অর্থ বুঝে বাক্য লিখি - ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় সমাধান (৪র্থ পরিচ্ছেদ-বাক্য) পর্ব - ৫ | Class 6 Bangla Chapter 3 Solution Part- 5 (PDF) 2023
মাধ্যমিক/দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় (অর্থ বুঝে বাক্য লিখি) ছকসহ সমাধান ( (৪র্থ পরিচ্ছেদ : বাক্য, পর্ব - ৫)
৬ষ্ঠ শ্রেণি/Class 6 বাংলা ৩য় অধ্যায় সমাধান New Curriculum Textbooks Bangla Chapter 3 (Part -5) Guide 2023 মাধ্যমিক/দাখিল স্তর উভয়ের জন্য।
তৃতীয় অধ্যায়: অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
৪র্থ পরিচ্ছেদ : বাক্য
৪র্থ পরিচ্ছেদ এর মধ্যে কিছু ব্যাকরণের প্রশ্ন ও রয়েছে। সে গুলো সম্পর্কে ও আমরা নিচে আলোচনা করব।
নিচের বাক্যগুলো পড়ো এবং বাক্যগুলোতে সাধারণভাবে কী অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে তার উল্লেখ করো।
৫২ নং পৃষ্ঠার উত্তর
প্রদত্ত বাক্য এবং কী অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে তা নিচে আলোচনা করা হলো:-
১. আমি বাজারে যাচ্ছি।
উত্তর: সাধারণ বিবৃতি প্রকাশ করছে।
২. তুমি কোথায় যাচ্ছ?
উত্তর: কিছু জানার জন্য প্রশ্ন করছে।
৩. তুমি বাজারে যাও।
উত্তর: কাউকে আদেশ করা হচ্ছে।
৪. ওরে বাবা! কত বড়ো বাজার!
উত্তর: অবাক হওয়া অর্থে
বিভিন্ন ধরনের বাক্য
যে কোনো বাক্যই কোনো না কোনো অর্থ প্রকাশ করে। বেশিরভাগ বাক্যে সাধারণভাবে কোনো বিবরণ দেওয়া হয়। এছাড়া কোনো কোনো বাক্য দিয়ে আমরা প্রশ্ন বোঝাই, কোনো কোনো বাক্য দিয়ে আদেশ-অনুরোধ বোঝাই এবং কোনো কোনো বাক্যের মধ্য দিয়ে আমাদের বিস্ময় প্রকাশ পায়।
বাক্যের বিস্তারিত আলোচনা
বাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ- ১. ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর 'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' গ্রন্থে বাক্য কাকে বলে তার আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন - "একটি সম্পূর্ণ মনোভাব যে সমস্ত পদ দ্বারা প্রকাশ করা যায়, তাদের সমষ্টিকে বাক্য বলে।"
উত্তরঃ- ২. বাক্য সম্পর্কে মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী বলেছেন – “যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, তাকে বাক্য বলে।”
উত্তরঃ- ৩. সুতরাং বলতে পারি, এক বা একাধিক পদের দ্বারা যখন বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তখন তাকে বাক্য বলে।
বাক্য গঠনের শর্ত কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ একটি আদর্শ বা সার্থক বাক্য তখনই গঠিত হবে যখন বাক্যটির মধ্যে তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকবে। এগুলো হচ্ছে:-
১. আকাঙ্ক্ষা।
২. আসত্তি ও
৩. যোগ্যতা।
বাক্য কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ (ক). গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেনীবিভাগ:- গঠনগত দিক থেকে বিচার করলে আমরা তিন প্রকার বাক্য পাই। যথা:-
১. সরল বাক্য
২. মিশ্র বা জটিল বাক্য এবং
৩. যৌগিক বাক্য
(খ). অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ:- অর্থ অনুসারে বাংলা বাক্যকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:
১. বিবৃতিমূলক বা বর্ণনামূলক বাক্য,
২. প্রশ্নসূচক বাক্য,
৩. আদেশসূচক বাক্য,
৪. ইচ্ছাসূচক বাক্য,
৫. বিস্ময়সূচক বাক্য।
বক্তব্যের লক্ষ্য অনুযায়ী বাক্যকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
১. বিবৃতিবাচক বাক্য: সাধারণভাবে কোনো বিবরণ প্রকাশ পায় যেসব বাক্যে, সেগুলোকে বিবৃতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: আগামীকাল স্কুলে একজন বিশেষ অতিথি আসবেন।
২. প্রশ্নবাচক বাক্য: কারো কাছ থেকে কিছু জানার জন্য যেসব বাক্য বলা হয় বা লেখা হয়, সেগুলোকে প্রশ্নবাচক বাক্য বলে। যেমন: তুমি কি জানো কাল কে আসবেন স্কুলে?
৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনপ্রার্থা ইত্যাদি বোঝাতে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য হয়। যেমন: তোমরা সবাই কাল স্কুলে উপস্থিত থাকার চেষ্টা কোরো।
৪. আবেগবাচক বাক্য: কোনো কিছু দেখে বা শুনে অবাক হয়ে যে ধরনের বাক্য তৈরি হয়, সেগুলোকে আবেগবাচক বাক্য বলে। যেমন: দারুণ! তুমি সময়মতো আসতে পেরেছ।
বিভিন্ন ধরনের বাক্য খুঁজি
‘সুখী মানুষ’ নাটকটি থেকে চার ধরনের বাক্য খুঁজে বের করো।
৫৩ নং পৃষ্ঠার উত্তর
‘সুখী মানুষ’ নাটকটি থেকে বিবৃতিবাচক বাক্য খুঁজে বের করা হলো:-
১। তোমার মোড়লের নিস্তার নাই।
২। আমি হাউমাউ করে কাঁদতে লেগে যাব ।
৩। তোমার মোড়ল একটা কঠিন লোক।
৪। মানুষের কান্না দেখলে হাসে।
৫। মোড়ল যে অত্যাচারী পাপী।
৬। মোড়ল আমার মামাতো ভাই।
৭। লোভে পা, পাপে মৃত্যু।
৮। আমি রোগীর নাড়ী পরিক্ষা করি
৯। মোড়ল আমার মনিব।
১০। সেই কাঠ বাজারে বেচি।
‘সুখী মানুষ’ নাটকটি থেকে প্রশ্নবাচক বাক্য খুঁজে বের করা হলো:-
১। মোড়লের ব্যারাম ভালো হবে না কেন?
২। বাঘের চোখ আনতে হবে?
৩। হিমালয় পাহাড় তুলে আনব?
৪। আর কোনদিন লোভ করবে?
৫। সুখ কোথায় পাব?
৬ । আমার মনে দুঃখ কেন?
৭। কী করতে হবে?
৮। ঘরের মধ্যে কে কথা বলছো?
৯। যদি চোর আসে?
১০। দুনিয়াতে আমার মতো সুখী কে?
‘সুখী মানুষ’ নাটকটি থেকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য খুঁজে বের করা হলো:-
১। আজে-বাজে কথা বলবেন না।
২। মোড়লের মুখে শরবত ঢেলে দাও।
৩। এত কোলাহল করো না।
৪। মূর্খের মতো কথা বলো না।
৫। আমাকে বলুন।
৬। আমাকে বাচাও।
৭। শান্ত হও।
৮ । আমাকে শান্তি এনে দাও।
৯। মিথ্যা কথা বলো না।
১০। জামাটা নিয়ে এসো।
‘সুখী মানুষ’ নাটকটি থেকে আবেগবাচক বাক্য খুঁজে বের করা হলো:-
১। আপনি বাড়ি যান!
২। পাগলের মতো হাসছো কেন ভাই!
৩। মোড়ল বাঁচবে তো!
৪। চুপ চুপ!
৫। জামা মানে জামা!
৬। আমার কত টাকা, কত বড়ো বাড়ি!
অনুচ্ছেদ লিখি
বিবৃতিবাচক, প্রশ্নবাচক, অনুজ্ঞাবাচক ও আবেগবাচক--এই চার ধরনের বাক্য ব্যবহার করে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
৫৪ নং পৃষ্ঠার উত্তর
ইমনদের পুরাতন ভিটায় একটা পোড়াবাড়ি আছে। সেখানে কয়েকদিন ধরে কিছু অপরিচিত লোকের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। কামাল বলছিল, 'ওখানে গুপ্তধন থাকতে পারে।' নিলয় খানিক কৌতূহলী হয়ে ইমনের দিকে তাকিয়ে বলেছিল, "কি রে ইমন, ওই বাড়িতে গুপ্তধন আছে নাকি?' ইমন অবাক হয়ে বলেছিল, 'তাই নাকি! আমি তো জানি না।' আসলেই কোনো গুপ্তধন আছে কি না, তা যাচাই করার জন্য অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছিল কামাল। বলেছিল, ‘চল, আমরাই খোঁজ করে দেখি। গুপ্তধন থাকলে ঠিক খুঁজে পাব।' ইমনদের পোড়াবাড়িতে কবে এবং কীভাবে চালানো হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্যই আজকের সভা। আমার অবশ্য খানিক ভয় ভয় করছে। কারণ, অপরিচিত লোকগুলো যদি ঠিক গুপ্তধন খুঁজতে আসে! আর যদি আমাদের সাথে ওদের দেখা হয়ে যায়!
উত্তর তোমরা নিজেরাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করো। না পারলে নিচের ছবি থেকে উত্তর দেখে নাও।