Class Six History and Social Science Summative Assessment Solution/Answer - ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/উত্তর ২০২৩
প্রিয় শিক্ষার্থীরা বন্ধুরা তোমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছো যে, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ষান্মাসিক/সামষ্টিক মূল্যায়ন এর এ্যাসাইনমেন্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতাই আজ আমি তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ষান্মাষিক/সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধানটির নমুনা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট তোমাদের যে কাজ গুলো রয়েছে তার সব গুলো কাজের উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমি এখন সেই কাজ গুলোর সমাধান নিচে বিশদভাবে বর্ণনা করবো ইনশাআল্লাহ।
তোমাদের যে সব কাজ গুলোর সমাধান করতে হবে তার প্রশ্ন সিলেবাসে রয়েছে।
প্রস্তুতিমূলক সেশন - ২
কাজ-১: কর্মপরিকল্পনা তৈরি
অনুসন্ধানের জন্য প্রশ্নঃ মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্নধরনের প্রশ্ন করা।
তথ্য পর্যালোচনা: প্রশ্ন থেকে পাওয়া তথ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা।
অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহ: সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা
তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ: তথ্যগুলোকে দলগতাভাবে যাচাই করব।
ফলাফল তৈরি ও উপস্থাপন: তথ্যগুলোকে দলগতাভাবে যাচাই করার পর প্রকৃত ফলাফল তৈরি করব এবং প্রাপ্ত ফলাফলকে ছক বা উপাত্ত আকারে উপস্থাপন করব।
ফলাফল সংরক্ষণ: প্রাপ্ত ফলাফলকে লাইব্রেরিতে সংরক্ষণ করে রাখব।
কাজ-২: দলীয় আলোচনার মাধ্যমে প্রশ্নমালা তৈরি:
১। মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি কোথায় ছিলেন?
২। আপনি কত নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন?
৩। তখন আপনার বয়স কত ছিল?
৪। পাকিস্তানিরা কী ধরনের অত্যাচার নিপীড়ন করেছিল?
৪। এলাকার নারীরা কী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো?
৫। কার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল?
৬ । মুক্তিযুদ্ধারা কি গেরিলা যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন করেছিল?
৭। কত তারিখে পাকিস্তানিরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়?
৭। কত তারিখে পাকিস্তানিরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়?
৮। মুক্তিযুদ্ধাদের সাধারণ মানুষ কিভাবে সাহায্য করত?
৯। মুক্তিযুদ্ধে আপনার কোন বীরত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল?
১০। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় সম্পর্কে আপনার অনুভূতি ব্যাখা করুন।
মূল্যায়নের দিনের কার্যক্রম:
কাজ-১: একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ছকের পোস্টার তৈরি
মো: রফিকুল ইসলাম এর পরিচয়
এখানে আপনাদের জন্য ২ ধরনের পোস্টার দেওয়া হলো:-
মো: রফিকুল ইসলাম এর পরিচয়
- নাম: মো: রফিকুল ইসলাম
- জন্ম তারিখ: ০৬-০৫-১৯৫০
- জাতীয়তা: বাংলাদেশী
- বর্তমান ঠিকানা: থলিয়ারা, নাটাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
- পেশা: রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার
- প্ৰাপ্ত উপাধি: বীর প্রতিক
- মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর: ৩নং
- অংশগ্রহণ: আশুগঞ্জ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং আশপাশের এলাকা।
- পদক্ষেপ: গেরিলা যুদ্ধ সংগঠিত করা।
কাজ-২: কর্মপরিকল্পনার পোস্টার তৈরি:
অনুসন্ধানের জন্য প্রশ্নঃ মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্নধরনের প্রশ্ন করা।
তথ্য পর্যালোচনা: প্রশ্ন থেকে পাওয়া তথ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা।
অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহ: সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা।
তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ: তথ্যগুলোকে দলগতাভাবে যাচাই করব।
ফলাফল তৈরি ও উপস্থাপন: তথ্যগুলোকে দলগতাভাবে যাচাই করার পর প্রকৃত ফলাফল তৈরি করব এবং প্রাপ্ত ফলাফলকে ছক বা উপাত্ত আকারে উপস্থাপন করব।
ফলাফল সংরক্ষণ: প্রাপ্ত ফলাফলকে লাইব্রেরিতে সংরক্ষণ করে রাখব ।
কাজ-৩: প্রশ্নপত্রের পোস্টার তৈরি করা।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি কোথায় ছিলেন?
- আপনি কত নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন?
- তখন আপনার বয়স কত ছিল?
- পাকিস্তানিরা কী ধরনের অত্যাচার নিপীড়ন করেছিল?
- এলাকার নারীরা কী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো?
- কার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল?
- মুক্তিযুদ্ধারা কি গেরিলা যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন করেছিল?
- কত তারিখে পাকিস্তানিরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়?
- মুক্তিযুদ্ধাদের সাধারণ মানুষ কিভাবে সাহায্য করত ?
- মুক্তিযুদ্ধে আপনার কোন বীরত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল?
- মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় সম্পর্কে আপনার অনুভূতি ব্যাখা করুন।
কাজ-৪: “সেই মুক্তিযোদ্ধার প্রভাবে দেশের কীভাবে কল্যাণ হল” নামক একটি অনুচ্ছেদ লিখন।
সেই মুক্তিযোদ্ধার প্রভাবে দেশের কীভাবে কল্যাণ হল
মো: রফিকুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। অল্প বয়স থেকেই আবদুর রহমান দেশপ্রেমের অটুট চেতনা এবং ন্যায়বিচারের গভীর বোধের অধিকারী ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি শাসনের অধীনে তার দেশবাসীদের দ্বারা যে নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছিল তা তিনি সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছিলেন, যা তার জাতির স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির জন্য লড়াই করার জন্য তার সংকল্পকে উস্কে দিয়েছিল।
মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন সময় তিনি বিভিন্ন অপারেশনে সফলভাবে অংশগ্রহন করে বীরত্বের পরিচয় দেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম পাকবাহিনীদের নির্মম অত্যাচার থেকে রক্ষা করেন।
রফিকুল ইসলাম দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গোপন অভিযান চালানোর জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূগর্ভস্থ প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধের কৌশলে দক্ষ হয়ে ওঠেন এবং নাশকতা ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও আবদুর রহমানের সংগ্রাম শেষ হয়নি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন ও উন্নত করার মধ্যেই প্রকৃত যুদ্ধ নিহিত। অদম্য চেতনার সাথে, তিনি জাতির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।
রফিকুল ইসলমা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মনোযোগ দেন। দেশের অগ্রগতির জন্য সুবিধাবঞ্চিতদের ক্ষমতায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বীকার করে তিনি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন। তার নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে, তিনি বিদ্যালয়, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলি প্রতিষ্ঠা করেন, নিশ্চিত করেন সকলের মৌলিক অধিকার।
তাছাড়া রফিকুল ইসলাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতার পক্ষে ছিলেন। তার সংগ্রাম| এবং অটুট নিবেদন বাংলাদেশের কল্যাণে গভীর প্রভাব ফেলেছে। আজ তিনি স্বাধীনতা এবং অগ্রগতির চেতনার মূর্ত প্রতীক হিসাবে সম্মানিত, এবং তার গল্প নতুন প্রজন্মকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম করতে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২৩, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২৩, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২৩, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২৩