হিসেবে স্পেন যান।
১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে তিনি শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কদেও জন্য অনেক লেখা লেখেন। ১৯৫৩ সালে তাকে সিনেটর যোশেফ ম্যাককার্থি কমিটির সামনে হাজির হতে হয় ১৯৩০ সালে তার বিপ্লবী রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অপরাধে। ১৯৫৯ সালে এফ. বি. আইর সন্দেহভাজনদের তালিকায় পড়েন। অবশ্য, ১৯৬০ সালের মধ্যে হিউজ নিজেকে একজন খাঁটি আমেরিকান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
হিউজ 'হার্লেম পুনর্জাগরণবাদীদের কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকায় সক্রিয় ছিলেন। হিউজ তাঁর কবিতায় যখন গ্রাম জীবনের চিত্রণ ছেড়ে দিয়ে শহর জীবন চিত্রায়নে আসেন তখনই তিনি আধুনিক হয়ে ওঠেন।
১৯৬৭ সালে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হিউজ মারা যান।
সাহিত্য কর্ম :
১৯২২ - "দি নিগ্রো স্পিকস অব রিভার্স' কবিতাটি প্রকাশিত হয়।
১৯২৫-১৯২৯ - 'দি উইয়ারী ব্লড' 'ফাইন রথস টু এ দু' প্রকাশিত হয়।
১৯৩০ - 'নট উইদাউট লাফটার' উপন্যাস 'মিউল বোন' নাটক প্রকাশিত হয়।
১৯৩৪- 'দি ওয়েজ অব হোয়াইট ফকস' প্রকাশিত হয়।
১৯৪১ - ‘দি বিগ সী' প্রথম আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়।
১৯৫০- সিম্পল হি স্পিকস হিস মাইন্ড' গল্প গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
১৯৫২ 'ফার্স্ট বুক অব নিম্নোজ' প্রকাশিত হয়।
১৯৫৬ - ‘আই ওয়ান্ডার এজ আই ওয়েন্ডার' দ্বিতীয় আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়।
১৯৫৮ - "দি বুক অব নিম্নো ফকলোর' প্রকাশিত হয়।
হালেম
Harlem
গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
stink v দুর্গন্ধ ছড়ানো।
syrupy adj আঠালো মিষ্টি যুক্ত।
Sags v ঝুলে পড়া
সরল অনুবাদ:
স্থগিত সে স্বপ্নের কী হয়?
এটা কি দিনের আলোয়
শুকিয়ে যায় কিশমিশের মতো?
নাকি পুঁজের মতো ছড়িয়ে পড়ে যা হতে?
এটা কি পচা মাংসের মতো দুর্গন্ধ ছড়ায়?
নাকি রসে ডোবা মিষ্টির মতো
ঢেকে যায় শক্ত খোসায়?
হয়ত এটা ঝুলে পড়ে
ভারি বোঝার মতো।
নাকি এটা বিস্ফোরিত হয়?
কবিতার সারমর্ম: বিলম্বিত স্বপ্নে কি ঘটে কবিতাটিতে সে কথাই বলছেন কবি। বিলম্বিত স্বপ্ন কি কিশমিশের মতো শুকিয়ে যায়, নাকি উপচে পড়ে ক্ষত থেকে রক্তের মতো। হয়তো তা শুকিয়ে গিয়ে পচা মাংশের গন্ধ ছড়াতে পারে অথবা মিষ্টি কোনো খাবারের সুঘ্রাণ ছাড়তে পারে সে সম্ভাবনাও থাকে। কিংবা কোনো ভারী বোঝার মতো ঝুলে পড়তে পারে বা বিস্ফোরিত হতে পারে।
দা নীগ্রোউ স্পীকস্ অভ রিভারস্ ১ ১ ২ ১ ৩ ১
The Negro who speaks of River
গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
ancient adj প্রাচীন।
veins শিরা।
lull v ঘুম পাড়ানো।
muddy adj কর্দমাক্ত।
bosom on বুক।
dusky adj অন্ধকারাচ্ছন্ন।
সরল অনুবাদ:
অনেক দেখেছি আমি নদী: ধমনীতে প্রবাহমান
রক্তের মত সুপ্রাচীন আর মানুষের চেয়েও পুরোনো সব নদী।
সেইসব নদীর মতো আমি হয়ে গেছি গভীর।
জোর ডুব দিয়েছি আমি ইউফ্রেটিসের জলে।
কঙ্গোর তীরে আমি বেঁধেছি নীড়,
সে আমায় ঘুম পাড়িয়েছে তার সুমধুর কল্লোলে ।
নীলনদের দিকে তাকিয়ে বানিয়েছি তারে
সুউচ্চ পিরামিড।
যখন আবে লিংকন নিয়েছে ঠাঁই নিউ অরলিনসে
তখন শুনেছি গান মিসিসিপির,
গোধূলির আলোয় তার কাদা ভরা বুক
ঢেকে যেতে দেখেছি আমি কাঞ্চনের রঙে। আি
অনেক দেখেছি আমি নদী:
প্রাচীন আর ঘোলাটে সব নদী।
সেইসব নদীর মতো আমি হয়ে গেছি গভীর।
কবিতার সারমর্ম: কবি প্রাগৈতিহাসিক সব নদী দেখছেন; মানব জন্মেরও পূর্বেকার। নদীর মতোই গভীর কবির হৃদয়। তিনি ইউফ্রেটিসে স্নান করেছেন সভ্যতার ঊষালগ্নে পরে কঙ্গো নদীর তীরে এক কুঁড়েঘর বানিয়েছেন, নদীর গানে ঘুমিয়ে পড়েছেন। নীলনদ দেখেছেন, দেখেছেন সুউচ্চ পিরামিড। দাসপ্রথা বিলোপ আন্দোলনের নেতা আব্রাহাম লিঙ্কনকে নিউ অরলিন্সে দেখেছেন।
আই, টু, সিঙ্ আমেরিকা
I, Too, Sing America
গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
darker কৃষ্ণাঙ্গ।
kitchen - কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের খাবার ঘর। কৃষ্ণাঙ্গদের খাবার ঘরে খেতে দেয়া হতো।
Company – শ্বেতাঙ্গ অতিথিবৃন্দ ।
Tomorrow ভবিষ্যতে শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ব্যবধান ঘুচে যাবে বলে কবির বিশ্বাস ।
ashamed - শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ব্যবধানকারীরা লজ্জিত হবে।
Nobody'll dare - কেউ আর কৃষ্ণাঙ্গ বলে কবিকে রান্নাঘরে খেতে যেতে বলার সাহস পাবে না।
সরল অনুবাদ:
আমিও গান গাই আমেরিকা।
আমি হলাম কালো ভ্রাতা।
অতিথি এলে
তারা আমাকে রান্নাঘরে পাঠায় খাবার খেতে,
কিন্তু আমি হাসি,
আর খাই ভালো,
এবং বেড়ে উঠি শক্ত।
আগামীকাল,
অতিথি এলে
আমি যাব টেৰিলে।
কেউ আমাকে
বলতে সাহস করবে না
তখন,
" খেতে যাও রান্নার ঘরে"।
এছাড়া,
তারা দেখবে আমি কেমন সুন্দর
এবং হবে লজ্জিত....
আমিও আমেরিকা
ল্যাংস্টন হিউজ
কবিতার সারমর্ম: শ্বেতাঙ্গ মানুষের কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি অমানবিক আচরণের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে কবি বলছেন, আমি তোমার কৃষ্ণাঙ্গ ভাই আমিও আমেরিকান। তাহলে, আমি কেন রান্নাঘরে খাবার খাব? আমিও তোমার সাথে বসে খাবার খাব। তা বলে, কবির মনোবলে ভাটা পড়ে না। তিনি স্বপ্ন দেখেন ভবিষ্যতের; যখন আসবে সাম্য, শ্বেতাঙ্গরা অনুতাপ করবে তাদের কৃতকর্ম। সবশেষে কবি সদম্ভে বলেন তিনিও এক আমেরিকান।
দা উইআরি ব্লুজ The Weary Blues
গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:
droning v গুঞ্জন তোলা।
drowsy adj তন্দ্রালু।
syncopated adj সুরেলা।
mellow adj কোমল ও মিষ্টি।
croon v গান গাওয়া।
pallor n পাংশু বর্ণ।
ebony n লোহা-কাঠ।
ivory n হাতির দাঁত ।
swayins v এদিক ওদিক দোলানো ।
rickety adj নড়বড়ে।
stool n বসবার আসন।
raggy adj জীর্ণ।
melancholy adj দুঃখ ভরা একাকিত্ব।
moan v বিলাপ করা ।
সরল অনুবাদ:
এক তন্দ্রালু তালকাটা সূর একঘেয়ে বেজে চলে
আর দুলে দুলে এগোয় পেছোয় সে মধুর বিলাপের তালে,
শুনতে পেলাম এক নিগ্রোর বাজিয়ে চলা।
আরেক রাতে দেখলাম লেনক্স এভিন্যুর শেষ মাথায়
পুরোনো এক গ্যাস-বাতির বিবর্ণ নিষ্প্রভতায়
আঢুলভাবে সে দুলছিল...।
দুলছিল সে অলসভাবে....
শ্রান্তি ছড়ানো ওই সব ব্রজের সুরে ।
হাতির দাঁতের চাবিগুলোর উপর আবশকালো হাতে
সে ঐ হতদরিদ্র পিয়ানো থেকে ছুঁড়ে দিচ্ছিল শোকভরা সুর।
হায়রে বুজ!
আধ-ভাঙা টুলে এপাশ-ওপাশে দুলে দুলে
ওই দুঃখী র্যাগী সুরটা বাজাচ্ছিল সে গান-মূর্খের মতো।
আহারে মধুর ব্রজ!
কালো এক মানুষের আত্মা থেকে বেরিয়ে আসা।
হায়রে বুজ!
গভীর গানের কণ্ঠ এক শোকোমগ্ন সুরে
শুনলাম আমি সেই নিগ্রো গায়, ঐ পিয়ানোর করুণ গোঙানি
“এই পুরো জগতে কেউ কি নেই
কেউ কি নেই শুধুই কি আছি আমি নিজেই।
আমি তো আমার ভ্র-কুঁচকানি বন্ধ করে দিচ্ছি।
আর আমার সব সমস্যা রেখে দিচ্ছি তাকে তুলে।”
থপ থপ থপ, ফ্লোরের উপর সে পা ঠুকছিল
অল্প কটা কর্ডই বাজাল সে, তারপর আরেকটু গাইল
“আমি শ্রান্তি ধরা এই বুজ পেয়েছি
আর আমি পারিনি তুষ্ট হতে।
পেলামতো শ্রান্তি ধরা বুজ
আর পারলাম নাতো খুশি হতে
আমারতো সুখ নেই, সুখ নেই
আর পারতাম যদি মরতে। "
রাতের ভেতর দিয়ে দূরে বহু দূরে বিলাপ ছড়াল সে ঐ সুরে
তারাগুলো নিভে গেল আর নিভে গেল চাঁদটাও দূরে।
গায়ক বাজানো বন্ধ করল আর বিছানায় পড়ল চলে
শ্রান্তি ধরা ব্লুজ তার মাথার ভেতর তখনো প্রতিধ্বনি তুলে ।
আর একটা পাথর বা মরা এক মানুষের মতোই ঘুমাল সে।
কবিতার সারমর্ম: বিষণ্ণ এক কৃষ্ণাঙ্গের বঞ্চনা গীতি কবিতাটি। বিষণ্ন সুরে সে গায় অনেক হতাশায়, পিয়ানোটি ও যেন বেদনা ভারাক্রান্ত। কোথাও শান্তি অবশিষ্ট নেই তার জন্য। সারা রাতভর সে গেয়ে যায়। কামনা করে, মৃত্যুই যেন তার শেষ আশ্রয়। প্রভাত হলে, কৃষ্ণাঙ্গটি ঘুমায় অসাড়ে যেন মৃত এক মানুষ সে।