What is the current human culture and its elements - পৃথিবীর যেসব দেশে বা স্থানে প্রাচীন সভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছিল, সেসব স্থানে বর্তমানকালে মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদানগুলো কেমন?
মাধ্যমিক/দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণি
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান
৯ম অধ্যায়: প্রাকৃতিক ও সামাজিক কাঠামো
অনুসন্ধানের প্রশ্ন - ২
অনুসন্ধানের প্রশ্ন-২: পৃথিবীর যেসব দেশে বা স্থানে প্রাচীন সভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছিল, সেসব স্থানে বর্তমানকালে মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদানগুলো কেমন? (পাঠ্যবই পৃষ্ঠা নং ১৫৬)
উত্তর: পৃথিবীর যেসব দেশে বা স্থানে প্রাচীন সভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছিল সেসব স্থানে বর্তমান কালে মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদান। মিসরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল মিসরে।
মিসরের বর্তমান কালে মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদান - Human culture and its elements in modern Egypt
মিসরের বর্তমান কালে মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদানগুলো নিচে বিশদভাবে বর্ণনা করা হলো:-
১. বর্তমান মিসর একটি আরব রাষ্ট্র।
২. বর্তমান মিসর পূর্ববর্তী খ্রিষ্টিয় ধর্ম ও সংস্কৃতি থেকে ইসলামি সংস্কৃতির ধারক।
৩. সুয়েজ খালের অবদানে এখানে সামুদ্রিক বন্দর গড়ে ওঠে।
৪. শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫. দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার কারণে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব ক্রমবর্ধমান।
৬. এটি ইসলামি বিশ্বের একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে গণ্য হয়।
৭. পিরামিড এবং প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য এটি বিশ্বের অন্যতম দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র।
গ্রীসের বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদান - Modern Human Culture of Greece and its Elements
গ্রীক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল গ্রিসে। গ্রীসে বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদানগুলো নিচে বিশদভাবে বর্ণনা করা হলো:-
১. গ্রীসের পশ্চিম উপকূলে ৬টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপপুঞ্জে উচ্চস্তরের বৃষ্টিপাতের ফলে এটি ফল ফুলে সুশোভিত ।
২. অলিম্পিক গেইমসের সূচনাকারী ও আয়োজক।
৩. গ্রীসের পুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পর্যটন ও বণিক পরিবহন।
৪. সমূদ্র উপকূলে অবস্থিত সামুদ্রিক বন্দর ও পরিবহনের জন্য বিখ্যাত।
৫. খ্রিষ্টান ধর্মীয় সম্প্রসার অধ্যূষিত গ্রীস।
৬. শিক্ষা ও সভ্যতার পীঠস্থান গ্রীস।
৭. শিল্প, সাহিত্য ও নাটক প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নত।
৮. গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সুতিকাগার।
রোমের বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদান - Modern human culture of Rome and its elements
রোমান সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ইতালির রোমে। রোমের বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদানগুলো নিচে বিশদভাবে বর্ণনা করা হলো:-
১. রোমান সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম নিক মানবতা ও রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণের জন্য খ্যাত।
২. দেশি কাব্য ও মহাকাব্য রোমান সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান।
৩ রোমান শিল্প সংস্কৃতিতে পেন্টিং উল্লেখযোগ্য
8 খেলাধুলায় বর্তমানে রোমানরা অগ্রণী।
৫. দ্যা লাস্ট সাপার বা অন্তিম ভোজ রোমান চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির আঁকা বিখ্যাত ছবি।
৬. মেকিয়াভেলির রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের নাটক ও রেনেসাঁর উদ্ভব।
৭. এটি পশ্চিম ইউরোপের একটি একীভূত প্রজাতানিকে সংসদীয় রাষ্ট্র
৮. পশ্চিমা সভ্যতায় রোমান সাম্রাজ্য রাজনৈতিক কেন্দ্রস্থল।
৯ বর্তমান রোমান ভাষায় প্রায় ৬ কোটি ৩০ লক্ষ লোক কথা বলে।
মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদান: Contemporary Human Culture of Mesopotamia Region and its Elements:-
পারস্য উপসাগরের উত্তরে বর্তমানে যে দেশটির নাম ইরাক সেটিই একসময় মেসোপটেমিয়া ছিল বলে ইতিহাসে বিখ্যাত। এই অঞ্চলের বর্তমান কালের মানুষের সংস্কৃতি ও তার উপাদান:-
মেসোপটেমীর সভ্যতা বর্তমান ইরাকের টাইগ্রিস বা দজলা ও ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদী দুটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। অধুনা ইরাক, সিরিয়ার উত্তরাংশ তুরস্কের উত্তরাংশ এবং ইরানের খুযেস্তান প্রদেশের অঞ্চলগুলোই প্রাচীনকালে মেসোপটেমিয়া অন্তর্গত ছিল বলে মনে করা হয়।
- ১. ইরাকের রাজনীতি একটি ফেডারেল সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কাঠামোয় পরিচালিত হয়।
- ২. ইরাকের মহিমা বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় অনেকটাই ম্রিয়মাণ। কারণ ইরাক বর্তমানে দূর্বল অর্থনৈতিক কাঠামোতে অবস্থান করছে।
- ৩. বিভিন্ন অস্থিরতা ও যুদ্ধের কারণে ইরাকের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দুর্দশা নেমে এসেছে।
- ৪. ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং দুর্বল সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থার কারণে বিশ্ব রাজনীতিতে দেশটির গুরুত্ব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
- ৫ যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইরাকে পর্যটন শিল্প স্থবির হয়ে পড়লেও এতে পর্যটকদের জন্য অনেক আকর্ষণীয় স্থান আছে। সামারা শহর ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।
- ৬. সামারার বিখ্যাত সর্পিলাকার মসজিদ মিনার। ইরাকে মার্কিন অবস্থান বিরোধীরা ২০০৭ সালে মিনারটিতে বোমা হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করেছে। শহরটিতে দুইজন শিয়া ইমামের মসজিদও আছে এবং সেগুলো শিয়া মুসলিমদের তীর্ঘস্থান।
- ৭. ইরাকের সরকারি ভাষা আরবি। ইরাকের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি জনগণের মাতৃভাষা আরবি। ইরাকে প্রচলিত আরবি ভাষার লিখিত ৰূপটি ধ্রুপদী বা চিরায়ত আরবি ভাষার একটি পরিবর্তিত রূপ। কিন্তু কথা বলার সময় ইরাকের লোকেরা আরবির বিভিন্ন অন্য উপভাষা ব্যবহার করে। এদের মধ্যে মেসোপটেমীয় বা ইরাকি আরবি উপভাষাটিতে ১ কোটিরও বেশি লোক কথা বলে।
- ৮. সেমিটার আরবি ভাষার বাইরে ইরাকে বিভিন্ন ইরানীয় ভাষা প্রচলিত। এনের মধ্যে কুর্দি ভাষা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। ইরাকের
- জনগণের প্রায় ২০% কুর্দি ভাষায় কথা বলে।
- ৯. ইরাকের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। দেশটির ৯৫-৯৯% লোক মুসলিম।
- ১০. ইরাকে শিয়া মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানসমূহ : ইমান আলীদ, ইমাম হোসেনের মাজার, আল-কাজি মিয়া মসজিদ, আল-আসকারী মসজিদ, মসজিদ জাল-কুফা ইত্যাদি অবস্থিত।
- ১১ ইরাক ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ধারক। দেশটি তার কবি সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী ও স্থাপত্যশিল্পীদের জন্য আরব বিশ্বের মধ্যে অন্যতম মর্যাদার অধিকারী, যাদের অনেকেই ছিল জগতখ্যাত।