শেষের কবিতা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, Sesher Kabita- Rabindranath Tagor
রোমান্সকর উপন্যাস
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত অন্যতম সেরা একটি উপন্যাস "শেষের কবিতা" যা চিত্রসৃষ্টি পর্যায়ের ২য় উপন্যাস।
বই নিয়ে কিছু কথা:-
বইয়ের নাম: ‘‘ শেষের কবিতা”।লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বইয়ের ধরন: উপন্যাস।
বিষয়: রোমান্স।
পৃষ্ঠা: ২০১।
প্রকাশনার তারিখ: ১৯২৮।
পটভূমি:
বিংশ শতকের বাংলার নবশিক্ষিত অভিজাত সমাজের জীবনকথা।
চরিত্র সমুহ:-
- অমিত রায়
- কেটি
- অবনীশ দত্ত
- লাবণ্য
- শোভনলাল এবং
- যতিশঙ্কর
শেষের কবিতা উপন্যাসের কিছু কথা ও বৈশিষ্ট্য:-
পুরুষ আধিপত্য ছেড়ে দিলেই মেয়ে আধিপত্য শুরু করবে। দুর্বলের আধিপত্য অতি ভয়ংকর।পৃথিবীতে হয়তো দেখবার যোগ্য লোক পাওয়া যায়, তাকে দেখবার যোগ্য জায়গাটি পাওয়া যায় না।
মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়া, এই দুইয়ের তফাৎ আছে।
যা আমার ভাল লাগে তাই আর একজনের ভাল লাগে না, এই নিয়েই পৃথিবীতে যত রক্তপাত।
নাম যার বড় তার সংসারটা ঘরে অল্প, বাইরেই বেশি… … … … নামজাদা মানুষের বিবাহ স্বল্প বিবাহ, বহুবিবাহের মতোই গর্হিত।
যে রত্নকে সস্তায় পাওয়া গেল তারও আসল মূল্য যে বোঝে সেই জানব জহুরি।
পড়ার সময় যারা ছুটি নিতে জানে না তারা পড়ে, পড়া হজম করে না।
যে ছুটি নিয়মিত, তাকে ভোগ ক্রয়া আর বাধা পশুকে শিকার করা একই কথা। ওতে ছুটির রস ফিকে হয়ে যায়।
ভালোবাসায় ট্রাজেডি সেখানেই ঘটে যেখানে পরস্পরকে স্বতন্ত্র জেনে মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারে নি – নিজের ইচ্ছা অন্যের ইচ্ছে করবার জন্যে যেখানে জুলুম – যেখানে মনের করি, আপন মনের মত করে বদলিয়ে অন্যকে সৃষ্টি করে।
বিয়ের ফাঁদের জড়িয়ে পড়ে স্ত্রী-পুরুষ যে বড়ো বেশি কাছাকাছি এসে পড়ে, মাঝে ফাঁক থাকে না; তখন একেবারে গোটা মানুষকে নিয়ে কারবার করতে হয় নিতান্ত নিকটে থেকে। কোন একটা অংশ ঢাকা রাখবার জো থাকে না।
মানুষের মৃত্যুর পরে তার জীবনী লেখা হয় তার কারণ, একদিকে সংসারে সে মরে, আর –এক দিকে মানুষের মনে সে নিবিড় করে বেঁচে ওঠে।মানুষের কোনো কথাটাই সোজা নয়। আমরা ডিক্শনারিতে যে কথার এক মানে বেঁধে দেই, মানব-জীবনের মধ্যে মানেটা সাতখানা হয়ে যায়; সমুদ্রের কাছে এসে গঙ্গার মতো!
“শেষের কবিতা“ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প। অদ্বিতীয় উপন্যাস।
Click Here for Download
নিত্য-নতুন উপন্যাস ও একাডেমিক বই, নোট, গাইড, এবং সাজেশন পেতে অবশ্যইhttps://www.mmritbd.com/ এর সাথে থাকুন, ধন্যবাদ।