আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তায় ম্যাকিয়াভেলির অবদান | Contribution Of Machiavelli In Modern Political Though
আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তায় ম্যাকিয়াভেলির অবদান
Contribution Of Machiavelli In Modern Political Thought
মধ্যযুগ থেকে ইউরোপের আধুনিক যুগে রূপান্তরের মূলে নবজাগরণ এবং ধর্মসংস্কার আন্দোলনের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফোরেন্সের সন্তান ম্যাকিয়াভেলির চিন্তাধারায় নবজাগরণের অভিব্যক্তি মূর্ত হয়ে উঠেছিল। তিনি গ্রিক এবং মধ্যযুগের রাজনীতির ধারাকে উপেক্ষা করে নতুন ধ্যান ধারণার রাজনীতির গবেষণা শুরু করেন।
সে কারণে তিনি ছিলেন স রাষ্ট্রচিন্তার জনক (Father of the modern political thought)। অভিনব পদ্ধতি এবং বিষয়বস্তু অবতারণার মাধ্যমে পুরাতন মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে তিনি আধুনিক যুগের সূচনা করেন। তাঁর চিন্তাধারায় এমন কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, যা অন্য কোনো রাষ্ট্রচিন্তাবিদদের মধ্যে ছিল না।
অধ্যাপক জানি (Prof, Dunning) যথার্থই বলেছেন, রাষ্ট্রতত্ত্বের ইতিহাসে ম্যাকিয়াভেলির প্রভাবকে কদাচিৎ অতিরঞ্জিত করা যায়। তাঁর দর্শনের পদ্ধতি ও বিষয়বস্তুই শুধু নয় তিনি তাঁর রচনাবলির মধ্যে যে বিস্ময়কর সাহিত্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন তা তাঁর জন্য চিরস্থায়ী আসন দখল করে রেখেছে।
The influence of Machiavelli upon the history of political theories can hardly be a exaggerated. Not only the method and substance of his philosophy but also the marvellous literary art with which it was expressed serve to win for If universal attention. নিম্মে রাষ্ট্রদর্শনে তার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:-
১. রাজনীতিকে ধর্ম ও নৈতিকতা থেকে পৃথকিকরণ:
ম্যাকিয়াভেলি আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক হওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ হলো তিনি রাজনীতিকে ধর্ম ও নৈতিকতা থেকে পৃথক করেন। প্লেটো, এরিস্টটল থেকে শুরু করে সময় মধ্যযুগ ব্যাপ ধর্ম এবং নৈতিকতা ছিল এক এবং অবিচ্ছিন্ন। তিনি রাজনীতিকে ধর্ম থেকে পৃথক করে বলেন, রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বই সবকিছুর ঊর্ধ্বে।
ক্ষমতার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণই ক্ষমতাশালী শাসকের লক্ষ্য। রাষ্ট্রীয় শক্তি অর্জন এবং সংরক্ষণের জন্য শাসক যে কোনো পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।" অধ্যাপক আর. ডি. গেটেল (Prof. R. G. Gettel) যথার্থই বলেছেন, "The chief difference between Machiavelli and the writers who preceded him was in his attitude forward religion and morality.
২. আধুনিক জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা:
জাতীয়তার যে সকল উপাদান একটি রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করে সেগুলো সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ঐতিহ্য, ভাষা ও আইন ব্যবস্থার অভিন্নতা একটি রাষ্ট্র বা জাতির বাক্যের মূলসূত্র।
তাঁর মতে একটি জাতি অন্য জাতির সাথে তার পার্থক্য সম্মন্ধে এত বেশি সজাগ এবং নিজস্ব স্বাধীনতা সম্বন্ধে এত বেশি সচেতন যে, এ দুটি অনুভূতি তাকে অপরাজেয় শক্তিতে পরিণত করে। তিনি মনে করেন যে, একটি অত্যন্তরে যতই বিরোধ থাকুক না কেন, সে জাতি যখন বহিঃশত্রুর দ্বারা আক্রান্ত হয়। তখন তারা সকল অন্তর্দ্বন্দু তুলে নিয়ে দেশ ব্রহ্মার ঝাঁপিয়ে পড়ে।
৩. আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের প্রবক্তা:
ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের প্রথম প্রবক্তা। রাষ্ট্র আর গির্জা বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সক্ষমতা সম্পন্ন নয়। রাষ্ট্র তার ভূখণ্ডের ভেতর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। রাষ্ট্রের এখতিয়ার বহির্ভূত কোনো কিছুই নেই।
তিনি বিশ্বজনীন সাম্রাজ্য, পোপতা ইত্যাদি আন্তর্জাতিক দাবি অগ্রাহ্য করে রাষ্ট্রকে এমন একটি রাজনৈতিক সংঘরূপে গণ্য করেন। যার নিজ জনসংখ্যা, কৃষ, সরকার ও সার্বভৌম কর্তৃত্ব বিদ্যমান।
৪. বাস্বাতববাদী চিন্তাবিদ:
ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে প্রথম বাস্তববাদী চিন্তাবিদ। যা তার আশেপাশে ঘটেছে, যা তার প্রত্যক্ষ গোডরের তা-ই ছিল তার বিষয়বস্তু। তিনি প্লেটোর মতো অমূর্ত ধারণা পোষণ করেননি।সমসাময়িক ঘটনাবলি তার মনের উপর গভীর রেখাপাত করেছিল এবং সেই সকল ঘটনা থেকে কতকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক গোটেল (Prof, Gettell) বলেন, ম্যাকিয়াভেলিং রাজনৈতিক তত্ত্বকে বাস্তবতার সংস্পর্শে আনেন।
৫. মানৰ প্ৰকৃতি সম্পৰ্কে ধারণা:
মানব প্রকৃতি সম্পর্কে তিনি অতি নিখুঁত সত্য কথাটিই ব্যক্ত করেছেন। তিনি তার The Prince গ্রন্থে খোলাখুলিভাবেই মানুষকে অকৃতজ্ঞ, ভীরু, চঞ্চল, শঠ এবং গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর মতে, ভয়, ক্ষমতা, লিস্পা, দক্ষ এবং স্বার্থপরতা মানুষের যাবতীয় আচরণের মূল প্রেরণা। বাধ্য না হলে সে তাল কাজে প্রবৃত্ত হয় না। এসকল খারাপ দিক সত্ত্বেও তিনি মনে করেন যে, মানুষ নিরাপত্তাকামী।
৬. শাসকের চরিত্র সংক্রান্ত:
ম্যাকিয়াভেলির মতে শাসকের চরিত্রে দুটি বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত। যথা-
(ক) তিনি হবেন অসীম শক্তিশালী এবং তিনি হবেন ভীত ও কূটবুদ্ধি সম্পন্ন।
(খ) তার মতে "শাসক হবেন সিংহের মতো বলবান এবং শেয়ালের মতো মূর্ত (A prince should combine the qualities of a fox and lion.)
ম্যাকিয়াভেলি শাসককে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব সুদৃঢ়করণের জন্য নৈতিকতার দ্বৈত মানদণ্ড (Double standard of morality) অবদমনের পরামর্শ দেন। শাসক রাষ্ট্রের শাসনের জন্য যে কোনো কাজ করতে পারবে। এমনকি গণহত্যাও যদি প্রয়োজন হয় এক্ষেত্রে গণহত্যা একটি বিশেষ গুণ বলে বিবেচিত হবে।
এ প্রসঙ্গে পি. জি. দাস (P. G. Das) বলেন, "Machiavelli has affirmed that rulers aim should be to maintain their state to achieve greater Interests."
৭. ক্ষমতার রাজনীতির প্রবক্তা:
আধুনিক যুগে রাজনীতির অত্যন্ত সাধারণ অর্থ ক্ষমতার প্রতিযোগিতা। বর্তমানকালে সাম্রাজ্যবাদী, উপনিবেশবাদ ও পুঁজিবাদ নিজের আধিপত্য ক্ষমতার জাল বিস্তারের উদ্দেশ্য প্রতিপক্ষের সাথে প্রতিযোগিতায় রত। তিনি ক্ষমতা দখল, সাক্ষণ ও সম্প্রসারণের পথ নির্দেশ করেছেন। আধুনিক বিশ্ব এ ক্ষমতার লড়াইয়ে রত।৮. আধুনিক কূটনীতির জনক:
সঠিক লক্ষ অর্জনের জন্য যে কোনো পন্থাই উৎকৃষ্ট। ম্যাকিয়াভেলির এ বক্তব্য। বিভিন্নভাবে সর্বযুগে সমালোচিত হয়েছে। কিন্তু তার এ বক্তব্য বর্তমান বিশ্বের কূটনীতির মূলকথা। তার মতে, কেবল শক্তি প্রয়োগের দ্বারাই সাফল্য আসে না। এর জন্য কূটনৈতিক কলাকৌশল সম্পর্কিত জ্ঞানেরও প্রয়োজন।
সুতরাং তাকে আধুনিক কূটনীতির জনক হিসেবে অভিহিত করা যায়। 4. আইনের শাসনের প্রয়োজনীয়তা ম্যাকিয়াভেলি রাষ্ট্রকে চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে গণ্য করে এর স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য আইনের উপর জোর দেন। তাঁর মতে, রাষ্ট্রের সার্বতৌম ক্ষমতা রক্ষার প্রধান শর্ত হলো আইন।"
তিনি আইন প্রয়োগের স ক্ষমতাও রাষ্ট্রের হাতে অর্পণ করেন। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সেবাইন (Sabine) বলেন, আইন প্রণেতা শুধু রাষ্ট্রের কারিগর নয়, বরং নৈতিক, ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসহ গোটা সমাজেরই কারিগর [The law giver is architect not only of the state but of society as well as the all its moral, religious and economic Institutions.)
৯. দেশপ্রেমিক মনোভাবাপন্ন:
ম্যাকিয়াভেলি মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে তার বন্দুকে লিখেছেন, “নিজের প্রাণের চেয়েও ভালোবাসি মনেশকে।" তিনি বলেন, Putting all other considerations aside the only question, should, be, what course will save the life and liberty to the country.
এই একটি মাত্র মন্তব্য থেকে বোঝা যায়। তিনি ইতালিকে কতখানি ভালোবাসতেন। ইতালির জাতীয় ঐক্য, সমৃদ্ধি এবং জনগণের কল্যাণ ছাড়া তিনি অন্য কিছুকে মনের মধ্যে স্থান দেন নি।
১০. ধর্ম নিরপেক্ষতা:
ম্যাকিয়াভেলির মতে, “একমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রই মানুষের সার্বিক কল্যাণ সাধন করতে পারে। তিনি সর্বপ্রথম ধর্মীয় জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের স্বাতন্ত্র্য ঘোষণা করেছিলেন। তিনি শুধু ধর্মীয় অনুশাসন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনকে মুক্তিই দেন নি। রাষ্ট্রকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন ধর্মের ঊর্ধ্বে। ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তা আধুনিক এই অর্থে যে তাঁর কল্পনায় রাষ্ট্র কোনো দৈব প্রতিষ্ঠান নয়।
১১. রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব:
ম্যাকিয়াভেলি মধ্যযুগীয় রাষ্ট্র সম্পর্কিত পারলৌকিক মতবাদের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “রাষ্ট্র নিজেই সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতীক" তিনি রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন। তাঁর মতে, রাষ্ট্রই জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং এটি অন্য কোনো শক্তির অধীন হতে পারে না।১২. সরকারের শ্রেণীবিভাগ:
সরকারের শ্রেণীবিভাগের ব্যাপারে তিনি এরিস্টটলের নীতিকে অনুসরণ করেন। তিনি মোট ছয় ধরনের সরকারের কথা বর্ণনা করেছেন। তবে ম্যাকিয়াভেলি “ডিসকোর্সেস (The Discourses) এর মধ্যে প্রজাতান্ত্রিক শাসনকে এবং দি প্রিন্সের (The Prince) মধ্যে রাজতান্ত্রিক শাসনকে সমর্থন করেছেন।
ম্যাকিয়াভেলির মতে, যে সমাজে সাধারণভাবে অর্থনৈতিক সাম্য বিরাজ করে, সেখানে প্রজাতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ এবং কাম্য শাসনব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সৃষ্টির আদি পূর্বে রাজতন্ত্র উপযুক্ত হলেও স্থায়িত্বের ব্যাপারে প্রজাতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা।
১৩. জাতীয় সেনাবাহিনী গঠন:
ম্যাকিয়াভেলি ইতালিকে জাতীয় রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজেদের নাগরিকদের মধ্য থেকে বাছাই করে জাতীয় সেনাবাহিনী গঠনের উপর জোর দেন। তিনি ইতালি থেকে তখনকার নিয়ম নীতি অনুযায়ী ভাড়াটিয়া সৈন্যের পরিবর্তে শক্তিশালী জাতীয় সেনাবাহিনী গঠনের পরামর্শ দেন।
১৪. শাসনকাজে জনগণের অংশগ্রহণ:
ম্যাকিয়াভেলির 'দি প্রিন্স' রাজতন্ত্রকে সমর্থন করলেও তিনি বিশ্বাস করতেন যে শাসন কাজে যত বেশি জনগণ অংশগ্রহণ করবে, দেশের জন্য ততবেশি কল্যাণকর ও মঙ্গলজনক হবে। শাসন কাজে জনগণের সক্রিয় ভূমিকাকে তিনি বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেছেন।
১৫. অভিজ্ঞতাবাদী চিন্তাবিদ:
ম্যাকিয়াভেলি অভিজ্ঞতাবাদের সূচনা করেছিলেন। অভিজ্ঞতার নিরিখে প্রতিটি বিষয় যাচাই করে নেয়ার তীব্র বাসনা তার মনে সারাক্ষণ কাজ করত। জগৎ সংসার সম্পর্কে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হলো তার 'দি গ্রিল' (The Prince) এবং ডিসকোর্সেস (The Discourses)
১৬. রাজনীতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি:
ম্যাকিয়াভেলি হলেন প্রথম রাষ্ট্রবিজ্ঞানী যিনি রাজনীতিকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। তার অনুসৃত পদ্ধতিকে আরোহ পদ্ধতি বলা হয়। পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে তার রাষ্ট্রচিন্তা প্রতিষ্ঠিত।
১৭. উপযোগবাদের প্রবক্তা:
ইবেনস্টাইন (Ebenstein) বলেছেন, অভিজ্ঞতাবাদ থেকে এসেছে উপযোগবাদ। সুতরাং তাকে উপযোগবাদের প্রবর্তকও বলা যেতে পারে। অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বিচার করতে হবে কোনো কিছুর উপযোগিতা আছে কিনা।
পরিশেষে বলা যায় ম্যাকিয়াভেলি একজন প্রজাতন্ত্রবাদী, দেশপ্রেমিক, বাস্তববাদী ও ধর্মনি পক্ষ চিন্তাবিদ হিসেবে রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে স্থায়ী আসন লাভ করেছেন। একথা অনস্বীকার্য ষোড়শ শতাব্দীতে ম্যাকিয়াভেলির জন্ম না হলে আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জন্ম হত না, আরও বিলম্বিত হত।
বিজ্ঞানী ও অগ্রসর মতামতের লোক হিসেবে ম্যাকিয়াভেলির সমর্থনে জাড়িয়েছেন বেকন, হেগেল, লিনোজা আর রুশো। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইতালির বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদীর তাকে নিজেদের ভাবাদর্শীয় অনুপ্রেরক বলে ঘোষণা করে। ঐতিহাসিকদের মতে, নতুন শাসকদের যে পরামর্শ দিয়েছিলেন ম্যাকিয়াভেলি তা সচেতনভাবে অনুসরণ করেছিলেন।
অলিভার ক্রমওয়েল এর "The Prince টি ছিল নেপোলিয়ানের হাতের কাছের বই এবং এটি তিনি বারবার পড়েছেন। হিটলার ও স্ট্যালিন The Prince বইটি বালিশের নিচে রেখে ঘুমাতেন। ম্যাকিয়াভেলিকে বলা হয় জুলিয়াস সিজারের পরবর্তী সবচেয়ে স্বনামধন্য ইতালিয়ান। তিনি নিঃসন্দেহে আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার জনক।