আনন্দধারা - ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ১ম অধ্যায় সমাধান - Class 6 Shilpa O Sangskriti Chapter 1 Solution PDF 2023
মাধ্যমিক/দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি ১ম অধ্যায় ছকসহ সমাধান
৬ষ্ঠ শ্রেণি/Class 6 শিল্প ও সংস্কৃতি ১ম অধ্যায় সমাধান New Curriculum Textbooks Shilpa o Sangskriti Chapter 1 Guide 2023 মাধ্যমিক/দাখিল স্তর উভয়ের জন্য।
১ম অধ্যায়: আনন্দধারা
আমাদের পৃথিবীটা কতই না সুন্দর! চারদিকে ছড়িয়ে আছে অনেক আনন্দ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’। এই আনন্দের মধ্য দিয়ে আমরা শুরু করব প্রকৃতি পাঠ। আমরা যদি আমাদের চারপাশে তাকাই তাহলে দেখব প্রাকৃতিক নানা বিষয়বস্তু ও উপাদান, যেমন- আকাশ, বাতাস, পানি, মাটি, সূর্য, চাঁদ, তারা, নদী, পাহাড়, খাল, বিল, গাছপালা, ফুল, ফল, পশু, পাখি প্রভৃতি।
এই সব প্রাকৃতিক উপাদান ও বিষয়বস্তু আমাদের সৃজনশীল কাজের প্রধান উৎস। প্রকৃতির এই সব উপাদানের মধ্যে অন্যতম একটি হলো গাছ। তোমরা কি জানো গাছের অনুভূতি আছে? এটি আমাদের জানিয়ে ছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু। গাছ আমাদের পরম বন্ধু।
গাছ আমাদের শেখায় কী করে কষ্ট সহ্য করে অন্যকে সাহায্য করতে হয়। গাছ থেকে আমরা শিখি, শিকড়হীন হলে চলবে না। শিকড়ই তাকে বাঁচিয়ে রাখে। তেমনি আমাদের শিকড় হবে দেশীয় সংস্কৃতি। আমরা নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা র মাধ্যমে আমাদের শিকড়কে শক্ত করব। সৃজনশীলতা দিয়ে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরব।
আমাদের চারপাশের প্রকৃতিতে রয়েছে অনেক রকমের গাছ। প্রতিটি গাছের ডালপালা, শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল, ফলের আকার-আকৃতি, গড়ন, রং আলাদা। যেমন, আম গাছের সাথে পার্থক্য রয়েছে কাঁঠাল গাছের তেমন পার্থক্য রয়েছে পলাশের সঙ্গে শিমুলের বটের সাথে অশ্বত্থের।
গাছের ভিতর দিয়ে যখন বাতাস বয়ে যায়, তার স্পর্শে গাছেরা শব্দ করে দুলে উঠে। সে শব্দ আর দুলনিতেও আমরা অনুভব করি ভিন্নতা। এবার আমরা প্রকৃতির অংশ হিসেবে গাছ সম্পর্কে অম্পর্কে ভিজ্ঞতা নিব।
এই অধ্যায়ে আমরা যেভাবে অভিজ্ঞতা পেতে পারি:-
আমরা আমাদের পছন্দ মত একটি গাছ নির্বা চন করব। আমাদের ভালোলাগার গাছটির সকল দিক (ডালপালা, শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল, ফলের আকার, আকৃতি, রঙ) পঞ্চ ইন্দ্রিয় (চোখ, কান, নাক, জ্বিহ্বা, ত্বক) এর সাহায্যে সতর্কতার সঙ্গে দেখে, শুনে, স্পর্শ করে, অথবা স্বাদ, গন্ধ উপলব্ধি করে গাছটি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও গভীর অনুভূতি অর্জন করব।
৩ নং পৃষ্ঠার উত্তর:
এই অধ্যায়ে আমরা যা যা করতে পারি।
আমাদের ভালো লাগার গাছগুলোর একটি তালিকা তৈরি করব।
উত্তর: আমাদের ভালো লাগার গাছগুলোর একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো:-
১। আম গাছ।
২। কাঠাল গাছ।
৩। নারকেল গাছ।
৪। বট গাছ।
৫। কৃষ্ণাচূড়ার গাছ।
৬। শিমুল গাছ।
৭। বেল গাছ।
৮। জাম গাছ।
৯। বড়ই গাছ ও
১০। লিচু গাছ ইত্যাদি।
গাছটি নিয়ে আমাদের ভাবনা নানা ভাবে প্রকাশ করতে পারি। আমরা গাছ এঁকে অথবা পাতা এঁকে তাতে মনের মতো রং করতে পারি। বিভিন্ন রঙের কাগজ কেটে আঠা দিয়ে কাগজে লাগিয়ে পছন্দমতো গাছের কোলাজচিত্র তৈরি করতে পারি। গাছের পাতায় রং লাগিয়ে তার ছাপ নিয়ে আমাদের মনের মতো নকশা তৈরি করতে পারি।
উত্তর: আমার ভালো লাগার গাছ হিসেবে আমি বট গাছকে নির্বাচন করেছি। এই গাছটি নিয়ে আমাদের ভাবনা নানান ভাবে প্রকাশ করতে পারি। যেমন:-
ক) গাছ/পাতা এঁকে তাতে মনের মতো রং করে।
খ) বিভিন্ন রঙের কাগজ কেটে আঠা দিয়ে কাগজ লাগিয়ে পছন্দমতো নকশা তৈরি করতে পারি।
নিচে কয়েকটি ভাবনা উল্লেখ করা হলো-
ক) গাছটি এঁকে বা পাতা এঁকে রং করে নিচের চিত্রটি আঁকা হলো-
খ) এই কাজের জন্য বিভিন্ন রংয়ের কাগজ প্রয়োজন পড়বে যেমন- সবুজ, খয়েরি, হলুদ ইত্যাদি। তার সাথে প্রয়োজন হবে সাদা আর্ট পেপার, কাঁচি এবং আঠা।
গ) গাছের পাতায় রং(লাল, নীল, সবুজ ইত্যাদি) লাগিয়ে সাদা আর্ট পেপারে ছাপ দিয়ে মনের মতো নকশা তৈরি করে নিচে দেওয়া হলো-
গাছের পাতা, ফুল, শিকড়, ডালপালা, মাটি, বালিসহ নানা রকমের প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে মিলিয়ে মনের মতো বিভিন্ন আকৃতি দিতে পারি।
উত্তর: প্রয়োজনীয় উপকরণ: পানি, চামচ, গ্লাভস, মাটি, ডালপালা, শিকড়।
ধাপ-১: একটি পাত্রে পানি দিয়ে তাতে প্রয়োজন মতো মাটি, ডালপালা, শিকড়, পানি মিশ্রিত করে মন্ড তৈরি করি।
ধাপ-২: চামচ বা হাতের মাধ্যমে পছন্দ মতো আকৃতি প্রদান করি এবং রোদে শুকাতে দেই।
ধাপ-৩: পাতা, রং, ডাল, ফুল ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে নেই।
মাটি ও পানি দিয়ে তৈরি গাছ।
মাটি ও পানি দিয়ে তৈরি পাখি।
আমাদের মধ্য থেকে কেউ গাছ নিয়ে তার পছন্দের গানটি গেয়ে শুনাতে পারি। আবার গাছের দুলুনিটি মজা করে নেচে অথবা অভিনয় করে দেখাতে পারি। কেউ নিজের ইচ্ছেমতো লিখতে পারি। কেউবা কোন পছন্দের ছড়া বা কবিতা বলে গাছ সম্পর্কে নিজেদের অনুভূতিকে প্রকাশ করতে পারি।
উত্তর: আম গাছ নিয়ে আমাদের সবার প্রিয় ছড়া গান-
আম পাতা জোড়া জোড়া,
মারবো চাবুক চড়বো ঘোড়া
ওরে বুবু সরে দাঁড়া
আসছে আমার পাগলা ঘোড়া
পাগলা ঘোড়া ক্ষেপেছে,
চাবুক ছুঁড়ে মেরেছে
এই ছড়া গানটির সাথে গাছের দুলুনির মতো করে আমরা নেচে অথবা অভিনয় করতে পারি নির্দিষ্ট ছন্দে ছন্দে।
এবার নিজেদের পছন্দ মতো রং-বেরঙের কাগজ দিয়ে, নকশা করে মলাট বানিয়ে আমরা একটি খাতা তৈরি করব। এই খাতায় আমরা আঁকব, লিখব। প্রয়োজন অনুসারে পত্রিকার অংশ, পাতা, ফুল ইত্যাদি যা যা আমাদের পছন্দের-তা আঠা দিয়ে লাগিয়ে সংরক্ষণ করে রাখব। বিভিন্ন সময়ে অংশগ্রহণ করা নাচ, গান, সম্পর্কে লিখে রাখব। যা হবে আমাদের সবসময়ের বন্ধু। আমাদের এই খাতার নাম হবে ‘বন্ধুখাতা’
উত্তর: বন্ধুখাতা তৈরি: বন্ধুখাতা হলো রঙ্গিন কাগজ ও নকশাযুক্ত মলাটের তৈরি একটি খাতা যা শিক্ষার্থী নিজ হাতে তৈরি করেছে এবং নিজের পছন্দমতো বিন্যাস করতে পারবে।
এর প্রতি পৃষ্ঠায় এঁকে, লিখে, পত্র-পত্রিকার বিভিন্ন অংশ কেটে লােিগয়, কাপড়, সুতা, স্টিকার ইত্যাদি যা পছন্দ তা লাগিয়ে সংযোজন করা যায়। প্রয়োজনে সারা বছরের নাচ-গানের চর্চা থেকে যা শিখব তা লিখে রাখব।
উপকরণ: রঙ্গিন আর্ট পেপার, সুঁই-সুতা, মার্কার কলম, স্টেপলার, রঙ্গিন কলম, নকশা করা কাগজ, আঠা।
ধাপ-১: রঙ্গিন পেপার নেই। এক বা একাধিক রংয়ের নেওয়া যেতে পারে। সাধারণত A4 সাইজের কাগজ নেওয়া হয় তবে যেকোনো কাগজ নিয়েই তা বানানো যেতে পারে।
ধাপ-২: একত্রিত কাগজগুলো নিয়ে তা আঠা দিয়ে লাগিয়ে স্টেপলার বা সুঁই-সুতা দিয়ে শক্ত করে এঁটে দেই।
ধাপ-৩: কাগজগুলোর বাইরে শক্ত নকশা করা কাগজ দিয়ে মলাট তৈরি করি।
ধাপ-৪: মলাটের উপরে সাজানোর উপকরণ, স্টিকার, শুকনো ফুল-পাতা ইত্যাদি দিয়ে ডিজাইন করি।
ধাপ-৫: মার্কার দিয়ে বড় করে লিখি ‘বন্ধখাতা'। লেখাটিকে সুন্দর করার জন্য নকশা করি।
‘আনন্দধারা’ বিষয়টিতে নিজের অনুভূতি শিল্পকলার যে কোনো একটি শাখায় প্রকাশের পর, আমরা শিক্ষকসহ সহপাঠীদের অনুভূতি ও মতামত জানতে পারি। অন্য সহপাঠীদের পরিবেশনের বিষয়ে সুন্দরভাবে নিজের অনুভূতি ও মতামত জানাতে পারি।
৪ নং ও ৫ নং পৃষ্ঠার উত্তর:
এই অধ্যায়ে আমি যা যা করেছি তা লিখি এবং আমার অনুভূতি বর্ণনবর্ণা করি।
উত্তর: এই অধ্যায়ে আমি যা যা করেছি-
১। পছন্দের গাছগুলোর তালিকা তৈরি করেছি।
২। গাছ নিয়ে আমার অনুভুতি প্রকাশ করেছি।
৩। একটি বট গাছ অঁকন করেছি
৪। পছন্দের বট গাছের পাতায় বিভিন্ন রং লাগিয়ে নকশা তৈরি করেছি।
৫। পছন্দের কবিতা পাঠ করে শুনিয়েছি।
৬। বন্ধুখাতা তৈরি করেছি।
আমার অনুভূতি: আমার পছন্দের বিষয়গুলো নির্ধারন করে তার ছবি অংকন করেছি এবং সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করেছি। তাদের সাথে আমার পছন্দের বিষয়গুলোর মিল-অমিল পেয়েছে। বন্ধুখাত তৈরি করেছি যার মধ্যে পছন্দের বিভিন্ন জিনিসের ছবি অংকন করেছি ও পছন্দের কবিতা, গান লিখেছি। এর ফলে আমি অনেক আনন্দ পেয়েছি।
৬ নং পৃষ্ঠার উত্তর:
মূল্যায়ন ছক
আনন্দধারা
শিক্ষার্থীর নাম: মুবাস্সির রহমান।
রোল নম্বর: 0002
তারিখ: 22-02-2023
শিক্ষক পূরণ করবেন: টিজিতে নির্দেশিত কাজ শেষ করে তার আলোকে প্রযোজ্য বিবৃতিতে টিক দিন
সম্পূর্ণ অধ্যায়ের উত্তর পিডিএফ সহ নিচে দেখে নিন।