Troilus and Criseyde by Chaucer Bangla Summary & Critical Review
M.A Final Year
Department of English
Course Name: Geoffrey Chaucer
Course Code: 311101
Topics: Troilus and Criseyde.
Bangla Summary And Critical Review
(toc)
Troilus and Criseydeবাংলা সারাংশ বা সারমর্ম (Bengali Summary)
'দ্য ক্যাভারবেরী টেল'-এর পাশাপাশি ট্রয়লাস এবং ক্রাইজিদ কে চসারের অন্যতম একটি প্রভাববিস্তারকারী কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। চসার এই কবিতাটি লিখেছিলেন রাইম লয়েল ছন্দে যা কিনা সাত লাইন বিশিষ্ট পাঁচ মাত্রার কবিতা। পাশাপাশি এটা স্পেন্সরিয়ান ছন্দের ভিত্তি হিসেবেও কাজ করে যা স্পেন্সার সর্বপ্রথম পরিচিত করেন।
চসার ট্রয়লাস এন্ড ক্রাইজিদ' লিখেন ১৩৮০ সালের কোন একটা সময়ে। শেক্সপিয়রের পরে চসারের কাজ সাধারণ জনগণের পাশাপাশি উচ্চ স্তরের মানুষের মনে দাগ কাটতো। তাই তার 'ট্রয়লাস এন্ড ক্রাইজিদ' এতটা জনপ্রিয় হয়।
গল্পটি পাঁচটি খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম দুই খণ্ডে ট্রয়লাস ক্রাইজিদকে আবিষ্কার করে এবং পানিপ্রার্থী হয়। ৩য় অংশ হচ্ছে জলবায়ু বিষয়ক এবং দম্পতিরা তাদের ভালবাসা উদযাপন করে। চতুর্থ খণ্ডে তারা পৃথক হয় এবং শেষের অংশে তাদের ভাগ্যের রূপরেখা বর্ণনা করা হয়েছে।
১ম পর্ব
প্রতিটি পর্বই একটি ছোট কবিতা দিয়ে শুরু হয় যেখানে কিনা দেবতাদের সম্মোধন করা হয় যেন তারা পূর্বাভাস দেয় কি হতে যাচ্ছে। প্রথম পর্ব শুরু হয় টাইজোপোনকে সম্বোধন করে প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য প্রার্থনা চেয়ে যা খুব শীঘ্রই তুলে ধরা হবে। কবিতাটি প্রথমেই পাঠককে সতর্ক করে দেয় দ্বিগুণ কষ্ট সম্পর্কে যা কিনা ট্রয়লাস ভোগ করবে, আমরা জানি যে, তাদের ভালবাসা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। পরিবেশটা নির্ধারণ করা হয় ট্রয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে, ট্রয়ের দেয়ালের অভ্যন্তরে।
ক্যালকাস একজন ভবিষ্যত্বজ্ঞা এবং তিনি দেখতে পান যে, গ্রীকরা ট্রয় দখল করবে। যার দরুণ তিনি ট্রয়কে ত্যাগ করে গ্রীকদের পক্ষ অবলম্বন করেন। তিনি একটি কন্যাকে রেখে গেছেন যার নাম ক্রাইজিদ যে কিনা এমন একজন যুবতী যে অভেদ্য এবং একটি বিদেশি শহরে অবিবাহিত কুমারী। সে ট্রয়ের রাজপুত্র প্রিয়ামের ছেলে হেক্টরের আশ্রয় কামনা করে।
ট্রয়লাম তার বাহিনী নিয়ে প্যালাস এখেনাতে, প্রেমিক-প্রেমিকারা কত অসহায় তা নিয়ে বিদ্রূপ করু করে। তারপর সে ভালবাসার দেবতার দ্বারা প্রহত হয় এবং ক্রহিজিদের সাথে তার দেখা হয়। সাথে সাথে সে তার প্রেমে পড়ে যায় এবং তার নতুন ব্যথা অনুভব করে। ঐহিজিদের চাচা ইয়লাসের সাথে আলোচনা করে এবং অনুতপ্ত হবার জন্য তাকে সাহস দেয় পাশাপাশি সে যেন ভালবাসার দেবতার প্রতি নম্র হয় তা বলে। তারা ক্রহিজিদের কাছে বলার জন্য সে কেমন অনুভব করছে তার একটি পরিকল্পনা করে।
২য় পর্ব
পর্ব-২ শুরু হয় ক্লিও নামের একজন ইতিহাসবিদের কাছে একটি কবিতার মাধ্যমে। লেখক প্রার্থনা করেছেন যে বইটি ভালভাবে লিখার জন্য সে তাকে সাহায্য করবে। পান্ডুরাস একটি বক্তৃতা দেয়। যে, সে কিভাবে তার নিজের ভালবাসার কাছে অযোগ্য এবং এটা ট্রয়লাস এবং ক্রহিজিদকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করেছে।
পান্ডুরাস তার ভাইঝিকে দেখতে যায় এবং তাদের প্রফুল্ল হতে বলে। অনেকটা সময় আড্ডা দেওয়ার পর সে তার কাছে ট্রয়লাসের অনুভূতি প্রকাশ করে। সে ক্রাইজিদকে অনুরোধ করে যেন সে ট্রয়লাসকে প্রেমিক হিসেবে মেনে নেয় এবং এও বলে যে, যদি মেনে না নেয় তবে পান্ডুরাস এবং ট্রয়লাস দুজনই আত্মহত্যা করবে। সে ক্রাইজিদকে স্মরন করে দেয় যে, সে এখন আর ছোট নয় এবং পরিবার হতে বিয়ের জন্য এখন চাপ আসবে।
এরই মধ্যে প্রথমবারের মত জানালার দৃশ্য হয়ে গেল। ট্রয়লাস একটি যুদ্ধ হতে ফিরে এসে তা রাস্তায় জাহির করছিল সে একই সাথে গর্বিত এবং ইতস্তত হয়ে গেল ক্রাইজিদের আকর্ষণে। ক্রাইজদের জানালা হতে দৃশ্যটা বাহিরে ছিল কিন্তু সে ট্রয়লাসকে পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছিল, পান্ডুরাসের বিবৃতির সাথে মিলানোর জন্য সে একটি ছবিকে মনস্থির করল। সে প্রেমিকা হওয়ার সুবিধা ও পতনের ব্যাপারে মগ্ন হয়ে গেল।
সে বলল যে সে সুরক্ষিত নয়, তার একটা নিরাপত্তা দরকার। তথাপি সে একজন বিধবা এবং ট্রয়লাসকে প্রেমিক হিসেবে নেয়ার অর্থ হচ্ছে তার স্বাধীনতাকে হারানো। ক্রাইজিদ তার মহিলাদের নিয়ে তার বাগানে চলে যায় এবং শুনে যে, এন্টিগনে একটি রোমান্টিক গান গাচ্ছে। সেদিন রাতে সে ঘুমে যায় এবং স্বপ্নে দেখে যে, একটি সাদা ঈগল তার হৃদয় নিয়ে যাচ্ছে অথচ কোন ব্যাখ্যা দিচ্ছে না এমনকি তার হৃদয় তাকে দিয়ে যাচ্ছে। সাদা ঈগলটি মূলত ট্রয়লাসকে বোঝায়। তারপর তারা পত্র বিনিময় শুরু করে আর এভাবেই সম্পর্ক শুরু হয়। আর এর সবকিছুতেই পান্ডুরাস জড়িত।
প্রথমত, ট্রয়লাস ক্রাইজিদকে পত্র লিখে কিন্তু পান্ডুরাস বলে দেয় কি লিখতে হবে এবং বলে যেন সে তার আবেগ দিয়ে লিখে। পান্ডুরাস নিজে সে তা ক্রাইজিদের কাছে হস্তান্তর করে এবং বলে সে যেন সরাসরি দ্রুত সময়ে ট্রয়লাসকে উত্তর দেয় এবং দেখা করে। কিন্তু এখনো ক্রাইজিদ অনিচ্ছুক এবং অস্বীকার করে যদিও সে এখনো একটি পত্র লিখে। আরো অনেক পত্র দুইজনের মধ্যে বিনিময়। হয় এবং একটি সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
পান্ডুরাস ডিআইপুবাস ভ্রমণ করে যেন ট্রয়লাস এবং ক্রাইজিদের সাক্ষাৎকার এর ব্যবস্থা করতে পারে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ডিআইফোবাসের ঘরে তারা দেখা করবে। সে ক্রাইজিদকে আমন্ত্রণ জানায় এই বলে যে, তার শত্রু রয়েছে। পান্ডুরাস ইতিমধ্যে ট্রয়লাসকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে এবং উপদেশ দেয় যেন সে রোগীর মত ভনিতা ধরে বিছানায় শুয়ে থাকে। পান্ডুরাস ক্রাইজিদকে বাড়িতে আনে এবং ট্রয়লাসের কক্ষে নিয়ে যায়। আর এভাবেই প্রথমবারের মত দুই প্রেমিক-প্রেমিকার সাক্ষাৎ হয়।
৩য় পর্ব
প্রেমের দেবতাকে সম্মোধন করে পর্ব-৩ শুরু হয়। তারা তার শক্তির প্রতি গায় এবং তাকে অনুরোধ করে ট্রয়লাস এবং ক্রাইজনের ভালবাসাকে আশির্বাদ করতে। এই বইটি যেখানে ক্রাইজিদকে ট্রয়লাসের কক্ষে আনা হয়েছিল সেখানেই ফিরে যায়। পান্ডুরাস চাচা হিসাবে ট্রয়লাসকে অনুরোধ করে যেন তার সম্মান রক্ষা করা হয় যেহেতু সেই একমাত্র রক্ষা কবচ। ট্রয়লাস নিশ্চিত করে যে, তার উদ্দেশ্য মহৎ। এই ঘটনার পর অনেকটা সময় চলে যায় তারা পত্র বিনিময় করে এবং অনেকবার সাক্ষাৎ করে।
একদিন এক সন্ধ্যায় যখন বৃষ্টি নামবে নামবে অবস্থা পান্ডুরাস ক্রাইজিনকে নৈশ্য আহারের জন্য নিমন্ত্রণ করে। সে আসে এবং যখন তারা আহারে বাস্ত ট্রয়লাস লুকিয়ে লুকিয়ে তাদেরকে অনুসরণ করছিল। খাবার শেষে বৃষ্টি আরো ঘনীভূত হয় তাই পান্ডুরাস ক্রাইজিদকে না যেতে বলে এবং থেকে যাবার জন্য প্রলুব্ধ করে।
পান্ডুরাস ক্রাইজিদকে একটি গোপন কক্ষে নিয়ে যায় এবং তাকে প্রলুব্ধ করে যেন সে হোরেস্টের সাথে মিথ্যে প্রেমের অভিনয় করে যেন ট্রয়লাসের হিংসে হয়। তারপর সে কান্নাকাটি করে এবং ট্রয়লাসকে বলে যে এসব সত্য নয়। ক্রাইজিদের জন্য ট্রয়লাস তার আবেগের কাছে দুর্বল হয়ে যায়। পান্ডুরাস তাকে প্রাণবন্ত করে এবং জামা খুলে নেয় তারপর ক্রাইজিদের কক্ষে প্রবেশ করায়। অবশেষে পান্ডুরাস ত্যাগ করে। ট্রয়লাস এবং ক্রাইজিদ বৈবাহিক সম্পর্কের মত রাত যাপন করে এবং ভোরে আলাদা হয়ে যায়।
পান্ডুরাস ট্রয়লাসকে ভাগ্য সম্পর্কে সতর্ক করে ভাগ্যদেবীকে চিত্রায়িত করার মাধ্যমে। তাকে একটি ঢাকার মাধ্যমে আঁকা হয় পরে বলা হয় যদি তাদের দুজনের একজন যদি চাকার উপরে অবস্থান করে তবে তারা সুখী, তাদের ভাগ্য ভালো। পান্ডুরাস ট্রয়লাসকে বলে যে চাকাটা খুব দ্রুত ঘুরবে তাই তার নিচে পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে এবং সে তার ভাগ্য হতে হোচট খেতে পারে। যুগলরা এক সাথে আরো অনেক রাত্রি যাপন করে এবং ট্রয়লাস যুবক যোদ্ধা হতে সাহসী যোদ্ধাতে পরিণত হয়।
৪র্থ পর্ব
পর্ব-৪ যুদ্ধের দেবতা মঙ্গলকে (মার্স) নিয়ে কবিতা দিয়ে শুরু হয়। লেখক পাঠকদেরকে ক্রাইজিদকে তিরস্কার না করে ক্ষমা করার কথা বলেন। ক্রাইজিদের বাবা ক্যালকাস ক্রাইজিদকে ট্রিয়ের তাবু হতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য এস্তেনর নামক একটি ট্রয়ের বন্দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেন। ট্রয়লাস সর্বদা তিরস্কার করে যে, ভাগ্য সর্বদা তার বিপরীত এবং হতাশায় বিবর্ণ হয়ে যায়। ট্রয়লাস প্যান্ডরাসের সাথে চুক্তি নিয়ে কথা বলে এবং কী করা যায় তা নিয়ে মগ্ন হয়ে পড়ে। পাণ্ডুরাস বলে যে ট্রয়লাস যেন অন্য একটা সম্পর্কে জড়ায় কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করলে বলে তারা দুজন যেন পালিয়ে যায়। কিন্তু ট্রয়লাসের মন তাতে সায় দেয় না কেননা, একজন সাহসী যোদ্ধার জন্য তা অসম্মানজনক।
এরপর যখন ক্রাইজিদের মহিলারা তার প্রসাদে ভ্রমণ করতে আসে সে ট্রয়লাসের জন্য যে কষ্ট তাকে রেখে চলে যেতে হবে বলে তা লুকিয়ে রাখে। তারা চলে গেলে সে তার কান্নার মাধ্যমে কষ্ট প্রকাশ করে। তারপর প্যান্ডরাস তার কাছে এসে ট্রয়লাসের তার জন্য যে কষ্ট তার কথা বলে এবং সে যেন ট্রয়লাসের সাথে দেখা করে তা বলে। এই মুহূর্তে ট্রয়লাস একটি মন্দিরে ভাগ্যের পূজায় মগ্ন। প্যান্ডরাস উপস্থিত হয় এবং বলে যে, সবকিছু ঠিক হবে, তাকে বলে সে যেন ক্রাইজিদের কাছে যায়। শেক্সপিয়রের রোমিও এন্ড জুলিয়েটের মত ট্রয়লাস ক্রাইজিদকে ভ্রমণ করে এবং আবেগে দূর্বল হয়ে পড়ে। ক্রাইজিদ মরে গেছে তার মনে করে সে তার নিজের গলায় নিজেই ব্লেড দিয়ে কাটতে যায় আর তখনি ক্রাইজিদ জেগে ওঠে এবং তাকে নিবারণ করে। তারা ক্রাইজিদের চলে যাওয়া নিয়ে কথা বলে কিন্তু সম্মানের স্বার্থে সে পালিয়ে যাবার ব্যাপারে রাজি নয়। বরং সে তার বাবার সাথে প্রতারণা করবে ফিরে যাবার দশ দিনের মধ্যে সে ট্রয়ে ফিরে আসবে।
৫ম পর্ব
তিন বছর পার হয়ে গেল ট্রয়লাস প্রথম ক্রাইজিদকে মন্দিরে দেখেছিল। এস্তেনরের বিনিময়ে ক্রাইজিদকে গ্রীক শিবিরে ফিরে যেতে হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে, গ্রীক যোদ্ধা ডায়োমিডাস তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে। ট্রয়লাস এবং প্যান্ডরাস সারপেডন'স এর ভিলাতে ভ্রমণ করে বা কিনা উল্লাসের জায়গা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ট্রয়লাম যখনি একা হয়ে যায় সে ভয়ংকর স্বপ্নে হারিয়ে যায়।
পান্ডুরাস খেয়াল করে সে তাকে প্রাণবন্ত করতে পারছে না। ট্রয়লাস দশ দিন অপেক্ষা করে এবং তাদের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে। ফিরে যাবার দশ দিনেও ক্রাইজিদ ট্রয়ে ফিরে আসেনি বরং সে ডায়োমিডানকে সুযোগ দেয় যেন সে তাকে প্রেমের কথা বলে বিনোদন দেয়। সে চিন্তা করে তার নিরাপত্তা দরকার আর তাই সে ডায়োমিডাসকে তার প্রেমিক হিসেবে গ্রহণ করে।
ট্রয়লাস ক্রাইজিদের ফিরে আসার অপেক্ষায় কিন্তু সে বুঝতে পারে সে আর ফিরবে না হয়ত সে অন্য কারো হাতে। পরদিন ভোরে সে ক্রাইজিদকে একটি হৃদয়গ্রাহী পত্র লিখে কেনো সে ফিরছে না। ক্রাইজিদও একটা উত্তরপত্র লিখে কিন্তু তা সংক্ষিপ্ত এবং অস্পষ্ট। ট্রয়লাস ক্যাসান্ড্রাতে যায় তার স্বপ্নের পাক খুলতে এবং সে বর্ণনা করে যে বন্য শূকর তার প্রেমিক। ট্রয়লাস ক্রাইজিদের বিশ্বাসঘাতকতাকে মানতে নারাজ। সে বারবার পত্র লিখতে শুরু করে কিন্তু ক্রাইজদের সব উত্তর সংক্ষিপ্ত এবং উদাসীন। ট্রয়বাসী ডায়োমিডাসের একটি নৌকাকে ধরে ফেলে এবং ট্রয়লাস তাতে মেয়েদের পোষাক আবিষ্কার করে আর তাতেই তাদের সম্পর্কে প্রকাশিত হয়।
ট্রয়লাস তার দূর্ভাগ্যের জন্য বিলাপ করে এবং বলে যে, সে এখনো ক্রাইজিদকে ভালবাসে। এই সম্পূর্ণ বই এ এই প্রথম পান্ডুরাস কিছু বলছে না কিন্তু সে ক্রাইজিদকে ঘৃণা করে এবং সে দুঃখিত। বর্ণনা খুব দ্রুত কথকের হাতে চলে যায় এবং সে ক্ষমাপ্রার্থী মহিলাদেরকে এই খারাপ খ্যাতির সাথে উপস্থাপন করার জন্য এবং তার বইয়ের ইতি টানে।
সে খুব সাধারণভাবে যুদ্ধে ট্রয়লাসের মৃত্যুর কথা জানায়। সে ডায়োমিডাসকে মারতে চেয়েছিল কিন্তু দূর্ভাগ্য যে তারা কেউ কারো হাতে মরবে না এটাই নিয়তি ছিল। তার পরিবর্তে ট্রয়লাস একিলিসের হাতে মৃত্যুবরণ করে। সে অষ্টম স্তরে উঠে যায় সেখান হতে সে দুনিয়াতে এখনো যারা ভোগ করছে তাদেরকে নিয়ে বিদ্রুপ করছে। কথক সবশেষে ত্রিত্ববাদের নিরাপত্তার কথা এবং ক্রিস্টের ক্ষমার প্রার্থনা করে তার গল্প শেষ করেন।
বিষয়বস্তু - subject matter
চসারের “The Canterbury Tales" এর মতো তার অপর একটি উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হলো 'Troilus and Creseyde'. এই কবিতায় অনেকগুলো বিষয়বস্তুর উপর আলোকপাত করা হয়েছে। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো:-
শিষ্ট/সম্ভ্রান্ত ভালোবাসা/প্রেম
চসারের গল্পে প্রেম হলো মূখ্যবিষয় এবং ট্রয়লাস ও ক্রিসেডি'র ভালোবাসা মধ্যযুগীয় শিষ্ট প্রেমের ধারণার অনেক রীতিনীতি অনুসরণ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বহুদূর থেকে কুমারীর ভক্তি অর্চনা করা (১ম খণ্ডে), সেই সতী সম্ভ্রান্ত মহিলা কর্তৃক সেই পুরুষকে প্রত্যাখ্যান (২য় খণ্ডে), বীরব্রতী ব্যবহার (৫ম খণ্ডে)। এসবকিছুই প্রেম-অসুস্থ্যতার লক্ষণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যা একটি মধ্যযুগীয় ধারণা এবং এটা ইঙ্গিত দেয় যে প্রেম থেকে বঞ্চিত হওয়াটা এক প্রকার শারীরিক অসুস্থ্যতার মতোই।
বন্ধুত্ব
ইংরেজি সাহিত্যের মধ্যযুগীয় সময়টাতে বন্ধুত্বের ধারণার উপর খুব বেশী গুরুত্ব প্রদান করা হতো। বন্ধুত্বের বিষয়বস্তুটিই ক্রিসেডি, ট্রয়লাস এবং প্যান্ডারাসের মতো মূল চরিত্রগুলোর কার্যাবলির অনুপ্রেরণা জোগায়। শেষের দিকে এরিস্টটলের 'অসম্পূর্ণ/ত্রুটিযুক্ত বন্ধুত্বের ধারণাটিকে কার্যকর ভূমিকায় দেখা যায়, যা হ্রাস পায় যেহেতু এটি পারস্পরিকভাবে অনর্থক/নিষ্প্রয়োজন।
ভাগ্য বনাম মানুষের পছন্দ
চসারের বর্ণনাকারী নিয়মিত পরোক্ষভাবে ভাগ্যের কথা উল্লেখ করেন, যা কিনা দেবী ফরচুনা এবং তার চাকা প্রতিকের দ্বারা মূর্ত করা হয়েছে। যখন কেউ দেবী ফরচুনার আশির্বাদপুষ্ট হয়, তখন তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় এবং সে ইতিবাচক ভালো ভালো জিনিসের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। তৎসত্ত্বেও সে সবসময় এই আশংকায় থাকে যে কখন যেন ভাগ্যের চাকা হঠাৎ করে ঘুরে যায় এবং সে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হয়। কবিতার শুরুতেই সতর্ক করে দেওয়া হয় যে, ট্রয়লাস "দুঃখ থেকে আনন্দের দিকে ধাবিত হবে, এবং তারপর আনন্দের বাহিরে।” এখানে শুরু থেকেই এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় যে ট্রয়লাসের ভাগ্য তরঙ্গায়িত হবে এবং একেবারে খারাপভাবে পরিসমাপ্তি ঘটবে।
চসারের প্রেমের ঘটনায় ভাগ্য কেবল বিষয়ভিত্তিক একটি বিষয় নয়, বরং এটি একটি সাংগঠনিক বিষয়। ট্রয়লাসের ভাগ্যের ছাঁচ চাকার মতো, প্রথম দুই খণ্ডে তার সাথে তাকে উপরে উঠিয়ে নিয়ে আসে। তৃতীয় খণ্ডে তার চরম/সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পৌছায়, এবং গল্পের বাকি অংশজুড়ে তার পতন পরিলক্ষিত হয়।
স্বপ্ন
Troilus and Criseyde' কবিতার জগতে স্বপ্নগুলো কোনো উদ্দেশ্যহীন বা এলোমেলো কিছু ঘটনার সমষ্টি নয়, বরং এর চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ কিছু। স্বপ্নগুলো আসলে দৈববাণী প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাদের স্বপ্নগুলোর প্রতীকি অর্থসমূহ সাগ্রহে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করার ইচ্ছা গল্পের চরিত্রগুলোকে হয় সহায়তা করে বা তাদের বাঁধাগ্রস্থ করে; উদাহরণস্বরূপ, ট্রয়লাসের স্বপ্নের পরিষ্কার বার্তা প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করা পরবর্তীতে তার জন্য কেবল ভোগান্তি সৃষ্টি করে।
দ্বৈবিধ্য
এই কবিতাটি অনেক রকমের দ্বৈধ্যি নিয়ে আলোচনা করে/তুলে ধরে। ভালোবাসা এবং ঘৃণা, জীবন এবং মৃত্যু, যুদ্ধ এবং শাস্তি। ট্রয়লাসের ব্যক্তিগত জীবনে ঘটনা চক্রে যে উত্থান পতন তা বাহিরের জগতেও প্রতিফলিত হয় যেখানে আমরা গ্রীস এবং ট্রয়ের মধ্যে সংঘর্ষ দেখতে পাই। যা সাময়িকভাবে স্থিতিশীল হলেও অবশেষে চরম পরিণতির দিকে মোড় নেয়।
নিরাপত্তা
এই বিষয়টি মূলত ক্রিসেডি'র চরিত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট। তার সকল কাজকর্ম নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নির্ধারিত হয়। তার পুরো জীবনের বিভিন্ন স্তরে সে নিরাপত্তা খোঁজে: শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক।
খ্রিস্টান পরিপ্রেক্ষিত
একজন খ্রিস্টান বর্ণনাকারী দ্বারা একটি পৌত্তলিক কাহিনী বর্ণনা করানোর মাধ্যমে খ্রিস্টধর্মীয় ও পৌত্তলিক আদর্শগুলোর তুলনা ও প্রতি তুলনা করা হয়েছে। বর্ণনাকারী প্রাথমিকভাবে প্রেম-ভালোবাসার ধারণার প্রতি প্রণয়াসক্ত হলেও, ট্রয়লাসের দুঃখজনক ঘটনার মাধ্যমে ঈশ্বরের স্থায়ী ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করেন। সমস্ত কবিতা জুড়ে ট্রয়লাসের ভালোবাসা একটি ধর্মীয় গুণাগুণ অর্জন করে।
বিশ্বাসঘাতকতা
ট্রয়লাস এবং ক্রিসেডি'র প্রেম পরিণামে বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে শেষ হয়; এটি ঘটনাসমূহের পালা পরিবর্তন যা পাঠকদেরকে আশ্চর্যান্বিত করতো। যদি না বর্ণনাকারী ভবিষ্যৎ ঘটনাবলির দিকে ইশারা করতেন।
এটি পরিষ্কার যে, এখানে ট্রয়লাসের মতো ক্রিসেডির আবেগ এতটা দৃঢ় নয়। তথাপি পাঠকদের মনে এই প্রশ্ন আসে ক্রিসেডির কার্যাবলির জন্য যে যেমন ট্রয়লাস তাকে ঘৃণা করেছে এমন ঘৃণা করা যায়। এই বিশ্বাসঘাকতা ট্রয়লাসের জন্য চরম ভোগান্তি এবং পরণামস্বরূপ মৃত্যু বয়ে নিয়ে আসলেও, ট্রয়লাস পার্থিব ভালোবাসার উপর ঈশ্বরের আধ্যাত্মিক ভালোবাসার মূল্য সম্পর্কে জান অর্জন করতে পেরেছিলো এবং এটা অনুধারন করতে পেরেছিলো যে কেবল ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কই সম্পূর্ণরূপে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য হতে পারে।
একনজরে Troilus and Criseyde
'Troilus and Criseyde' কবিতাটি পাঁচটি আলাদা আলাদা খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম দুইটি খণ্ডে ট্রয়লাস ক্রিসেডিকে খুঁজে পায় এবং পানি প্রার্থনা করে/অনুনয় বিনয় করে। তৃতীয় খণ্ডটি সবচেয়ে আকর্ষণীয়। যেখানে এই প্রেমিক যুগল তাদের প্রেম উদ্যাপন করে। চতুর্থ খণ্ডে তারা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। পঞ্চম খণ্ড তারা বিচ্ছিন্ন থাকা অবস্থায় তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
এই কাহিনীটি ট্রয় নগরীর অবরোধকালীন সময়ের। ট্রয়নগরীর একজন ভবিষ্যবক্তা, ক্যালকাস, ট্রয় নগরীর পতনের ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী করেন এবং ভয়ে শহরে ছেড়ে পালিয়ে যান। তার মেয়ে ক্রিসেডিকে পরিত্যাগ করে তিনি গ্রিকদের প্রতি তার আনুগত্য প্রদর্শন করেন। ট্রয়ের অধিবাসিরা তার এই বিশ্বাসঘাতকতাকে দয়া সুলভ দৃষ্টিতে দেখেনি। এবং তার কার্যাবলিকে তারা যেমন ঘৃণাপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখতো তেমন ঘৃণাপূর্ণ আচরণ তারা ক্রিসেডির সাথে করতো।
ক্রিসেডি ট্রয়ের সাহসী যোদ্ধা, ট্রয়লাসের সাক্ষাৎ লাভ করে। যে দেবতা কিউপিডকে (যিনি ইরাস নামেও পরিচিত) প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে রঙ্গ করার কারণে রাগান্বিত করেছে। দেবতা কিউপিড ক্রিসেডির সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ করার মাধ্যমে ট্রয়লাসকে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। ক্রিসেডি'র চাচা, প্যান্ডারাস এই যুগলকে একত্র করার কৌশল/চক্রান্ত করে। একটি পর্যায়ে, কোন এক অনুষ্ঠানে ট্রয়লাস ত্রিসেডি'র প্রতি তার ভালোবাসার কথা স্বীকার করে এবং সে আগ্রহশূন্য প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে। পরবর্তীতে প্যান্ডারাস যখন তাদের দুইজনকে আবার একত্রিত করে তখন ক্রিসেডি ট্রয়লাসের প্রতি তার ভালোবাসার কথা স্বীকার করে। প্যান্ডারাস তাদের দুইজনকে একত্রে রাত্রিযাপন করার সুযোগ করে দেয়, এবং সেই স্বল্প সময় তারা স্বর্গসুখের মধ্যে ছিলো। এদিকে গ্রিক শিবিরে, ক্যালকাস তার মেয়ের অভাব অনুভব করতে থাকেন। তিনি ক্রিসেডির বিনিময়ে একজন গ্রিক বন্দি এনটেনরকে বিনিময়ের জন্য গ্রিকদের ব্যবস্থা করেন। টয়ের সকলে এই বিষয় পছন্দ করেনি। ট্রয়ের যুবরাজ, হেক্টর এর প্রতিবাদ করেন। যেমনটি করে ট্রয়লাস। যদিও ট্রয়লাস এটি কেবল তার নিজের মধ্যেই রাখে। এর পরিবর্তে ট্রয়লাম ক্রিসেডিকে তাদের দুইজনের গোপনে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু ক্রিসেডি তা এই বলে প্রত্যাখ্যান করে যে এটা সুবিবেচিত কাজ হবে না।
একত্রে পলায়ন করার পরিবর্তে সে শপথ করে যে, বিনিময়ের পর সে তার বাবাকে ত্যাগ করে ট্রয় নগরীতে ফিরে আসবে। দশ দিনের মধ্যে সে ট্রয়লাসের সাথে আবার একত্রিত হবে, এমন অঙ্গিকার করে, কিন্তু সে এমন একটি অনুভূতির সাথে প্রস্থান করে যেন কোনো একটা কিছু বেঠিকভাবে বা রীতিবিরুদ্ধ হবে। ক্রিসেডি যখন গ্রিক শিবিরে তার বাবার কাছে ফিরে আসে; সে এটা অনুভব করা শুরু করে যে ট্রয়লাসের সাথে করা তার অঙ্গিকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা অসম্ভব। ট্রয়লাস তাকে চিঠি লিখতে থাকে, কিন্তু ক্রিসেডির উত্তরগুলো ছিলো সব খারিজ/উড়িয়ে দেওয়ার মতো।
দশম দিনে, যে দিনটিতে ক্রিসেডি একদা ইচ্ছা পোষণ করেছিলো ট্রয়ে ফিরে আসার, এর পরিবর্তে সেই দিন তার সাক্ষাৎ হয় ডাইমডের সাথে যে তার সাথে অনুনয় বিনয় করে। যে তার কাছে প্রেম নিবেদন করে। একই সময়, প্যান্ডারাস ও ট্রয়লাস উভয়েই ক্রিসেডির ফিরে আসার অপেক্ষা করতে থাকে, যদিও প্যান্ডারাস অবশেষে অনুধাবন করতে পারে যে সে আসছে না। এই জিনিসটি ট্রয়লাসের বুঝতে আরও একটু বেশী সময় লেগে যায়। কিন্তু যখন সে বুঝতে পারে তখন সে ভাগ্যকে অভিশাপ দেয়।
এটা গল্পের এই দুঃখজনক মুহূর্তে, বর্ণনাকারী নারী/মেয়ে লোকের চিত্রায়নের জন্য গল্পে বিরতি দেয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ক্রিসেডির মধ্যে চসারের নারীজাতির চিত্রায়ণ তুলনামূলকভাবে অন্যান্য সাহিত্য কর্মসমূহের চেয়ে বেশী দয়ামায়াসূলভ, যেখানে তাকে চপল / পরিবর্তনশীল হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। এখানে আমরা দেখতে পাই তার চাচা প্যান্ডারাসসহ সে সহজেই অন্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়।
বর্ণনাকারী যুদ্ধে ট্রয়লাসের মৃত্যুর সংবাদ দেন। এবং তারপর আবার গল্পে বিরতি দেন পৌত্তলিকতার উপর খ্রিস্টান ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব জানানোর জন্যে। বর্ণনাকারী কবিতাটিকে “ন্যায়পরায়ণ গাওয়ার" এবং "দার্শনিক স্ট্রোড কে উৎসর্গ করেন, এবং অবশেষে যিশু খ্রিস্টের দয়া প্রার্থনা করেন।
সমালোচনা (Criticism)
চসারকে বলা হয় ইংরেজি সাহিত্যের জনক। অনেক সমালোচকই তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে অনেক কবির আদর্শ তিনি। তিনি ইংরেজি ভাষা এবং সাহিত্যের অগ্রপথিক। তার হতেই ইংরেজি সাহিত্যের শুরু। অনেক কবি তার কবিতা পড়ে বাস্তবিক সৌন্দর্য আহরণ করেছেন। অন্যান্য সমালোচক এবং প্রশংসাকারীর মত হিউগ একজন। তিনি তার বিখ্যাত "ক্যানটারবেরী টেইল' বইটি পড়েছেন। যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কোন কবির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে কিনা। তিনি বলেন “তিনি কেবল একজন কবিকেই পড়েছেন এবং সেটি চসার।” এইভাবে তিনি তার সব সময়ের প্রিয় কবি। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে অনেক লেখক তার প্রশংসা করেছেন তেমনি অনেকে সমালোচনাও করেছেন। টেড হিউগ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন না আর তাই তিনি এসব সমালোচনাকারীদেরকে উৎসর্গ করে সমালোচনার জবাব দিয়ে কবিতা লিখেন। কবিতাটির নাম “সেক্ষ রিভানভেন্ট” যা চসারের জন্য লিখা, তার কাজের জন্য লিখা।
কবিতার শুরু হতে তিনি চসারের প্রশংসা করেন। তিনি চসারের কাজ সম্পর্কে কথা বলেন এবং কানারব্রেরী হতে কিছু উদ্ধৃতি দেন। তার মতে চসার হচ্ছে ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর কবি। তার দৃষ্টিতে তিনি সবার উপর। তিনি তার কাব্যিক গুনাগুনকে মূল্যায়ন করেন। তার মতে চসার একজন বাস্তববাদী কবি যে খুব সুন্দরভাবে অনুকরণ করতে পারে। তার বাস্তবিক দৃশ্যপটের জন্য তিনি বিখ্যাত। কবির পরিবর্তে তাকে চিত্রকর বলা হয় কেননা তিনি কলস চিত্র সৃষ্টি করেছেন যার উদাহরণ 'কানারবেরী টেইল' দেখতে পাওয়া যায়। এইভাবে চসার সব গাছে, চারায়, পোপ ঝাড়ে সজীবতা দিয়েছেন। তিনি বাস্তব জীবনকে গুরুত্ব দেন অন্য পক্ষে কাল্পনিক জীবনের কোন অস্তিত্ব নেই। বরং তিনি দুনিয়াটা দেখেন এবং তা বই এ চিত্রায়ণ করেন। তিনি ক্যানারবেরীতে যাত্রার সময় যা দেখেছেন তাই পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন।
troilus and criseyde, troilus and criseyde, troilus and criseyde, troilus and criseyde, troilus and criseyde, troilus and criseyde, troilus and criseyde, troilus and criseyde, troilus and criseyde