Class Seven 7 Bangla Solution Chapter 2 PDF 2024 - ৭ম শ্রেণির বাংলা সমাধান ২য় অধ্যায় (প্রমিত ভাষায় কথা বলি)
Class 7
Bangla Notes & Guide
New Curriculum Textbooks Guide
New Guide 2024
মাধ্যমিক/দাখিল স্তর উভয়ের জন্য
প্রমিত ভাষায় কথা বলি
ধ্বনির উচ্চারণ
বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মানুষের ভাষা এক রকমের নয়। অঞ্চলভেদে অনেক শব্দের উচ্চারণ আলাদা হয়, কখনো কখনো একই অর্থে ভিন্ন ভিন্ন শব্দও ব্যবহার করা হয়। ভাষাগত এই তফাতকে বলা হয় আঞ্চলিক ভাষা। আঞ্চলিক ভাষার কারণে এক অঞ্চলের মানুষের কথা আর এক অঞ্চলের মানুষের বুঝতে সমস্যা হয়। অন্যদিকে প্রমিত ভাষায় কথা বললে সব অঞ্চলের মানুষ সহজে বুঝতে পারে। প্রমিত ভাষাকে মনে করা হয় ভাষার মান রূপ বা আদর্শ রূপ।
প্রমিত ভাষার দুটি রূপ আছে: কথ্য প্রমিত ও লেখ্য প্রমিত। কথ্য প্রমিত ব্যবহার হয় আনুষ্ঠানিক কথা বলার সময়ে, অন্যদিকে লেখ্য প্রমিত ব্যবহার হয় লিখিত যোগাযোগের কাজে।
প্রমিত ভাষার প্রয়োগ
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা অফিস-আদালতে প্রমিত ভাষা ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, সংবাদ পাঠ, হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার, যে কোনো ধরনের ঘোষণা, খেলার মাঠের ধারাবিবরণী, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, কোনো বিষয়ে বক্তৃতা বা আলোচনা ইত্যাদি আনুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে প্রমিত ভাষায় কথা বলা হয়ে থাকে।
উপরের যে কোনো একটি আনুষ্ঠানিক পরিস্থিতি এককভাবে বা দলে শ্রেণিকক্ষে উপস্থাপন করো। উপস্থাপন করা হয়ে গেলে কোন কোন শব্দ প্রমিত হয়নি, সে ব্যাপারে সহপাঠীদের মতামত নাও এবং নিচের ছক পূরণ করো।
উত্তরঃ-
শব্দ খুঁজি
অনেক শব্দ তোমার চারপাশের মানুষ ভিন্নভাবে উচ্চারণ করে, কিংবা প্রমিত শব্দের বদলে আলাদা শব্দ ব্যবহার করে। তোমার উচ্চারণেও হয়তো এ রকম ব্যাপার ঘটে। প্রথম কলামে এ ধরনের শব্দ এবং দ্বিতীয় কলামে এর প্রমিত রূপ লেখো। শব্দটির উচ্চারণে পরিবর্তন ঘটেছে, না কি শব্দের রূপটিই পরিবর্তিত হয়েছে,তা তৃতীয় কলামে নির্দেশ করো।
উত্তরঃ-
ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি
মানুষের গলার ভেতরে শ্বাসনালির ওপরের অংশে যে পর্দা থাকে, তাকে স্বরতন্ত্রী (ধ্বনিদ্বার) বলে। ধ্বনির উচ্চারণের সময় এই স্বরতন্ত্রী কাঁপতে থাকে।
অঘোষ ধ্বনি:
উত্তরঃ- ১. অঘোষ ধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী কম কাঁপে, সেগুলোকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন: ক খ চ ছ ট ঠ ত থ প ফ।
ঘোষ ধ্বনি:
উত্তরঃ- ২. ঘোষ ধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী বেশি কাঁপে, সেগুলোকে ঘোষ ধ্বনি বলে যেমন: গ ঘ ঙ জ ঝ ঞ ড ঢ ণ দ ধ ন ব ভ ম।
ধ্বনিদ্বারের বাইরে থেকে গলায় আলতোভাবে দুটি আঙুল রেখে ধ্বনিগুলো উচ্চারণ করলে ঘোষ ধ্বনি ও অঘোষ ধ্বনির পার্থক্য বুঝতে পারবে। উচ্চারণ অনুশীলন করার জন্য নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো। ধ্বনির উচ্চারণ যথাযথ রেখে এগুলো জোরে জোরে পড়ো:
উচ্চারণ ঠিক রেখে ছড়া পড়ি
এখানে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা একটি কবিতা দেওয়া হলো।
কবি পরিচিতিঃ-
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯২২ সালে মারা যান। তাঁকে বলা হয় ‘ছন্দের জাদুকর’। ‘বেণু ও বীণা’, ‘ফুলের ফসল’, ‘কুহু ও কেকা’ ইত্যাদি তাঁর বিখ্যাত কবিতার বই। নিচের কবিতাটি কবির ‘কুহু ও কেকা’ নামের বই থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটি প্রথমে নীরবে পড়ো; এরপর সরবে পাঠ করো।
কবিতাটি হলোঃ- ছিন্ন-মুকুল
ছিন্ন-মুকুল
সত্যে ত্যেন্দ্রনাথথ দত্তদত্ত
সবচেয়ে যে ছোটো পিঁড়িখানি
সেইখানি আর কেউ রাখে না পেতে,
ছোটো থালায় হয়নাকো ভাত বাড়া,
জল ভরে না ছোট্ট গেলাসেতে;
বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে যে ছোটো
খাবার বেলায় কেউ ডাকে না তাকে,
সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল
তারি খাওয়া ঘুচেছে সব আগে।
সবচেয়ে যে অল্পে ছিল খুশি,-
খুশি ছিল ঘেঁষাঘেঁষির ঘরে,
সেই গেছে, হায়, হাওয়ার সঙ্গে মিশে
দিয়ে গেছে জায়গা খালি করে,
ছেড়ে গেছে, পুতুল, পুঁতি র মালা,
ছেড়ে গেছে মায়ের কোলের দাবি,
ভয়-তরাসে ছিল যে সবচেয়ে
সেই খুলেছে আঁধার ঘরের চাবি!
সবচেয়ে যে ছোটো কাপড়গুলি
সেগুলি কেউ দেয় না মেলে ছাদে,
যে শয্যাটি সবার চেয়ে ছোটো
আজকে সেটি শূন্য পড়ে কাঁদে;
সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল
সেই গিয়েছে সবার আগে সরে,
ছোট্ট যে-জন ছিল রে সবচেয়ে
সেই দিয়েছে সকল শূন্য করে।
কবিতার গুরুত্বপূর্ণ শব্দের অর্থ
গেলাস: গ্লাস।
ঘেঁষাঘেঁষির ঘর: একসাথে কয়েক ভাইবোন বড়ো হয় যে বাড়িতে।
ঘোচা: শেষ হওয়া।
তরাস: ত্রাস, ভয়।
পিঁড়ি: বসার ছোটো আসন।
পুঁতির মালা: পুঁতি দিয়ে তৈরি করা মালা।
পেতে রাখা: বসার জন্য মেঝেতে রাখা।
ভাতবাড়া: খাওয়ার জন্য ভাত থালায় রাখা।
শয্যা: শোয়ার বিছানা।
‘ছিন্ন মুকুল’ কবিতার মূলভাব বা সারমর্ম বা সামারি
‘ছিন্ন মুকুল’ কবিতায় কবির শিশুর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। বাড়িতে যে সবচেয়ে ছোট শিশুটি ছিল, সে অকালে মারা গেছে। সবখানে তার স্মৃতিচিহ্ন পড়ে রয়েছে। শিশুটিকে আর কেউ খেতে ডাকে না। তার সঙ্গে কেউ আর খেলা করে না। শিশুটি মায়ের কোলে ওঠার জন্য আকুল হয় না। সব সময় তার জন্য যেন একটা শূন্যতা বিরাজ করে। যে শিশুটি সবার পরে এসেছিল, সে সবার আগে সবকিছু শূন্য করে দিয়ে চলে গেছে।
উচ্চারণ ঠিক করি
উচ্চারণের সময়ে অঞ্চলভেদে ঘোষ ধ্বনি অঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হতে পারে, কিংবা অঘোষ ধ্বনি ঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হতে পারে। আবার, অল্পপ্রাণ ধ্বনি বদলে মহাপ্রাণ ধ্বনি হয়ে যেতে পারে, কিংবা মহাপ্রাণ ধ্বনি বদলে অল্পপ্রাণ ধ্বনি হয়ে যেতে পারে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে তোমরা শিখেছ, বাতাস কম-বেশির কারণে ধ্বনি অল্পপ্রাণ বা মহাপ্রাণ হয়। যেমন: ক গ চ জ ট ড ত দ প ব ধ্বনি অল্পপ্রাণ এবং খ ঘ ছ ঝ ঠ ঢ থ ধ ফ ভ ধ্বনি মহাপ্রাণ।
চলুন এক নজরে দেখে নিই কোনটা ঘোষ ও অঘোষ ধ্বণি এবং অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ । নিচের ছকটি দেখুন:-
নিচের ছকে ‘ছিন্ন মুকুল’ কবিতা থেকে কিছু শব্দ দেওয়া হয়েছে। যেসব ধ্বনির উচ্চারণে ঘোষ-অঘোষ কিংবা অল্পপ্রাণ-মহাপ্রাণের পার্থক্য ঘটতে পারে, সেগুলো লাল হরফে দেখানো হলো। তোমার উচ্চারণ ঠিক হলে ডান কলামে টিকচিহ্ন (✔️) দাও।
উত্তরঃ-
২য় পরিচ্ছেদ:- শব্দের উচ্চারণ
নিচে একটি গল্প দেওয়া হলো। গল্পের নাম ‘কত দিকে কত কারিগর’। এটি সৈয়দ শামসুল হকের (১৯৩৫-২০১৬) লেখা। সৈয়দ শামসুল হক কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও নাটক রচনা করেছেন। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখার কারণে তাঁকে সব্যসাচী লেখক বলা হয়। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে আছে-‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ ইত্যাদি। তিনি সিনেমার জন্যও কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লিখেছেন।
‘কত দিকে কত কারিগর’ গল্পটি পড়ার সময়ে প্রমিত উচ্চারণের দিকে খেয়াল রেখো।
‘কত দিকে কত কারিগর’ গল্পটি তোমরা আস্তে আস্তে বুঝে বুঝে পড়ে ফেলো কেমন? গল্পটি পড়া শেষ হলে এবার নিচের শব্দার্থ গুলো দেখে নাও।
অবিশ্বাস্য: যা বিশ্বাস করা যায় না।
আঁচড়: দাগ টানা।
আর্ট: র্টছবি আঁকা ও অন্যান্য শিল্প।
আর্টিস্ট: র্টি শিল্পী।
ইতস্তত: দ্বিধা।
এক খামচা চুল: পাঁচ আঙুলের এক খামচিতে তোলা বা একমুঠ চুল।
একটিপ: একটুখানি।
কাদার তাল: কাদার পিন্ড।
কারিগর: যাঁরা হাতে জিনিস বানান।
কুমোর: মাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানো যাঁদের পেশা।
কৌতূহল: অবাক, জিজ্ঞাসা।
খোদাই করা নকশা: কেটে কেটে বানানো নকশা।
চান্দ সওদাগর: বেহুলা-লখিন্দরের কাহিনির একটি চরিত্র।
ছাঁচ: কোনো কিছু বানানোর কাঠামো।
ছোকরা: ছেলে।
জয়নুল আবেদীন: বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী।
জ্যাঠা: চাচা।
ঝাপসা: অস্বচ্ছ, অস্পষ্ট।
তরফ: পক্ষ।
দামড়া: বলদ গরু।
নিরাসক্ত: আবেগহীন, নির্লিপ্ত।নির্লি
পাটা: মাটির ফলক।
বাঁশবনে আচ্ছন্ন: বাঁশগাছ দিয়ে ভরা।
বেণীবন্ধনরত: বেণী বাঁধছে এমন।
ভাঁটি: মাটির তৈরি জিনিস পোড়ানোর বড়ো চুলা।
ময়ূরপঙ্খি নৌকা: যে নৌকার সামনের দিকটা ময়ূরের মুখের মতো নকশা করা।
মওলানা ভাসানী: বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ।
লালন ফকির: বাংলা ভাষার একজন বিখ্যাত লোককবি ও গায়ক।
শ্যেন: তীক্ষ্ণ, বুনো।
সন্দিগ্ধ: সন্দেহ ভরা।
সমুখের: সামনের।
সরা: মাটির ঢাকনা।
সানকি: মাটির থালা।
সূক্ষ্ম: মিহি, সরু।
শব্দের উচ্চারণ
প্রমিত ভাষায় শব্দের উচ্চারণ ঠিকমতো করতে হয়। ‘কত দিকে কত কারিগর’ গল্প থেকে কিছু শব্দ বাম কলামে দেওয়া হলো। শব্দগুলোর উচ্চারণে অনেক সময় ভুল হয়, সেটি মাঝের কলামে দেখানো হয়েছে। আর প্রমিত উচ্চারণ কেমন হবে, তা ডানের কলামে লিখে দেখানো হয়েছে। তোমার উচ্চারণ এখান থেকে ঠিক করে নাও।
নিচের ছকটি ভালো করে খেয়াল করো, কারণ তোমরা ‘কত দিকে কত কারিগর’ গল্পটি পড়ার সময় যেসব শব্দ গুলো ভূল উচ্চারণ করেছো তা নিচের ছক থেকে মিলিয়ে শুদ্ব করে নাও।
আঞ্চলিক ভাষা
‘কত দিকে কত কারিগর’ গল্পে পালমশাইয়ের কথায় আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। নিচের ছকের বাঁ কলাামে পালমশাইয়ের মুখের বাক্য লেখো, আর ডান কলামে বাক্যগুলোকে প্রমিত ভাষায় রূপান্তর করে দেখানো হয়েছে।
উত্তরঃ-
(getButton) #text=(Read Online) #icon=(link) #color=(#2339bd)
(getButton) #text=(Download ৭ম শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায়ের সকল সমাধান PDF) #icon=(download)
সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায়ের সকল সমাধান (প্রমিত ভাষায় কথা বলি) - Class 7 Bangla Solution, Chapter 2 | PDF- 2023 - সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায়ের সকল সমাধান (প্রমিত ভাষায় কথা বলি) - Class 7 Bangla Solution, Chapter 2 | PDF- 2023 - সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায়ের সকল সমাধান (প্রমিত ভাষায় কথা বলি) - Class 7 Bangla Solution, Chapter 2 | PDF- 2023 - সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায়ের সকল সমাধান (প্রমিত ভাষায় কথা বলি) - Class 7 Bangla Solution, Chapter 2 | PDF- 2023 -
onek tnx
ReplyDelete