অর্থ বুঝে বাক্য লিখি - ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় সমাধান (২য় পরিচ্ছেদ- অর্থ ও অর্থান্তর) পর্ব - ৩ | Class 6 Bangla Solution Chapter 3 Part- 3 (PDF) 2023
মাধ্যমিক/দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা ৩য় অধ্যায় (অর্থ বুঝে বাক্য লিখি) ছকসহ সমাধান ( (২য় পরিচ্ছেদ : অর্থ ও অর্থান্তর পর্ব - ৩)
৬ষ্ঠ শ্রেণি/Class 6 বাংলা ৩য় অধ্যায় সমাধান New Curriculum Textbooks Bangla Chapter 3 (Part -3) Guide 2023 মাধ্যমিক/দাখিল স্তর উভয়ের জন্য।
তৃতীয় অধ্যায়: অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
২য় পরিচ্ছেদ: অর্থ ও অর্থান্তর
২য় পরিচ্ছেদ মধ্যে কিছু ব্যাকরণের প্রশ্ন ও রয়েছে। সে গুলো সম্পর্কে ও আমরা নিচে আলোচনা করব।
একটি শব্দের অনেক রকম অর্থ থাকতে পারে। বাক্যে প্রয়োগের ওপর শব্দের অর্থ নির্ভর করে। নিচের ছড়াটি পড়ো। এটি সুকুমার রায়ের লেখা। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকার। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত ছড়ার বইয়ের নাম ‘আবোল তাবোল’। নিচের ছড়াটি সুকুমার রায়ের ‘খাই খাই’ নামের ছড়ার বই থেকে নেওয়া হয়েছে। ছড়াটি পড়ার সময়ে ‘পাকা’ শব্দটি কত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে খেয়াল করো।
পাকাপাকি
সুকুমার রায়
আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে,
কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে।
রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে;
ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে।
হাত পাকে লিখে লিখে, চুল পাকে বয়সে,
জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে।
লোকে কয় কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে?
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে!
কান পাকে ফোড়া পাকে, পেকে করে টনটন--
কথা যার পাকা নয়, কাজে তার ঠনঠন।
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে,
সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে বাড়িতে।
পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে।
দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে
শব্দের অর্থ
আহার: ভোজন।
কিলানো: খিল বা গোঁজা ঢুকানো।
কুল: ফলের নাম।
গোঁফ: নাকের নিচে গজানো লোম।
জ্যাঠামি: অল্প বয়সে বেশি বয়সের মতো আচরণ।
দড়ি: রশি।
ফলার: ভাত ছাড়া নিরামিষ খাবার।
ফাগুন: ফাল্গুন।
ফোড়া: চামড়ার নিচে ফুলে ওঠা ঘা।
রাঁধুনি: যে রান্না করে।
লুচি: ভিতরে ফাঁপা ছোটো পরোটা।
সজোরে: খুব জোরে।
উপরের কবিতায় ‘পাকা’শব্দ কত ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তার তালিকা করো।
৪০ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ
মুখ্য অর্থ ও গৌণ অর্থ
প্রশ্নঃ মুখ্য অর্থ ও গৌণ অর্থ কি?
উত্তরঃ মুখ্য মানে যা প্রধান বা মেন আর গৌণ মানে প্রধান বিষয়ের সাথে যা সম্পর্কিত। বিষয়টি অনেকটা হেডিং আর সাব-হেডিং-এর মতো আর কি। মুখ্য মানে primary আর গৌণ মানে secondary।
একটি শব্দ শোনার সাথে সাথে মনে যে ছবি বা ধারণা জেগে ওঠে, সেটাকে ওই শব্দের মুখ্য অর্থ বর্থ লে। যেমন,‘মাথা’ শব্দটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের উপরের যে অংশের ছবি মনে ভেসে ওঠে, সেটাই মাথা শব্দের মুখ্য অর্থ।
কোনো শব্দের মুখ্য অর্থের পাশাপাশি এক বা একাধিক গৌণ অর্থ থাকতে পারে। যেমন, ‘মেয়েটির মাথা ভালো’বললে মেধা বা বুদ্ধিকে বোঝায়। আবার যদি বলা হয় ‘রাস্তার মাথায় যাও’, তবে মাথা বলতে রাস্তার শেষ প্রান্তকে বোঝায়।
নিচে কয়েকটি শব্দের মুখ্য অর্থ ও একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখানো হলো।
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
নিচের শব্দগুলো ব্যবহার করে মুখ্য অর্থ এবং এক বা একাধিক গৌণ অর্থের প্রয়োগ দেখাও।
৪২ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ
নোটঃ অন্যের বাক্যের সঙ্গে তোমার বাক্যগুলো মিলিয়ে দেখো।
প্রতিশব্দ
প্রতিশব্দ কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি শব্দের একই অর্থ বুঝাবার জন্য বাংলা ভাষায় একাধিক শব্দ রয়েছে, এদেরকে প্রতিশব্দ বলে। প্রতিশব্দকে সমার্থক শব্দও বলা হয়। যেমন:- আকাশের প্রতিশব্দ হচ্ছে- গগন, অম্বর, আসমান ইত্যাদি।
প্রতিশব্দের প্রয়োজনীয়তা কী আলোচনা কর।
উত্তরঃ প্রতিশব্দের প্রয়োজনীয়তা নিচে আলোচনা করা হলো:-
১। ভাষার সৌন্দর্য ও যথার্থ অর্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিশব্দের ব্যবহার একান্ত জরুরি।
২। শব্দের অর্থ এবং বাক্যাদির ব্যাখ্যার সময় প্রতিশব্দের প্রয়োজন হয়।
৩। ভাষাকে সুন্দর, মার্জিত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলতে প্রতিশব্দ ব্যবহার করা হয়।
৪। বার বার একই শব্দ ব্যবহার না করে তার প্রতিশব্দ ব্যবহার করলে রচনা সরল ও সুন্দর হয়।
৫। প্রতিশব্দগুলো উত্তমরূপে জানা থাকলে রচনার পুনরাবৃত্তি দোষ ঘটে না এবং ইচ্ছে ভাব প্রকাশ করা সম্ভব হয়।
৪৩ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ
বিপরীত শব্দ
বিপরীতার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে শব্দের সাহায্যে অন্য কোনো শব্দের সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে তাকে বলে বিপরীত শব্দ। উদাহরণঃ অমৃত - গরল, শুভ - অশুভ, ভালো – মন্দ
বিপরীত শব্দ কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ বিপরীত শব্দ চার প্রকারের হতে পারে। যেমন:-
1. নিষেধার্থক উপসর্গ যোগে,
2. বিপরীতার্থক উপসর্গ যোগে,
3. নঞ বা না-সূচক অব্যয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে,
4. সম্পূর্ণ ভিন্ন শব্দ প্রয়োগ করে।
৩য় অধ্যায়ের ২য় পরিচ্ছেদ এর সম্পূর্ণ উত্তর নিচের পিডিএফ থেকে দেখে নেন।