সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক মূল্যায়ন ৩য় কর্মদিবস সমাধান ২০২৩ পিডিএফ | Class Seven History and Social Science Annual Assessment Final Day Solution PDF
কাজ ২: শিক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা ও উপস্থাপনা। (৬০ মিনিট)
ধাপ ৪: শিক্ষার্থীরা নিচে প্রদত্ত 'কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ ও বিশ্ব' অনুচ্ছেদটি পাঠ থেকে প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বে বিষয়টি অনুধাবন করবে।
ধাপ ৫: সমাজের যেকোনো উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশে কিভাবে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করবে।
কাজের বিবরণী: শিক্ষাথাদের নিচের প্রাতবেদনটি পড়তে বলবেন।
কাবর্ণ নিঃসরণ হ্রাসে বাংলাদেশ ও বিশ্ব
যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কলকারখানা স্থাপন, যানবাহন ও পরিবরহন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু এসব কলকারখানা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া পরিবেশে কার্বন নির্গত করে পরিবেশকে দূষিত করে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এতে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে এবং সমূদ্রে পানি পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে সমূদ্র তীরবর্তী এলাকা ইতোমধ্যে ডুবে যাচ্ছে। বাংলাদেশরও সমূদ্রতীরবর্তী অঞ্চল ভবিষ্যতে ডুবে যেতে পারে। এরকম অবস্থায় বিশ্বব্যাপী এই দূষণকে রোধ করার জন্য বিভিন্ন দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক দেশ একসাথে কলকারখানা ও যানবাহনের নিসৃত কার্বনের ওপর কর আরোপ করছে। এতে করে কলকারখানা ও যানবাহন মালিক কার্বন-নিঃসরণের প্রতি সচেতন হচ্ছে। তারা নির্ধারিত কার্বনের বেশি কার্বন নিঃসরণ করলেই অতিরিক্ত টাকা দিচ্ছে। বাংলাদেশও এই কার্বন কর নিচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই কার্বন কর বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া পরিবর্তন রোধে বিশেষ সহায়তা করছে।
আমরা দেখতে পারছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেমন বিভিন্ন দেশ একাত্ম হয়ে সহযোগিতা করছে। তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ উন্নয়নেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একাত্ম হয়ে কাজ করছে। ফলে মানুষের ভবিষ্যত হুমকির সম্ভবনা কমে যাচ্ছে।
- কাজ:
উপরের অনুচ্ছেদটি পড়ে শিক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে বলবেন। শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব পরিমণ্ডলে কি কি উন্নয়ন দেখতে পায় তা দলগতভাবে আলোচনা করে নির্ণয় করতে বলবেন। এই উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশে কি ধরনের প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে আলোচনা করতে বলবেন।
কাজের সমাধান:
প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বঃ
প্রাকৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব বলতে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য, সহযোগিতা এবং বোঝাপড়ার ধারণাকে বোঝায়। প্রাকৃতিক উন্নয়নে, এই ধারণাটি বাস্তুতন্ত্রের আন্তঃসংযোগ এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। সামাজিকভাবে, এটি সহানুভূতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং অসমতার মতো সাধারণ সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য ভাগ করা দায়িত্বের প্রচার জড়িত। প্রাকৃতিক উন্নয়ন ছাড়া সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাছাড়া সামাজিক বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তুলতে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করতে হয়। এই দুইটি উপাদানের যথাযথ ব্যবহারের জন্য বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমাদের নিজস্ব পরিমন্ডলে যে উন্নয়নগুলো দেখতে পাই তা হলো:
- শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপন।
- আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ।
- বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ।
- কলকারখানা স্থাপন।
- সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ।
একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে
পারে। নিচে ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব গুলো আলোচনা করা হলো:
নেতিবাচক প্রভাব:
- বায়ু দূষণ:
বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া অথবা দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত করে। যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। গাছপালা ও ময়লা আবর্জনা পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ার মাধ্যমে বায়ু দূষিত হয়। বায়ু দূষণের ফলে পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও এসিড বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
- পানি দূষণ:
পানিতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত হয়ে পানি দূষিত হয়। পয়ঃনিষ্কাশন ও গৃহস্থালির বর্জ্য অথবা কারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে পানি দূষিত হয়। এছাড়াও ময়লা আবর্জনা পানিতে ফেলা, কাপড় ধোঁয়া ইত্যাদির মাধ্যমে পানি দূষিত হয়। পানি দূষণের ফলে জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে এবং জলজ খাদ্য শৃঙ্খলের ব্যাঘাত ঘটছে। পানি দূষণের কারণে মানুষ কলেরা বা ডায়রিয়ার মতো পানি বাহিত রোগে এবং বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
- মাটি দূষণ:
বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর বস্তু মাটিতে মেশার ফলে মাটি দূষিত হয়। কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক, গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য, কলকারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও তেল ইত্যাদির মাধ্যমে মাটি দূষিত হয়। মাটি দূষণের ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। মাটি দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দূষিত মাটিতে উৎপন্ন খাদ্য হিসাবে গ্রহণের ফলে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
- শব্দ দূষণ:
শব্দ দূষণ মানুষ ও জীবজন্তুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করে। বিনা প্রয়োজনে হর্ন বাজিয়ে, উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে এবং লাউড স্পিকার বা মাইক বাজিয়ে মানুষ শব্দ দূষণ করছে।
কলকারখানায় বড় বড় যন্ত্রপাতির ব্যবহারও শব্দ দূষণের কারণ। শব্দ দূষণ মানুষের মানসিক ও শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করছে। অবসন্নতা, শ্রবণ শক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি, কর্মক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
- বন উজাড় করণ:
কারখানা এবং অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমির বিশাল এলাকা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হতে পারে, যার ফলে বন উজাড় হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হতে পারে। বাস্তুতন্ত্রের ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণকারী গাছের সংখ্যা হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারে।
ইতিবাচক প্রভাব:
- বেকারত্ব হ্রাস।
- অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন।
- প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধন ।
- কাজ:
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের সাথে যেমন পারস্পরিক সহযোগিতা তৈরি হয়েছিল তেমনি বর্তমানে টেকসই উন্নয়নের জন্য এই সহযোগিতা কীভাবে ভূমিকা রাখছে তা দলগতভাবে বিশ্লেষণ করতে বলবেন।
কাজের সমাধান:
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের সাথে যেমন পারস্পরিক সহযোগিতা তৈরি হয়েছিল তেমনি বর্তমানে টেকসই উন্নয়নের জন্য এই সহযোগিতা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভারত। বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধে সেনা সহায়তা দেওয়াসহ সব ধরনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহায়তা দিয়েছিল। ভারতের সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে স্পষ্টভাবে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অন্যান্য অনেক দেশ বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন দিয়েছিল।
বর্তমানে বিভিন্ন দেশ জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পারস্পরিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য একে অপরকে জ্ঞান, প্রযুক্তি, শ্রমিক, অর্থ ইত্যাদি দিয়ে সহযোগিতা করছে। এই সহযোগিতার ফলে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।
- কাজ
শিক্ষার্থীরা উপরোক্ত দুটি আলোচনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন পোস্টার/কাগজ ইত্যাদি উপস্থাপন করবে। এভাবে আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃতি ও সমাজের আন্তঃসম্পর্ক উদঘাটন করে তাদের টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাবে।
কাজের সমাধান:
এই কাজের সমাধান হলো তোমরা উপরোক্ত যে আলোচনা পড়েছ বা লিখেছ সেই প্রাপ্ত আলোচনা গুলো কাগজে বা পোস্টারে সাজাতে হবে।
উপরোক্ত আলোচনা গুলো কিভাবে কাগজে/পোস্টারে লিখবে তার কিছু নমুনা তোমাদের জন্য নিচে দিয়ে দিলাম। তোমরা আমার মতো করে বা ডিজাইন পরিবর্তন করে নতুন কোন স্টাইলে করতে পারো। চলো তাহলে দেখে নিই উপরের তথ্যগুলো পোস্টারে বা কাগজে কিভাবে লিখব।
- উপরোক্ত দুটি আলোচনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন পোস্টার/কাগজ ইত্যাদি উপস্থাপন করে দেখানো হলো:
কাজ ৩: টেকসই উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিষয়ক আলোচনা ও উপস্থাপনা (৬০ মিনিট)
ধাপ ৬: টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ কেনো প্রয়োজন তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করবে।
ধাপ ৭: টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজস্ব পরিমণ্ডলে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা নিয়ে দলে আলোচনা এবং উপস্থাপন করবে।
কাজের বিবরণী: শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে টেকসই উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
বিষয়বস্তুগুলো হল:
১. বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা
২. ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের উপায়
৩. টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজস্ব পরিমণ্ডলে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে
- ১ নং এর উত্তর:
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা:
টেকসই উন্নয়নের ১৭ টি লক্ষ্যমাত্রা বা মানদন্ড আছে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ অন্যতম। শুধু বাংলাদেশ একাকি চেষ্টা করলে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সম্ভব না। আধুনিকায়নের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রন্থ হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। কোনো দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা। কিন্তু আমাদের দেশে মাত্র ১৬ ভাগ বনভূমি রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যান্য দেশেও প্রাকৃতিক সম্পদ হুমকির মুখে। তাই টেকসই উন্নয়নে সকলদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
- ২ নং এর উত্তর:
ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের উপায়:
বৈশ্বিক সহযোগিতা:
প্রাকৃতিক সম্পদসংরক্ষণের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশের মধ্যে তথ্য এবং অভিজ্ঞতা আদান-প্রদান করা এবং একে অপরের সাথে শেয়ার করা প্রয়োজন।
সম্পদের পুনঃব্যবহার:
কোনো জিনিসকে পুনরায় ব্যবহার করে আমরা বর্জ্য কমাতে পারি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। কোনো জিনিসকে রিসাইকেল করা বা ফেলে দেওয়ার পূর্বে তা বারবার ব্যবহার করা উচিত। কোনো জিনিস ভেঙ্গে গেলে তা ফেলে না দিয়ে বা নতুন ক্রয় না করে মেরামতের চেষ্টা করা উচিত।
সম্পদের ব্যবহার কমানো:
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের একটি ভালো উপায় হচ্ছে তা ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া। শক্তির ব্যবহার কমিয়ে বা বর্জ্য উৎপাদন কমিয়ে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।
সম্পদের রিসাইকেল করা:
সম্পদের রিসাইকেলের ফলে একই জিনিস বারবার ব্যবহার করা যাবে। যেমন- পুরাতন কাগজ রিসাইকেলের মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য কাগজে পরিণত করলে; কাগজ তৈরি করার জন্য গাছ কাটার পরিমাণ কমবে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার:
মানুষ প্রধানত অনবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন- তেল, কয়লা এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এগুলো একবার ব্যবহারেই নিঃশেষ হয়ে যায়। তাই নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন- সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ এবং পানির স্রোত আমাদের ব্যবহার করতে হবে।
অভ্যাসের পরিবর্তন:
প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে অভ্যাসের পরিবর্তন করা। অপ্রয়োজনে বাতি জ্বালিয়ে না রেখে আমরা শক্তির ব্যবহার কমাতে পারি। কাগজের উভয় পৃষ্ঠাতে লিখে আমরা কাগজের অপচয় কমাতে পারি। আমরা ব্যবহৃত কৌটা বা পুরাতন অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসপত্র রিসাইকেল করে নতুন জিনিসপত্র তৈরি করতে পারি।
৩ নং এর উত্তর:
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা নিজস্ব পরিমন্ডলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নিতে পারি-
- গাছ লাগানো ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সাথে যুক্ত হতে পারি।
- সকলের জন্য পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।
- জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি কর্মব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।
- বিদ্যুৎ ও জল ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া।
- সমাজে বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করা।
- ভূমির অবক্ষয় রোধ ও ভূমি সৃষ্টি প্রক্রিয়ার পুনরুজ্জীবন এবং জীববৈচিত্র্য হ্রাস প্রতিরোধ করা।
- রিসাইক্লিং ও কমপোস্টিং এর মাধ্যমে বর্জ্য কমানো।
- সকলের জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি সহজলভ্য করতে পারি।
- প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- পরিবেশ বান্ধব জীবনযাপন করা।
- শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার প্রসার ঘটানো।
- পরিবেশ দূষণকারী কার্যকলাপ এড়ানো।
- অতিরিক্ত সার, কীটনাশক কিংবা কেমিক্যাল ব্যবহার না করা।
৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক চূড়ান্ত মূল্যায়ন উত্তরপত্র - Class 7 History Annual Assignment 3rd day Answer, ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক চূড়ান্ত মূল্যায়ন উত্তরপত্র - Class 7 History Annual Assignment 3rd day Answer, ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক চূড়ান্ত মূল্যায়ন উত্তরপত্র - Class 7 History Annual Assignment 3rd day Answer, ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক চূড়ান্ত মূল্যায়ন উত্তরপত্র - Class 7 History Annual Assignment 3rd day Answer, ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক চূড়ান্ত মূল্যায়ন উত্তরপত্র - Class 7 History Annual Assignment 3rd day Answer, ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক চূড়ান্ত মূল্যায়ন উত্তরপত্র - Class 7 History Annual Assignment 3rd day Answer, ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক চূড়ান্ত মূল্যায়ন উত্তরপত্র - Class 7 History Annual Assignment 3rd day Answer, ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বার্ষিক চূড়ান্ত মূল্যায়ন উত্তরপত্র - Class 7 History Annual Assignment 3rd day Answer