আমাদের যারা প্রতিবেশী - ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন ৪র্থ অধ্যায় সমাধান - Class 6 Science Book Chapter 4, 2023 all answer (PDF)
মাধ্যমিক/দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির নতুন বই - বিজ্ঞান অনুশীলন | আমাদের যারা প্রতিবেশী ৪র্থ অধ্যায় (উত্তর)
৬ষ্ঠ শ্রেণি/Class 6 বিজ্ঞান অনুশীলন ৪র্থ অধ্যায় সমাধান New Curriculum Textbooks Science Book Chapter 4 Guide 2023 মাধ্যমিক/দাখিল স্তর উভয়ের জন্য।
আমাদের যারা প্রতিবেশী
বলতে পার আমাদের প্রতিবেশী কারা? তাদের সম্পর্কে কি তোমার জানতে ইচ্ছে করে না? শুধু মানুষ নয় কিন্তু, বরং আমাদের চারপাশে যে এত রকম গাছ, পাখি, পশু, কীটপতঙ্গরা রয়েছে তারাও তো আমাদের প্রতিবেশী! তাদের সম্পর্কেও তো আমরা জানতে চাই! এবার আমাদের এইসব প্রতিবেশীদের খুঁজে দেখার পালা !
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন
আচ্ছা তোমার বাসায়, স্কুলে, বা আশেপাশে কত ধরনের জীব আছে কখনো খেয়াল করেছো? শুধু পাখির কথাই ধরা যাক, কত ধরনের পাখি আসলে তোমাদের এলাকায় আছে তা কি কখনো লক্ষ করে দেখেছো? একটু ভেবে দেখো তো! একই কথা বলা চলে চারপেয়ে পশু, পোকা, এমনকি গাছের বেলাতেও! কতরকম ফুলের গাছের দেখা তোমাদের আশপাশেই মেলে, কতরকম সবজি তোমার এলাকায় চাষ করা হয় তাও কি কখনো সেভাবে খেয়াল করেছো?
এই শিখন অভিজ্ঞতার শুরুতেই আমরা এই কাজটি করে নিই কী বলো? আগে নিজেরা ছোট ছোট দলে বসে মনে করার চেষ্টা করো, চলতে ফিরতে কত ধরনের জীব তোমাদের চোখে পড়েছে?
এবার নিজেদের খুঁজে দেখার পালা! এখন সবাই যদি সব ধরনের জীব খুঁজতে শুরু করো তাহলে তো অনেক সময় লেগে যাবে, তাই না? দলে ভাগ হয়ে কাজটা করতে বরং সুবিধা হবে। শিক্ষকের সহযোগিতায় তোমরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে যাও, প্রতিটি দল ঠিক করে নাও তোমরা কোন ধরনের জীব অনুসন্ধান করবে।
কোন দল হয়ত শুধু কত ধরনের পাখি তোমাদের এলাকায় আছে তা নোট করবে, আরেক দল হয়ত শুধু কত রকম পোকা মাকড় আছে তার তালিকা করবে। স্কুলের চৌহদ্দি থেকেই কাজটা শুরু করা যাক তাহলে?
কাজ শুরু করার আগে একটা চমৎকার নাম বেছে নাও তোমরা! ধরো, তোমাদের দলের কাজ হলো পোকার কত ধরন আছে তার তালিকা তৈরি করা। দলের নাম তাহলে কী হতে পারে? 'ফড়িং' নাকি 'পিপীলিকা'? একটা নাম সবাই আলোচনা করে চূড়ান্ত করে ফেলো!
৩০ মিনিট সময় নিয়ে স্কুলের আশেপাশের এলাকা ভালো করে খুঁজে তালিকা তৈরি করো। চাইলে পুরো দল একসাথে না গিয়ে জোড়ায় ভাগ হয়েও খুঁজতে পারো!
কাজ শেষ? তাহলে পরের পৃষ্ঠার ছকে তোমাদের দল যতগুলো জীবের দেখা পেয়েছে তাদের নাম টুকে ফেলো!
সব দলের কাজ দেখার পরে অনেকগুলো তালিকা তো পাওয়া গেল! এখন এই বড় তালিকায় তোমার সবচেয়ে প্রিয় জীব কোনটি? তুমি কি এই জীব সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাও? ক্লাসের সবাই যদি আলাদা আলদা জীব বেছে নাও আর তাদের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য খুঁজে নিয়ে আসো তাহলে কী দারুণ ব্যাপার ঘটবে ভাবো তো! তোমাদের অঞ্চলের বেশিরভাগ জীব সম্পর্কেই জানা হয়ে যাবে তাহলে!
শিক্ষকের সহায়তায় কে কোন জীব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নাও।
এখন তোমার বন্ধুদের সাথে আলাপ করে দেখো, কোনো জীব সম্পর্কে জানতে হলে তার কোন কোন তথ্য সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে? কী ধরনের তথ্য তোমরা পর্যবেক্ষণ করে খুঁজে বের করতে পারবে? যেমন- কোনো জীবের খাদ্যাভ্যাস তার একটি বৈশিষ্ট্য হতে পারে। আর কী কী বৈশিষ্ট্য তোমরা দেখবে সবাই আলোচনা করে একটা তালিকা তৈরি করো।
এবার পাঁচ বা সাতদিন সময় নাও তোমার বেছে নেয়া জীব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য।
৩৭ পৃষ্ঠা উত্তর ছকসহ।
জীবের ধরন
- গাছ
- পশু
- মাছ
- উদ্ভিদ
- পোকামাকড়
জীবের নাম
- আম গাছ, বরই গাছ ইত্যাদি
- গরু, ছাগল, বিড়াল, মহিশ, হাতি ইত্যাদি
- রুই, কাতলা, সর পুটি ইত্যাদি
- ধান, আখ, আলু, গম, ভুট্টা ইত্যাদি
- পামরি পোকা, গান্ধিপোকা, মাকড়সা, ফড়িং ইত্যাদি।
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন
নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে তোমার বন্ধুরা বাড়ীর আশেপাশে কোন কোন জীবের দেখা পেল! তাদেরকে দেখাও তুমি কত রকম জীবের দেখা পেয়েছো। দলে আলোচনা করে সবার পাওয়া তথ্য একত্র করে একটা ছক তৈরি করে ফেলো তাহলে! এবার দলের কাজ তো ক্লাসের বাকিদের সাথেও শেয়ার করা চাই! তোমরা সম্ভব হলে পোস্টার কাগজ, বা অন্য যেকোন উপায়ে সবার কাছে তোমার দলের পাওয়া তথ্য পৌঁছে দাও।
৩৮ পৃষ্ঠা উত্তরছকসহ।
জীবরে নাম: হাতি
শারীরিক গঠন
- ১। ২.৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে
- ২। কান বিশাল ও ত্রিভুজাকার
- ৩। চামড়া পুরু, ঝুলঝুল ও হালকা লোমশ
- ৪। পা থামের মতো
- ৫। চোখ ছোট কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ম
- ৬। লেজ খাটো, আগায় একগুচ্ছ শক্ত চুল আছে
খাদ্যাভ্যাস
- ঘাস
- কলা গাছ
- বাঁশ
- গাছের পাতাও ছাল
- ফুল
- ফল
বাসার ধরণ
- তৃণভূমিতে অথবা জঙ্গলে বসবাস করে।
বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য
- হাতিরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস বা চলাচল করে।
জীবরে নাম: দোয়েল
শারীরিক গঠন
১। দোয়েল পাখি আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।
২। এই পাখির পা দুটি সরু এবং একটি লেজ ও ২টি ডানা রয়েছে।
৩। ঠোঁটটি সরু ও সূঁচালো।
৪। দোয়েলের গলার নিচ থেকে দুধের মতো সাদা পালক রয়েছে যা বুক পর্যন্ত নেমে এসেছে।
খাদ্যাভ্যাস
১। ছোট্ট কীট পতঙ্গ
২। শুঁও পোকা
৩। কেঁচো
বাসার ধরন
১। গাছের কোটরে কিংবা ফাটলে এর খড় কুটো জমা করে বাসা তৈরি করে। সাধারণত কাঠসমৃদ্ধ বন- জঙ্গল, চাষাবাদকৃত জমির আশপাশ এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকায় মানুষের কাছাকাছি এদের বাসস্থান।
বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য
১। নানা রকম সুরে ডাকাডাকি করতে পারে।
২। দোয়েল তার লম্বা লেজটি অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে।
৪র্থ অধ্যায় (আমাদের যারা প্রতিবেশী) বিস্তারিত উত্তর পাবেন নিচের পিডিএফ ফাইলে।
৪র্থ অধ্যায়ের প্রতিটি ছক উত্তরসহ নিচের পিডিএফে দেওয়া হয়েছে। পিডিএফটি ভালোভাবে লক্ষ করুন।