৭ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান ২০২৪ - Class 7 Health Protection Chapter 2 Answer PDF
খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন - ৭ম শ্রেণি
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান (PDF) মাধ্যমিক/দাখিল উভয়ের জন্য প্রযোজ্য।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ২য় অধ্যায় সমাধান (PDF) মাধ্যমিক/দাখিল উভয়ের জন্য প্রযোজ্য।
মাধ্যমিক/দাখিল ৭ম শ্রেণিশ্রেণির নতুন বই ২০২৩ (নতুন শিক্ষার্বষ) - স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই এর ২য় অধ্যায় (খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন) সমাধান। ( সম্পূর্ণ সমাধান নিচের PDF File এ দেখুন)
২য় অধ্যায়: খেলাধুলায় গড়ি সুস্থ ও সুন্দর জীবন।
খেলাধুলা করতে কার না ভালো লাগে, তাই না? আমরা সবাই খেলাধুলা করতে পছন্দ করি। তবে আমরা সবাই কি একই খেলা পছন্দ করি? নিশ্চয়ই না। অনেক ধরনের খেলা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। তার মধ্যে কোনোটা সরাসরি আমাদের শরীরের বৃদ্ধি ঘটায়, আবার কোনোটা মানসিক বিকাশের সাথে সম্পর্কিত। ম্পর্কি তবে সব ধরনের খেলাধুলা ও শরীরচর্চা ই শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে।
এই অধ্যায়ে বিভিন্ন মজার মজার কাজের মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের জীবনে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা র প্রয়োজনীয়তা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে জা ম্পর্কে নব। খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করতে গিয়ে আঘাত ও দুর্ঘটর্ঘনা ঘটলে কীভাবে নিজের যত্ন নেব সে সম্পর্কেও ম্পর্কে ধারণা লাভ করব। সবশেষে এসব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজের খেলাধুলা ও শরীরচর্চা র জন্য পরিকল্পনা তৈরি করব এবং তা চর্চা করব।
খেলার অধ্যায় খেলা দিয়েই শুরু হোক
আমরা সবাই মিলে খেলায় অংশগ্রহণ করেছি। খেলায় অংশগ্রহণ করার পরে আমরা শ্রেণিতে আমাদের
অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি।
এবার দলে বসে আমরা ইনডোর এবং আউটডোরে যে খেলাগুলো খেলি এবং খেলতে দেখি তা নিয়ে আলোচনা করি। ইনডোর খেলা হলো যেগুলো আমরা বদ্ধ জায়গায় বা ঘরের ভিতরে খেলি। যেমন লুডু, ক্যারম, দাবা ইত্যাদি। আউটডোর খেলা হলো যেগুলো আমরা ঘরের বাইরে বা খোলা জায়গায় বা মাঠে খেলি। যেমন দৌড়, লাফ, কাবাডি, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি। এসব খেলা থেকে যেগুলো আমি খেলি সেগুলো নিচের ছকে লিখি। এই খেলাগুলো আমার জীবনে কী কী প্রভাব ফেলে তা খজেুঁ বের করি।
আমার খেলা
কিছু প্রচলিত ইনডোর ও আউটডোর খেলা
চলো এবার আমরা আমাদের দেশে কিছু প্রচলিত ইনডোর ও আউটডোর খেলা সম্পর্কে জেনে নিই।
কিছু প্রচলিত আউটডোর খেলা
বউচি
বাংলাদেশের একটি গ্রামীণ ও ঐতিহ্যবাহী খেলা বউচি। এই খেলা বাড়ির উঠানে বা মাঠে খেলা যায়। এই
খেলায় দুটি পক্ষ অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রত্যেক দলে ৫ থেকে ১০ জন করে খেলোয়াড় থাকে।
২০-২৫ ফুট দূরত্বে মাটিতে দাগ কেটে দুটি ঘর তৈরি করতে হয়। দুটি ঘরের মধ্যে বড়টিতে এক পক্ষের বউ বাদে সব খেলোয়াড় থাকে। আর ছোট ঘর বা বউঘর বা বুড়ি ঘরে দাঁড়াবে বউ। কোন দলটি আগে ঘরে থেকে খেলবে টসের মাধ্যমে তা নির্ধারিত হয়। প্রতিপক্ষের সব খেলোয়াড় উক্ত দুটি ঘর বাদ দিয়ে পুরো মাঠের যে কোন যায়গায় অবস্থান করতে পারে।
গোল্লাছুট
বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা স্কুলের মাঠ অথবা খোলা জায়গায় হয়ে থাকে। মাটিতে এক জায়গায় একটি লাঠি পতেুঁ বৃত্ত তৈরি করে ঘুরতে হয় বলে একে ‘গোল্লা’ এবং আঞ্চলিক ভাষায় ছুট হলো দৌড়ানো। এভাবেই খেলার নাম হয়েছে গোল্লাছুট। দুদলেই সমান সংখ্যক খেলোয়াড় থাকে (৫ অথবা ৭ জন)।
দাঁড়িয়াবান্ধা
বাংলাদেশের গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে একটি অতিপরিচিত খেলা।
এ খেলার মাঠটি ৫০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট প্রস্থ হয়। মাঝখানে সমান্তরাল ৫০ ফুট লম্বা ও ১ ফুট চওড়া একটি লাইন থাকবে। ১ ফুট পরপর আড়াআড়ি ৪টি লাইনে সমগ্র কোর্টটি ১০ই কোর্ট ঞ্চি/১০টি খোপে ভাগ করা থাকবে। প্রত্যেক দলে ৫/৬ থেকে শুরু করে ৮/৯ জন পর্যন্ত খেলোয়াড় থাকে। খেলায় একজন রেফারি থাকে।
খেলার সময় :
২৫ মিনিট খেলা, ৫ মিনিট বিশ্রাম, পুনরায় ২৫ মিনিট খেলা এই নিয়মে খেলা চলে।
কিছু প্রচলিত ইনডোর খেলা
দাবা
দাবা চমকপ্রদ এক বুদ্ধির খেলা। দাবা বোর ৬৪টি সমান আকৃতির বর্গক্ষে ত্র নিয়ে গঠিত। খেলায় দুই সেট ঘুটি থাকে। এক সেটে ১৬টি সাদা এবং আরেক সেটে ১৬টি কালো রঙের ঘুটি থাকে। প্রতি সেট ঘুটির মধ্যে ১টি রাজা, ১টি মন্ত্রী,২টি নৌকা,২টি হাতি,২টি ঘোড়া, ৮টি বোড়ে বা পণ বা সৈনিক থাকে।
রাজা সবদিকে এক ঘর যেতে পারে। মন্ত্রী সামনে-পেছনে, ডানে-বামে, কোনাকুনি চলতে পারে। নৌকা
সামনে-পেছনে, ডানে-বামে চলে। গজ বা হাতি কোনাকুনি চলে। ঘোড়া সবদিকে আড়াই ঘর লাফাতে পারে। ঘুটির ওপর দিয়েও যেতে পারে। বোড়ে বা সৈনিক সামনের দিকে এক ঘর যেতে পারে।
ব্যাডমিন্টন
বাংলাদেশে জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে ব্যাডমিন্টন অন্যতম। এই খেলায় দুটি দল থাকে। প্রত্যেক দলে
একজন (একক) বা দুজন (দ্বৈত) করে খেলোয়াড় থাকে। ব্যাডমিন্টন খেলায় দুই ধরনের কোর্ট ব্যকোর্ট বহার করা হয়। প্রত্যেক দলে একজন খেললে সেই কোর্ট দৈর্ঘ্যে ৪৪ ফুট এবং প্রস্থে ১৭ ফুট হয়। প্রত্যেক দলে দুজন করে খেললে সেই কোর্ট দৈর্ঘ্যে ৪৪ ফুট এবং প্রস্থে ২০ ফুট হয়। দুটি খুঁটি দিয়ে পোস্ট তৈরি করা হয় । খুঁটি তে নেট লাগানো থাকে। খেলার জন্য একটি শাটল কক থাকে।
মন ও শরীরের চাপ কমানো ও আরাম অনুভব করার জন্য কিছু ব্যায়াম
অনুরণিত শ্বাস-প্রশ্বাস ( Equal Breathing)
- আরাম করে বসি
- নাক দিয়ে শ্বাস নিই ও ছাড়ি ১, ২ এভাবে ৫, ৬ পর্যন্ত গুনতে গুনতে শ্বাস নিই
- আবার ১, ২ এভাবে ৫, ৬ পর্যন্ত গুনতে গুনতে শ্বাস ছাড়ি
৩ - ৫ বার বা সময় হলে বেশি সময় ধরেও এই শ্বাসের অনুশীলনটি করি। এই ব্যায়ামটিতে শ্বাস নিয়ে
কিছুক্ষণ ধরে রেখে শ্বাস ছেড়েও করা যায়। এতে পর্যা প্ত অক্সিজেন পেয়ে মস্তিষ্ক সতেজ হয়, ফলে আমরা আরামবোধ করি।
খেলাধুলার ইতিবাচক দিক
- খেলাধুলায় শরীরের পেশি শক্ত ও সবল হয়।
- রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- শরীরে শক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে।
- শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়।
- শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর হয়, মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- মানসিক চাপ কমে, মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে। বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে।
- নিয়ম-কানুন মেনে খেলার কারণে শৃংঙ্খলাবোধ জন্মে।
- পারস্পরিক ভাবের আদান-প্রদান হয়। সবার সাথে মিলেমিশে থাকার দক্ষতা তৈরি হয়।
২০ পৃষ্ঠার (ছক) সমাধান, ২৯ পৃষ্ঠার (ছক) সমাধান, ৩৪ পৃষ্ঠার (ছক) সমাধান, ৩৫ পৃষ্ঠার (ছক) সমাধান, ৩৬ পৃষ্ঠার (ছক) সমাধান, ৩৭ পৃষ্ঠার (ছক) সমাধান ( সম্পূর্ণ সমাধান পাবেন নিচের PDF ফাইলে)