বাংলা স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও উত্তর ৫ম শ্রেণি, Bangla Special Model Test Class 5
ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বাংলা স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও উত্তর।
১। সঠিক উত্তরটি খাতায় লেখ (যে-কোনো দশটি):
(খ) আফ্রিকার কথা উঠলে কোন প্রাণীর কথা মনে হয়? সিংহ/হাতি/বাঘ/উট।
(গ) হাতির করুণ পরিণতির জন্য দায়ী কোনটি? হাতির অহংকার/হাতির লম্বা শুঁড়/হাতির ভারীশরীর/হাতির বোকামি।
(ঘ) বাবা মারা যাওয়ার পর নূর মোহাম্মদ কিসে যোগ দিলেন? বাংলাদেশ রাইফেলসে/ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে / বাংলাদেশ নেভিতে/কোনোটিই না।
(ঙ) কুমার সম্প্রদায় কিসের কাজ করেন? - বাঁশের কাজ/ কাঠের কাজ/পাকা বাড়ির কাজ/মাটির কাজ।
(ছ) উয়ারী-বটেশ্বরের প্রচুর প্রাচীন নিদর্শন সংগ্রহ করে জাদুঘরে কে জমা দেন? হাসিবুল্লাহ পাঠান/হাফিজুল্লাহ পাঠান/হাবিবুল্লাহ পাঠান/শরিফুল্লাহ পাঠান।
(জ) ভাবুক ছেলেটি কে? কবি নজরুল/ হাবিবুর রহমান/ স্যার জগদীশচন্দ্র বসু/নিউটন।
(ঝ) নায়াগ্রা কোথায় অবস্থিত? জাপান/ভারত/কানাডা/রাশিয়া।
(ঞ) কাজী নজরুল ইসলাম কোন দেশের জাতীয় কবি? ভারতের/বাংলাদেশের/পাকিস্তানের/ইরানের
(ঠ) নদীর তীরে সারি সারি কী রাখা ছিল? - জেলেদের জাল/গাছের গুঁড়ি খড়ের গাদা/নৌকা।
(ড) সন্ধ্যাবেলা ছেলের দল ঘাটে কী করে?- খেলা করে/মাছ ধরে/পানিতে ভেলা ভাসায়/নৌকা চড়ে
(ঢ) 'স্বদেশ' কবিতায় কবি বাংলাদেশের কোন ছবিটি তুলে ধরেছেন? বাংলাদেশের শহরের মানুষের ছবি/নদীর পাড়ের জেলেদের ছবি/ বাংলাদেশের পাহাড়ি মানুষের ছবি/ বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি।
২. যে-কোনো দশটি শব্দের অর্থ লেখ :
বৈচিত্র্য, আসন, রক্ষী, জনপদ, ক্রীতদাস, সম্মেলন, পরাবন, ক্যাম্প, দেশান্তর, স্রোতস্বিনী, ফেরিঅলা, কিরণ, বারি, খাজনা।
৩। কবির নামসহ 'ফেব্রুয়ারি গান' অথবা 'স্বদেশ' কবিতার প্রথম দশ লাইন মুখস্থ লেখ।
৪। যে-কোনো একটি কবিতার সারমর্ম লেখঃ
(খ) ঘাসফুল।
৫. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (গদ্যাংশ)
(খ) মাটির শিল্প বলতে কী বোঝ? মাটির শিল্প কেন আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়।
৬. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও(পদ্যাংশ)
(খ) মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মানুষ কখনো ভুলবে না কেন?
৭. যে-কোনো পাঁচটি শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করঃ
সার্থক, মেদিনী, দুরন্ত, মোহ, মুক্তিকামী, যুগান্তর, জগৎ, বর্গি।
৮। বাম পাশের বাক্যের সাথে ডান পাশের বাক্য মিল করঃ
মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে কারিগরি জ্ঞান ।
মামা বললেন, বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্প।
সরকার হাতের নৈপুণ্য ও কদর বেড়েছে।
পোড়ামাটির এই ফলক মৃৎশিল্প বলে।
পোড়ামাটির নকশার এটা শখের হাঁড়ি।
৯। যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
(খ) পদ কাকে বলে? পদ কত প্রকার ও কী উদাহরণসহ লেখ।
(গ) পদ নির্ণয় কর - যে-কোনো পাঁচটিঃ তার, ও, গরম, পর্যন্ত, ঘাট, মহানবি, ছিলেন, দুর্গ, সে দ্রুত।
(ঘ) সন্ধি বিচ্ছেদ করা (যে-কোনো পাঁচটি)- পরীক্ষা, অতীত, যথেষ্ট, ঘোড়শ, ততোধিক শীতার্ত, সংশয়, আবিষ্কার, কটূক্তি, সংবাদ।
(ঙ) বিপরীত শব্দ লেখ (যে-কোনো পাঁচটি)
(চ) এক কথায় প্রকাশ কর (যে-কোনো পাঁচটি)ঃ
বরণ করার যোগ্য-
অহংকার নেই যার-
কোথাও উঁচু কোথাও নিচু-
ময়ূরের ডাক-
বিদেশে থাকে যে-
উপকার করার ইচ্ছা-
খাবার যোগ্য-
আকাশে গমন করে যে-
যার তুলনা হয় না-
১০। যে-কোনো একটি বিষয়ে রচনা লেখ :
(ক) বর্ষাকাল।
(খ) শিক্ষকের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য।
(গ) ছাত্রজীবন।
(ঘ) নামাজের গুরুত্ব।
উত্তরমালা
১। সঠিক উত্তর। (ক) সংগ্রাই, (খ) সিংহ, (গ) হাতির অহংকার, (ঘ) ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসে, (ঙ) মাটির কাজ, (চ) জল, (ছ) হাবিবুল্লাহ পাঠান, (জ) স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, (ঝ) কানাডা, (ঞ) বাংলাদেশের, (ট) মুগ্ধ, (ঠ) নৌকা, (ড) পানিতে ভেলা ভাসায়, (ঢ) বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ছবি।
২। শব্দের অর্থ
আসন- যার উপর উপবেশন করা যায়। যেমন চেয়ার, মাদুর, টুল
জনপদ- লোকালয় শহর
ক্রীতদাস- কেন গোলাম, মূল্য দিয়ে যে ভৃত্যকে যাবজ্জীবনের জন্য কেনা হয়েছে।
সম্মেলন- জনসমাবেশ
পরাধীন- পরের অধীন, পরবশ
ক্যাম্প- সৈনিক বা যোদ্ধাদের অস্থায়ী ঘাটি।
দেশান্তর- অন্যদেশ
স্রোতস্বিনী- নদী
ফেরিঅলা- রাস্তায় না বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে যারা জিনিসপত্র বিক্রি করেন।
কিরণ- আলো
বারি- পানি
খাজনা- কর বা ট্যাক্স
৩। কবিতাঃ
৪। (ক) ‘শব্দদূষণ' কবিতাটির সারমর্ম লেখ।(ইব. স. প. ২০১৬, '১৯)
উত্তরঃ উপস্থাপনা : প্রতিদিন বিভিন্ন উৎস থেকে আমাদের কানে শব্দ ভেসে আসে। এগুলোর কোনোটি শ্রুতিমধুর আবার কোনোটি শ্রুতিকটু। তবে শব্দের মাত্রা বেশি হলে তা শব্দদূষণে পরিণত হয়। ‘শব্দদূষণ' কবিতায় কবি শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবের দিকটি আলোকপাত করেছেন।
কবিতাটির সারমর্মঃ প্রতি মুহূর্তে আমাদের চারপাশে আমরা হাজার রকমের শব্দ শুনি। পশুপাখির ডাকের শব্দ, যানবাহনের শব্দ, কলকারখানার ইঞ্জিনের শব্দ, রেডিও-টেলিভিশনের শব্দ, কথার শব্দ, গানের শব্দ, মিছিল, মিটিং, মাইকিং এরকম বহু শব্দ কানে আসে। শব্দ যত বেশি উচ্চমাত্রার হবে আমাদের কানের জন্য তত বেশি ক্ষতিকর হবে। ফলে আমাদের মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা বধির হয়ে যেতে পারি। বাচ্চাদের এবং বৃদ্ধদেরও শব্দদূষণে মারাত্মক ক্ষতি হয়। শব্দদূষণ' কবিতায় নানাভাবে শব্দদূষণের কথা বলা হয়েছে। তাই শব্দদূষণ রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক।
উপসংহারঃ শহুরে জীবনে শব্দদূষণের মাত্রা বেশি। পল্লিজীবনে এই দূষণের মাত্রা কম বলেই কবি ‘পল্লির সুরে মন ভরে যাওয়ার কথা বলেছেন।
(খ) 'ঘাসফুল' কবিতাটির সারমর্ম লেখ।
উত্তরঃ উপস্থাপনা: ঘাসফুল এই বিশাল প্রকৃতির ক্ষুদ্র প্রাণের প্রতীক। মানুষের জীবনে যেমন দুঃখ-কষ্ট আছে, তেমনি রয়েছে ক্ষুদ্র এই ঘাসফুলের জীবনেও। কিন্তু মানুষ এই ক্ষুদ্র জীবনের দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করে না বলেই ঘাসফুল এত অবহেলিত।
কবিতাটির সারমর্ম: 'ঘাসফুল' কবিতায় কবি জীবনের স্নেহ কণাগুলো ঘাসফুল হয়ে ফুটে ওঠার বিচিত্র রূপের কথা বর্ণনা করেছেন। ঘাসের ছোট ছোট ফুল অর্থাৎ ঘাসফুলের মুখ দিয়ে কবিতাটি বলানো হয়েছে। ঘাসফুল যে কী আনন্দে বেঁচে আছে, জীবনকে উপভোগ করছে সে কথাই এখানে তারা নিজেরা বলছে। ফুল ছিঁড়ে, পায়ের নিচে পিষে মানুষ তাদের যেন কষ্ট না দেয়— সেই মিনতি তারা করছে। গাছে ফুল ফুটলে তা দেখে আনন্দ পাওয়া চাই। ফুল ছেঁড়ার অর্থ ফুলকে মেরে ফেলা। গাছের যেমন প্রাণ আছে, ফুলেরও তেমনই প্রাণ আছে।
উপসংহার: ঘাসফুল যেন জীবনের ছোট ছোট সুখ-দুঃখের রং-বেরঙের প্রকাশ। কিন্তু প্রকৃতির এই ক্ষুদ্র প্রাণের প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণে ঘাসফুলগুলো যেন ভাষা ফিরে পেয়েছে। ছোট ঘাসফুলের এ আহ্বানের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষুদ্রের প্রতি অবহেলার বাস্তব রূপই প্রত্যক্ষ করি।
৫। (ক) দেশ হলো জননীর মতো।” দেশকে জননীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন? স. প. ২০১৭]
উত্তরঃ উপস্থাপনা : অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ বাংলাদেশ। এদেশ আলো, বায়ু, পানি ইত্যাদি দিয়ে আমাদের জীবন রক্ষা করে। এদেশকে আমরা মায়ের মতোই ভালোবাসি ।
জননীর সাথে তুলনা করার কারণঃ আমাদের দেশে রয়েছে নানা প্রাকৃতিক সম্পদ। নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র এসব সেই সম্পদের এক একটি উৎস। মা যেমন আমাদের জন্ম দেন এবং তাঁর স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন তেমনি এদেশ আলো, পানি, বাতাস ও নানা সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। মায়ের মতোই আমাদের জীবনে এদেশের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে 'দেশ হলো জননীর মতো' এ কথা বলে দেশকে জননীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
উপসংহারঃ এদেশের আলো, বাতাস, পানি ইত্যাদি পেয়ে আমরা বেঁচে আছি। তাই এদেশ আমাদের কাছে জননীর মতো।
(খ) মাটির শিল্প বলতে কী বুঝি? মাটির শিল্প কেন আমাদের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়? বি. স. প. ২০১৯]
উত্তরঃ উপস্থাপনা: 'শখের মৃৎশিল্প' এদেশের শিল্পকলা নিয়ে একটি সুন্দর রচনা। এতে বাংলাদেশের প্রাচীন শিল্পকলার পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
মাটির শিল্প : মাটি দিয়ে তৈরি শিল্পকর্মকে আমরা মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প বলে থাকি। মাটিই এই শিল্পের প্রধান উপকরণ। সব ধরনের মাটি দিয়ে এই কাজ হয় না। এর জন্য দরকার পরিষ্কার এঁটেল মাটি।
ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয় হওয়ার কারণ: হাজার বছর আগে আমাদের দেশে সুন্দর সুন্দর পোড়ামাটির কাজ হতো। সম্প্রতি নরসিংদী জেলার উয়ারী-বটেশ্বরে পাওয়া গেছে হাজার বছরের ঐতিহ্যের নিদর্শন। মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে নানা ধরনের সুন্দর মাটির পাত্র আর ফলক। টেরাকোটা বাংলার অনেক পুরানো শিল্প। শালবন বিহার, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, কান্তজির মন্দিরে এই শিল্পের নিদর্শন পাওয়া যায়। কয়েকশ বছরের পুরানো টেরাকোটা ও পোড়ামাটির অপূর্ব কাজ বাঙালি সমাজের অতীত ঐতিহ্যের স্মারক।
৬। 'সব মিলে এক ছবি' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? কোন ছবিটি টাকা দিয়ে কেনা যায় না?
উত্তরঃ উপস্থাপনা: এদেশের প্রকৃতি আর মানুষের জীবন মিলে যেন পরিপূর্ণ এক অপরূপ ছবি। এ ছবির মূল্য টাকা দিয়ে পরিমাপ করা যায় না ।
‘সব মিলে এক ছবি বলতে যা বোঝানো হয়েছে: 'সব মিলে এক ছবি' বলতে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রার চিত্রকে বোঝানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রকৃতি চির সবুজ। এদেশের বুক জুড়ে রয়েছে ফসলের সবুজ মাঠ। সে সবুজকে ছুঁয়ে বয়ে যায় দখিনা বাতাস। এদেশের গাছের সবুজ পাতার আড়ালে ডাকে পাখি। সবুজ মাঠের বুক চিরে বয়ে চলে নদী। নদীর দুপাশে গড়ে ওঠে গ্রাম। গ্রামের মানুষ নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। তাদের পেশাও নানা রকমের। প্রকৃতির মতো তাদের জীবনযাত্রাও বৈচিত্র্যময়। কবি এই দেশ, এই প্রকৃতি আর মানুষকেই কবিতায় তুলে ধরেছেন। যেন দেশের মাটি, মানুষ, বাড়ি, বাগান, পাখপাখালি সবকিছু মিলে এক অপরূপ ছবি
যে ছবিটি টাকা দিয়ে কেনা যায় না: বাংলাদেশ চির সবুজের দেশ। এদেশের মাঠে মাঠে ফলে সবুজ ফসল। এ সবুজের বুক চিরে এঁকেবেঁকে বয়ে চলেছে নদী। নদীতে সারি সারি পালতোলা নৌকা চলে। গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে শিস দেয় দোয়েল। প্রকৃতির একদিকে পাহাড় অন্যদিকে রয়েছে সাগর। সব মিলে অপরূপ এ প্রকৃতি। শিল্পী রং দিয়ে প্রকৃতির ছবি আঁকেন। সেই ছবি হয়তো টাকা দিয়ে কেনা যায়। কিন্তু প্রকৃতির রং-তুলিতে আঁকা বাংলাদেশের অপরূপ প্রকৃতির এ ছবি কেনা যায় না। এ ছবি অমূল্য, পৃথিবীর কোনোকিছুর বিনিময়ে তা বিক্রি করা যায় না ।
উপসংহার: বাংলাদেশের প্রকৃতি অপরূপ সুন্দর। এদেশের প্রকৃতি দেখলে মনে হয় কোনো শিল্পীর আঁকা এক অপরূপ ছবি।
(খ) মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মানুষ কখনো ভূলবে না কেনো?
উত্তরঃ মানুষ যে কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভুলবে না: হানাদারদের সাথে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা এদেশকে স্বাধীন করেছিল বলে মানুষ কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভুলবে না। ১৯৭১ সালে ল মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের সাথে যুদ্ধ করে জয়লাভ করে। হানাদারদের অত্যাচার-নির্যাতন ও নিষ্পেষণ থেকে দেশবাসীকে । মুক্তি দেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারাই হানাদার পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের এদেশ থেকে তাড়িয়েছিলেন। তাদের এ স্মরণীয় অবদানের জন্য এদেশের মানুষ তাদের কখনো ভুলবে না।
উপসংহার: মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে হানাদাররা এদেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। যার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
৭। যে-কোনো পাঁচটি শব্দ দিয়ে বাক্য :
মেদিনী-- বিদ্যুৎ চমকালে মেদিনী কেঁপে ওঠে বরে মনে হতে পারে।
দুরন্ত-- ছেলেটি বেশ দুরন্ত
মোহ-- সৎ লোকেদের টাকার মোহ থাকে না।
মুক্তিকামী-- শহীদ হলেন অসংখ্য মুক্তিকামী বীর সৈনিক
যুগান্তর-- অনেক যুগ যুগান্তর পার হয়ে আমরা বর্তমান সময়ে এসেছি
জগৎ--এ জগতে সবাই সুখি হতে চায়।
বর্গি -- বর্গিরা এদেশে অনেক ক্ষতি করেছে।
৮। উত্তরঃ
মামা বললেন, এটা শখের হাঁড়ি।
দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান।
পোড়ামাটির এই ফলক বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্প।
পোড়ামাটির নকশার কদর বেড়েছে ।
১০। রচনাঃ
বর্ষাকাল (ই. স. প. ২০১০, '১৩, '১৫, '১৮) অথবা, বাংলাদেশের বর্ষা
উপস্থাপনাঃ বাংলাদেশ ষড়ঋতুর গতিময় ছন্দে আন্দোলিত এক অপূর্ব বৈচিত্র্যের দেশ। আর এ ঋতুবৈচিত্র্যের দ্বিতীয় পর্যায় বর্ষাকাল। বাংলাদেশের জীবনযাত্রা ও কর্ম-তৎপরতায় বর্ষার ব্যাপক প্রভাব বিদ্যমান।
সময়: গ্রীষ্মের পরে আসে বর্ষা। আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দু-মাস বর্ষাকাল। কিন্তু বর্ষা আমাদের দেশে প্রায় চারমাস স্থায়ী হয়। তাই এ ঋতুকে আমরা বিশেষভাবে অনুভব করি। বর্ষার প্রকৃতি : গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে প্রকৃতিতে যে রুক্ষতা আসে, বর্ষার আগমনে তা দূরীভূত হয়। প্রকৃতি ফিরে পায় তার হারানো সৌন্দর্য। দিকে দিকে প্রসারিত হয় সবুজের অন্তহীন সমারোহ। খালবিল, নদীনালা পানিতে ভরে যায়। পালতোলা নৌকায় মাঝি ভাটিয়ালি সুরে গান গায়। সহসাই ঝমঝম বৃষ্টি হয়। টিনের চালে চলে বৃষ্টির অপূর্ব নৃত্য। কদম, কেয়া, , জুঁই, শাপলা প্রভৃতি ফুলে চারদিক মোহনীয় হয়ে ওঠে। এ সময় কাঁঠাল, আনারস, জামরুল ইত্যাদি ফল প্রকৃতিতে অপূর্ব দেশি সুষমা এনে দেয়। চারদিকে থৈ থৈ পানিতে মানুষের মনেও খুশির বান ডাকে। এজন্য ছন্দবদ্ধ ভাষায় বলা হয়েছে
বর্ষার কারণ: বর্ষা ঋতুর এ সমারোহপূর্ণ আগমনের পেছনে ভৌগোলিক কারণ বিদ্যমান। গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বায়ু ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর হতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প হয়ে উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয় এবং হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে নিম্নাঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। বাংলাদেশ হিমালয়ের নিম্নাঞ্চল ৷ তাই বর্ষাকালে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় ।
প্রকৃতিতে বর্ষার প্রভাব: বর্ষাকালে চতুর্দিক পানিতে পূর্ণ হয়ে থৈ থৈ করতে থাকে। চারদিকে গাছপালা নতুন পানির স্পর্শে সতেজ শ্যামল রূপ ধারণ করে। এমতাবস্থায় নানারকম জলজ উদ্ভিদ গজিয়ে উঠে বৈচিত্র্যময় দৃশ্যের অবতারণা করে ৷
উপকারিতা: বাংলাদেশ বর্ষার দেশ। বর্ষায় পলিমাটি এসে আমাদের কৃষি জমিকে উর্বর করে তোলে। কৃষকের মুখে ফোটে হাসি। নৌকা, লঞ্চে করে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত অত্যন্তসহজ হয়ে যায় ।
অপকারিতা: বর্ষাকাল বাংলার জন্য যেমন আশীর্বাদ, তেমনি কখনো কখনো অভিশাপ হয়েও দাঁড়ায়। বর্ষাকালে প্রায়ই বন্যা হয়। যা ব্যক্তি ও জাতীয় সম্পদের অবর্ণনীয় ক্ষতি করে। তাছাড়া এ সময় বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। বন্যায় মানুষের জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুর্গতি।
উপসংহার: বর্ষাকালে কিছু অসুবিধা থাকলেও পরিমিত বর্ষা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। বর্ষার বৃষ্টিতেই আমাদের দেশ সুজলা, সুফলা, শস্যশ্যামলা হয়ে ওঠে।
শিক্ষকের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য হিং. প. ২০১১, ১৫/ ৪২
উপস্থাপনা: সভ্য জাতিগঠনে শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। । তাঁদের মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীরা সভ্য, সুন্দর ও আদর্শ মানুষে পরিণত হয়। তাই শিক্ষকদের প্রতি প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।
শিক্ষকের পরিচয় সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ একে অপরের কাছ থেকে জ্ঞানলাভ করে আসছে। যিনি কাউকে কোনো বিষয়ে ম শিক্ষা দেন তিনিই শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
শিক্ষকের প্রতি ছাত্রদের দায়িত্ব ও কর্তব্য: শিক্ষকের প্রতি ছাত্রদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। শিক্ষককে সর্বদা পিতার মতো সম্মান করতে হবে। তাঁদের আদেশ নিষেধ মেনে চলতে হবে। তাঁদের মনে কখনো কষ্ট দেওয়া যাবে না। সর্বোপরি তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে এবং তাঁদেরকে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।
শিক্ষকদের প্রতি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য: আর্থিক বুনিয়াদ না থাকলে আদর্শ কখনো বেঁচে থাকতে পারে না। তাই সরকারকে শিক্ষকদের আর্থিক সম্মানিসহ সব ধরনের সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবেই শিক্ষকগণ তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে উৎসাহী হবেন।জনসাধারণের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সাম্প্রতিককালে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, দুর্নীতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে শিক্ষকদের অবস্থা খুবই করুণ। এ অবস্থায় জনসাধারণ সচেতন হয়ে তাঁদের সমস্যার সমাধান করলে জাতিগঠনে তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবেন। শিক্ষকদের কর্তব্য। শিক্ষকরা জাতির পথপ্রদর্শক। তারাই জাতির বিবেক ও মানুষ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর। তাই জাতি, সমাজ ও এদেশের বৃহত্তর স্বার্থে তাদেরকে ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষালাভের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলতে হবে। এটাই তাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।
উপসংহার: একজন আদর্শ শিক্ষক যেকোনো জাতির জন্য বিশেষ আশীর্বাদস্বরূপ। তাই তাদের প্রতি যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে তা সবাইকে যথাযথভাবে আদায় করা উচিত।
ছাত্রজীবন [স. প. ২০১১, ১৩, ১৪, ১৬, ১৯] অথবা, ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য
উপস্থাপনা: ছাত্রজীবন হচ্ছে সময় জীবনের প্রস্তুতিমূলক সময়। এ সময়ের সাধনা ও অর্জিত যোগ্যতাই ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি। এর ওপরই ভবিষ্যৎ জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে। হাত্রজীবনের পরিচয় মানুষ কর্মজীবনে প্রবেশের পূর্বে যে নির্দিষ্ট সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যার্জনের জন্য ব্যয় করে, তাকেই বলা হয় ছাত্রজীবন।
ছাত্রজীবনের উদ্দেশ্য: অধ্যয়নের মাধ্যমে জ্ঞানার্জনই ছাত্রজীবনের প্রধান উদ্দেশ্য। ছাত্ররাই দেশ ও জাতির অপ্রতিরোধ্য ভবিষ্যৎ কর্ণধার। দেশ ও জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে তাদেরকে প্রকৃত শিক্ষালাভ করতে হবে।
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য: ১। জ্ঞান সাধনা ও তপস্যা জ্ঞান সাধনা ও তপস্যাই ছাত্রজীবনের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ গুরুদায়িত্ব পালন করতে হলে প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী। পৃথিবীতে জ্ঞানের ক্ষেত্রে যাঁরা স্মরণীয় অবদান রেখেছেন, নিরলস কর্মশক্তি ও অধ্যবসায়ই তাদেরকে অমরত্ব প্রদান করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তারা সবাই কঠোর পরিশ্রমী। আর অধ্যবসায় তাদের সফলতার চাবিকাঠি।
২। চরিত্রগঠন চরিত্র মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ ভূষণ। চরিত্রহীন পশুর সমান। তাই আনার্জনের পাশাপাশি চরিত্রগঠনও ছাত্রজীবনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। এ সময়ই ছাত্রদেরকে ত্যাগ, সংযম, ধৈর্য, আত্মনির্ভরশীলতা, উদারতা, সততা ও মন্দ কাজ পরিত্যাগ করার গুণ অর্জন করতে হবে।
৩। যোগ্যতা অর্জন ছাত্র অন্যায়ের মোকাবিলার জন্য অপ্রতিরোধ্য যোগ্যতা অর্জন করবে। এমনকি সবার জন্য কল্যাণকর একজন সুনাগরিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা অপরিহার্য কর্তব্য। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল যথার্থই বলেছেন,-
৪। স্বাস্থ্যগঠন ছাত্রদেরকে মনে রাখতে হবে, 'স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সেজন্য ছাত্রদেরকে স্বাস্থ্যবিধি পালন করে শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে। কারণ স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে পড়ালেখাও ভালো হয় না। কবির ভাষায় বলতে হয়
৫। নিয়মানুবর্তিতা: সময়নিষ্ঠা এবং নিয়মানুবর্তিতা ছাত্রজীবনের অপরিহার্য অঙ্গ। কেননা এর ওপর ছাত্রজীবনের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই ছাত্রদেরকে সময়নিষ্ঠ ও নিয়মানুবর্তী হতে হবে।
৬। শিষ্টাচার ও স্বাবলম্বন ছাত্রজীবনই শিষ্টাচার ও স্বাবলম্বন প্রশিক্ষণের প্রকৃত সময়। কেননা এ সময় শিষ্টাচারী ও স্বাবলম্বী হতে না পারলে ভবিষ্যতে আর সম্ভব হয় না।
৭। সত্যবাদিতা সত্যবাদিতা জীবনে সফলতা লাভের প্রধান 2 শর্ত এবং এটা একটা মহৎ মানবীয় গুণ। এ মহৎ গুণটি প্রত্যেক ছাত্রের ব্রত হওয়া উচিত। এমনকি অন্য কোনো গুণ না থাকলেও শুধু সত্যবাদিতার কারণে মানুষ সাফল্যের স্বর্ণশিখরে আরোহণ করে।
৮। পিতামাতা ও শিক্ষকের প্রতি দায়িত্ব সন্তানগণ গ্রেহের জন্য পিতামাতা এবং জ্ঞানার্জনের জন্য শিক্ষকের নিকট ঋণী। এজন্য তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা অবশ্য কর্তব্য।
উপসংহার: ছাত্রজীবন হচ্ছে গোটা জীবনের সফলতার মূল ভিত্তি। এ সময়কে অবহেলায় না কাটিয়ে যথাযথভাবে ব্যবহার করা প্রত্যেক ছাত্রের অপরিহার্য কর্তব্য।
স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও, স্পেশাল মডেল টেষ্ট ও