Class Six Digital Technology Annual Assignment Solution PDF 2023 - ষষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বার্ষিক মূল্যায়ন সমাধান পিডিএফ ২০২৩ (২য় দিনের কাজ)
ধাপ ২ (দ্বিতীয় কর্মদিবস : ১০ মিনিট)
কাজ ১: (দলগত কাজ): শিক্ষার্থী কর্মদিবস- ১ এর ৩ নং এবং ৪ নং কাজ দলের সবাই মিলে তালিকা তৈরি করবে। অর্থাৎ তালিকা হবে,
- কি কি সংকট তৈরি হতে পারে
- ঐ সংকট মোকাবেলায় করণীয়
কাজ-১:
শিক্ষার্থী তার প্রাপ্ত জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে জীবনযাত্রায় কী ধরনের ধরনের সংকট তৈরি হয়?
- ১। কি কি সংকট তৈরি হতে পারে
উত্তর: বন্যা ।
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে জীবনযাত্রায় যে ধরনের সংকট তৈরি হয় তা নিচে দেওয়া হলো:
১। জীবন হানি: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে মানুষের জীবনে মৃত্যু, আঘাত, স্বাস্থ্য সমস্যা এবং
শারীরিক ক্ষতি হয়।
২। খাদ্য সমস্যা: প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্য সংকট উৎপন্ন হয়। যার ফলে পরিবারে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়।
৩। অর্থনৈতিক ক্ষতি: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
৪। আবাসিক অসুবিধা: প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের আবাসিক সুবিধার অভাব, মৌখিক এবং মানসিক সংকট সৃষ্টি হয়।
৫। অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উত্তর: অগ্নিকান্ড।
অগ্নিকান্ডের পরিস্থিতি তৈরি হলে জীবনযাত্রায় যে ধরনের সংকট তৈরি হয় তা নিচে দেওয়া হলো:
১। শরীরের আঘাত: অগ্নিকান্ডের ফলে শরীরে ব্যাপক আঘাত লাগতে পারে।
২। চুলের সমস্যা: অগ্নিকান্ডের ফলে চুলের সমস্যা হতে পারে।
৩। চোখের সমস্যা: আগুনের প্রভাবে চোখে সমস্যা তৈরি হতে পারে, যেমন দৃষ্টি হারিয়ে যাওয়া।
৪। শ্বাসকষ্ট: অগ্নিকান্ডের ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হতে পারে।
৫। ত্বকের সমস্যা : শরীলে আগুনের প্রভাবে ত্বকের টিস্যু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- ২। সংকট মোকাবেলায় করণীয়।
উত্তর: এমন পরিস্থিতিতে সংকট মোকাবেলায় করণীয় সমূহ উল্লেখ করা হলো:
বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখা:
বন্যার পানিতে নানা ধরনের জীবানু মিশে থাকে। তাই এসময় পানি পানে
বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। পানি ফুটিয়ে খাওয়া কিংবা ফিটকিরি দিয়ে বিশুদ্ধ করার ব্যবস্থা রাখুন। সম্ভব হলে ফিল্টার ব্যবহার করুন। কোনোভাবেই বিশুদ্ধ না করে পানি পান করবেন না। আপনার ছোট একটি ভুল হতে পারে মারাত্মক কোনো অসুস্থতার কারণ।
খাবার সংরক্ষণ করুন:
বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সংকট হতে পারে খাবারের ক্ষেত্রে। বন্যার সময় খাবার সংরক্ষণ করে রাখুন। বেশি কিছু যদি সম্ভব না হয়, অন্তত শুকনা খাবার রাখুন। দুর্যোগের সময়ে এসব খাবার কাজে আসবে। খাবার শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করুন। অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এসময় অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসা নাও মিলতে পারে।
শিশুদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন:
শিশুদের বৃদ্ধি বড়দের মতো নয়। ক্ষতিকর জিনিসের প্রভাব তারা বুঝতে পারে না। শিশুরা বন্যার পানি নিয়ে খেলায় মেতে উঠতে পারে। বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা কম নয় । এছাড়াও বন্যার পানির মাধ্যমে শিশুর শরীরে রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে । তাই এসময় শিশুদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। এছাড়াও খেয়াল রাখুন শিশুর খাবারের প্রতি।
পোকা-মাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে:
বন্যার সময় সাপসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে ব্যবস্থা নিতে হবে। পোকা-মাকড় দূর করার ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেসব ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
নিরাপদ স্থান নির্বাচন করুন:
বন্যার সময় নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। কারণ পানি আরও বাড়তে থাকলে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এসময় দুর্যোগ শেল্টার বা পরিচিত কোনো নিরাপদ বাসস্থান থাকলে সেখানে চলে যান। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
উত্তর: এমন পরিস্থিতিতে সংকট মোকাবেলায় করণীয় সমূহ উল্লেখ করা হলো:
প্রাথমিক চিকিৎসা: আপনি বা আপনার পরিবার সদস্যের যদি কেউ আঘাত পায় তবে প্রাথমিক চিকিৎসা সাবধানভাবে নেওয়া জরুরি।
আতিরিক্ত সাবধানতা: যদি কোনও সুরক্ষা প্রকাশ্য সমস্যা থাকে, তবে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি ।
স্থানীয় অধিকারীর নির্দেশনা মেনে চলা: সরকারি অথবা স্থানীয় অধিকারীদের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলা এবং তাদের পরামর্শ অনুসরণ করা।
কাজ ২:
(দলগত কাজ): শিক্ষার্থী তাদের নির্ধারিত করনীয়গুলোকে ধাপ অনুযায়ী ফ্লোচার্ট আকারে তৈরি করবে। ফ্লোচার্টে পুনরাবৃত্তি এবং পরিমার্জন যুক্ত করবে।
উত্তর: শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত করনীয়গুলোকে ধাপ অনুযায়ী ফ্লোচার্ট আকারে তৈরি করে নিচে দেওয়া হলো:
কাজ ৩ (দলগত কাজ ):
ঐ জরুরি পরিস্থিতিতে কিভাবে সবাই সবার সাথে সংযুক্ত থাকবে তার উপায় নির্ধারন করবে। বিদ্যুৎ না থাকলে বা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে কিভাবে সংযুক্ত থাকা যায় সে পরিকল্পনাও থাকবে। ঐ নেটওয়ার্কে নেটওয়ার্কের বিভিন্ন উপাদান (সেন্ডার, রিসিভার, রাউটার, হাব ইত্যাদি) কীভাবে কাজ করে তা চিহ্নিত করবে (পাঠ্যবই এ পোস্ট অফিসের উদাহরণের মত)
কাজ ৩: এর উত্তর:
জরুরি পরিস্থিতিতে কিভাবে সবাই সবার সাথে সংযুক্ত থাকবে তার উপায় নির্ধারন করা হলো:
১। মোবাইল ফোন: আপনি যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাদের সাথে টেক্সট মেসেজ, কল ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।
২। ইমেইল: পরিবারের ইমেইল ঠিকানা থাকলে, ইমেইলের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
৩। বেতার যোগাযোগ: বেতার যোগাযোগ হলো একটি বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা যা বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না। বেতার যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করা যেতে পারে । যেমন: মোবাইল ফোন, রেডিও বা ট্রান্সসিভার।
এই বিষয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর যা আপনাদের কাজে লাগবে।
সেন্ডার কি?
উত্তর: সেন্ডার হলো একটি ডিভাইস যা তথ্য প্রেরণ করে। সেন্ডার তথ্যকে একটি ইলেকট্রনিক সংকেতে রূপান্ত করে এবং এটিকে একটি যোগাযোগ চ্যানেলে প্রেরণ করে ।
রিসিভার কি?
উত্তর: রিসিভার হলো একটি ডিভাইস যা তথ্য গ্রহণ করে। রিসিভার যোগাযোগ চ্যানেল থেকে ইলেক্ট্রনিক সংকেত গ্রহণ করে এবং এটিকে প্রাথমিক আকারে রূপান্তর করে।
রাউটার কি?
উত্তর: রাউটার হলো একটি ডিভাইস যা বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে।
হাব কি?
উত্তর: রাউটার হলো একটি ডিভাইস যা বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে। রাউটার যোগাযোগ চ্যানেলগুলির মধ্যে তথ্যের প্রবাহকে পরিচালনা করে।
কাজ ৪ (দলগত কাজ):
শিক্ষার্থী যে জরুরি অবস্থা নিয়ে কাজ করছে ওই জরুরি পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কি কি ধরণের সাইবার অপরাধ এবং তথ্যঝুকি হতে পারে তা চিহ্নিত করবে এবং করণীয় কি তা বর্ণনা করে লিখে রাখবে।
কাজ ৪ : এর উত্তর:
শিক্ষার্থী যে জরুরি অবস্থা নিয়ে কাজ করছে ওই জরুরি পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে যে ধরনের সাইবার অপরাধ এবং তথ্যঝুঁকি হতে পারে তা চিহ্নিত করা হলো:
১. ফিশিং আক্রমণ
২. ম্যালওয়্যার
৩. সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
৪. পাসওয়ার্ড অ্যাটাক
৫. ক্লাউড নিরাপত্তা
৬. পরিচয় চুরি
৭. ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক নিরাপত্তাহীনতা
b. Ransomware
৯. সাইবার বুলিং
- সাইবার অপরাধ এবং তথ্যঝুঁকি রোধে করণীয়সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো:
সন্দেহপ্রবণ হোন: অযাচিত বার্তা, বিশেষ করে ইমেল, টেক্সট মেসেজ এবং সোশ্যাল মিডিয়া যোগাযোগ গ্রহণ করার সময় সর্বদা সতর্ক থাকুন। ব্যক্তিগত বা আর্থিক তথ্যের জন্য জিজ্ঞাসা করে এমন কোনও বার্তা সম্পর্কে সন্দেহজনক হন।
উৎস যাচাই করুন: সত্যতার জন্য প্রেরকের ইমেল ঠিকানা বা ফোন নম্বর পরীক্ষা করুন। প্রদত্ত লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করার পরিবর্তে সরাসরি আপনার ব্রাউজারে টাইপ করে ওয়েবসাইটের URL যাচাই করুন ৷
সন্দেহজনক লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করবেন না: ক্লিক করার আগে এটি কোথায় নিয়ে যায় তা দেখতে একটি লিঙ্কের উপর আপনার মাউস পয়েন্টার হোভার করুন।সংক্ষিপ্ত URL (যেমন, bit.ly) থেকে সতর্ক থাকুন কারণ তারা প্রকৃত গন্তব্য লুকিয়ে রাখতে পারে।
নিরাপদ ওয়েবসাইটের জন্য চেক করুন: সংবেদনশীল তথ্য প্রবেশ করার আগে ঠিকানা বারে "https://" এবং একটি প্যাডলক প্রতীক সন্ধান করুন৷ এগুলি একটি নিরাপদ সংযোগ নির্দেশ করে।
জরুরী অনুরোধ থেকে সাবধান: ফিশাররা প্রায়শই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জরুরিতার অনুভূতি তৈরি করে। যে বার্তাগুলি আপনাকে অবিলম্বে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাপ দেয় সেগুলি থেকে সতর্ক থাকুন৷
সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করা এড়িয়ে চলুন: ইমেল, টেক্সট মেসেজ বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কখনও ব্যক্তিগত বা আর্থিক তথ্য শেয়ার করবেন না।
শক্তিশালী, অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: প্রতিটি অনলাইন অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী এবং অনন্য পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। জটিল পাসওয়ার্ড ট্র্যাক রাখতে একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন।
দ্বি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ সক্ষম করুন (2FA): যখনই সম্ভব, নিরাপত্তার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করতে আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলিতে 2FA সক্ষম করুন ৷
আপনার সফ্টওয়্যার আপডেট রাখুন: আপনার অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব ব্রাউজার এবং নিরাপত্তা সফ্টওয়্যার সর্বশেষ নিরাপত্তা প্যাচের সাথে আপ টু ডেট আছে তা নিশ্চিত করুন।
সন্দেহজনক ফিশিং রিপোর্ট করুন: আপনি যদি একটি কিং ইমেল পান, তাহলে এটি আপনার ইমেল প্রদানকারী এবং প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করুন।
- সংবেদনশীল তথ্যের জন্য অনুরোধ যাচাই করুন:
নিরাপত্তা সফ্টওয়্যার ইনস্টল করুন: ফিশিং প্রচেষ্টা সনাক্ত করতে এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করার জন্য সম্মানিত অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন ৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্ক থাকুন: ব্যক্তিগত তথ্য এবং বিশদ ভাগ করা এড়িয়ে চলুন যা আপনাকে ফিশিং আক্রমণে লক্ষ্য করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কাজ ৫ (দলগত কাজ):
নির্ধারিত জরুরি অবস্থায় কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোন নম্বারে যোগাযোগ করে কী সাহায্য চাওয়া হবে তার পরিকল্পনা করবে।
কাজ ৫ : এর উত্তর:
জরুরি পরিস্থিতিতে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কোন কোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে কী সাহায্য পাওয়া যাবে তার পরিকল্পনা:
- সাহায্য: হঠাৎ কোনো সমস্যায় পড়লে জাতীয় জরুরি কল সেন্টার - ১৯৯
- সাহায্য: দুর্যোগের আগাম বার্তা জানার জন্য। দুর্যোগের আগাম বার্তা জানার কল সেন্টার - ১০৯০
কাজ ৬ (দলগত সিদ্ধান্ত, একক কাজ):
কাজ ৬ : এর উত্তর:
জরুরি পরিস্থিতিতে সরকার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আসা কোন প্রয়োজনীয় তথ্য সবার কাছে পৌঁছানোর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
সরকার বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষ থেকে তথ্য পেলে; সেই তথ্য কে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে পারি। যেমন: সামাজিক যোগাযোগ সাইট, মিডিয়া, লিফলেট, ব্যানার, ডিজিটাল বিলবোর্ড, মাইকিং ইত্যাদি।
জরুরি পরিস্থিতিতে সচেতনতামূলক মেসেজ: “আপনারা ধৈর্য এবং শান্ত থাকুন । নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। বিপদে এগিয়ে আসুন”
technology annual assignment solution, technology annual assignment solution, technology annual assignment solution, technology annual assignment solution, technology annual assignment solution, technology annual assignment solution, technology annual assignment solution, technology annual assignment solution