Class Seven Science Exercise Book Chapter 2 Answer 2024 PDF - সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ২য় অধ্যায় সমাধান/উত্তর ২০২৪
দ্বিতীয় অধ্যায়: পদার্থের সুলুকসন্ধান!
পদার্থের সুলুকসন্ধান! অর্থাৎ পদার্থের খোঁজখবর। এই যে আমাদের চারপাশে এত বস্তু আমরা দেখি তার ভেতরকার গঠন আসলে কেমন? পদার্থকে আমরা যদি ভাঙতে থাকি, তাহলে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর পর্যায়ে গিয়ে আমরা আসলে কী দেখব? ঠিক কী কারণে আমরা একেক পদার্থে একেক রকম বৈশিষ্ট্য দেখি? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমাদের এবারের শিখন অভিজ্ঞতা 'পদার্থের সুলুকসন্ধান!'
দ্বিতীয় অধ্যায়: পদার্থের সুলুকসন্ধান! (প্রথম ধাপ)
- প্রথম সেশন
তোমাদের আশপাশে কতরকম বস্তুই তো তোমরা দেখো, এগুলো সব কি দেখতে একই রকম? নিশ্চয়ই নয়? আবার সব বস্তু সবরকম কাজে লাগানোও যায় না। একটু ভেবে দেখো তো, কোন বস্তুর বৈশিষ্ট্য কেমন?
প্রথম সেশনের শুরুতেই তোমরা বাসাবাড়িতে, রান্নাঘরে, শ্রেণিকক্ষের ভেতরে বা আশপাশে যেসব বস্তু দেখো সেগুলোর তালিকা করবে এবং তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করবে।
তালিকা তৈরি করতে তোমরা ছক-১ পূরণ করবে।
ছক/খালিঘর ১ এর উত্তর
ছকের তথ্য নিয়ে এবার একটু দলে বসে আলোচনা করো। আলোচনার মধ্য দিয়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করো, কোন ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকলে কোনো বস্তু কোন নির্দিষ্ট কাজে লাগে। যেমন রান্নাবান্নায় ধাতব হাঁড়ি-পাতিল ব্যবহার করা হয়, কিন্তু কাঠ বা প্লাস্টিকের পাতিল ব্যবহার করা হয় না। আবার গরম হাঁড়িপাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়, কেন?
একইভাবে বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য যে তার ব্যবহার করা হয় তার উপরের স্তর প্লাস্টিকের হলেও ভেতরে তামার তার ব্যবহৃত হয়, সেটাই বা কেন? কেন কাঠ, প্লাস্টিক বা কাপড় যে বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, তার থেকে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, লোহা, তামা এদের ধর্ম আলাদা হয়?
উপরের ছকের বস্তুগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে নিচের শর্ত অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করো।
ছক/খালিঘর ২ এর উত্তর
এবার একটু চিন্তা করে দেখো, যেসব পদার্থ বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবহন করে, তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো কী। কেন কিছু কিছু পদার্থ দিয়ে তৈরি বস্তু তাপ পরিবহন করে আবার কিছু বস্তু করে না? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আগে পদার্থের গঠন ও বিন্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকা জরুরি। ক্ষুদ্রতর পর্যায়ে কোনো পদার্থের গঠন কেমন তা জেনে নেওয়া যাক।
তোমার দলের সবাই একসাথে বসে অনুসন্ধানী পাঠ বইটির 'অণু পরমাণু' অধ্যায়টি পড়ো। মৌলিক পদার্থ, ইলেকট্রন, প্রোটন নিউট্রন, পরমাণুর গঠন ইত্যাদি বিষয় পড়ে নিজেরা আলাপ করো ও বিষয়গুলো বুঝতে চেষ্টা করো। প্রতিটি মৌলিক পদার্থের যে একটা পারমাণবিক সংখ্যা থাকে তা কীভাবে হিসাব করা হয় তাও পড়ো এবং আলোচনা করো।
পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে প্রোটন আর নিউট্রন, আর তাদের ঘিরে ইলেকট্রনগুলো ঘুরতে থাকে এটা
- দ্বিতীয় সেশন
- তৃতীয় সেশন
- চতুর্থ সেশন
প্রথম সেশনে আমরা দেখেছি, ধাতু ও অধাতুর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে, বিশেষত তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহনের ক্ষেত্রে এই পার্থক্য মোটামুটি স্পষ্ট ধরা পড়ে। এখন যেহেতু পরমাণুর গঠন সম্পর্কে তোমাদের বেশ বিস্তারিত ধারণা হয়ে গিয়েছে, ধাতু-অধাতুর এই পার্থক্যের কারণটা খোঁজা যাক।
দলে বসে অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে পরিবাহী, অপরিবাহী ও অর্ধপরিবাহী অংশটুকু পড়ে আলোচনা করো। ইলেকট্রন বিন্যাসের কোনো পার্থক্যের কারণে ধাতু বেশি তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী হয় তা খুঁজে বের করো।
এবার একটু আলোচনা করে নিচের ছকে দৈনন্দিন জীবনে তাপ ও বিদ্যুৎ সম্পর্কিত কাজের কয়েকটি উদাহরণ লিখো, তারপর ঠিক করো কোনো কাজের জন্য ধাতু বা অধাতু কোনটা বেশি উপযোগী।
(বোঝার সুবিধার জন্য একটা উদাহরণ দেওয়া হলো)
ছক/খালিঘর ৩ এর উত্তর
ছক/খালিঘর ৪ এর উত্তর
দ্বিতীয় অধ্যায়: পদার্থের সুলুকসন্ধান! (দ্বিতীয় ধাপ)
- পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন
আমাদের চারপাশে আমরা যে বিভিন্ন বস্তু দেখি তাদের বৈশিষ্ট্যের অনেক পার্থক্য তো তোমরা দেখেছ। এই বৈশিষ্ট্য মাথায় রেখেই একেক বস্তু একেক কাজে লাগানো হয়। যেমন: রান্নার সময় আগুনের ওপর অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি নিশ্চিন্তে বসানো যায়, অথচ প্লাস্টিকের হাঁড়ি ব্যবহারের কথা চিন্তাই করা যায় না; রান্না তো হবেই না বরং হাঁড়ি আগুনে গলে যাবে।
আচ্ছা, একটু ভেবে দেখো তো, আগুন লেগে গেলে কোন পদার্থের ক্ষেত্রে কী ঘটে? মোম বা প্লাস্টিক হলে গলে যায়, আবার কাগজ বা কাঠ হলে পুড়ে যায়, দেখেছ নিশ্চয়ই। আমরা নিঃশ্বাসের সাথে যে অক্সিজেন নিই, তা কিন্তু খুবই দাহ্য পদার্থ, তোমরা অনেকেই হয়ত তা জানো।
সত্যি বলতে, আগুন বলতে আমরা যা দেখি তা আসলে বাতাসে উপস্থিত অক্সিজেনের সাথে কোনো দাহ্য পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলেই হয়। আগুন নেভাতে আমরা কী ব্যবহার করি বলতে পারো? হ্যাঁ, সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি পানি।
তবে তারচেয়েও বেশি ব্যবহার করি নিঃশ্বাসের সাথে নির্গত বাতাস, ফুঁ দিয়ে মোমবাতি বা দেশলাইয়ের কাঠি নিভিয়েছ নিশ্চয়ই! নিঃশ্বাসের সাথে আমাদের নাক মুখ দিয়ে কোন গ্যাস ত্যাগ করি তোমরা ইতোমধ্যেই জানো; কার্বন ডাই অক্সাইড, যা কিনা আগুন নেভাতে সাহায্য করে।
এখন পানির অণু তৈরি হয় হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন মিলে, আবার কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয় কার্বন আর অক্সিজেন মিলে। একটা বিষয় খেয়াল করো, যেই উপাদানটি এই দুইটি বস্তুর মধ্যেই বিদ্যমান তা হলো অক্সিজেন। তোমাদের মনে কি প্রশ্ন এসেছে, অক্সিজেন যেখানে একটি দাহ্য পদার্থ, সেখান অক্সিজেন একটি উপাদান হওয়া সত্ত্বেও পানি বা কার্বন ডাই অক্সাইড কীভাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে?
কার্বন, অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন হলো মৌলিক পদার্থ, যাদের ভাঙলে একই পদার্থের পরমাণুই শুধু পাওয়া যায়। অন্যদিকে কার্বন ডাই অক্সাইড বা পানির অণু ভাঙলে একাধিক মৌলিক পদার্থের পরমাণু পাওয়া যায়। একাধিক মৌলিক পদার্থ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় বলে এদের বলে যৌগিক পদার্থ।
বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে নিচে এই পদার্থগুলোর বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো নোট করো (কোনো তথ্য না জানলে শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারো।)
ছক/খালিঘর ৫ এর উত্তর
খেয়াল করে দেখো, পানি বা কার্বন ডাই অক্সাইড একেবারেই ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পদার্থ, এদের উপাদান মৌলিক পদার্থগুলোর বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে এদের মিল খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আবার একাধিক পদার্থ দিয়ে তৈরি হবার পরেও চাইলেই এদের মৌলিক উপাদানগুলোকে আলাদা করা যায় না। তুমি কি চাইলেই সহজে পানি থেকে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনকে আলাদা করতে পারবে?
এবার আরেকটা উদাহরণ চিন্তা করা যাক। এক গ্লাস পানির সাথে এক চামচ লবণ বা চিনি মেশাও। মিশ্রণে পানি আর চিনি বা লবণকে চোখে দেখে কি আলাদা করতে পারছ? নিশ্চয়ই না। তাহলে আগের উদাহরণের মতো এই শরবতকেও কি যৌগিক পদার্থ বলা চলে?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তোমাদের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে আগের মতো ছক ৬ পূরণ করো।
ছক/খালিঘর ৬ এর উত্তর
- সপ্তম সেশন
এই সেশনে তোমাদের দলের বানানো মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ এবং মিশ্রণের মডেল দেখিয়ে ক্লাসের অন্য কোনো একটা দলের সাথে আলোচনা করো। এই তিন ক্ষেত্রে অণু পরমাণুগুলো কীভাবে বিন্যস্ত থাকে এবং এদের পার্থক্য কী তাও আলোচনা করো। অন্য দলটির বানানো মডেল দেখে তোমাদের মতামত দাও। এভাবে ক্লাসের প্রতি দুটি বা তিনটি দল নিজেদের মধ্যে মডেল প্রদর্শন ও আলোচনা করতে পারে।
- অষ্টম সেশন
মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ, অর্থাৎ বিশুদ্ধ পদার্থের সাথে মিশ্রণের পার্থক্য তো জানলে। এখন বিশুদ্ধ পদার্থ শনাক্ত করার চেষ্টা করা যাক।
দুইটা একই রকম পাস্ত্রের একটিতে পানি, আরেকটিতে একই পরিমাণ পানিতে লবণ মিশিয়ে রাখো। অন্য কোনো দলকে এই দুইটি পাত্র পরীক্ষা করে বলতে হবে কোনটা বিশুদ্ধ পানির পাত্র (মুখে দিয়ে স্বাদ নিয়ে বলা যাবে না কিন্তু।) তোমার দলকেও একইভাবে অন্য দলের দুই পাত্রের পানি আর মিশ্রণকে শনাক্ত করতে হবে।
(কানে কানে একটা বুদ্ধি দিয়ে রাখি। বিশুদ্ধ পদার্থের সাথে কিছু মেশালে এর গলনাঙ্ক আর সস্ফুটনাঙ্ক কিন্তু পালটে যায়। সস্ফুটনাঙ্ক হিসাব করার মাধ্যমে কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর সহজেই বের করে ফেলা যায়! ভালোভাবে বুঝতে হলে এক কাজ করো, তোমাদের অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে বিশুদ্ধ পদার্থ শনাক্তকরণ অংশটুকু চট করে পড়ে নাও।)
দ্বিতীয় অধ্যায়: পদার্থের সুলুকসন্ধান! (তৃতীয় ধাপ)
- নবম সেশন
- একটা মজার বিষয় কী জানো? কোনো পদার্থকে বোঝানোর জন্যও একই কৌশল ব্যবহার করা হয়। উপরে তোমার যেমন রঙের আদ্যক্ষর দিয়ে রং চেনালে, সেভাবেই কোনো পদার্থে কী কী মৌলিক পদার্থের পরমাণু আছে সেটা বোঝাতে মৌলগুলোর নামের আদ্যক্ষর ব্যবহার করা হয়। মৌলিক পদার্থের ক্ষেত্রে শুধু সেই মৌলের আদ্যক্ষর হলেই চলে।
- কিন্তু যৌগিক পদার্থের ক্ষেত্রে যেহেতু একাধিক মৌলের পরমাণু থাকে, কাজেই তোমাদের নানা রঙের ফুলের পাপড়ির মতোই, কোন মৌলের কয়টি পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে ঐ পদার্থের সৃষ্টি করে তা সংকেত দেখেই বুঝতে পারা যায়। যেমন, দুইটা কার্বন, দুইটা হাইড্রোজেন আর একটা অক্সিজেন পরমাণু মিলে যে যৌগ হয় তার সংকেত হলো C2H2O
- আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য দলে বসে তোমাদের রিসোর্স বা অনুসন্ধানী পাঠ বই থেকে পরমাণু, অণু এবং যৌগ, প্রতীক ও সংকেত ইত্যাদিসহ তৃতীয় অধ্যায়ের বাকি অংশটুকু পড়ে নাও। পড়ার সময় দলে আলোচনা করো, প্রয়োজনে শিক্ষকের সহায়তাও নিতে পারো।
- এবার নিচের সংকেতগুলো থেকে অনুমান করার চেষ্টা করো, এই পদার্থগুলোতে কোন কোন মৌলের কয়টি করে পরমাণু আছে। তোমাদের বইয়ে অনেকগুলো মৌলের প্রতীক দেওয়া আছে, সেগুলোর সাহায্য নিতে পারো।
ছক/খালিঘর ৭ এর উত্তর
- ফিরে দেখা