পেশার রুপ বদল- ৬ষ্ঠ শ্রেণি জীবন ও জীবিকা ২য় অধ্যায় সমাধান - Class 6 Jibon O Jibika Chapter 2 all answer 2023
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা যারা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা গাইড খুঁজতেছ, তাদের জন্য দারুন সুখবর । ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বই এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছে শিক্ষাবোর্ড।
ফলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির জীবন ও জীবিকা বই সমাধান এর জন্য অনেকে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে অবহিত করেছে যে, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গাইড বাজারে বের হওয়ার সাথে সাথে যেন আমার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি। তাই সবার কথা/ শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীর জীবন ও জীবিকা বই এর ২য় অধ্যায় সমাধান/গাইড নিয়ে এসেছি।
আশাকরি এই গাইড/সমাধান পেয়ে শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। শিক্ষার্থীরা সামান্যতম উপকৃত হলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে বলে মনে করি। আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি বিষয়ের গাইড ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবো ইনশাল্লাহ। সবাই সাথে থাকবেন।
২য় অধ্যায় গাইড/সমাধান: পেশার রুপ বদল
তোমরা একটু ভাবো, সেলুনগুলো যদি কখনো চুল কাটা বন্ধ রাখে, তখন আমাদের সবার চুলের কী হাল হবে! চুল যারা কেটে দেন তাদের ছাড়া আমরা খুব অসহায় অনুভব করি, তাই না! ঠিক এরকম যদি প্রতিদিনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজে না আসেন সেক্ষেত্রে আমাদের কী অবস্থা হতে পারে, বলোতো!
পেশার ধারণা
সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে পুনরায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সারাদিন আমরা কত ধরনের কাজ করে থাকি, তোমরা তা নিশ্চয়ই জানো। যেমন- শিক্ষার্থীরা বিদ্যলয়ে পড়াশুনা করে, অনেকেই বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করে দিন কাটিয়ে দেয়, কেউ হয়তো মালামাল এবং যাত্রী পরিবহনের জন্য ট্রাক বা বাস চালান,
গ্রামে কৃষক মাঠে ফসল ফলানোর জন্য জমি চাষ করেন, জেলেরা নদীতে মাছ ধরেন, শ্রমিকরা উৎপাদনের জন্য কারখানায় কাজ করেন, শিক্ষকবৃন্দ শ্রেণিকক্ষে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা করেন।
৩১ নং পৃষ্টার ছকের উত্তর
১. কৃষক
২. শিক্ষক
৩. চিকিৎসক
৪. দোকানদার
৫. জেলে
৬. হকার
৭. তাঁতি
৮. নার্স
৯. দরজি
১০. রাজমিস্ত্রী
১১. কাঠমিস্ত্রী
১২. চাকুরিজীবি।
১৩. খেলোয়াড়
১৪. ড্রাইভার
১৪. ব্যাবসায়ী
১৫. ব্যাংকার
১৬. বিনিয়োগকারী
১৭. লেখক
১৮. বিজ্ঞানী
১৯. ইঞ্জিনিয়ার
২০. সফটওয়্যার ডেভেলপার
২১. সেবিকা
২২. পরিচ্ছন্ন কর্মী
দৃশ্যপট - ১
বেশ কিছু দিন আগের কথা। গ্রামের হাটে চম্পার বড় ভাইয়ের একটি ছোট্ট দোকান ছিল। গ্রামের লোকজনের হাতে হাতে তখন মোবাইল ফোন ছিল না। ফোনে কথা বলার জন্য সবাই এই দোকানে লাইন দিত। তারা মোবাইলে এক মিনিট কথা বলার জন্য সাত টাকা করে দিত।
রমরমা ব্যবসায় বেশ ভালোই চলছিল চম্পাদের পরিবার। কিন্তু বছর কয়েকের মধ্যেই সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন চলে এলো। তাতে চম্পার ভাইয়ের দোকানের আয় প্রায় বন্ধ হয়ে গেল।
খুব খারাপ অবস্থায় পড়ল চম্পারা। কোনো রকমে তাদের দিন কাটছিল। পাশের বাড়ির সামাদ এ রকম পরিস্থিতিতে চম্পার ভাইকে ইন্টারনেটের কথা বলল।
সব শুনে দোকানে সে ইন্টারনেটের ব্যবসা শুরু করল। ধীরে ধীরে আবার তার দোকানে লাইন পড়ে গেল। এখন সে অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনও করে। নতুন ব্যবসায় আবার ঘুরে দাঁড়াল চম্পার পরিবার। সুখের দিন ফিরে এলো তাদের ঘরে।