৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান ২০২৩ - Class 6 Islam Shikka Summative Assignment Solution 2023

Mofizur Rahman
0

ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/সমাধান ২০২৩ - Class Six Religion Semester Summative Assessment Guideline Answer Solution 2023

৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সমাধান ২০২৩ - Class 6 Islam Shikka Summative Assignment Solution 2023

প্রিয় শিক্ষার্থীরা বন্ধুরা তোমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছো যে, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ষান্মাসিক/সামষ্টিক মূল্যায়ন এর এ্যাসাইনমেন্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়ে  গেছে। তারই ধারাবাহিকতাই আজ আমি তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ষান্মাষিক/সামষ্টিক মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট এর  সমাধানটির নমুনা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।


ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট তোমাদের যে কাজ গুলো রয়েছে তার সব গুলো কাজের উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমি এখন সেই কাজ গুলোর সমাধান নিচে বিশদভাবে বর্ণনা করবো ইনশাআল্লাহ।


প্রস্তুতিমূলক সেশন-১


কাজ-১: প্রতিবেদন উপস্থাপন (একক কাজ)

  1. (ক) তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসের ফলে আমার চিন্তা ও কাজে যেসব পরিবর্তন এসেছে।
  2. (খ) মানবজীবনে তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসের উপকারিতা।
  3. (গ) তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসের শিক্ষাকে আমি যেভাবে আমার জীবনে কাজে লাগাতে চাই ।

(ক) তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসের ফলে আমার চিন্তা ও কাজে যেসব পরিবর্তন এসেছে

তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের বিশ্বাসের ফলে চিন্তা ও কাজে পরিবর্তন

রায়হান, ১৩-০৬-২০২৩ইং।

তাওহিদ একটি আরবি শব্দ। তার আভিধানিক অর্থ হলো একত্ববাদ। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়, তার কোনো শরিক নেই-এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ। তাওহিদে বিশ্বাসের ফলে আমার চিন্তা, ধারণায় যেসব পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তাওহিদে বিশ্বাসের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাওহিদে বিশ্বাসীরা আত্মসম্মান ও আত্মর্যাদা বেড়ে যায়। তাওহিদে বিশ্বাসীদের আচরণ ও চরিত্র সুন্দর হয় অন্যদিকে রিসালাতে বিশ্বাস করলে যা যা পরিবর্তন আসবে। তারমধ্যে মানুষের ব্যক্তিত্ব, পারিবারিক, www www সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাওযা যায়। রিসালাতে নবী-রাসুলের জীবন ও সুন্দর নির্দেশনা পাওয়া যায়। অন্যদিকে আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করলে মানুষের দুনিয়ার জীবনের সকল কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। উপরিউক্ত বিষয়গুলো আমার জীবনের চিন্তা ধারণা পরিবর্তন এনে দিয়েছেন। উপরের আলোচনায় যা যা বলা হয়েছে তার সবগুলো আমার চিন্তা ও কাজে পরিবর্তন এনেছে।


(খ) মানবজীবনে তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসের উপকারিতা

মানবজীবনে তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসের উপকারিতা

সাজিদ, ১৪-০৬-২০২৩ইং।

একজন মানুষের মুসলিম থাকার মূল নিয়ামক হলো তাওহিদে বিশ্বাস। একজন মানুষকে মুসলিম হতে হলে সর্বপ্রথম তাওহিদে বিশ্বাসী হতে হয়। মুসলমানের জন্য তাওহিদে বিশ্বাস স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ। এ বিশ্বাস হৃদয়ে লালন করলে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে পারে। অন্যদিকে রিসালাতে বিশ্বাস স্থাপন তাওহিদে বিশ্বাস স্থাপনের পরই। রিসালাত তথা নবি-রাসুলের প্রতি বিশ্বাস না করলে কেউ মুমিন হতে পারে না। নবি রাসুলগণকে বিশ্বাস না করলে আল্লাহ তায়ালাও তাঁর বাণীকে অস্বীকার করা হয় আখিরাত দিবসের প্রতি অবিশ্বাস করলে সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়বে। তাই বলা যায় যে, মানবজীবনে তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাস করলে পরকালে জান্নাত লাভ করা যাবে।আখিরাতেও বিশ্বাস করা ইমানের অন্যতম একটি মৌলিক বিষয়। আখিরাতে বিশ্বাস ছাড়া মুমিন হওয়া যায় না।


(গ) তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসের শিক্ষাকে আমি যেভাবে আমার জীবনে কাজে লাগাতে চাই।

তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসের শিক্ষাকে জীবনে কাজে লাগানো

হাসান, ১৪-০৬-২০২৩ইং।

তাওহিদ একটি আরবি শব্দ। তার আভিধানিক অর্থ হলো একত্ববাদ। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়, তার কোনো শরিক নেই-এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করার নাম তাওহিদ। তাওহিদে বিশ্বাসের ফলে আমার চিন্তা, ধারণায় যেসব পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো www আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তাওহিদে বিশ্বাসের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাওহিদে বিশ্বাসীরা আত্মসম্মান ও আত্মর্যাদা বেড়ে যায়। তাওহিদে বিশ্বাসীদের আচরণ ও চরিত্র সুন্দর www হয় অন্যদিকে রিসালাতে বিশ্বাস করলে যা যা পরিবর্তন আসবে। তারমধ্যে মানুষের ব্যক্তিত্ব, পারিবারিক www www সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাওযা যায়। রিসালাতে নবী-রাসুলের জীবন ও সুন্দর নির্দেশনা পাওয়া যায়। অন্যদিকে আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করলে মানুষের দুনিয়ার জীবনের সকল কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মানবজীবনে তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাস করলে পরকালে জান্নাত লাভ করা যাবে। এসব বিষয়গুলো কাজে লাগিয়ে আমরা নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন ঘটিয়ে সুন্দর ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠতে পারব। আর মানব জীবনে কল্যাণ বয়ে আনতে পারব।


প্রস্তুতিমূলক সেশন-২


কাজ-১: সালাতের শিক্ষা নিজ জীবনে কাজে লাগিয়ে কীভাবে নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন ঘটানো যায় তার উপর জোড়ায় প্রেজেন্টেশন। (জোড়ায় কাজ)

রায়হান: সালাত আদায় করলে মানুষের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সময়ানুবর্তীতা, শৃঙ্খলা, একাগ্রতা, সাম্য ইত্যাদি সম্পর্কিত উন্নত জীবন গঠিত হয়।

ইয়ামিন: তুমি ঠিক বলেছ। সালাত আদায়ের ফলে মানুষ এইসব দিক দিয়ে উন্নতি লাভ করে ।

রায়হান: সালাত আদায়কারীকে অবশ্যই পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। সালাত আদায়ের আগে আমাদেরকে ওযু করতে হয় যা আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। এভাবে সালাতের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার শিক্ষা পায় ৷

ইয়ামিন: হ্যাঁ, অবশ্যই। নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট সময়ে ওযু করার মাধ্যমে ব্যক্তি বিভিন্ন রোগ-জীবাণু থেকে মুক্ত থাকতে পারে।

রায়হান: সালাত আদায়ের নির্ধারিত সময় রয়েছে। একজন মুমিন ব্যক্তি প্রতিদিন পাঁচবার নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করেন। এভাবে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার দৈনিন্দিন জীবনে অন্যান্য কাজেও সময়নিষ্ঠ হওয়ার শিক্ষা পায় ।

ইয়ামিন: তুমি ঠিকই বলেছ। নিয়মিত সালাত আদায়ের মাধ্যমে আমরা সময়ানুবর্তিতার শিক্ষা পায়।

রায়হান: একজন ব্যক্তি সালাত একা আদায় করুক বা জামাআতে আদায় করুক, তাকে কিবলামুখী হতে হয়। জামাআতে সালাত আদায় করলে ইমামের পেছনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হয়। এভাবে একজন ব্যক্তির মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ জেগে ওঠে ।

ইয়ামিন: আমি মনে করি, শৃঙ্খলা বোধ গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করে সালাত। তাছাড়া একাগ্রতার শিক্ষা লাভ করা যায় সালাত আদায়ের মাধ্যমে কারণ সালাত আদায়ের সময় মন স্থির রাখতে হয়।

রায়হান: নিয়মিত সালাত আদায়ের ফলে লোভ নামক ভয়াবহ ব্যাধী থেকে দূরে থাকা যায়। যেটি মানুষকে ধ্বংসের মুখে পতিত করে।

ইয়ামিন: অবশ্যয়। লোভ একটি খারাপ কাজ। সালাত আদায়ের ফলে একজন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত ও সমাজজীবনে সাম্যের চর্চার অনুপ্রেরাণা লাভ করেন। এ সময় ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড় কোনো ভোদাভেদ থাকে না। এর ফলে ভ্রাতৃত্ব ও সম্যের মতো চারিত্রিক গুণাবলিগুলো অর্জিত হয়।


ইসলাম শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টে তোমাদের শুধুমাত্র উপরে দেওয়া কাজগুলোই রয়েছে। এই কাজ গুলোর উপর ভিত্তি করে তোমাদেরকে শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন কিছু করতে বলবে। সুতারাং তোমরা শুধু উপরের দেওয়া কাজগুলো ভালো করে দেখে নিবে বা বুঝে নিবে। তাহলেই তোমাদের  কে ক্লাসে যেমন কাজই দেওয়া হোক না কেনো তোমরা খুব সহজেই করতে পারবে। তোমাদের জন্য শুভ কামনা রইল। সবাইকে ধন্যবাদ।


শিক্ষা ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন, শিক্ষা ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন, শিক্ষা ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন, শিক্ষা ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন, শিক্ষা ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন 

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Ok, Go it!