চলো বন্ধু হই - ৬ষ্ঠ শ্রেণি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৩য় অধ্যায় সমাধান - Class 6 Health Protection Chapter 3 Solution (PDF) 2023
মাধ্যমিক/দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৩য় অধ্যায় ছকসহ সমাধান - চলো বন্ধু হই
৬ষ্ঠ শ্রেণি/Class 6 স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৩য় অধ্যায় সমাধান New Curriculum Textbooks Health Protection Book Chapter 3 Guide 2023 মাধ্যমিক/দাখিল স্তর উভয়ের জন্য।
চলো বন্ধু হই
বন্ধুর সাথে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে, তাই না? কী করি আমরা বন্ধুদের সাথে? সব বন্ধু কি একরকম প্রিয়? কেউ একটু বেশি প্রিয়, তার সাথে আমরা মনের কথা বলি। কখনও খুশির কিছু ঘটলে কখন তা বন্ধুকে বলব, মন ছুটে যায়। আবার কোনো ঘটনায় আঘাত পেলে, কারও ওপর রাগ হলে আর কাউকে বলতে না পারলেও তাকে বলি।
এই অধ্যায়ে আমরা নতুন একজনের বন্ধু হওয়ার জন্য কিছু কাজ করব, যাতে আমি তার একজন ‘প্রিয় বন্ধ’ হতে পারি। প্রথমে এমন একজনকে বেছে নেব যার সাথে আমার বন্ধুত্ব আছে। কীভাবে আমরা বন্ধু হলাম, বন্ধুত্বের জন্য কী করেছিলাম, সেগুলো খজেুঁ বের করব। এরপর আমরা সবাই মিলে সবার কাছ থেকে আমাদের বন্ধু হওয়ার গল্প শুনব। তারপর প্রিয় বন্ধু হওয়ার জন্য কী কী করা দরকার, সেসব জেনে আমরা নতুন একজনের ‘প্রিয় বন্ধু’ হব।
আমার বন্ধু
আমার বন্ধুর গল্প
এবার আমরা নিজেদের বন্ধুর গল্প বলব। তার কোন দিকগুলো আমার ভালো লাগে, কেন আমি তাকে বন্ধু মনে করলাম, সেই গল্পটি বলব। তবে গল্পটি বলব ছবিতে ছবিতে। নিচে আমার গল্পের ছবিটি আঁকি।
৫৭ নং পৃষ্ঠার উত্তর:
আমার বন্ধু কেন আমার প্রিয়?
আমরা আমাদের বন্ধুর গল্প শুনলাম। গল্প শুনে বুঝতে পারলাম, আমরা সবাই যার যার বন্ধুকে অনেক ভালোবাসি। সবার কাছেই নিজের বন্ধুটি অনেক প্রিয়। বন্ধুটি কেন আমার এতো প্রিয়? সে কী কী করে বলে আমার প্রিয়? এসো আমরা একটু ভাবি। খজেুঁ পেলে নিচের ছকে লিখি।
৫৮ নং পৃষ্ঠার উত্তর:
আমরা ভেবে বের করলাম আমার বন্ধু আমার কাছে কেন প্রিয়। এবার আমরা সহপাঠীদের কাছ থেকে শুনব“প্রিয় বন্ধু” তাদের কাছে কেন প্রিয়।
প্রিয় বন্ধু হওয়ার উপায়
আমরা প্রথমে নিজের বন্ধু কী কী কারণে প্রিয়, তা বের করেছি। এরপর সহপাঠীদের কাছ থেকে তারা কী কী কারণে তাদের বন্ধুদের পছন্দ করে, তাও জানলাম। আমরা সবাই প্রিয় বন্ধু হওয়ার অনেকগুলো উপায় খুঁজে পেলাম।
তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম বন্ধুত্ব তৈরি করতে যে আচরণগুলো সাহায্য করতে পারে সেগুলো হলো:
১. বন্ধুর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
২. তার অনুভূতি বুঝার চেষ্টা করা। আমি তাকে ঠিকভাবে বুঝেছি কি না, প্রয়োজনে তার কাছ থেকে শুনে নেওয়া।
২. তার অনুভূতি বুঝার চেষ্টা করা। আমি তাকে ঠিকভাবে বুঝেছি কি না, প্রয়োজনে তার কাছ থেকে শুনে নেওয়া।
৩. তার অনুভূতিকে সম্মান করা। তাকে দোষারোপ না করা।
৪. সে কোনো ভুল কাজ করে ফেললেও দোষারোপ না করা। তাকে কিছু বলার প্রয়োজন হলে তার মন ভালো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। পরে বুঝিয়ে বলা।
৫. তার সুখ-দুঃখ, আনন্দ-কষ্টে আমার কেমন লাগে, সেটি তার কাছে প্রকাশ করা।
৬. তার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন কিনা, তা জানতে চাওয়া। সাধ্যমতো তাকে সহযোগিতা করা। তবে বলতে না চাইলে জোর না করা।
৭. অনুমতি নিয়ে তার কাছে যাওয়া বা কিছু করা। অনুমতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
৮. সে কষ্ট পেতে পারে বা লজ্জা পেতে পারে এমন কথা না বলা ও কাজ না করা।
৯. নিজে কোনো ভুল আচরণ করলে তার জন্য ক্ষমা চাওয়া।
বন্ধুরা এ আচরণগুলো করলে আমাদের ভালো লাগে। আমাকে বুঝে তারা পাশে থাকে বলে আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। আমরা আনন্দ পাই। আমাদেরকে ভালোবাসে বলেই তারা আমাদের কষ্ট দিতে চায় না। তাদের অনুভূতি ও আচরণ দিয়ে আমরা উপকৃত হই। তাদের এই মনোভাবকে সহমর্মিতা বলে। সহমর্মী হলে একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ ও সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়। সম্পর্কেরম্পর্কে মধ্যে ভালো লাগা কাজ করে। ফলে দ্বন্দ্ব ও ঝগড়া-বিবাদ কমে যায়।
আমরা সহমর্মিতা ও তার সুবিধা সম্পর্কে জানলাম। এবার আমার নিজের পাঁচটি সহমর্মী আচরণ অপর পৃষ্ঠার ছকে লিখি।
৬০ নং পৃষ্ঠার উত্তর:
সম্পূর্ণ অধ্যায়ের উত্তর পিডিএফ প্রিভিউ থেকে দেখে নোট করে রাখেন।