Deed whose land belongs to it, Detailed Explanation of Policy and Documents of Land Act Pass 2023 - ভূমি আইন পাস ২০২৩ এর নীতিমালা ও দলিলের বিস্তারিত ব্যাখ্যা
দলিল যার ভুমি তার (ভূমি আইন পাস ২০২৩) আদেশক্রমে ভূমি মন্ত্রণালয়।
ভূমি মন্ত্রণালয় কতৃক ভূমি আইন পাস ১০ই জানুয়ারি ২০২৩ সাল থেকে কার্যকর হয়েছে।
এখন থেকে আর কেউ জোর-জবর দস্তি করে অন্যের সম্পদ গ্রাস করতে পারবে না। ভুমি আইন ২০২৩ এর যে সব নতুন নিয়ম ভূমি মন্ত্রণালয় কতৃক প্রকাশ করেছে তা জানলে আপনি ও অবাক হবেন। যারা নিজেদের বাপ-দাদার বা ক্রয়কৃত জমি অন্য কারো দখলে চলে যাওয়ার কারণে ফিরে পাচ্ছেন না এই তাহলে আজই জেনে নিন কিভাবে আপনি আপনার জমি ফিরে পাবেন। বিস্তারিত নিচে দেখুন।
দলিল যার ভুমি তার, নতুন আইনে যে বিষয়গুলো নজর দেওয়া হবে, নিম্নে তা তুলে ধরা হলো:-
১) কাহারো ৬০ বিঘার উপরে কৃষি জমি থাকতে পারবেনা।
২) এক নামে ২৫ বিঘা জমি থাকলে তার খাজনা মাফ ।
৩) আসল দলিল যার, ভূমি তার।
৪) ভুয়া বেনামি ও জাল দলিল বাদ ও সেই দলিলের দাবিদার এর জেল হবে।
৫) ভূমি জবর দখল দন্ডনিয় অপরাধ ।
৬) মুল মালিককে জমিন দেওয়া হবে।
৭) আন রেজিষ্টার্ড দলিল বাদ।
৮) কারো থেকে অতিরিক্ত জমিন লিখে নেওয়া দলিবাদ ও দন্ডনিয় অপরাধ ।
৯) অন্যের নামে ভুয়া জাল দলিল বাদ। এমনকি ১০০ বৎসর ভূমি জবরদখল রাখলেও সেই সেই জমিনের দখল ছাড়তে হবে।
১০) খাস জমিন ভুয়া দলিল করে দখলে রাখলে ওই ভূমির সেই দলিল বাদ ও দখল ছাড়তে হবে।
১১) নিজের ভাই-বোন, মা-বাবা ও কাউকে পাগল বা প্রতিবন্ধী বলে ভুল বুঝিয়ে দলিল করে নেওয়া, ওই সকল নামে জাল দলিল বানিয়ে ভূমি আত্মসাত করা দলিল বাদ হয়ে যাবে।
১২) ) উত্তরাধিকারিকে বঞ্চিত করে ভুয়া দলিল তৈরি করলে বা দখল না দিয়ে বা বঞ্চিত করলে সেই দলিল বাদ।
১৩) ভূমি ক্রয়কারী ও বিক্রয়কারি দলিল সঠিকতর থাকতে হবে। এক কথায় আসল দলিল যার ভূমি তার।
ভূমি আইন পাস ২০২৩ এর নীতিমালা ও দলিলের বিস্তারিত ব্যাখ্যা
- বণ্টনমানা দলিল - Allotment Deed
শরিকগণ মধ্যে সম্পত্তি ক্রমে নিজ নিজ ছাহাম প্রাপ্ত হয়ে উক্ত ছাহামের বাবদ যে দলিল করতে হয় তাকে বণ্টননামা দলিল বলে। একই সম্পত্তিতে মালিক একই বংশের লোককে সাধারণত শরিক বলা হয়। শরিক দুই প্রকারের, যথা- উত্তরাধিকার সূত্রে শরিক ও কোন শরিক হতে খরিদ সূত্রে শরিক। ইংরেজিতে বলা হয় কো-শেয়ারার বাই ইনহেরিটেন্স এন্ড কো-শেয়ারার বাই পারচেজ । বণ্টননামা দলিল করবার সময় সকল শরিকগণ দলিলে পক্ষভুক্ত থেকে ও দস্তখত করে বণ্টননামা দলিল করতে হবে। কোন একজন শরিক বাদ থাকলে বণ্টননামা শুদ্ধ হবেনা। বণ্টননামা দলিল রেজিষ্টারী করতে হবে কিন্তু ঘরোয়াভাবে বণ্টন করে সকল পক্ষগণ যদি বণ্টননামা দলিলে দস্তখত করে থাকেন তা হলেও বণ্টননামা কার্যকরী হতে পারে। যদি শরিকগণ আপোষ মতে বণ্টন করতে রাজী না হন তাহলে যে কোন শরিক বণ্টনের জন্য আদালতে নালিশ করতে পারেন।
- হেবা দলিল - Heba Document
মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই হেবা অর্থাৎ দানপত্র দলিল, এই দলিল কোনকিছুর বিনিময়ে নয়, কেবলমাত্র সন্তুষ্ট হয়ে এইরূপ দান করা হয়। কিন্তু এই হেবা সর্তবিহীন অবস্থায় দান বিক্রয়, কট রেহান ও রূপান্তর ইত্যাদি সকল ক্ষমতা প্রদানে দান বা হেবা করতে হবে। স্বত্ব সম্বন্ধে দাতার কোনরূপ দাবী থাকলে সেই দান বা হেবা শুদ্ধ হবে না এবং তা যে কোন সময় বাতিলযোগ্য। এরূপ দানপত্রে দাতার কোন স্বার্থ সংরক্ষিত থাকবে না।
- দানপত্র দলিল - Deed of Donation
যে কোন সম্প্রদায়ের যে কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি দান করতে পারেন। এই দানপত্র দলিলে শর্তবিহীন অবস্থায় সকল প্রকার ক্ষমতা প্রদানের দান করতে হবে। স্বত্ব সম্পন্ধে দাতার কোন প্রকার দাবী থাকলে দানপত্র শুদ্ধ হবে না ।
- সাফকবালা দলিল - Safakbala Document
কোন ব্যক্তি তাহার সম্পত্তি অন্যের নিকট বিক্রয় করে যে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টারী করে দেন তাকে সাফাকবালা বা বিক্রয় করলা বা খরিদা কবালা বলা হয় । এই কবালা নির্ধারিত দলিল ষ্ট্যাম্পে লিখার পর দলিল দাতা অর্থাৎ বিক্রেতা সাবরেজিষ্টারী অফিসে উপস্থিত হয়ে দলিল সহি সম্পাদন করে গ্রহিতা অর্থাৎ খরিদ্দারের বরাবরে রেজিষ্টারী করে দিবেন। এই দলিল রেজিষ্টারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলিলের তফছিলে লিখিত অর্থাৎ বিক্রিত ভূমির যাবতীয় স্বত্ব দলিল দাতা হতে বিলুপ্ত হয়ে দলিল গ্রহিতাতে অর্থাৎ খরিদ্দারের উপর অর্পিত হলো। দলিলদাতা ময় ওয়ারিশানক্রমে উক্ত জমি হতে নিঃস্বত্ববান হলেন।
- বায়নাপত্র দলিল - Bond Document
কোন সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যে চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হয় তাকে বায়নাপত্র বলে। বর্তমানে বায়না দলিল রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। বায়না পত্রের মাদ্যমেও স্বত্ব হস্তান্তরিত হতে পারে। যদি কোন ব্যক্তি বায়নাপত্র মারফত জমির দখল বুঝিয়ে দিয়ে থাকেন এবং মূল্যের টাকা গ্রহণ করে থাকেন এবং বিশেষ কারণে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টারী করে দেন নাই বা দিতে পারেন নাই। যেহেতু দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং গ্রহীতা দখল বুঝিয়ে নিয়ে ভোগ দখল করছেন সেহেতু সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫৩ ধারা মতে আংশিক বিক্রয় কার্যকরী হয়েছে। অতএব জমিতে খরিদ্দারের স্বত্ব হয়েছে বলে গণ্য হবে।
- এওয়াজ দলিল - Reimbursement Document
যে কোন সম্প্রদায়ের বা একই সম্প্রদায়ের বা একই বংশের বা কোন ব্যক্তি যে কোন ব্যক্তির সহিত তাহাদের লপ্ত ও সুবিধা মত একের ভূমি অপরকে দিতে পারেন অর্থাৎ পরস্পর এওয়াজ পরিবর্তন সরতে পারেন। এই দলিল অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে। এওয়াজ পরিবর্তন দলিলের একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হলো: ক এর জমি খ এর বাড়ীর নিকট এবং খ এর জমি ক এর বাড়ীর নিকট। উভয়ের জমিই উভয়ের বেলপ্ত । কাজেই ক তার জমি খ কে এবং তার জমি ক কে দিয়ে উভয়ে একটি দলিল সম্পাদন করে রেজিষ্টারী করে নিল। একেই এওয়াজ পরিবর্তন দলিল বলে। এই দলিলের কেহ প্রিয়েমশান করতে পারে না।
- দখলনামা দলিল - Possession Deed
বণ্টনের মোকদ্দমা, স্বত্ব সাব্যস্ত পূর্বক খাস দখল, উৎপাত ও প্রিয়েমশান ইত্যাদি মোকদ্দমায় ডিক্রির পর আদালত হতে বণ্টনের মোকদ্দমায় কমিশনার ও অন্যান্য মোকদ্দমায় আদালতের পদাতিক বা নায়েব, নাজির যোগে ডিক্রির মর্মমতে দখলী পরওয়ানের ভিত্তিতে দখল গ্রহণ করিতে হয় এবং দখল দেওয়ার পর কমিশনার ও আদালতের পদাতিক বা নায়েব নাজির রিপোর্টসহ উক্ত দখলী পরওয়ানা আদালতে দাখিল করেন। তাকে দখলনামা দলিল বলা হয় ।
- হেবা বিল এওয়াজ - Reimbursement of a gift bill/Document
এই হেবা বিল এওয়াজ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি দানপত্র দলিল এই দানও সন্তুষ্ট হয়ে করা হয় বটে। কিন্তু ইহা কোন কিছুর বিনিময়ে হয়ে থাকে, যেমন- পবিত্র কোরআন, জায়নামাজ, তছবিহ, মোহরানার টাকা, এমন কি যে কোন জিনিসের বিনিময়েও হতে পারে, যেমন আংটি ইত্যাদি। এই হেবা বিল এওয়াজ দলিল সম্পূর্ণ শর্তবিহীন অবস্থায় গ্রহিতা যাবতীয় হস্তান্তর ও রূপান্তরের সকল প্রকার ক্ষমতার অধিকারী হবে এবং দাতার যাবতীয় স্বত্ব গ্রহিতাতে অর্পিত হবে। দাতার স্বার্থে কোন প্রকার স্বত্ব দাতার জন্য সংরক্ষিত থাকলে দলিল শুদ্ধ হবে না। এই হেবা বিল এওয়াজ অবশ্যই রেজিষ্টারী হতে হবে। এই হেবা বিল এওয়াজ যদি টাকা বিনিময়ে হয় এবং ক্রমিক ওয়ারিশী সূত্রে আগে পরে তিন ধাপের পরের ব্যক্তিকে বা তৃতীয় ব্যক্তিকে হেবা
- উইল দলিল - Testament Document
হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব সম্পত্তি তাদের আত্মীয়দের মধ্যে যাকে ইচ্ছা উইল করে দিতে পারেন। যিনি উইল করলেন তিনি জীবমানে একের অধিক উইল করতে পারেন। কিন্তু সর্বশেষ যে উইল করলেন কেবল ঐটাই কার্যকরী হবে।
- আরজি দলিল - RG Document
বাদী বিরোধীয় ভূমির জন্য বিবাদীগণের বিরুদ্ধে আদালতে যে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তাকে আরজি বলা হয় । এই আরজিতে বাদী তার স্বত্ব সম্বন্ধে যাবতীয় বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন এবং প্রতিকার প্রার্থনা করেন। কোন কোন দরখাস্ত আরজি গণ্যে বিচার হয় যেমন প্রিয়েমশান অভিভাবক নিযুক্তির | দরখাস্ত উত্তরাধিকার নিদর্শনপত্র, প্রবেট ইত্যাদি ।
- বেনামী দলিল - Anonymous Document
কোন ব্যক্তি বিশেষ কোন কারণে তার নিজের নামে সম্পত্তি খরিদ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া বিবেচিত হলে ঐ ব্যক্তি নিজ অর্থে ও স্বার্থে সম্পত্তি খরিদ করে তার দলিল নিজের নামে না করে তার যে কোন আত্মীয়ের বা বিশ্বাসী বন্ধু বান্ধবের নামে বেনামী দলিল করতে পারেন বা নিজের সম্পত্তি ঋণের দায়ে বা অন্য কোন কারণে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ঐ ব্যক্তি তার নিজের সম্পত্তি কোন আত্মীয় স্বজনেরা বন্ধু বান্ধবের নামে দলিল করে দিতে পারেন। সেই দলিল অবশ্যই সাফকবালা ক্ষেত্র বিশেষে দানপত্র দলিল হবে।
- না-দাবী দলিল - No-claim Deed
কোন ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট কোন সম্পত্তিতে তার স্বত্ত্বাধিকার নাই মর্মে অথবা স্বত্ত্বাধিকার ত্যাগ করছেন মর্মে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেন। এরূপ দলিলকে নাদাবী দলিল বলা হয় । বয়নামা দলিল: প্রজাদের ভূমি রাজস্ব বাকী পড়লে উপরস্থ মালিকগণ আদালতে খাজনার নালিশ করে ডিক্রি করতেন। প্রজা উক্ত ডিক্রিকৃত টাকা জমিদারকে প্রদান না করলে উক্ত খাজনার ডিক্রিজারী দিয়ে উক্ত ভূমি নিলাম করাতেন। উক্ত নিলাম উপরস্থ মালিকসহ সর্ব সাধারণের খরিদ করবার অধিকার ছিল। যে ব্যক্তি অধিক টাকায় নিলামের ডাক উঠাতেন তিনি উক্ত নিলাম খরিদ্দার বলে গণ্য হতেন। খাজনার ডিক্রি ছাড়া আরও কয়েক প্রকারের নিলাম হয়ে তাকে যেমন সরকার কর্তৃক বাকী ভূমি রাজস্বের নিমিত্ত মানী মোকদ্দমার দাবীর ওদেওয়ানী মোকদ্দমার খরচের টাকার নিমিত্ত ও রেহানী ঋণের দরুন। যিনি নিলাম খরিদ করতেন তাকে একটি নিদর্শন পত্র বা সার্টিফিকেট দেওয়া হতো, তাকে বয়নামা বলা হয়।
- ডিক্রি দলিল - Decree Document
রায়ের মর্মমতে রায়ের আদেশাংশ সংযোজন করে বাদী ও বিবাদী পক্ষের নাম ঠিকানাসহ সম্পত্তি সংক্রান্ত হলে সম্পত্তির তফসিল পরিচয়সহ একখানা দলিল আদালত কর্তৃক জারী করা হয় তাকে ডিক্রি বলে।
- রায় দলিল - Judgment Document
কোন সম্পত্তি টাকা পয়সা কিংবা অন্যান্য যে কোন কারণে আদালতে নালিশ হলে বাদীর আরজি, বিবাদীর জবাব দৃষ্টে সাক্ষী প্রমাণ গ্রহণ করে একতরফা বা দোতরফা শুনানীর পর বিচারক বিচার করে উক্ত বিচার লিখিতভাবে জানিয়ে দেন তাকে রায় বলা হয় ।
- অছিয়তনামা দলিল - Notarized Document
কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি কাউকে বা তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে অছিয়তকারী ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সকলকে না দিয়ে যদি একজনকে বা কোন তৃতীয় ব্যক্তিকে প্রদান করে থাকেন এবং অছিয়তকারীর মৃত্যুর পর যদি তাহার উত্তরাধিকারীগণ দাবী উত্থাপন করেন তাহলে যাকে সম্পত্তি অছিয়ত করা হলো সেই ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ পাবে এবং অবশিষ্ট দুই তৃতীয়াংশের মালিক উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সকলেই হবেন।
- প্ৰি- এমপশন - pre emption
কেউ যদি জমি বিক্রয় করে, সে জমি যারা কিনতে চাই, তাদের মধ্যে যিনি জমিটি কেনার অধিকার রাখে তাকে বিক্রয় না করে জমির মালিক যদি অন্য কাউকে বিক্রয় করে দেয় তাহলে উক্ত অধিকার প্রাপ্ত লোক পুনঃ সে জমি কিনতে পারবে। ইংরেজিতে একে প্ৰি- এমপশন (pre emption), আরবিতে সাফা বলে। এটি বিশেষ ধরনের একটি অধিকার।
দলিল যার ভুমি তার, দলিল যার ভুমি তার, দলিল যার ভুমি তার, দলিল যার ভুমি তার, দলিল যার ভুমি তার, দলিল যার ভুমি তার, দলিল যার ভুমি তার