Class Seven Health Protection Annual Assignment Final Day Answer - সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষ বার্ষিক মূল্যায়ন ৩য় দিবসের সমাধান ২০২৩ পিডিএফ
তৃতীয় দিবস : ১২০-১৮০ মিনিট (মূল্যায়ন উৎসব)
কাজ ১: স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি তার নিজের সক্রিয় ভূমিকার একটি চিত্র তুলে ধরে পোষ্টার প্রদর্শনী করবে। ছবি আঁকা, লেখা, ম্যাসেজ, স্লোগান অথবা নিজের পছন্দমতো যে কোনো উপায়ে এক দিকে লেখা ছোট ছোট কাগজে / ব্যবহৃত ক্যালেন্ডারের পাতায় / শপিং ব্যাগের কাগজে লিখতে পারে অথবা ছোট ছোট কাগজে লিখে পুরোনো লেখা কাগজে / পুরোনো খবরের কাগজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে পোষ্টার তৈরি করতে উৎসাহিত করবেন।
কাজ ১ এর উত্তর: স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজের ও অন্যের প্রতি তার নিজের সক্রিয় ভূমিকার একটি চিত্র তুলে ধরে পোষ্টার প্রদর্শনী করা হলো:
নিচে একটি পোষ্টার তৈরি করা হলো:
উপরের পোস্টার এর বিকল্প আরেকটি পোস্টার
উপরের পোস্টারে যে বাক্য গুলো লিখবে তা নিচে দেওয়া হলো:
পোস্টারের ১ নং কলামে: ভবিষ্যতের দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ থাকতে সক্রিয় থাকুন।
পোস্টারের ২ নং কলামে: নিজের কর্তব্যকে কখনই ভুলে যাবেন না, স্বাস্থ্যই আসল সৌন্দর্য
পোস্টারের ৩ নং কলামে: স্বাস্থ্য পেতে ভালো খান, ভালো ঘুমান এবং অসুস্থ হওয়া থেকে নিরাপদ থাকুন
পোস্টারের ৪ নং কলামে: নিয়মিত খেলাধুলায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার আসল মন্ত্র
পোস্টারের ৫ নং কলামে: স্বাস্থ্য পেতে ভালো খান, ভালো ঘুমান এবং অসুস্থ হওয়া থেকে নিরাপদ থাকুন
কাজ ২: সমাপনী পর্বে শিক্ষার্থীরা দলে ভাগ হয়ে একটি কাগজে প্রথমে সে নিজে এবং সবাই সবাইকে ১টি ইতিবাচক দিক ও ১টি উন্নয়নের ক্ষেত্র লিখে দেবে। শেষ হলে দলে এই কার্যক্রমে তার অনুভুতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে।
কাজ ২ এর উত্তর:
ইতিবাচক ও উন্নয়নের ক্ষেত্র নিয়ে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা।
মারুফ: দ্রুত বন্ধুত্ব তৈরি করতে পারি। হাতের লেখা সুন্দর করছি।
রহিম: সবার সাথে ভালো ব্যবহার। গণিত ভালো বুজতে পাড়ি।
আরশ: বড়দের শ্রদ্ধা করা এবং ছোটদের স্নেহ করা। পড়তে ভালো লাগে।
হাসিন: সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলি। প্রোগ্রামিং ভাষা শিখছি।
জসিম: মিথ্যা কথা পছন্দ করি না। গানের গলা ভালো করছি।
আমার অনুভূতি: সামগ্রিক মূল্যায়ন পদ্ধতি
আমার খুব ভালো লেগেছে। প্রত্যেকের মধ্যে একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করার মনোভাব জাগ্রত হয়েছে এবং নতুন কিছু শিখতে পেরেছি। মূলত সম্পূর্ণ মূল্যায়নটাই ছিল গ্রুপ ওয়ার্ক।
প্রশ্নঃ যে খেলা তারা খেলেছে কি ধরনের আঘাত বা দুর্ঘটনা সম্মুখীন হয়েছে বা হতে পারত বলে তারা মনে করছে?
উত্তর: আমরা দাঁড়িয়াবান্ধা, বউচি, গোল্লাছুট এবং ব্যাডমিন্টন খেলায় অংশগ্রহণ করেছি। এই খেলাগুলো খেলার সময় বিভিন্ন ধরনের আঘাতের সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মচকানো, পেশিতে টান খাওয়া, পেশি বা লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি। কিন্তু আমরা খেলার পূর্বে সঠিকভাবে ওয়ার্ম আপ এবং খেলার শেষে কুলডাউন করাই তেমন বিপদের সম্মুখীন হয়নি। বিশেষ করে সাবাধানতার সাথে খেলাধুলা করার কারণে মূলত দুর্ঘটনা হয়নি
প্রশ্ন: এ আঘাত বা দুর্ঘটনাগুলোর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছিল?
উত্তর: খেলাধুলার সময় দুর্ঘটনার স্বীকার হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। দুর্ঘটনার দিক মাথায় রেখে আমরা ফার্স্ট এইড বক্সের ব্যবস্থা করেছিলাম। এই বক্সে ছিল তুলা, গজ, কাঁচি, ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, কাপড়, থার্মোমিটার, ক্রেপ ব্যান্ডেজ ইত্যাদি।
প্রশ্ন: নিজের প্রতিফলনের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?
উত্তর: সুন্দর ও সুস্থ জীবন গঠনে খেলাধুলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, এমনকি জাতীয় জীবনের সফলতা লাভের পেছনে কাজ করে সুস্থ ও সুঠাম দেহ। আর এই সুস্থ দেহ গঠনের জন্যে খেলাধুলা অপরিহার্য। তাই আমি খেলাধুলা কার্যক্রমের সাথে সবসময় জড়িয়ে থাকতে চাই।