৬ষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান - Class 6 Health Protection Chapter 2 Solution (PDF) 2023
মাধ্যমিক/দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২য় অধ্যায় ছকসহ সমাধান - আমার কৈশোরের যত্ন
৬ষ্ঠ শ্রেণি/Class 6 স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান New Curriculum Textbooks Health Protection Chapter Book Chapter 2 Guide 2023 মাধ্যমিক/দাখিল স্তর উভয়ের জন্য।
আমার কৈশোরের যত্ন।
এ অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে আমরা নিজেকে একটু ভিন্নভাবে খুঁজে পাব। এ অধ্যায়ে আমরা কী জানব বলো তো? আমরা এ অধ্যায়ে একটি ভ্রমণকাহিনি সম্পর্কে জানব। বলতে পারো এটা কিসের ভ্রমণ? এই ভ্রমণ বা যাত্রা হলো আমাদের নিজেদের পরিবর্তনের যাত্রা। একটু সহজ করে বলি- জন্মের সময় আমরা খুব ছোট ছিলাম। ধীরে ধীরে আমরা বসতে শিখেছি, হাঁটতে শিখেছি, দৌঁড়াতে শিখেছি, স্কুলে ভর্তি হয়েছি।
পঞ্চম শ্রেণি শেষ করে এখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছি। এভাবেই আমরা শিশুকাল থেকে কিশোরকালে বা কৈশোরে চলে এসেছি। এটাকে বয়ঃসন্ধিকালও বলে। এই যে একটু একটু করে আমরা বড় হচ্ছি, এটা একটি যাত্রা। আমাদের একান্ত নিজস্ব যাত্রা। এ যাত্রায় আমাদের কত ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে! এসবের কিছু শারীরিক, কিছু আবার মানসিক। এ অধ্যায়ে এই পরিবর্তন সম্পর্কে আমরা জানব। কীভাবে এই পরিবর্তন গুলোর মাঝে নিজেকে সুস্থ রাখা যায় তা ভেবে বের করব। সেগুলো নিজ জীবনে চর্চা করব।
এই যাত্রার বিষয়ে জানার সময় আমরা শ্রেণিতে অনেক কাজ করব। তাহলে চলো এবার শুরু করা যাক।
৪৩ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-
প্রশ্ন: বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন সম্পর্কে আমি কী জানি?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালের সময় শরীর ও মনে অনেক পরিবর্তন আসে। কারো এ পরিবর্তন আগে শুরু হয় আবার কারোও বা পরে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের শরীরের এসব পরিবর্তন হরমোন নিঃসরণের কারণে হয়।
প্রশ্ন: আমার শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করছি?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন গুলো নিম্নরূপ আলোচনা করা হলো:-
১। উচ্চতা ও ওজন বৃদ্ধি পায় ।
২। পেশি দৃঢ় হয়, বুক ও কাঁধ চওড়া হয়।
৩। দড়ি, গোঁফ গজায়।
৪। গলায় স্বর ভাঙ্গে ও স্বর ভারী হয় ।
৫। মুখমন্ডলে ব্রণ হতে পারে।
প্রশ্ন: আমার মনে নতুন কী ভাবনা আসে?
উত্তর: আমার মনে নতুন যা ভাবনা আসে তা হলো:-
১। অজনা বিষয়ে জানার কৌতূহল বাড়ে।
২। শারীরিক পরিবর্তনের ফলে চলাফেরায় দ্বিধা-দ্বন্ধ ও লজ্জা কাজ করে।
৩। স্বাধীনভাবে চলতে ইচ্ছা করে।
৪। নিকটজনের মনোযোগ, যত্ন ও ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়।
প্রশ্নঃ এসব পরিবর্তনের কারণে আমার দৈনন্দিন জীবনে অভ্যাস বা আচরণের কী পরিবর্তন হয়েছে?
উত্তর: এসব পরিবর্তনের কারণে আমার দৈনন্দিন জীবনে অভ্যাস বা আচরণের যা পরিবর্তন হয়েছে তা হলো:-
১। প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো আচরণ করে।
২। বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেকে একজন আলাদা ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
৩। প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা।
৪। দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
নিচের কেসগুলো পড়ি (কেস-১)
৪৪ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-
দীপার সমস্যাটি তো জানলাম। এবার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিই।
(ক) দীপা বাড়িতে অবস্থান করার কারণ কী?
উত্তর: দীপা বাড়িতে অবস্থান করার কারণ বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন। এই সময় শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সংগঠিত হয়।
(খ) ঐ সময় বাড়িতে থাকতে দীপার কেমন লাগত?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে বাড়িতে থাকা দীপার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। নিজেকে তখন একা এবং সমাজ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়। যার দরুন মানসিক দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া ও পড়ালেখায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
৪৫ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-
(গ) দীপার মনের ভিতর কী চলছিল?
উত্তর: শারীরিক, মানসিক, আচরণিক ও পরিবর্তনের সাথে পরিচয় না থাকায় নিজেকে আতংকিত ও বিপর্যস্ত মনে হয়। তাছাড়া শারীরিক পরিবর্তনের কারণে কুণ্ঠিত ও দ্বিধাগ্রস্থ থাকে। পড়াশোনা ও নিজস্ব কাজ বিঘ্নিত হওয়ায় মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়। যার ফলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
(ঘ) কী করলে দীপা নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হবে না বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর: দীপার উচিত বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন নিয়ে মা-বাবা, বড়-ভাই বোন বা নির্ভরযোগ্য অভিভাবকের সাথে আলোচনা করে এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া। ফলে সংকোচ কেটে যাবে এবং একা থাকার প্রবণতা কমে যাবে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়ের শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আবেগিক পরিবর্তন ও ঘটে। এ বয়সে যে মানসিক পরিবর্তন ঘটে তার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য তার সাথে মা বাবা ও অভিভাবকদের বন্ধুসুলভ ও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে।
দীপাকে মানসিক দিকসহ অন্য সব ব্যাপারে সহযোগিতা প্রদান ও সাহস যোগাতে হবে। তাছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য দীপাকে সচেষ্ট থাকতে হবে। তার প্রথম কাজ হবে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা। ভালো গল্পের বই পড়লে, সাথীদের সাথে খেলাধুলা করলে মনে প্রফুল্লতা আসবে এবং মানসিক চাপ সামলানো সম্ভব হবে।
কেস-২
রানার সমস্যাটি তো জানলাম। এবার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিই।
৪৬ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-
(ক) কেন সবাই রানাকে এতো পছন্দ করে?
উত্তর: নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা, সততা, বন্ধুসুলভ, স্নেহশীল ও শ্রদ্ধাশীল আচরণের জন্য সবাই রানাকে এতো পছন্দ করে।
(খ) কিছু দিন ধরে রানার মাঝে কী কী পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে?
উত্তর: কিছু দিন ধরে রানার মাঝে যা যা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে তা হলো:-
১। স্বাধীনভাবে চলতে ইচ্ছা করা।
২। চলাফেরায় দ্বিধা-দ্বন্ধ ও লজ্জা কাজ করা।
৩। মেজাজ খিটখিটে হওয়া।
৪। অস্থিরতা অনুভব করা।
(গ) রানার কিছু একটা বলতে সংকোচ বোধ করার কারণ কী হতে পারে?
উত্তর: রানার কিছু একটা বলতে সংকোচ বোধ করার কারণ বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন। এই সময় শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সংগঠিত হয়।
(ঘ) কী করলে রানা নিজের অবস্থা নিয়ে শংঙ্কিত হবে না বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর: রানার উচিত বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন নিয়ে মা-বাবা, বড়-ভাই বোন বা নির্ভরযোগ্য অভিভাবকের সাথে আলোচনা করে এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া। ফলে সংকোচ কেটে যাবে এবং একা থাকার প্রবণতা কমে যাবে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়ের শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আবেগিক পরিবর্তন ও ঘটে। এ বয়সে যে মানসিক পরিবর্তন ঘটে তার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য তার সাথে মা বাবা ও অভিভাবকদের বন্ধুসুলভ ও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে।
রানাকে মানসিক দিকসহ অন্য সব ব্যাপারে সহযোগিতা প্রদান ও সাহস যোগাতে হবে। তাছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য রানাকে সচেষ্ট থাকতে হবে। তার প্রথম কাজ হবে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা। ভালো গল্পের বই পড়লে, সাথীদের সাথে খেলাধুলা করলে মনে প্রফুল্লতা আসবে এবং মানসিক চাপ সামলানো সম্ভব হবে।
৫১ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-
কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন সম্পর্কে আমার ধারণা: ফিরে দেখি
এই অধ্যায়ের প্রথম দিকে আমরা ‘বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন সম্পর্কে আমার ধারণা' ছকটি পূরণ করেছিলাম। এরপর কমিক, কেস স্টাডি, কার্টুন, নানা তথ্য উৎস ও এই বই থেকে অনেক কিছু জেনেছি। এই নতুন ধারণাগুলো কাজে লাগিয়ে নিচের ছকটি আবার পূরণ করি।
৫১ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-
ক) বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন সম্পর্কে আমি কী জানি?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালের সময় শরীর ও মনে অনেক পরিবর্তন আসে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল আগে শুরু হয়। মেয়েদের আট থেকে তেরো বছর বয়সের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয়। ছেলেদের দশ থেকে পনেরো বছর বয়েছে বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয়। কারো এ পরিবর্তন আগে শুরু হয় আবার কারোও বা পরে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের শরীরের এসব পরিবর্তন হরমোন নিঃসরণের কারণে হয়।
খ) আমার শরীরের পরিবর্তন সম্পর্কে এখন যা জানি?
উত্তর: বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তন:
কিশোরদের ক্ষেত্রে যে সব পরিবর্তন লক্ষ করা যায় তা হচ্ছে-
১। উচ্চতা ও ওজন বাড়ে।
২। শরীরে দৃঢ়তা আসে, বুক ও কাঁধ চওড়া হয়।
৩। এ বয়সে দাড়ি গোঁফ উঠে।
৪। স্বরভঙ্গ হয় ও গলার স্বর মোটা হয়।
কিশোরীদের ক্ষেত্রে যে সব পরিবর্তন লক্ষ করা যায় তা হচ্ছে-
১। উচ্চতা ও ওজন বাড়ে।
২। শরীর ভারী হয়।
৩। শরীরের বিভিন্ন হাড় মোটা ও দৃঢ় হয়।
গ) আমার মনের নতুন ভাবনাগুলো সম্পর্কে এখন যা জানি
উত্তর:
১। অজনা বিষয়ে জানার কৌতূহল বাড়ে।
২। শারীরিক পরিবর্তনের ফলে চলাফেরায় দ্বিধা-দ্বন্ধ ও লজ্জা কাজ করে।
৩। স্বাধীনভাবে চলতে ইচ্ছা করে।
৪। নিকটজনের মনোযোগ, যত্ন ও ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়।
৫। আবেগ দ্বারা পরিচালিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
৬। ছেলে ও মেয়েদের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
৭। মানসিক পরিপক্বতার পর্যায় শুরু হয়।
৮। প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো আচরণ করে ।
৯। বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিজেকে একজন আলাদা ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা।
১০। প্রত্যেক বিষয়ে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা।
১১। দুঃসাহসিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
৫২ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-
কৈশোরের যত্নে আমার পরিকল্পনা
উপরের বিষয়গুলো থেকে আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি আসলে আমাদের জীবন হলো একটা ভ্রমণ কাহিনির মতো। নিজেকে তাই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও ভালো রাখতে চেষ্টা করব। এ জন্য আমরা কী কী করতে পারি তার একটি পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলি। লক্ষ রাখব আমাদের পরিকল্পনায় যেন শারীরিক ও মানসিক- দুটি বিষয়ই গুরুত্ব পায়।
চাইলে এ কাজটি গল্প, ছড়া, বন্ধুর কাছে ব্যক্তিগত চিঠি আকারেও আমরা নিচের ছকে লিখতে পারি। এই ছকটি পূরণের ক্ষেত্রে শিক্ষকের পরামর্শ নিতে পারি। বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখেন এমন কারও কাছ থেকেও সহায়তা নিতে পারি। পরিকল্পনা তৈরি করে শিক্ষককে দেখাব। তাঁর পরামর্শ নিয়ে পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করব।
ছকের/খালিঘরের উত্তর: ৫২ নং পৃষ্ঠার
প্রিয় বন্ধু মুহাইমিন,
কেমন আছো? আশা করি ভালো আছো। তুমি আমার কাছে জানতে চেয়েছিলে “কৈশোরের যত্নে পরিকল্পনা কিরকম হওয়া উচিত”আমাদের দেশে সাধারণত দশ থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে বা মেয়েকে কিশোর বা কিশোরী হিসেবে অভিহিত করা হয়। আমরা এখন কৈশোরে পদার্পণ করছি। একজন মানুষের জন্য এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নানা রকমের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যাগুলোর সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য নিজেদেরকেই সচেষ্ট থাকতে হবে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলো একজন কিশোর বা কিশোরী মেনে চলা আবশ্যক।
যেসব বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ তা হলো:-
১। সুষম খাবার গ্রহণ করা।
২। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।
৩। নিয়মিত গোসল করা।
৪। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
৫। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।
৬। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
৯। বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করা।
১০। ঘুরতে যাওয়া।
১১। বিভিন্ন ধরনের গল্প, উপন্যাসের বই পড়া।
সুতরাং আমরাও উল্লিখিত নিয়মগুলো মেনে চলার মাধ্যমে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করবো। আজ এখানেই রাখছি, অন্যকোন দিন কথা হবে।
নিবেদক
তোমার প্রিয় বন্ধু
মুস্তাকিম হায়দার তানিম
কৈশোরের সুস্বাস্থ্যের চর্চা
এই অধ্যায়ের কাজগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা বয়ঃসন্ধিকালে বা কৈশোরে সুস্বাস্থ্যের উপায়গুলো পেয়ে গেছি। এখন চর্চা করার পালা। এই বছরের বাকি সময় জুড়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কাজগুলো করব। শিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ বা চর্চাগুলো ব্যক্তিগত ডায়েরি বা জার্নালে লিখব। নির্দিষ্ট সময় পরপর কাজের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে শিক্ষককে দেখিয়ে নেব। ডায়েরি বা জার্নালে নিচের প্রশ্নগুলোর আলোকে লেখার চেষ্টা করব।
১। গত এক/দুই মাসে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী কোন কাজগুলো করেছি?
২। কাজগুলো করতে কেমন লেগেছে?
৩। এই কাজগুলো আমাকে ভালো থাকতে কীভাবে সাহায্য করছে?
(সুস্থ, পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ, উৎফুল্ল ও স্বতঃস্ফূর্ত বোধ করছি কি?)
৪। কাজগুলো করতে গিয়ে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি কি?
হয়ে থাকলে কীভাবে তা মোকাবিলা করেছি?
৫। শিক্ষক বা পরিবারের কাছে কি আমার কোনো সাহায্য দরকার? সেগুলো কী?
মনে রাখব এটি শুধু এক বছরের বিষয় নয়, বরং পুরো কৈশোরের। এই বছরে আমরা সুস্বাস্থ্যের জন্য অভ্যাস গড়ে তুলব। সেটি আমাদের কৈেেশারকাল জুড়ে সুস্বাস্থ্যের পথ দেখাবে।
এই অধ্যায়ের সেশনগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বয়ঃসন্ধিকালীন সুস্বাস্থ্যের পথের অভিযাত্রার পরিকল্পনা করতে পারার জন্য রইল অভিনন্দন। সামনের দিনগুলোতে সুস্বাস্থ্যের চর্চা বজায় রাখার জন্য শুভকামনা থাকল।
৫৪ নং পৃষ্ঠার উত্তরঃ-
আমার অগ্রগতি, আমার অর্জন
নিচের ছকগুলো শিক্ষক পূরণ করবেন। এর মাধ্যমে আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে শিক্ষক ধারণা দিবেন। উৎসাহ দেবেন। কীভাবে আরও ভাল করতে পারি সেই উপায় জানাবেন। শিখন কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে আমার কাজগুলোর মান অনুযায়ী নিম্নলিখিতভাবে স্টার (★তারকা চিহ্ন) দিয়ে মূল্যায়ন করবেন।
ছক ১: আমার অংশগ্রহণ ও এই বইয়ে করা কাজ
খুব ভালো =★★★, ভালো =★★, আরও ভালো করার সুযোগ আছে = ★
ছক ২: আমার বয়ঃসন্ধিকালীন সুস্বাস্থ্য চর্চা
খুব ভালো =★★★, ভালো =★★, আরও ভালো করার সুযোগ আছে = ★
সকল প্রকার নোট, সাজেশন,
গল্প, উপন্যাস, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ যে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য সকল প্রকার
নোটস পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং ফেইসবুক ফেইজে।
Website Link ভিজিট করুন
এখনই:- www.mmritbd.com
Facebook Page:- https://www.facebook.com/groups/537027731898202/
(getButton) #text=(ফেইসবুক স্টাডি গ্রুপ লিংক) #icon=(download)
class-6 health protection all chapter note
ReplyDelete