আমার এলাকা কেন ভিন্ন - ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

Mofizur Rahman
0

Class Seven Digital Technology Summative Assessment Solution/Answer 2023 | আমার এলাকা কেন ভিন্ন - ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২৩

আমার এলাকা কেন ভিন্ন - ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

(toc)

ডিজিটাল প্রযুক্তি : সপ্তম শ্রেণি ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন - আমার এলাকা কেন ভিন্ন।

প্রিয় শিক্ষার্থীরা আজ আমি মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড নির্দেশিত ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট- আমার এলাকা কেন ভিন্ন? এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এখানে প্রতিটি দলের কাজ এর নমুনা সমাধান দেওয়া হবে। তোমরা এই নমুনা সমাধান দেখে তোমাদের এলাকা নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট টি সমাধান করবে।


শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে নিজেদের এলাকা বা বিদ্যালয়ের এলাকা দলের শিক্ষার্থীদের আশেপাশের পরিচিত এলাকা সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করে এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এলাকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি প্রকাশনা প্রণয়ন করবে। 


আমার এলাকা কেন ভিন্ন – প্রকাশনা তৈরির ধাপ

সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বেশ কয়েকটি ধাপে আমার এলাকা ভিন্ন কি কারণে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবো এবং পরবর্তীতে সেটির জন্য প্রকাশনা তৈরি করব। গুরুত্বের সাথে ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে।


ধাপ-১ : কয়েকটি দল গঠন

সপ্তম শ্রেণীর যত জন শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরকে অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নের কাজে সম্পৃক্ত করার জন্য আমরা ছয়টি দলে ভাগ হয়ে যাব।


কর্তৃপক্ষকে দেয়া নির্দেশনায় প্রত্যেক দলের আলাদা আলাদা করে কাজ ভাগ করে দেয়া আছে সে বিষয়ে সংক্ষেপে জেনে নিন;


  • ক দলের কাজ: এলাকার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বিখ্যাত, গুণী ব্যক্তি, লেখক, কবি, সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি সাদা মনের ও মানবসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি… এরূপ ব্যক্তিত্বের যে কোনো একজনের পরিচিতি ও তাঁর কৃতিত্বের পরিচয়/জীবনী;
  • খ দলের কাজ: এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তথ্য;
  • গ দলের কাজ: এলাকাটিকে প্রসিদ্ধ করেছে এরকম শিল্প, সংস্কৃতি, খেলাধুলা বা অন্যান্য ক্ষেত্র;
  • ঘ দলের কাজ: এলাকার দর্শনীয় স্থান বা পরিদর্শনে যাওয়া যায়, এমন স্থান যা সকলকে আকৃষ্ট করতে পারে তার বর্ণনা;
  • ঙ দলের কাজ: এলাকাকে অন্যের কাছে তুলে ধরেছে, এমন কোন বিশেষ প্রতিবেদন/সংবাদ/ভিডিও যা পূর্বে কোন ম্যাগাজিন, পত্রিকা, ওয়েবসাইট, ব্লগ বা অন্য কোন উৎসে প্রকাশিত হয়েছে তা সংগ্ৰহ ও প্রয়োজনে সম্পাদনা করে প্রকাশ;
  • চ দলের কাজ: বিদ্যালয় এলাকা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য/ঘটনা/ইতিহাস/ঐতিহ্য বর্ণনা করতে পারে এমন কারো (শিক্ষক/অভিভাবক/বিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত কোন বয়স্ক ব্যক্তি) সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও তা লেখা;


ক দলের কাজ: কৃতি ব্যক্তিত্বের পরিচিতি ও তাঁর কৃতিত্বের পরিচয়/জীবনী

তথ্য সংগ্রহ করার প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কোন দলের হয়ে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তির পরিচিতি এবং কৃতিত্বের পরিচয় বা জীবনী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবো। এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় বা কৃতিত্বের বিবরণী তথ্য সংগ্রহ করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করব।


১. ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার

ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার: তথ্য সংগ্রহ করার সময় আমরা সেটির রেকর্ড ও সংরক্ষণ করার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারি।  কারণ মোবাইলে একাধারে ভিডিও করা,  অডিও রেকর্ড করা,  ছবি তোলা,  এবং নোট করার কাজটি করা যাবে ।


২. পরিচয় ও কৃতিত্বের বিবরণী জানার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্নমালা ও উত্তর

আমরা যার কাছ থেকে সাক্ষাৎকার নিতে যাচ্ছি তার সম্পর্কে জানার জন্য পূর্বেই কিছু প্রশ্ন প্রস্তুত করে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে দলের প্রত্যেক সদস্য আলাদা আলাদা তালিকা করতে পারে। তবে এখানে আমরা কমন প্রশ্ন বলে উল্লেখ করলাম।


যেহেতু আমরা আমাদের এলাকার একজন মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করব সেহেতু সেই আলোকে কিছু নমুনা প্রশ্ন তোমাদের জন্য উল্লেখ করা হলো।


১: আপনি কি অনুগ্রহ করে আপনার পরিচয় এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদানের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে পারেন?

২: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আপনাকে কে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল? এমন কোন অভিজ্ঞতা বা নির্দিষ্ট ঘটনা কি আছে যা মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করতে আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছে?

৩: একজন মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে আপনি সে সময়ে যে চ্যালেঞ্জ এবং বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন তার সম্পর্কে কিছু বলুন? 

৪: মুক্তিযুদ্ধে আপনি কি ভূমিকা রেখেছিলেন? আপনি কি এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অপারেশনের সাথে জড়িত ছিলেন যা বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্বাধীনতায় অবদান রেখেছিল? 

৫: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আপনার কোন স্মরণীয় মুহূর্ত বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন যা এখনো আপনার স্মৃতিকে নাড়িয়ে দেয়?

৬: মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সময়ে আপনি কি ধরনের ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং সেটা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে কি প্রভাব ফেলেছে?

৭: মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলাফল সম্পর্কে আপনি কেমন অনুভব করেন? এটা কি আপনার প্রত্যাশা বা আকাঙ্খা পূরণ করেছে?

৮: একজন মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে আপনি সবচেয়ে বেশি গর্ববোধ করেন এমন কিছু কৃতিত্ব সম্পর্কে বলুন। 

৯: মুক্তিযুদ্ধের সেই মহান যাত্রার দিকে ফিরে তাকালে আপনার কি শিক্ষা পেয়েছেন বলে মনে হয়?  এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কোন বার্তা আছে কি?

১০: সবশেষে,  বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনি কিভাবে স্মরণীয় হতে চান?  ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনার অবদান ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান সম্পর্কে কি জানাতে চান? 

১১: মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনার সাথে আমাদের এলাকার আর কে কে অংশগ্রহণ করেছে? 

১২: মুক্তিযুদ্ধে আমাদের এলাকার অবদান বা ভূমিকা কি ছিল?


উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর দলের প্রত্যেক সদস্য আলাদা আলাদা ভাবে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী ব্যক্তির নিকট উপস্থাপন করবে এবং যে প্রশ্ন করবে সে তার খাতায় উত্তর লিপিবদ্ধ করবে। দলের মধ্যে কেউ কম্পিউটার বা মোবাইলে টাইপিং এর কাজে এক্সপার্ট হলে সাথে সাথে সে তথ্যগুলোকে টাইপ করে নিবে এবং তথ্যের ভিত্তিতে ওই মুক্তিযোদ্ধার একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিবে। 


প্রত্যেক সদস্য তাদের প্রশ্নের আলোকে প্রাপ্ত উত্তর খাতায় লিপিবদ্ধ করে নিজেদের নাম রোল ও স্বাক্ষর সম্বলিত শীট দলনেতার কাছে জমা দিবে। সবগুলো উত্তর সংগ্রহ করে দলনেতা কম্পিউটারের যেকোনো একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ওই মুক্তিযোদ্ধার সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করবে যা সর্বোচ্চ এক পৃষ্ঠার হতে পারে।


আমার এলাকা কেন ভিন্ন – কৃতি ব্যক্তির প্রোফাইল

তোমাদের জন্য একটি নমুনা প্রোফাইল তৈরি করে দেয়া হলো। চাইলে সেটি ডাউনলোড করে কম্পিউটারের সম্পাদনের মাধ্যমে নিজের মত করে তৈরি করতে পারবে। 


বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রহমান

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রহমান

জন্ম: ০১ জুন ১৯৬৫, গ্রাম-মদনপুর, ডাকঘর-হুচ্চামিয়া, উপজেলা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা

পিতার নাম: অলিউর রহমান।

মাতার নাম: করিমন বেগম।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স: ১৮ বছর।

যুদ্ধকালীন পেশা: ছাত্র।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এর ধরণ: সরাসরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।

যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেক্টর: সেক্টর ২্।

কমান্ডারের নাম: কমান্ডার বদিউল আলম।

মহান মুক্তি যুদ্ধে অবদান: তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ১৯৭১ সালে সরাসরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধ অংশগ্রহণ করেন এবং নিজে অস্ত্র চালিয়ে বিভিন্ন মিশন সফল করেন।

কৌশলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের অবস্থান এবং যাতায়াত চিহ্নিত করে নিজের দলের লোকদের সাথে নিয়ে রাতে এবং দিনে সুকৌশলে অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে অনেকবার হানাদার বাহিনীদের পরাস্ত করেছেন।

চারটি সরাসরি বন্ধুর যুদ্ধ এবং পরোক্ষ যুদ্ধে হানাদার বাহিনীদের পরাজিত করে সফলতার পতাকা নিয়ে এসেছেন


মহান যুদ্ধের বিশেষ স্মৃতি: যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি তার প্রিয় বন্ধু সহপাঠী বেলাল চৌধুরী যে তার সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তাকে সামনাসামনি মারা যেতে দেখেছেন। বিষয়টি তার কাছে এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে।

মন্তব্য: আমার এলাকায় মোঃ রহমান এর মত আরো অনেক মহান মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা যুদ্ধের সময় নিজের প্রাণের মায়া না করে পরিবারের মায়ায় না পড়ে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। এজন্যই আমার এলাকা অন্য এলাকা থেকে কিছুটা ভিন্ন।


খ দলের কাজ: এলাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তথ্য

এই কাজটি করার সময় আমরা শিক্ষক, অভিভাবক, আমার এলাকা সম্পর্কে ভালো জানে এমন কোন ব্যক্তি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করব এবং এলাকার ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত স্থাপনা বা স্থান পরিদর্শন করে ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করবো।


আমরা প্রেজেন্টেশনে কুমিল্লা জেলা সম্পর্কে একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তথ্য সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরব। তোমরা তোমাদের নিজস্ব জেলা বা উপজেলার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে প্রতিবেদন করে নেবে।


প্রাচীনকালে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত ছিল এবং পরবর্তীতে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়েছিল। এ অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রাচীন নিদর্শনাদি থেকে যতদূর জানা যায় খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে ত্রিপুরা গুপ্ত সম্রাটদের অধিকারভুক্ত ছিল।


ঐতিহাসিকদের মতে সপ্তম থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৌদ্ধ দেববংশ রাজত্ব করে। নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা হরিকেলের রাজাগণের শাসনাধীনে আসে। প্রত্নপ্রমাণ হতে পাওয়া যায় যে, দশম হতে একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ বছর এ অঞ্চল চন্দ্র রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়েছে।


মধ্যবর্তী সময়ে মোঘলদের দ্বারা শাসিত হওয়ার পরে ১৭৬৫ সালে এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অধীনে আসে। রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে কোম্পানী ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দ প্রদেশে একজন তত্ত্বাবধায়ক  নিয়োগ করে।


তখন কুমিল্লা ঢাকা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল। ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে কুমিল্লাকে কালেক্টরের অধীন করা হয়। ১৭৯০ সালে ত্রিপুরা জেলা গঠনের মাধ্যমে ত্রিপুরা কালেক্টরেটের যাত্রা শুরু হয়।


১৭৯৩ সালে তৃতীয় রেগুলেশন অনুযায়ী ত্রিপুরা জেলার জন্য একজন দেওয়ানি জজ নিযুক্ত করা হয় এবং সে বছরই তাকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। ১৮৩৭ সালে ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টরের পদগুলিকে পৃথক করা হয়। ১৮৫৯ সালে আবার এই দুটি পদকে একত্রিত করা হয়।


১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরবর্তী সময়ে ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার নামকরণ করা হয় কুমিল্লা এবং তখন থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর পদটির নামকরণ হয় ডেপুটি কমিশনার। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লার দু’টি মহকুমা চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পৃথক জেলা হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (কুমিল্লা জেলা)


কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্য

কুমিল্লার খাদি

প্রাচীনকাল থেকে এই উপ-মহাদেশে হস্তচালিত তাঁত শিল্প ছিল জগদ্বিখ্যাত। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সব সময় এই তাঁতের কাপড় বিদেশেও রপ্তানি হতো। একটি পেশাজীবী সম্প্রদায় তাঁত শিল্পের সাথে তখন জড়িত ছিলেন। তাদেরকে স্থানীয় ভাষায় বলা হতো ‘যুগী’ বা ‘দেবনাথ’। বৃটিশ ভারতে গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের সময়কালে ঐতিহাসিক কারণে এ অঞ্চলে খাদি শিল্প দ্রুত বিস্তার লাভ ও জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তখন খাদি কাপড় তৈরি হতো রাঙ্গামাটির তূলা থেকে। জেলার চান্দিনা, দেবিদ্বার, বুড়িচং ও সদর থানায় সে সময় বাস করতো প্রচুর যুগী বা দেবনাথ পরিবার। বিদেশি বস্ত্র বর্জনে গান্ধীজীর আহ্বানে সে সময় কুমিল্লায় ব্যাপক সাড়া জাগে এবং খাদি বস্ত্র উৎপাদনও বেড়ে যায়। দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে কুমিল্লার খাদি বস্ত্র। এই বস্ত্র জনপ্রিয়তা অর্জন করে কুমিল্লার খাদি হিসাবে।


কুমিল্লার রসমালাই

উনিশ শতকে ত্রিপুরার ঘোষ সম্প্রদায়ের হাত ধরে রস মালাইএর প্রচলন হয়। সে সময় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মিষ্টি সরবরাহের কাজটা মূলত তাদের হাতেই হত। মালাইকারির প্রলেপ দেয়া রসগোল্লা তৈরি হত সে সময়। পরে দুধ জ্বাল দিয়ে তৈরি ক্ষীরের মধ্যে ডোবানো রসগোল্লার প্রচলন হয়। ধীরে ধীরে সেই ক্ষীর রসগোল্লা ছোট হয়ে আজকের রসমালাই এ পরিণত হয়েছে।


কুমিল্লা মৃৎ শিল্প

বাংলার লোকশিল্পের আবহমান সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের অন্যতম কুমিল্লার মৃৎশিল্পের বিভিন্ন পণ্য । প্রাচীনকাল থেকেই কুমিল্লায় তৈরীকৃত গৃহস্থালি তৈজসের মধ্যে কলসি, হাঁড়ি, জালা, সরাই বা ঢাকনা, শানকি, থালা, কাপ, বদনা, ধূপদানি, মাটি নির্মিত নানা খেলনা এবং ফল, পশু-পাখি ইত্যাদি বিখ্যাত ছিল। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা ক্রমশ ম্রিয়মাণ হতে থাকলে ১৯৬১ সালে ডঃ আখতার হামিদ খান বিজয়পুর রুদ্রপাল মৃৎশিল্প সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী এটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।


সম্পূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান নিচের পিডিএফ ফাইলে দেওয়া হলো:






Tag: আমার এলাকা কেন ভিন্ন, আমার এলাকা কেন ভিন্ন ৭ম শ্রেণি, আমার এলাকা কেন ভিন্ন ৭ম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি, আমার এলাকা কেন ভিন্ন ৭ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান, Amar Alaka keno Vinno Class 7, Amar Alaka keno Vinno Class 7 Digital Technology

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!