Bangla and English Summary and Character of Tess of the D'Urbervilles by Thomas Hardy
Tess of the D'Urbervilles by Thomas Hardy
Character List
Tess Durbeyfield:
The novel’s protagonist. Tess is a beautiful, loyal young woman living with her impoverished family in the village of Marlott.Angel Clare:
An intelligent young man who has decided to become a farmer to preserve his intellectual freedom from the pressures of city life. He meets Tess when she is a milkmaid at the Talbothays Dairy and quickly falls in love with her.Alec d’Urberville:
The handsome, amoral son of a wealthy merchant named Simon Stokes. Alec is a manipulative, sinister young man who does everything he can to seduce the inexperienced Tess when she comes to work for his family.Mr. John Durbeyfield:
Tess’s father, a lazy peddler in Marlott.Mrs. Joan Durbeyfield:
Tess’s mother.
Mrs. d’Urberville:
Alec’s mother, and the widow of Simon Stokes.
Marian, Izz Huett, and Retty Priddle:
Milk maids whom Tess befriends at the Talbothays Dairy.
Reverend Clare:
Angel’s father, a somewhat intractable but principled clergyman in the town of Emminster.
Mrs. Clare:
Angel’s mother, a loving but snobbish woman who places great stock in social class. Mrs. Clare wants Angel to marry a suitable woman, meaning a woman with the proper social, financial, and religious background.
Reverend Felix Clare:
Angel’s brother, a village curate.
Reverend Cuthbert:
Clare Angel’s brother, a classical scholar and dean at Cambridge.
Eliza Louisa Durbeyfield:
Tess’s younger sister. Tess believes Liza-Lu has all of Tess’s own good qualities and none of her bad ones, and she encourages Angel to look after and even marry Liza-Lu after Tess dies.
Sorrow:
Tess’s son with Alec d’Urberville. Sorrow dies in his early infancy, after Tess christens him herself. She later buries him herself as well, and decorates his grave.
Mercy Chant:
The daughter of a friend of the Reverend Clare. Mr. Clare hopes Angel will marry Mercy, but after Angel marries Tess, Mercy becomes engaged to his brother Cuthbert instead.
English Summary (ইংরেজি সামারি বা সারমর্ম)
Bengali Summary (বাংলা সামারী বা সারমর্ম)
উপন্যাসের নাম থেকেই বোঝা যায় উপন্যাসটি করুণ কাহিনি সংবলিত। উপন্যাসের নায়িকা টেস ও তাঁর বংশের নাম ডার্বারভিল। 'টেস' মানে হচ্ছে শোক। টেসের বাবার নাম জন ডার্বিফিল্ড। তিনি মারলট গ্রামের বাসিন্দা। এক যাজক তাঁকে একদিন বলে যে সে ডার্বারভিল নামে এক সম্ভ্রান্ত বংশের বংশধর কিন্তু ভাগ্যের পরিক্রমায় এখন তাঁদের(জন ডার্বিফিল্ডদের) এখন এই হতদরিদ্র অবস্থা।
খবর নিয়ে জানতে পারেন তাঁদেরই এক বংশধর এক মহিলা ও তাঁর ছেলে নিকটেই বসবাস করে তাই মিস্টার ডার্বিফিল্ড ও মিসেস ডার্বিফিল্ড সিদ্ধান্ত নেয় টেসকে সেখানে পাঠানোর যাতে করে সেই মহিলাকে টেসদের বংশপরিচয় দিয়ে তাঁর থেকে কিছু সাহায্য পেতে পারে। অনেক জোরাজুরির পর টেস সেখানে যেতে রাজি হলো। টেস গিয়ে দেখে সেখানে মস্ত বড় এক বাড়ি। বাগানে ঢুকে টেসের সাথে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। তাঁর নাম অ্যালেক ডার্বারভিল।
সেই এই উপন্যাসের antagonist. টেস যখন মিসেস ডার্বারভিলের সাথে দেখা করলো তখন মিসেস ডার্বারভিল, টেসের প্রতি তেমন আগ্রহ প্রকাশ করলো না তাই টেস ফিরে আসলো। কিন্তু কিছুদিন পর যখন অ্যালেকের খামারে একজন সহকর্মীর প্রয়োজন হয় তখন অ্যালেকের মা টেসের খোঁজ করে তাঁকে(টেসকে) একটা চাকরি দেবার জন্য। আর ওদিকে টেস ও তাঁর বোন লিজা লুর যখন শহরের পথে মৌচাক নিয়ে রওয়ানা হলো তখন পথিমধ্যে একটা ক্যারেজের সাথে ধাক্কা লেগে টেসদের ঘোড়াটা মরে গেল।
বাড়ি ফিরে গিয়ে এর জন্য টেস নিজের অসাবধানতাকে দায়ী করলো আর নিজে কিছু করে দেখাবে সেই প্রতিজ্ঞা করলো। তাই কোন উপায় না পেয়ে টেস, অ্যালেকের প্রস্তাবে তাঁর খামারে কাজ করার জন্য রাজি হয়ে গেল। আসলে অ্যালেকের চরিত্র তেমন ভালো ছিলো না। সে সর্বদা টেসের প্রতি কুনজর দিত। একদিন পার্টি শেষে বাড়ি ফিরতে রাত হওয়ায় টেস বিষম দুর্ভোগে পড়ে যায়। পথে অ্যালেকের সাথে দেখা হলে অ্যালেক তাঁকে(টেসকে) বাড়ি পৌঁছে দেবার আশ্বাস দেয় কিন্তু অ্যালেক টেসকে তো বাড়ি পৌঁছে দেয়ই না বরং সে টেসের সাথে খারাপ আচরণ করে আর তাঁর সাথে জোর-জবরদস্তি করে।
এসবের পর টেস ওখান থেকে তাঁর নিজের বাড়ি মারলটে ফিরে আসে। কিছুদিনে পর টেসের একটি ছেলে হয়। টেস তাঁর নাম রাখে সরো(Sorrow). কিছু দুর্ভাগ্যবশত জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই সরো মারা যায়। এরপর টেস অনেকদিন যাবত কাজকর্ম করতে পারেনা, কোনকিছুতেই তাঁর মন বসে না। অবশেষে সে একটা ডেইরি ফার্মে দুধ দোয়ানোর চাকরি নেয়৷ সেখানে টেস তাঁর মতো আরো তিনজন বান্ধবীকে খুঁজে পায়ঃ- মারিয়ান, রেটি ও ইয। আর সেখানে টেস অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ার নামে এক ভদ্রলোকের দেখা পায়৷ মূলত অ্যাঞ্জেলের নিকটে যে কয়টি গরু ছিলো টেসের দায়িত্ব ছিলো সেগুলো থেকে দুধ সংগ্রহ করা।
তাই খুব শীঘ্রই টেসের সাথে অ্যাঞ্জেলের বেশ ভাব জমে গেল। ক্রমে ক্রমে তাঁরা দু'জন দু'জনার প্রেমে পড়ে৷ যদিও টেস সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আর কখনও বিয়ে করবে না কিন্তু অ্যাঞ্জেলের ভালেবাসার কাছে টেসের প্রতিজ্ঞা হার মানে। শেষমেশ টেস, অ্যাঞ্জেলের দেয়া বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করে। টেস তাঁর মাকে সেই প্রস্তাবের কথা চিঠিতে জানায়। সেই মুহুর্তে টেসের থেকে সুখী কেউ ছিলো না। কিন্তু টেস ভাবে তাঁর অতীত স্মৃতির কথা অ্যাঞ্জেলকে জানানো প্রয়োজন কারণ সে অ্যাঞ্জেলকে ঠকাতে চায় না৷ তাই টেস একটি চিঠিতে তাঁর অতীত সম্পর্কে লিখে অ্যাঞ্জেলের দরজার নিচে চিঠিটা রেখে দেয়।
কিন্তু অ্যাঞ্জেল সে চিঠি খুঁজে পায়না তাই সত্যিটা অ্যাঞ্জেলের তখনও অজানা রয়ে যায় আর ওদিকে টেস ভাবে অ্যাঞ্জেল হয়তো তাঁর চিঠিটা পড়েছে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই টেস ও অ্যাঞ্জেলের বিয়ে হয়। বেশ কিছুদিন তাঁরা আনন্দে কাটাতে থাকে৷ একদিন অ্যাঞ্জেল টেসকে বলে যে লন্ডনের এক বয়স্ক মহিলার সাথে তাঁর(অ্যাঞ্জেলের) সম্পর্ক ছিল কিন্তু এখন সে শুধু টেসকেই ভালোবাসে। এটা শুনে টেস মনে মনে খুশী হয় আর অ্যাঞ্জেলকে ক্ষমা করে দেয় কেননা এখন যদি টেস তাঁর অতীত সম্পর্কে অ্যাঞ্জেলের কাছে বলে তাহলে অ্যাঞ্জেলও কিছু মনে করবে না।
তখন টেসও তাঁর অতীত সম্পর্কে অ্যাঞ্জেলের কাছে বলে কিন্তু অ্যাঞ্জেল এটা শোনার পর টেসকে ক্ষমা করতে পারেনা। তাই শীঘ্রই তাঁদের দু'জনের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। যাবার আগে অ্যাঞ্জেল টেসকে কিছু টাকা দিয়ে যায় আর বলে যায় টেস যেন আর তাঁর(অ্যাঞ্জেলের) সাথে যোগাযোগের চেষ্টা না করে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে(অ্যাঞ্জেল) টেসের সাথে যোগাযোগ করে। অ্যাঞ্জেলকে হারিয়ে টেসের অবস্থা পাগলপ্রায়। ওদিকে আবার টেসের বাড়ি থেকে খবর আসে যে টেসের মা অসুস্থ তাই সে বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ি গিয়ে দেখে টেসের মা পুরোপুরি সুস্থ। সে টেসকে বাড়িতো আনার জন্যই এই ফন্দি এটেছিল।
কিন্তু কিছুদিন পরে টেসের বাবা মানে মিসেস ডার্বিফিন্ড মারা যায়। তখন গ্রামবাসীরা টেসদের তাড়িয়ে দেয় আর এই সুযোগ কাজে লাগায় অ্যালেক। সে টেসকে আশ্বাস দেয় যে সে(অ্যালেক) তাঁদের(টেসদের) সবার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে। টেস উপায়ন্তর না পেয়ে অ্যাঞ্জেলের নিকট সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখে কিন্তু কোন প্রতুত্তর না পেয়ে টেস অ্যাঞ্জেলের উপর রাগ হয়। আর অ্যালেকও টেসকে বলে যে অ্যাঞ্জেল আর কখনো ফিরে আসবে না।
তাই অনেক ভেবেচিন্তে টেস অবশেষে অ্যালেকের প্রস্তাবে তাঁর সাথে থাকতে রাজি হয়। এর কিছুদিন পর অ্যাঞ্জেল ফিরে আসে আর সে তাঁর ভুল বুঝতে পেরে টেসের খোঁজ করতে থাকে৷ অনেক খোঁজাখুঁজি করে অ্যাঞ্জেল, টেসের সন্ধান পায় কিন্তু সেখানে গিয়ে অ্যাঞ্জেল টেসের বর্তমান অবস্থা দেখে অ্যাঞ্জেল প্রথমে টেসকে চিনতে পারে না। পরে চিনতে পারলে অ্যাঞ্জেল, টেসের কাছে ক্ষমা চায় আর টেসকে তাঁর(অ্যাঞ্জেলের) সাথে ফিরে যেতে বলে৷ কিন্তু টেস, অ্যাঞ্জেলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
অ্যাঞ্জেলকে ফিরিয়ে দিয়ে টেস মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। বিচ্ছেদ-বেদনা সহ্য করতে না পেরে টেস, অ্যালেককে ছুরিকাঘাত করে অ্যাঞ্জেল যে পথে গেছে সেই পথে ধাবিত হয়। কিছুদূর গিয়েই টেস, অ্যাঞ্জেলের দেখা পায়আর তাঁকে সব খুলে বলে। টেস এও বলে যে সে অ্যালেককে খুন করেছে। তখন অ্যাঞ্জেল ও টেস তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায়। ঘুরতে ঘুরতে তাঁরা একটি ঘরে আশ্রয় নেয় আর বেশকিছু রাত সেখানে কাটায়।
কিন্তু অ্যালেকের খুন হবার কথা ততদিনে ছড়িয়ে পড়েছে তাই পুলিশ টেসকে ধরার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজতেছে। শেষমেশ টেস পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ও অ্যালেককে খুন করার অপরাধে তাঁকে(টেসকে) মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। মৃত্যুর আগে টেস অ্যাঞ্জেলকে বলে যায় লিজা-লুকে দেখে রাখতে। টেস ও লিজা-লু দেখতে অবিকল একই রকম ছিল। টেসের কথামতো অ্যাঞ্জেল, লিজা-লুকে বিয়ে করে ও শান্তিতে ঘরসংসার করতে থাকে। এখানেই উপন্যাসটি সমাপ্ত হয়।
উপন্যাসটিতে মূলত দরিদ্র-পীড়িত সমাজের কথা বলা হয়েছে। কিভাবে একটি অসহায় মেয়ে তাঁর জীবন অতিবাহিত করে কতশত দুঃখ-কষ্ট আর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। প্রকৃতপক্ষে টেস নারীদের জন্য সংগ্রামী মনোভাব পোষণের একজন প্রতিনিধি।