সূর্যালোকে রান্না - ৭ম শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন ৪র্থ অধ্যায় সমাধান ২০২৪ - Class 7 Science Chapter 4 Full Solution PDF
সূর্যালোকে রান্না! - ৭ম শ্রেণি বিজ্ঞান অনুশীলন ৪র্থ অধ্যায় সমাধান (PDF) মাধ্যমিক/দাখিল উভয়ের জন্য প্রযোজ্য।
মাধ্যমিক/দাখিল ৭ম শ্রেণির নতুন বই ২০২৪ (নতুন শিক্ষার্বষ) - বিজ্ঞান অনুশীলন ৪র্থ অধ্যায় (সূর্যালোকে রান্না!) সমাধান। ( সম্পূর্ণ সমাধান ছক ও খালিঘর সহ নিচের PDF File এ দেখুন)
চতুর্থ অধ্যায়:- সূর্যালোকে রান্না!
গনগনে রোদে পিচঢালা রাস্তায় খালি পায়ে হেঁটে দেখার চেষ্টা করে দেখেছ কখনো? এই চেষ্টা না করাই ভালো। জানোই তো, রাস্তা কেমন আগুন গরম হয়ে থাকে এই সময়ে! আচ্ছা, রোদ থেকে পাওয়া এই তাপ কাজে লাগানো যায় কিনা ভেবে দেখো তো?
এই শিখন অভিজ্ঞতায় রোদের তাপকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে এমনকি রান্নাবান্নাও সেরে ফেলা যায় সেটাই আমরা দেখবো!
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন
তোমরা কি জানো আমরা কত ভাগ্যবান যে সারা বছর আমরা সূর্যের আলো পাই? কাপড় শুকানো থেকে
শুরু করে দৈনন্দিন হাজারো কাজে আমাদের রোদের আলো আর তাপ ব্যবহার করতে হয়। তারপরেও সত্যি বলতে সূর্যথেকে আসা বিশাল শক্তির ভাণ্ডারের খু ব কমই আমরা ব্যবহার করি। এই শক্তির যথাযথ ব্যবহার করা গেলে আমাদের জ্বালানি চাহিদার সিংহভাগ মেটানো যেত সৌরশক্তির সাহায্যেই।
প্রশ্নটা হল, এই ব্যাপারে তোমাদের করণীয় কী হতে পারে। তোমরা নিজে নিজে তো আর এরকম বড় পরিবর্তন রাতারাতি ঘটিয়ে ফেলতে পারবে না, কিন্তু এই শক্তি কাজে লাগানোর কিছু উপায় কিন্তু তোমরা শ্রেণিকক্ষে বসেই বের করতে পারো। একটা ভালো উদাহরণ হতে পারে সৌরচুল্লী। চলো, এবারের শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সবাই মিলে সূর্যথেকে পাওয়া শক্তি ব্যবহার করে সৌর চুল্লি বানানোর একটা চেষ্টা করে দেখি!
গনগনে রোদে কোন বস্তু বেশিক্ষণ রেখে দিলে কী ঘটে কখনও খেয়াল করে দেখেছ? বস্তুটা ধীরে ধীরে গরম হতে থাকে তাই তো? সব বস্তুই কি একইরকম গরম হয়ে ওঠে? কোন কোন বস্তু রোদে রাখলে বেশি গরম হয় একটু চিন্তা করে নিচে লিখে রাখো-
উত্তর:-
যে বস্তু গুলো রোদে রাখলে বেশি গরম হয় তা নিচে বর্ণনা করা হলো:-
১ । লোহার বস্তু - রেল লাইন, রেল লাইনের চাকা, পেরেক, রড় ইত্যাদি।
২। স্টিলের বস্তু - হাড়ি, কড়াই, চামচ ইত্যাদি।
৩। কাচের বস্তু - আয়না, কাচের গ্লাস, থাই গ্লাস ।
৪। পীতলের বস্তু - পিতলের থালা-বাসন, হাড়ি-পাতিল, গ্লাস ইত্যাদি।
৫। চামড়ার বস্তু - জুতা, বেল্ট, ব্যাগ ইত্যাদি।
- উপরের জিনিসগুলোর মধ্যে কোন মিল খুঁজে পাচ্ছ? বস্তুগুলো কী দিয়ে তৈরি, কোন রঙের ইত্যাদি দিকগুলো খেয়াল করে দেখো।
- আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য একটা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাক, চলো।
- থার্মোমিটার দিয়ে পাঁচটি পৃথ ক বস্তুর (লোহার বস্তু, কাচের বস্তু, পানি, সাদা কাপড় ও রঙিন কাপড়) তাপমাত্রা পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে লিখে রাখো।
উত্তর:-
বস্তুর নাম
- লোহার বস্তু
- কাচের বস্তু
- পানি
- সাদা কাপড়
- রঙিন কাপড়
সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বের তাপমাত্রা
- ২৬°C
- ২৪°C
- ২৭°C
- ২৫°C
- ২৭°C
সূর্যের আলোতে বস্তু রেখে দিলে এদের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় কি না তা দেখার জন্য বস্তুগুলোকে একটু লম্বা সময় ধরে রোদে রেখে দাও। যেহেতু এই ধরনের পর্যবেক্ষণ সময়সাপেক্ষ, চাইলে এই পর্যবেক্ষণটা সেশন শুরুর আগেই বাসায় বসে করতে পারো। অথবা আজকে বিদ্যালয়ে এসে সেশন শুরুর আগেই বস্তুগুলো রোদে রেখে দিতে পারো যাতে সেশন চলাকালীন সময়ে তাপমাত্রার নোট নেয়া যায়।
অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট রোদে রেখে দেওয়ার পর থার্মোমিটার দিয়ে বস্তু পাঁচটির তাপমাত্রা পুনরায় পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে দুইবার নেয়া তাপমাত্রার তথ্যই লিখে রাখো।
উত্তর:- পিডিএফ দেখে নিন।
আগের আর পরের তাপমাত্রায় কোন পার্থক্য কি দেখতে পাচ্ছ? পার্থক্য থেকে থাকলে কারণ কী হতে
পারে? আবার প্রতিটি বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন কি একইরকম ঘটছে? বন্ধুদের সাথে আলাপ করে
তোমার ব্যাখ্যা নিচে লিখে রাখো-
প্রশ্ন: আগের আর পরের তাপমাত্রার কোন পার্থক্য কি দেখতে পাচ্ছ?
উত্তর: হ্যা, আগের আর পরের তাপমাত্রার পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি।
প্রশ্ন: পার্থক্য থেকে থাকলে কারণ কী হতে পারে?
উত্তর: সূর্য থেকে আসা তাপশক্তি শোষণ করে বস্তুগুলো অর্থাৎ লোহা, কাচ, পানি এবং কাপড়ের তাপমাত্রা আগের তাপমাত্রা থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশ্ন: প্রতিটি বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন কি একইরকম ঘটছে?
উত্তর: লোহার বস্তুগুলো তাপ সুপরিবাহী হওয়ায় অধিক পরিমাণ তাপ গ্রহণ করে অন্যান্য বস্তু থেকে বেশি উত্তপ্ত হয় অন্যদিকে কাচ, পানি, এবং কাপড়ের বস্তুগুলোর তাপ পরিবাহিতা কম হওয়ায় কম পরিমাণ তাপ গ্রহণ করতে পারে ফলে তাপমাত্রাও হয় কম। বস্তুর তাপমাত্রা রঙের উপরও নির্ভরীশল। সাদা কাপড়ের তাপ ধারণ বা শোষণ ক্ষমতা কম। রঙিন কাপড়ের তাপ বেশি শোষিত হয় ফলে সাদা কাপড় অপেক্ষা রঙিন কাপড়ের তাপমাত্রা বেশি হয়।
তৃতীয় ও চতুর্থসেশন
- কোন ধরনের বস্তুর তাপ পরিবাহিতা কেমন এ বিষয়ে তোমরা ইতোমধ্যে জেনেছ। আগের সেশনের পর্যবেক্ষণের সাথে এখন মিলিয়ে দেখো, তাপশক্তি কীভাবে এই বস্তুগুলোতে সঞ্চালিত হচ্ছে, এবং বস্তুগুলোর তাপমাত্রার কী পরিবর্তন ঘটাচ্ছে ভেবে দেখো তো!
- এ বিষয়ে আরেকটু ভালোভাবে বুঝতে তোমাদের অনুসন্ধানী পাঠ বইটি তোমাদের সাহায্য করতে পারে।
- এই বইয়ের তাপ ও তাপমাত্রা অধ্যায়টা পড়ে নিলে তোমরা তাপশক্তি কীভাবে বস্তুর মধ্যে সঞ্চালিত হয়, তাপমাত্রা পরিমাপের মাধ্যমে আমরা কীভাবে তা পরিমাপ করতে পারি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবে। অধ্যায়ের এক একটি অংশ আগে নিজে পড়ে নাও। তারপর দলে ভাগ হয়ে দলের সবাই একসঙ্গে বসে যা বুঝলে তা নিয়ে আলোচনা কর। এভাবে পুরো অধ্যায়টাই পড়ে নাও। সৌর চুল্লী বানাতে গেলে এই ধারণাগুলো তোমাদের অনেক কাজে দেবে।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন
উপরের প্রক্রিয়াটি তো দেখলে। এবার তোমাদের নিজেদের সৌরচুল্লী বানানোর পালা। তোমার দলের সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করো কোন কোন উপকরণ তোমাদের এলাকায় সহজলভ্য, বিনা খরচেই যেগুলো জোগাড় করা সম্ভব। এবার তোমরা কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করবে তার তালিকা নিচে লিখে রাখো-
উপকরণের নাম:
১। ফ্লাইবোর্ড/কাঠ বোর্ড।
২। ককসিট।
৩। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার।
৪। পেরেক।
৫। কাচের পাত।
৬। আঠা।
৭। আয়না।
৮। হাতল।
৯। কবজা।
১০। বাইসাইকেল স্পোক।
উপকরণতো নির্বাচন হলো, উপকরণগুলো কীভাবে সংগ্রহ হবে তা ঠিক করার পালা। যেগুলো নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবে সেগুলো নিজেরা করবে। দলের সদস্যরা উপকরণ ভাগ করে নিবে। এক এক জন এক একটা সংগ্রহ করবে।
তোমাদের দলের বানানো সৌরচুল্লীর একটা ছবি নিচের ফাঁকা জায়গায় এঁকে রাখো। আর পাশে কী কী উপকরণ ব্যবহার করলে তার তালিকা টুকে রাখো।
উত্তর:- পিডিএফ দেখে নিন ছবি সহ।
সপ্তম ও অষ্টম সেশন
- এবার তোমাদের বানানো সৌরচুল্লী কেমন কাজ করে দেখা যাক।
- অ্যালুমিনিয়ামের বাটিতে ডিম ভেঙ্গে নিয়ে বাটিটি ভেতরে রেখে স্বচ্ছ ঢাকনা আটকে দাও। তার আগে চুল্লীর ভেতরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য একটি থার্মোমিটার ভেতরে স্থাপন করে রাখো।
- আধা ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে দেখো চুলার মধ্যে তাপমাত্রা ও ডিমে কোনো পরিবর্তন হয় কি না। পর্যবেক্ষণ থেকে নিচের ছক পূরণ কর।
উত্তর:- পিডিএফ দেখে নিন ছবি সহ।
(কয়েক মিনিট পর পর যদি ঢাকনা খুলে ডিমের অবস্থা দেখতে যাও, তাহলে কি রান্নার সময় বেশি
লাগবে নাকি কম? ভেবে দেখো তো?)
- এবার সৌরচুল্লীতে রান্নার পুরো প্রক্রিয়াটা একটু খুঁটিয়ে দেখা যাক। আলোকশক্তি, তাপশক্তি, শব্দশক্তি ইত্যাদি শক্তির বিভিন্ন রূপের কথা তোমরা জানো। এখানে শক্তির কোন কোন রূপ তোমরা দেখতে পাচ্ছ? শক্তির কোন রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তর ঘটছে তা বলতে পারবে? আর সৌরচুল্লীতে রান্নার সময় শক্তির স্থানান্তর কি ঘটছে? ঘটে থাকলে শক্তির কোন রূপের ক্ষেত্রে ঘটছে, কোথা থেকে কোথায় স্থানান্তর হচ্ছে?
- উপরের প্রশ্নগুলো নিয়ে দলে আলোচনা করো। নিচের ছকে লিখে রাখো তোমাদের ভাবনা-
শক্তির কোন কোন রূপ লক্ষ করেছে?
উত্তর:-
- আলোক শক্তি
- তাপশক্তি
- শব্দশক্তি
শক্তি কোথা থেকে কোথায় স্থানান্তরিত হয়েছে?
উত্তর:-
- রাসায়নিক শক্তি থেকে আলোক শক্তিতে স্থানান্তর
- আলোকশক্তি থেকে তাপ শক্তিতে স্থানান্তর
- তাপশক্তি থেকে শব্দ শক্তিতে স্থানান্তর
কোন কোন ক্ষেত্রে শক্তির কোন একটি রূপ থেকে অন্য একটি রূপে রূপান্তর ঘটেছে?
উত্তর:-
- সৌর চুল্লিতে যখন সৌরশক্তি প্রয়োগ করা হয় তখন রাসায়নিক শক্তি আলোক শক্তিতে রূপান্তর হয়।
- সৌর চুল্লিতে বা আয়নায় যখন দীর্ঘক্ষণ ধরে সৌর আলো ফেলবো তখন আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তর হয়।
- সৌর চুল্লিতে তাপ প্রয়োগের ফলে ডিম ভাজা, তেল কিংবা ভাত ফুটার শব্দ পাওয়া যায়। ফলে তাপশক্তি শব্দশক্তিতে রুপান্তর হয়।
সৌরচুল্লী তৈরির উপকরণগুলোর কোনটা কেন ব্যবহার করা হয়েছে বলতে পারো? সৌরচুল্লীকে কার্যকর করতে এই উপকরণগুলো কেন বেছে নেয়া হল? এই বিষয়ে তোমাদের মতামত কী? দলে বসে আলোচনা কর এবং নিচের ছকে লিখে রাখো –
উত্তর:- পিডিএফ দেখে নিন ছবি সহ।
উপকরণের নাম
- ফ্লাইবোর্ড/কাঠ বোর্ড
- ককসিট
- অ্যালুমিনিয়ামফয়েল পেপার
- পেরেক
- কাচের পাত
- আঠা
- আয়না
- হাতল
- কবজা
- বাইসাইকেল স্পোক
উপকরণ নির্বাচনের কারণ
- এটি টেকসই, সহজেই নষ্ট হয় না ফলে অনেক দিন ব্যবহার করা যায়।
- ফ্লাইবোর্ডকে তাপ থেকে মুক্ত রাখে।
- এটির ফলে ভেতরের তাপমাত্রা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
- ফ্লাইবোর্ড গুলোকে একে অপরের সাথে আটকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
- কাচের পাত দেওয়ার কারণে তাপ বাহিরে যেতে পারে না।
- ককসেট এবং অ্যালুমিনিয়াম পেপার লাগানোর জন্য কাজে লাগে।
- সূর্যের আলোর প্রতিফলেন সাহায্য করে।
- সৌরচুল্লী যেকোন জায়গায় বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- সৌরচুল্লীকে সহজেই উঠানো এবং নামানো যায়।
- সৌরচুলী খোলা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য দলের বানানো সৌরচুল্লীর সাথে তোমাদেরটার তুলনা করে দেখো। অন্যদের ছকের তথ্যগুলোও মিলিয়ে নাও। অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুল্লীর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল? কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে? তুলনামূলক আলোচনা করে দেখো, তোমাদের চুল্লীর পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন আনলে কি আরো ভালোভাবে কাজ হতো? তোমাদের মতামত নিচে লিখে রাখো-
প্রশ্নঃ অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুল্লীর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল?
উত্তর: ৮৫°C
প্রশ্নঃ কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে?
উত্তর: মেঘনা দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে কারণ তাদের সৌরচুল্লীতে আলো ঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি। চুল্লীতে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি ছিল। অন্যদিকে যমুনা দলের সবচেয়ে কম লেগেছে তাদের সৌরচুলীটা অনেক কার্যকরী ছিল যার ফলে সবার প্রথমে ডিম সেদ্ধ হয়েছে। কর্ণফুলি দলের চুল্লীটাই কিছুটা সমস্যা ছিল তবে সবকিছুই ঠিক ছিল।
প্রশ্ন: তোমাদের চুল্লীর পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন আনলে কি আলো ভালোভাবে কাজ হতো?
উত্তর: আমাদের চুল্লীর সবকিছুই ঠিক ছিল কিন্তু এর আকার ছিল অনেক ছোট যার কারণে তাপশক্তি কম লাগায় ডিম সেদ্ধ হতে দেরি হয়েছে।
ফিরে দেখা
অভিজ্ঞতার কাজগুলো করতে তোমাদের কেমন লেগেছে?
উত্তরঃ- উত্তর: অভিজ্ঞতামূলক কাজগুলো করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। এর ফলে অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারার মাধ্যমে আমার অভিজ্ঞতা বেড়েছে। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে নতুন কিছু করার চেষ্টা করবো।
সৌর চুলা পরিবেশ রক্ষায় কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
উত্তরঃ- সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্নভাবে ভূমিকা পালন করে। যেমন:-
অ-নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার হ্রাস: চিরাচরিত রান্নার পদ্ধতিগুলি প্রায়শই জীবাশ্ম জ্বালানির মতো অ-নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলির উপর নির্ভর করে, যা বায়ু দূষণে অবদান রাখে। অন্যদিকে সৌর চুলা সূর্যের শক্তির উপর নির্ভর করে যার দরুন পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
বন উজাড় হ্রাস: চিরাচরিত রান্নার পদ্ধতিতে জ্বালানি হিসেবে কাঠের উপর নির্ভর করতে হয়। এটি বন উজাড় হতে পারে, যা জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিতে অবদান রাখে। সৌর চুলায় কোন জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।
উন্নত স্বাস্থ্য: চিরাচরিত রান্নার পদ্ধতি যা পোড়ানো কাঠ বা অন্যান্য জৈব জ্বালানীর উপর নির্ভর করে বায়ু দূষণ তৈরি করে, যা শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সৌর চুলায় তেমন টা হয় না।
সামগ্রিকভাবে, সৌর চুলা চিরাচরিত রান্নার পদ্ধতির একটি টেকসই এবং পরিবেশ বান্ধব বিকল্প অফার করে। অ-নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের উপর নির্ভরতা হ্রাস করে, বন উজাড় এবং বর্জ্য হ্রাস করে এবং উন্নত স্বাস্থ্যের প্রচার করে, সৌর চুলা পরিবেশ রক্ষা করতে এবং আরও টেকসই ভবিষ্যতে অবদান রাখতে সহায়তা করতে পারে।
কোন কাজটি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে? চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবেলা করেছ?
উত্তরঃ- সৌরচুল্লীটা তৈরি করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। দলগত ভাবে আমরা চ্যালেঞ্জটা মোকাবেলা করেছি।