As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র
National University and Other University
Department of English
Honours 2nd Year
Introduction to Drama
বিস্তারিত নিচের পিডিএফ ফাইলে পাবেন।
Life of William Shakespeare
- William Shakespeare [1564-1616]
- Born: Baptised 26 April 1564 (birth date unknown).
- Birth Place: Stratford-upon-Avon, Warwickshire, West Midlands, England.
- Nationality: English.
- Occupation: Playwright, poet, actor.
- Died: 23 April 1616 (aged 52) Stratford-upon- Avon, Warwickshire, England.
উইলিয়াম শেক্সপিয়র এর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
উইলিয়াম শেক্সপিয়র কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার হিসাবে ইংরেজি সাহিত্যে অমর হয়ে রয়েছেন। আজো সাহিত্যের জগতে এমন কেউ আসেননি যাকে তাঁর সাথে তুলনা করা যায়। যাহোক, এই অমর সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেছেন ইংরেজি সাহিত্যের স্বর্ণ যুগ, ইলিজাবেথান যুগে। তাঁর জন্ম ১৫৬৪ সালে স্টারফোর্ট-আপন-এভন এ। তাঁর পিতার নাম ছিল জন শেকসপিয়র এবং মাতার নাম ছিল মেরী আর্ডেন শেক্সপিয়র।
তিনি খুব বেশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করতে না পারলেও তাঁর প্রকৃত শিক্ষালয় ছিল প্রকৃতি। তিনি প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় খুবই মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেন। তাছাড়া, সাধারণ মানুষের জীবন রাজ পরিবার, মানুষের দুর্দশা ইত্যাদি খুবই নিকট থেকে পর্যবেক্ষণ করায় তিনি এসবকিছুকে সাহিত্যে রূপ দান করতে পেরেছিলেন। তাঁর সব কর্মই যেন প্রতিটি মানুষের কথা বলে, প্রতিটি জাতির কথা বলে। আর এই কারণেই আজো এমন কোন সাহিত্যিক জন্ম নেয়নি যাকে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের সাথে তুলনা করা যেতে পারে ।
উইলিয়াম শেকসপিয়র সাহিত্য জগতে সময় কাটাতে কাটাতে হঠাৎই এনি হাথাওয়ে নামক এক জনৈক রমণীর সাথে প্রেমে জাড়িয়ে পড়েন। ১৫৮২ সালে এনি হাথাওয়েকে বিয়ে করেন যদিও তিনি উইলিয়াম শেক্সপিয়র এর থেকে আট বছরের বড় ছিলেন। বিয়ের পরে ১৫৯২ সালে তিনি লন্ডনে এসে নাট্য দলে যোগ দেন এবং ধীরে ধীরে তিনি একজন বিখ্যাত নাট্যকার হয়ে উঠেন। তিনি ১০টি ট্রাজেডি, ১০টি কমেডি এবং ১৭টি হিস্টোরিক্যাল প্লে রচনা করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ১৫৪টি সনেট রচনা করেছেন যার মধ্যে ১২৬ টি সনেট রচনা করেছেন একটি সুন্দর যুবকের রূপের বর্ণনা দিয়ে। তাঁর লেখা সনেটগুলোর নিজস্ব কিছু নিয়ম থাকাও সেগুলোকে শেক্সপিয়ারিয়ান সনেট বলা হয়। এই বিখ্যাত সাহিত্যিক ইংরেজি সাহিত্যকে বেশ কিছু সাহিত্য সম্ভার উপহার দিয়ে যান।
উইলিয়াম শেক্সপিয়র এর লেখা বিখ্যাত সাহিত্যকর্মগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-
- Romeo and Juliet,
- Richard II,
- Henry VI (parts 1, 2 and 3)
- Henry V
- A Midsummer Night's Dream
- Merchant of Venice
- Much Ado About Nothing
- As You Like It
- Twelfth Night Titus Andronicus
- The Comedy of Errors
- The Taming of the Shrew
- The Two Gentlemen of Verona.
- Hamlet
- King Lear
- Othello
- Macbeth
- Cymbeline
- The Winter's Tale
- The Tempest
যাহোক, এই বিখ্যাত নাট্যকার এবং কবি ১৬১৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তবে মিরাকলভাবে তিনি তাঁর নিজের জন্মদিন অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল নিজ বাসগৃহে ইহলোক গমণ করেন।
নাটকের শিরোনাম: অ্যাজ ইউ লাইক ইটমূল নাট্যকার: উইলিয়াম শেকপিয়র (অনুবাদক: সৈয়দ আহমেদ রুবেল)
নাটকের বিশেষ বিশ্লেষণ/Explanation of The Drama
উইলিয়াম শেকসপিয়র কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার হিসাবে ইংরেজি সাহিত্যে অমর হয়ে রয়েছেন। তিনি মোট ৩৭টি নাটক রচনা করেছেন। তিনি ১০টি ট্রাজেডি, ১০টি কমেডি এবং ১৭টি হিস্টোরিক্যাল প্লে রচনা করেছেন। As You Like It হচ্ছে তাঁর লেখা একটি রোমান্টিক কমেডি ।
As You Like It নাটকের রচনাকাল বা এর প্রথম মঞ্চায়ন সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন গবেষকদের মতে এই নাটক সম্ভবত ১৬০০ সালে বা এর কিছু পূর্বে বা পরে রচিত ও মঞ্চস্থ করা হয়েছিল। কারণ তারা ধারণা করেন যে, ১৫৯০ সালে Thomas Lodge রচিত “Rosalinde" নামক নাটক এবং Eupheus রচিত "Golden Legacie " নামক নাটক পড়েই তিনি এই নাটক লিখতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। কারণ As You Like It নাটকের সাথে এই দু'টি নাটকের বেশ মিলবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায়।
নাটকটিতে নাট্যকার বিভিন্ন প্রকার জীবনদর্শন তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়েছেন। হয়তো তিনি মনে যে, বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন জীবনাদর্শ থাকতে পারে। তাদের যে যেমন জীবনাদর্শ পছন্দ করে তারা এই নাটক থেকে তেমনটি-ই খুঁজে নিতে পারবে। আর এই কারণেই হয়তো নাট্যকার এই নাটকের নামকরণ করেছিলেন As You Like It অর্থাৎ যার যেমন পছন্দ। তাছাড়া, জীবন সঙ্গী বেছে নিতেও নাটকের চরিত্রদের স্বাধীনতা দান করা হয়েছে। আবার নাটকের শেষে রোসালিন্ড যে এপিলগ তুলে ধরে তাতে এক পর্যায়ে বলা হয়েছে যে, "I charge you, O women ! for the love love you bear to men to like as much as of this play as please you." অর্থাৎ, হে রমণীগণ- আপনারা যে যেমন পুরুষের জন্য যেমন ভালোবাসা বক্ষে ধারণ করেন আমি তার দোহাই দিয়ে বলছি, নিশ্চয় আপনারা তেমন ভালোবাসা নিয়েই এই নাটকটি উপভোগ করেছেন।
যাহোক, পুরো নাটক পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চারটি প্রেমের জুটি, তাদের প্রেমের কাহিনী, ভাঁড়দের হাস্যকর প্রাজ্ঞ উক্তি ইত্যাদি এই নাটকে কমিক বিষয়বস্তুর তৈরি করে যা দর্শকদের যথেষ্ট আনন্দ দান করে থাকে। এই কারণেই বলা হয় যে, এই নাটকটি কেবল রোমান্টিক নাটক নয় বরং এক প্রকার কমিডি নাটক। কিন্তু এখানে না কেবল রোমান্টিক বিষয় আছে, না কেবল হাস্যরসাত্মক বিষয় উপস্থিত আছে। এই কারণেই বিভিন্ন সমালোচকের মতে এই নাটক হচ্ছে রোমান্টিক কমেডি।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র বিশ্লেষণ/ Important Characters
অর্ল্যান্ডো ডি বয়েস:
স্যার রোলান্ড ডি বয়েস এর ছোট ছেলে। স্বভাবে সে খুবই চমৎকার মানুষ । বলিষ্ঠ যুবক। অলিভার হচ্ছে তার বড় ভাই। সে তাঁর পিতার মৃতুর পরে তাকে যথেষ্ঠ শিক্ষা না দিয়ে বরং চাকরের মতো ব্যবহার করেছে। অর্নান্ডো এই নাটকের মূল নায়ক। সে নির্বাসিত জ্যেষ্ঠ ডিউকের মেয়ে রোসালিন্ডকে ভালোবাসে। নাটকের শেষে তাদের মিলন ঘটে।
অলিভার ডি বয়েস:
অলিভার হলো স্যার রোলান্ড ডি বয়েস এর বড় ছেলে। সে খুবই অর্থ লোভী একজন লোক। সে নিজের ভাইকে উপযুক্ত শিক্ষা না দিয়ে তাকে চাকরের মতো খাটাতে চেয়েছে। তাকে তার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করেছে। তবে যখন ডিউক ফ্রেডারিক রাগের বসবতি হয়ে তাকে অর্নান্ডোকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন তখন সে বনে চলে যায়। সেখানে যখন অর্নান্ডো তাকে সিংহের কবল থেকে রক্ষা করে, তখন তার চরিত্রে পরিবর্তন দেখা দেয় এবং সে ভালো হয়ে যায়। বনের মাঝে সে ছদ্মবেশী সিলিয়াকে দেখে প্রেমে পড়ে। পরিশেষে তাদের মিলন ঘটে।
জেকুইজ ডি বয়েস:
তিনি স্যার রোলান্ড ডি বয়েসের ভাই। বৃদ্ধ স্যার রোলান্ডের দ্বিতীয় পুত্র। অর্থাৎ, অলিভার এবং অর্লান্ডোর চাচা।
অ্যাডাম:
অলিভারের ভৃত্য। সে তাকে পছন্দ করে না। যখন অর্ল্যান্ডো বনে চলে যায় তখন সে তাকে তার জীবনের সকল সম্পদের বিনিময়ে সাথে নিয়ে যেতে বলে। পরিশেষে অর্নান্ডো তাকে নিয়ে আর্ডেনের বনে আশ্রয় গ্রহণ করে।
জ্যেষ্ঠ ডিউক:
তিনি হলেন ডিউক ফ্রেডারিকের বড় ভাই এবং নাটকের মূল নায়িকা রোসালিন্ডের বাবা। ডিউক ফ্রেডারিক তাকে নির্বাসিত করে রাজত্ব দখল করেন। নির্বাসিত হবার পর তিনি আর্ডেনের বনে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
জেকুইস:
জ্যেষ্ঠ ডিউকের অনুসারী বিষন্ন পন্ডিত।
রোসালিন্ড:
রোসালিন্ড হলো নাটকের মূল নায়িকা। সে নির্বাসিত জ্যেষ্ঠ ডিউকের একমাত্র মেয়ে। সে মল্ল লড়াইয়ে অর্নান্ডোর সাথে কথা বলে এবং তাকে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে। এরপর, যখন ডিউক ফ্রেডারিক তাকে নির্বাসনের জন্য নির্দেশ দেন, তখন সে ও ডিউক ফ্রেডারিকের মেয়ে সিলিয়া বাড়ি থেকে পালিয়ে আর্ডেনের বনে আশ্রয় গ্রহণ করে। তবে আসার সময় তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে। রোসালিন্ড পুরুষ সাজে, নাম তার গানিমিড। আর সিলিয়া আলিয়েনা নামে তার বোনের সাজে চলে আসে। তারা বনে এসে একটুকরো জমি আর কুঁড়েঘর কিনে বসবাস শুরু করে। সেখানে ঘটনা ক্রমে অর্নান্ডোর সাথে দেখা হয়। অর্ল্যান্ডোকে সে রোসালিন্ড হিসাবে প্রেম নিবেদন করে যদিও অর্নান্ডো তাকে গানিমিড হিসাবেই চিনে থাকে। পরিশেষে ঘটনার জট খুলে যায় এবং তাদের বিয়ে হয়।
ডিউক ফ্রেডারিক:
তিনি নির্বাসিত জ্যেষ্ঠ ডিউকের ছোট ভাই। নাটকের মূল ভিলেন তিনি। ডিউক ফেডারিক তাঁর বড় ভাইকে নির্বাসিত করে রাজত্ব দখল করেন। পরবর্তীতে তিনি আর্ডেন বনে আশ্রয় নিলে দিন দিন সব গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই বনে চলে আসতে শুরু করেন। সেই খবর শুনে ক্রোধের আগুনে জ্বলে ডিউক ফেডারিক বিপুল বাহিনী নিয়ে এই বনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি এই অভিসন্ধি নিয়ে আসতে থাকেন যে, এই বনে তিনি তাঁর ভাইকে খুঁজে বন্দি করবেন এবং পরে তাকে হত্যা করবেন। কিন্তু বনের ধারে এসে তাঁর সাথে এক সাধু ব্যক্তির দেখা মেলে। সেই সাধুর সাথে কথোপকথন হয় তাঁর। এরপর তাঁর মনের অবস্থা পুরোটাই পাল্টে যায়। তিনি তাঁর উদ্দেশ্য বাতিল করেন। সংসারও ত্যাগ করেন তিনি। চলে যাবার সময় তিনি নির্বাসিত ভাইকে সবকিছু ফিরিয়ে দিয়ে যান, সেই সাথে ডিউকের সাথে যারা নির্বাসিত তাদেরকেও তিনি তাদের জমিজমা সব ফিরিয়ে দিয়ে যান। নাটকের শেষের দিকে এভাবে তিনি সংসার জীবন ত্যাগ করে সন্ন্যাসী জীবন বেছে নেন।
সিলিয়া:
সিলিয়া হলো ডিউক ফ্রেডারিকের একমাত্র মেয়ে। সে রোসালিন্ডকে নিজের বোনের মতো ভালোবাসে। যখন ডিউক ফ্রেডারিক রোসাপিন্ডকে নির্বাসনের জন্য নির্দেশ দেন, তখন সে ও ডিউক ফ্রেডারিকের মেয়ে সিলিয়া বাড়ি থেকে পালিয়ে আর্ডেনের বনে আশ্রয় গ্রহণ করে। তবে আসার সময় তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে। রোসালিন্ড পুরুষ সাজে, নাম তার গানিমিড। আর সিলিয়া আলিয়েনা নামে তার বোনের সাজে চলে আসে। তারা বনে এসে একটুকরো জমি আর কুঁড়েঘর কিনে বসবাস শুরু করে। এখানে ঘটনাক্রমে অভিারের সাথে তার দেখা হয় এবং প্রথম দেখাতেই তাদের প্রেম হয়ে যায়। নাটকের শেষের দিকে তাদের মিলন হয়।
টাচস্টোন:
ডিউক ফেডারিকের সভাযদের ভাড়। সিলিয়া এবং রোসালিক যখন বনে পালিয়ে আসে তখন সে তাদের সাথে সঙ্গী হয়ে বনে চলে আসে।
আড্রে:
গ্রাম্য নারী। সে খুবই দেমাগী ও চতুর এক রমণী। তাকে ভালোবাসে টাচস্টোন। নাটকের শেষে তাদেরও মিল দেখা যায়।
আমিয়েনস: জ্যাষ্ঠ ডিউকের অনুসারী লর্ড।
লা ভিউ: ডিউক ফেডারিকের অনুচর ভৃত্য।
সিলভিয়াস:
একজন সাধাসিধে রাখাল। সে ফিবি নামের এক দেমাগী রাখালীকে ভালোবাসে। ঘটনাক্রমে ফিবি পুরুষের সাজে গানিমিড অর্থাৎ রোসালিন্ডের প্রেমে পড়ে। তাকে বিয়ে করতে চায়। পরিশেষে সব রহস্যজট খুলে গেলে সে সিলবিয়াসকে স্বামী হিসাবে গ্রহণ করে।
ফিবি:
গ্রাম্য দেমাগী রাখালী। সে কুৎসিত। তাঁর গায়ের চামড়া কালো। তবে সে সতী নারী। ঘটনাক্রমে ফিবি পুরুষের সাজে গানিমিড অর্থাৎ রোসালিন্ডের প্রেমে পড়ে। তাকে বিয়ে করতে চায়। পরিশেষে সব রহস্যজট খুলে গেলে সে সিলবিয়াসকে স্বামী হিসাবে গ্রহণ করে।
উইলিয়াম:
সে একজন গ্রাম্য রাখাল। সে ফিবিকে ভালোবাসে। তবে যখন সে জানতে পারে যে, সিলভিয়াসের সাথে তার বিয়ে হতে চলেছে তো সে তখন কেটে পরে।
অলিভার মারটেক্সট:
তিনি হলেন গ্রাম্য এক পুরোহিত। একবার তিনি আর্ডেনের বনে টাচস্টোন আর আড়েকে বিয়ে দিতে এসেছিলেন। তবে তিনি তা পারেননি।
কাহিনী সংক্ষেপ (Short Bangla Summary)
নাটকটি শুরু হয় অর্নান্ডো এবং তার ভাইয়ের ভৃত্য অ্যাডামের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে। তাদের কথা বলতে বলতে অর্ণাভোর ভাই অলিভার আসে। তাদের মাঝে পিত্রিসম্পদের অধিকার নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। কারণ অলিভার ছিল শয়তান প্রকৃতির লোক। সে অর্নান্ডোকে তার প্রাপ্য সম্পদ তো দেয়ইনি বরং তাকে চাকরের মতো ব্যবহার করছিল। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতি শুরু হতে চলে। অ্যাডামের হস্তক্ষেপে তাদের ঝগড়া থামে।
এরপর, অলিভার চলে গেলে অলিভারের সাথে ডিউক ফ্রেডারিকের কুস্তিগির চার্লস দেখা করতে আসে। তাদের কথা থেকে জানা যায় যে, এক সময় ফ্রান্সের বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রদেশে যে ডিউকদের শাসন ছিল সেই ডিউকদের যে জনের শাসন এরিয়ায় তারা বাস করত সেই ডিউকের এক ছোট ভাই ছিল যার নাম ডিউক ফ্রেডারিক। তিনি তার বড় ভাইয়ের রাজত্ব কেড়ে নিয়ে তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেন। নির্বাসিত ডিউক অবশেষে আর্ডেনের বনভূমিতে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
এরপর অভিজাত শেণির মানুষ এবং তার কিছু অনুচর ও সভাসদেরা তার সাথে বনে চলে যায়। তবে তার যে রোসালিত নামের প্রিয় কন্যা ছিল ডিউক ফেডারিক তাকে যেতে দেয়নি। কারণ ডিউক ফ্রেডারিকের কন্যা সিলিয়া রোসালিভকে এতেটা ভালোবাসে যে, তাদের আলাদা করলে তার মৃত্যুর সমান হত। পরে চার্লস তাকে জানায় যে, ছদ্মবেশ ধারণ করে তার নিজের ভাই অর্নান্ডো লড়তে যাচ্ছে। এটা শুনে সে অর্নান্ডোকে সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র আটে। সে চার্লসকে তার সম্পর্কে হীন কথা বলার পর তাকে প্রাণঘাতি আঘাত করে হত্যা করতে উসকে দেয়।
যাহোক, এদিকে যখন কুস্তি শুরু হয় তখন কয়েক জন চার্লসের কাছে পরাজয়বরণ করে। এমন সময় এই যুবক অলান্ডোকে দেখে ডিউক ফ্রেডারিক যুদ্ধ বিরতির জন্য পরামর্শ দেন। কিন্তু সে তাতে কান দেয় না। এরপর দেখা যায় রোসালিন্ড এবং সিলিয়া বাগানে পায়চারি করছিল তখন এক সৈন্য এসে তাদের জানায় যে, কুস্তি হতে চলেছে, তারা ইচ্ছা করলে তা দেখতে পারে। এরই মাঝে ডিউক ফ্রেডারি আসে। তার কথায় তারা অর্নান্ডোকে বুঝাতে যায় যাতে সে যুদ্ধ ত্যাগ করে কারণ চার্লস খুই বিচক্ষণ আর অর্নান্ডো তার কাছে একটা পুচকে ছোকরা মাত্র।
কিন্তু তাতেও সে কান দেয় না। যুদ্ধ শুরু হলে একপর্যায়ে অর্পান্ডোর হাতে চার্লসের পরাজয় হয়। রোসালিন্ড তাকে পুরস্কার হিসাবে নিজের গলা থেকে একটি মালা খুলে দেয়। এরপর ডিউক ফ্রেডারিক জানতে পারেন যে, অর্নান্ডো তার ভাই নির্বাসিত ডিউকের বছর ছেলে তখন খুবই রেগে যান এবং যখন তিনি দেখতে পান যে, রোসালিন্ড তাকে নিয়েই কথা বলছে এবং এলাকায় রোসালিন্ডের নামে অনেকে জয় জয়কার করছে তখন তিনি রেগে গিয়ে রোসালিন্ডকে নির্বাসনের নির্দেশ দেন।
পরোক্ষণে রাতেরবেলায় রোসালিন্ড পালিয়ে যেতে চাইলে সিলিয়াও তার সাথে যোগ দেয়। তারা ছদ্মবেশ নিয়ে পথ চলতে শুরু করে। রোসালিন্ড সাজে পুরুষের সাজ। নাম দেয় গানিমিড। সিলিয়া তার বোন সেজে যাত্রা করে নাম রাখে আলিয়েনা। তাদের সাথে সঙ্গ দেয় ডিউক ফ্রেডারিকের ভাঁড় টাচস্টোন। তারা তিন জন পথ চলতে চলতে আর্ডেনের বনে এসে ক্লান্ত হয়ে থেমে পরে। সেখানে তাদের সাথে দেখা হয় গ্রাম্য রাখাল কোরিনের সাথে। তার কাছে তারা আশ্রয় চাইলে সে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে অর্নান্ডোর জয়ের কথা শুনে অলিভার তাকে ঘুমের মাঝে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করে। অ্যাডাম তা জানতে পেয়ে অলান্ডোকে বলে দেয়। এরপর তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসে। তারা আসতে আসতে আর্ডেনের বনে এসে প্রবেশ করে। ক্ষুধার জালায় অ্যাডামের মৃত্যুর মতো অবস্থা হয়ে যায়। তাকে গাছের নিচে রেখে অর্নান্ডো খাবারের জন্য খোজাখুজি করতে গিয়ে বনের মাঝে একদল লোককে খেতে বসতে দেখে তলোয়ার বের করে তাদের হুমকি দিয়ে খাবার নিতে চায়। আসলে লোকগুলো ছিল নির্বাসিত ডিউকের লোকজন। সেখানে নির্বাসিত জ্যেষ্ঠ ডিউকও ছিলেন।
তাঁর সাথে কথা হয় অর্নান্ডোর। তাকে তিনি যথা ইচ্ছা খাবার গ্রহণ করার জন্য নিমন্ত্রন করেন। কিন্তু অর্নান্ডো জানায় যে, তার সাথে এক বৃদ্ধ আছে যে, ক্ষুধার জালায় মরছে। তাকে ছাড়া সে একফোঁটা পানিও খাবে না। তখন ডিউক তাকে নিয়ে আসতে বললে অর্নান্ডো তাকে কোলে করে নিয়ে আসে। খাবার খেয়ে এবং সেবা পেয়ে অ্যাডাম সুস্থ হয়ে উঠে। এরপর একপর্যায়ে তার পরিচয়ে বেরিয়ে আসে যে, অর্লান্ডো হচ্ছে নির্বাসিত ডিউকের প্রিয় বন্ধু স্যার রোলান্ড ডি বয়েস এর ছেলে। এটা শুনে তিনি খুবই খুশি হন। এরপর থেকে তারা এখানেই বসবাস শুরু করে।
এদিকে রোসালিন্ড এবং সিলিয়া এক রাখালের জলপাই বাগানে ঘেরা একটি কুঁড়েঘর কিনে বসবাস শুরু করে। তারা বেড়াতে গিয়ে দেখতে পায় কে যেন বাগানের গাছে গাছে রোসালিন্ডের নামে কবিতা লিখে রেখেছে। এক পর্যায়ে সিলিয়া বলে যে, কে এই কাজ করেছে সে তাকে দেখেছে এবং চিনে। সে হলো অর্নান্ডো। কথা বলতে বলতে অর্নান্ডো সেখানে চলে আসে। তারা গাছের আড়ালে যায়।
এরপর তারা বেরিয়ে এসে তার সাথে কথা বলে কিন্তু অর্নান্ডো রোসালিকে চিনতে পারে না। একপর্যায়ে তারা গাছে লেখা কবিতার কবি সম্পর্কে কথা বললে অর্ল্যান্ডো বলে যে, সে-ই হলো এই কবি প্রেমিক। কিন্তু সে জানে না রোসালিন্ড কোথায় আছে। যাহোক, একপর্যায়ে রোসালিভ তার সাথে প্রেমের খেলায় মাতার জন্য তাকে প্রস্তাব করে যে, সে যদি ইচ্ছে করে তো গানিমিড রোসালিন্ডের অভিনয় করতে পারে আর সে তার কাছে প্রেম নিবেদন করতে পারে।
সে তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ডিউকের সাথে দেখা করতে চলে যায় এবং পরদিন দেখা করবে বলে কথা দিয়ে যায়। ঐ দিন দেখা করার পর কথা বলতে বলতে এক সময় তার নির্বাসিত ডিউকের সাথে খাবার খাবার কথা মনে পড়ে যায়। তাই সে গানিমিডকে বলে যায় যে, সে দুপুর দুইটার দিকে তার সাথে আবার দেখা করবে কিন্তু তখন তাকে যেতে হবে।
এদিকে বনের মাঝে গ্রাম্য দুইটি জুটিও সৃষ্টি হয়। তারা হচ্ছে টাচস্টোন এবং আড্রে; সিলভিয়াস এবং ফিবি। কিন্তু ফিবি রোসালিন্ডকে সত্যি সত্যি পুরুষ ভেবে প্রেমে পড়ে এবং সিলভিয়াসের প্রেমকে প্রত্যাখ্যান করে চলে।
অন্য দিকে দুপুর দুইটা গড়িয়ে গেলেও অর্নান্ডো আর আসে না। রোসালিন্ড তার জন্য অস্থির হয়ে পরে। পরবর্তীতে অলিভার আসে রক্তমাখা একটি রুমাল নিয়ে। সে এসে তাদের বলে যে, ডিউক ফ্রেডারিক তাকে অর্নান্ডোকে খুঁজে আনতে বনে পাঠায়। আর নিজের ভাইকে নাশ করার জন্য সে বনে আসে। কিন্তু একসময় সে ক্লান্ত হয়ে এক গাছের নিচে ঘুমিয়ে পরে। তখন এক সিংহীকে তাকে আক্রমন করতে উদ্যত হতে দেখে অর্লান্ডো যুদ্ধ করে তাকে বাঁচায়। এতে অলিভারের সব খারাপ অভিসন্ধি চলে যায়। সে ভালো হয়ে যায়। যাহোক, তার পাজর থেকে সিংহীটা মাংস উঠিয়ে নেয় আর রুমালের এই রক্ত তার সাক্ষ্য সরূপ তার কাছে পাঠিয়েছে সে। এই কারণেই সে গানিমিডের সাথে দেখা করতে আসতে পারেনি।
এদিকে প্রথম দেখায়ই আলিয়েনা অর্থাৎ সিলিয়ার প্রেমে পড়ে অলিভার। তাদের প্রেমেও হয়ে যায়। তারা বিয়ে করার জন্য উতলা হয়ে উঠে। যাহোক, এরপর এই প্রেমের সব জুটির সাথে গানিমিডের দেখা হলে, সে অর্নান্ডোকে কথা দেয় যে, তার চাচার কাছ থেকে সে কিছু যাদু শিখেছিল যা দিয়ে আগামীকাল সে রোসালিন্ডকে হাজির করবে যদি সে তাকে বিয়ে করতে চায়। অন্য দিকে টাচস্টোন ও আড্রেকেও বিয়ের জন্য তৈরি হতে বলে। ফিবিকে সে বলে যে, যদি সে কোন নারীকে বিয়ে না করে তো ফিবির জন্য আগামীকাল পাত্র হবে সিলভিয়ায়।
পরদিন, তারা সবাই নির্বাসিত ডিউকের আস্তানায় যায়। সেখানে গানিমিড তাদের সব কথাগুলো পুনঃরায় মনে করিয়ে দিয়ে একটু আড়ালে চলে যায়। পরে সে এবং সিলিয়া ছদ্মবেশ ছেড়ে বিবাহের দেবী হাইমেনের সাথে ফিরে আসে। ডিউক তার মেয়েকে পেয়ে খুশি হয়। শুরু হয় চারটি জুটির বিয়ের অনুষ্ঠান। এই সময় অর্নান্ডোর চাচা স্যার জেকুইস ডি বয়েস আসেন ডিউক ফ্রেডারিক সম্পর্কে একটি খবর নিয়ে। তিনি এসে বলেন যে, দিন দিন সব গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই বনে চে আসতে শুরু করলে, সেই খবর শুনে ক্রোধের আগুনে জ্বলে ডিউক ফ্রেডারিক বিপুল বাহিনী নিয়ে এই বনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি এই অভিসন্ধি নিয়ে আসতে থাকেন যে, এই বনে তিনি তাঁ ভাইকে খুঁজে বের করে বন্দি করবেন এবং পরে তাকে হত্যা করবেন। কিন্তু বনের ধারে এসে তাঁ সাথে এক সাধু ব্যক্তির দেখা মেলে। সেই সাধুর সাথে কথোপকথন হয় তাঁর। এরপর তাঁর মনে অবস্থা পুরোটাই পাল্টে যায়। তিনি তাঁর উদ্দেশ্য বাতিল করেন। সংসারও ত্যাগ করেন তিনি। চে যাবার সময় তিনি নির্বাসিত ভাইকে সবকিছু ফিরিয়ে দিয়ে যান, সেই সাথে ডিউকের সাথে যার নির্বাসিত হয়েছেন তাদেরকেও তাদের জমিজমা সব ফিরিয়ে দিয়ে যান। এটাই তাঁর শেষ ঘোষণ এবং তিনি সন্ন্যাসী জীবন বেছে নিয়ে গৃহ ত্যাগ করেন।
এরপর নির্বাসিত ডিউক এই খুশিতে সবাইকে আনন্দে যোগ দিতে বলেন এবং পরবর্তীতে সবাইবে যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী সবকিছু ফিরিয়ে দিতে ঘোষণা করেন। আর রোসালিভ নাটকের এপপিলগ অর্থাৎ যবনিকা টেনে নাটকের সমাপ্তি ঘটায়।
চরিত্র পরিচিতি/ Characters Identity)
জেকুইজ ডি বয়েস: অলিভার আর অর্নান্ডোর চাচা।
অর্নান্ডো ডি বয়েস: অর্নান্ডো এই নাটকের মূল নায়ক। সে রোসালিন্ডের প্রেমিক
অলিভার ডি বয়েস: অলিভার হলো স্যার রোলান্ড ডি বয়েস এর বড় ছেলে। অলান্ডোর বড় ভাই। সিলিয়ার প্রেমিক ।
অ্যাডাম: অলিভারের ভৃত্য।
জেষ্ঠ ডিউক: তিনি রোসালিন্ডের বাবা। নির্বাসিত ডিউক ।
রোসালিন্ড: নাটকের মূল নায়িকা। অর্লান্ডোর প্রেমিকা।
জেকুইস: জ্যেষ্ঠ ডিউকের অনুসারী বিষণ্ন পন্ডিত।
আমিয়েনস: জ্যৈষ্ঠ ডিউকের অনুসারী লর্ড।
ডিউক ফ্রেডারিক: তিনি নির্বাসিত জ্যেষ্ঠ ডিউকের ভাই, সিলিয়ার বাবা।
সিলিয়া: ডিউক ফ্রেডারিকের মেয়ে। অলিভারের প্রেমিকা।
টাচস্টোন: ডিউক ফ্রেডারিকের সভাসদের ভাড়।
আড্রে: গ্রাম্য রমণী, টাচস্টোনের প্রেমিকা।
উইলিয়াম: গ্রাম্য যুবক, সে আড্রেকে ভালোবাসে।
চার্লস: ডিউক ফ্রেডারিকের কুস্তিগির।
লা ভিউ: ডিউক ফ্রেডারিকের অনুচর ভৃত্য।
কোরিন: রাখাল।
ডেনিস: রাখাল।
হাইমেন: বিবাহের দেবী।
সিলভিয়াস: গ্রাম্য রাখাল। সে ফিবিকে ভালোবাসে।
ফিবি: গ্রাম্য রাখালী। সে দেমাগী। যদিও সিলভিয়াসের সাথে বিয়ে হয় তবে তাকে পাত্তা দিতে চায় না সে।
অলিভার মারটেস্ট: স্যার অলিভার মারটেস্ট হলেন একজন জণৈক গ্রাম্য পুরোহিত। [আরো আছে, নির্বাসিত ডিউকের কয়েকজন অনসারী লর্ড।
(getButton) #text=(Read Online) #icon=(link) #color=(#2339bd)
(getButton) #text=(Download As You Like অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ PDF) #icon=(download)
As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র - As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র - As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র - As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র - As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র - As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র - As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র - As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র - As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র - As You Like It Bangla Translation or Onubad by William Shakespeare Pdf- অ্যাজ ইউ লাইক ইট বাংলা অনুবাদ, সামারি ও চরিত্র -