আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন ২য় অধ্যায় গাইড - Class 6 Science Practice Guide Chapter 2 PDF
নতুন কারিকুলামের কিছু কথা।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা যারা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান অনুশীলন গাইড খুঁজতেছ, তাদের জন্য দারুন সুখবর। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছে শিক্ষাবোর্ড।
ফলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বই সমাধান এর জন্য অনেকে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে অবহিত করেছে যে, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর গাইড বাজারে বের হওয়ার সাথে সাথে যেন আমার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি। তাই সবার কথা/ শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ২য় অধ্যায় সমাধান/গাইড নিয়ে এসেছি।
আশাকরি এই গাইড/সমাধান পেয়ে শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। শিক্ষার্থীরা সামান্যতম উপকৃত হলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে বলে মনে করি। আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি বিষয়ের গাইড ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবো ইনশাল্লাহ। সবাই সাথে থাকবেন।
৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান গাইড ২য় অধ্যায়
বিজ্ঞান বিষয়টা তোমাদের কাছে নিশ্চয়ই নতুন নয়। বিজ্ঞান কী বা বিজ্ঞান কী নিয়ে কাজ করে এই নিয়েই আমাদের এবারের কাজ! একইসাথে দৈনন্দিন জীবনে নানা কাজে আমরা যেসব প্রযুক্তির সাহায্য নিই, এই কাজ শেষে সেগুলোকেও হয়ত নতুন চোখে দেখতে শিখব!
অধ্যায়ের অনুশীলনমূলক প্রশ্ন ও কাজসমূহের সমাধান
- আগের শিখন অভিজ্ঞতায় তোমরা নিশ্চয়ই বিজ্ঞান কীভাবে কাজ করে তার কিছুটা ধারণা পেয়েছো। বিজ্ঞান যা বলে তার পক্ষে যে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকতে হয় এবং তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোনো তত্ত্ব পরিবর্তিতও হতে পারে তাও তোমরা জেনেছো। এই নতুন শিখন অভিজ্ঞতায় আমরা বিজ্ঞান, বিজ্ঞানী, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া, প্রযুক্তি এসকল বিষয়গুলোকে আরো খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করবো।
- স্কুলের বইয়ে বিজ্ঞান তো আমরা সবাই পড়ি, কিন্তু তোমাদের কখনো জানতে ইচ্ছা হয়েছে যে সত্যিকারের বিজ্ঞানীরা কীভাবে কাজ করেন? আচ্ছা তোমরা কি কখনো সত্যিকারের কোনো বিজ্ঞানীকে নিজের চোখে দেখছো? বিজ্ঞানীরা দেখতে কেমন হয়? নমুনা উত্তর: বিজ্ঞানীরা সাধারণত পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক ঘটনাকে ব্যাখ্যা এবং বর্ণনা করেন। প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সত্যিকারের বিজ্ঞানীরা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের পদ্ধতিটি অনুসরণ করেন। বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের পদ্ধতির মোট ছয়টি ধাপ রয়েছে। ধাপগুলো হলো পর্যবেক্ষণ, প্রশ্ন তৈরিকরণ, সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো, পরীক্ষণ, ফলাফল বিশ্লেষণ এবং ফলাফল প্রকাশ। এ ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করে বিজ্ঞানীরা কাজ করেন।
- আমি সত্যিকারের একজন বিজ্ঞানীকে নিজের চোখে দেখেছি।
- বিজ্ঞানীরা ঝাঁকড়া চুলের অধিকারী ব্যক্তিসম্পন্ন মানুষ হয়ে থাকে। লম্বাকৃতির চুলগুলো এলোমেলো ও বেশ ফোলানো থাকে। প্রখর বুদ্ধিমত্তার উপস্থিতির কারণে তাঁদেরকে দেখতে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মনে হয়।
চল এঁকে ফেলি আমাদের যার যার কল্পনার বিজ্ঞানীকে!
- দেখো তো তোমার পাশের বেঞ্চের বন্ধু কেমন এঁকেছে? ক্লাসের বাকিরাই বা কেমন আঁকল? সবার আঁকা ছবিতে বিজ্ঞানীদের চেহারা বা পোশাক আশাকে কোন কোন বৈশিষ্ট্য সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে? নমুনা উত্তর: আমার পাশের বেঞ্চের বন্ধু খুব সুন্দর বিজ্ঞানীর ছবি এঁকেছে। ক্লাসের অন্য বন্ধুরা মোটামুটি ভালো মানের ছবি আঁকার চেষ্টা করেছে। সবার আঁকা ছবিতে বিজ্ঞানীদের যে বৈশিষ্ট্যটি সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে তা হলো সকলে ঝাঁকড়া চুলের অধিকারী।
- এবার অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে প্রথম অধ্যায়ের প্রথম অংশে বিজ্ঞানের ধারণা, মাদাম কুরির উদাহরণ, আইজ্যাক নিউটন ও হরিপদ কাপালী সম্পর্কে যা লেখা আছে তা পড়ে নাও। তোমার নিজের কল্পনায় বিজ্ঞানীর যেই ছবি আছে তার সাথে এদের কোনো মিল পাচ্ছ? পাশের জনের সাথে আলোচনা করে দেখো তো!
নমুনা উত্তর: আমার নিজের কল্পনায় বিজ্ঞানীর ছবির সাথে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের চেহারার যথেষ্ট মিল পাচ্ছি।